শাহবাগ কি বিপ্লব

বখতিয়ার আহমেদ
Published : 11 Feb 2013, 03:25 PM
Updated : 11 Feb 2013, 03:25 PM

আমরা কি একটা বিপ্লবের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছি? এইটা কী হচ্ছে শাহবাগে? আরেকটা ১৯৬৯? ১৯৭১? ১৯৯০? নাকি আরেকটা ১৯৯৩? শাহবাগ কি একটা বিপ্লব? বাংলা বসন্ত?
আমার উত্তর- না। শাহবাগ বিপ্লব না। এখনও না…
কিন্তু হয়ে উঠতে পারে…
কী কারণে কিভাবে এটা বিপ্লব হয়ে উঠতে পারে সেটা পরে বলছি। কেন এখনো এটাকে বিপ্লব বলা যাচ্ছেনা সেইটাই আগে বলার চেষ্টা করি।

প্রথম কারণ এই আন্দোলন এখনো খুব গভীর বা মৌলিক কোন পরিবর্তনের কথা তুলছে না। এটা ৪০ বছর আগের এক রাষ্ট্রবিপ্লবের ঐতিহাসিক দায় মোচনের আন্দোলন। এই আন্দোলন সেই বিপ্লবের অমিমাংসিত এক অধ্যায়ের মুখোমুখি হওয়ার প্রশ্ন। বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধের বিচার চায়। এইটা কোন বিপ্লবী দাবি নয়- একটা সহজ সরল ন্যায়বিচারের দাবি। এইটা ১৯৭১ এর অমিমাংসিত অনেক বিষয়ের সবচেয়ে স্পর্শকাতর দিক- বেসামরিক মানুষদের গণহত্যা আর ধর্ষণের বিচারের দাবি। শুধুমাত্র নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার চাওয়ার কারণে এক অন্যায় যুদ্ধ আমাদের পূর্বসুরীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। 'ইতিহাসে যে জাতি কভু পররাজ্য করেনি হামলা', এই চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে তখন 'সে জাতিও হাতে অস্ত্র তুলে' নিয়েছিল। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ কোন মারামারি-খুনাখুনির নাম না, শুধু একটা রাষ্ট্রবিপ্লব না, এইটা একটা সমাজ বিপ্লব ছিল। কারণ তখন আমরা অসম্ভবকে ভাবতে পারছিলাম, হাজার বছরের উপনিবেশিক শাসন পার করে একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের মধ্যে আমরা নিজেদের আত্মপরিচয় খুঁজে পেয়েছিলাম, সেই বিপ্লব কিন্তু একদিনে আসে নাই, আসছিল ১৯৫২, ১৯৬২, ১৯৬৯ এর হাত ধরে। আজকের ২০১৩ কি আমাদের হাত ধরে আর কোন নতুন একাত্তরের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে পারে? খুব অন্যরকম কোন সমাজের স্বপ্ন দেখাতে পারে?
না, সেই সম্ভাবনা এখনো নাই শাহবাগের মোড়ে… কিন্তু জেগে উঠতে পারে…

শাহবাগের মোড়ে যারা জড়ো হয়েছেন তারা সবাই ভাল ছেলেমেয়ে। অনেকেই জাফর ইকবাল স্যারের কথা শুনেছেন, ছাত্র রাজনীতি করেননি, শিবির করেননি। ঠিক মত জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার চেষ্টা করেছেন, সাইন্স ফিকশন পড়েছেন, কিম্বা আলোকিত মানুষ হতে চেয়েছেন। যা যা তাদের গুরুজনেরা করতে বলেছেন ঠিক তাই তাই করেছেন। কিন্তু প্রচলিত রাজনৈতিক বিন্যাস তাঁদের বহুদিন ধরে হতাশ করে রেখেছে। জন্মের পর থেকে এই প্রজন্ম তাদের না দেখা সেই মুক্তিযুদ্ধের অধরা চেতনাকে রাজনৈতিক ভোট-ফুটবলে পরিণত হতে দেখেছেন। তাঁরা দেখেছেন ইতিহাসের এই অমিমাংসিত দায়টির নীচে কিভাবে আমাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত চাপা পড়ে আছে চল্লিশ বছর ধরে। তাঁরা দেখেছেন কিভাবে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ভোটের রাজনীতির খেলায় ডান-বামে ঘেঁষা মধ্যপন্থী বড় দলগুলো হাত ধরে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

কাজেই প্রচলিত রাজনীতি নিয়ে সর্বপ্লাবী হতাশা আজ একটা এক দফা রিডাকশনিস্ট দাবিতে এসে ঠেকেছে- যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই। এইটা তাদের কাছে পরিষ্কার যে এই বিচার না করে আমাদের রাজনৈতিক ধারা গতিশীল হতে পারবে না।
এই আন্দোলন এখনো কোন অসম্ভবকে সম্ভব বলে ভাবছে না, চিৎকার করে বলছে না যে রাজনৈতিক বিন্যাস মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জিম্মি করে রেখেছে সেটাকে সমূলে বদলাতে হবে।

তারা স্লোগান দিচ্ছেন 'গোলাম আজম সাইদী বাংলার ইহুদী'; কিন্তু আমার মনে হয় না এর সাথে স্থূল ইহুদী বিদ্বেষের কোন সম্পর্ক আছে। এই জমায়েতের একটি অংশ স্লোগান দিচ্ছে 'সকাল-বিকাল শিবির ধর- ধইরা ধইরা জবাই কর'। কিন্তু তাদের কাউকে দেখেই আমার মনে হয়নি এরা কেউ মানুষ জবাই করবার মতন মনস্তত্ত্ব ধারণ করে। এই জমায়েতে তো তারা ছুরি হাতে আসেননি, এসেছেন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অগ্নিশিখা হাতে… হাজারে হাজারে মোমবাতি হাতে। গাড়ি পোড়ানোর জন্য পেট্রলের টিন নিয়ে আসেননি, বরং করজোড়ে মিনতি করে মোড়ের গাড়িগুলোকে ভিন্ন পথে ঘুরিয়ে দিয়েছেন। শুধু ধর্মব্যবসায়ী রাজনৈতিক দলের সংস্কৃতিকে নয়, এরা আমাদের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সংস্কৃতিকেও নাকচ করে একটা অহিংস গণআন্দোলন গড়ে তুলেছেন। শিবির নিধনের নামে বিশ্বজিত নিধন যখন এই ন্যায়বিচারের দাবিটাকে রাজনৈতিক কবর দিতে যাচ্ছিল তখনই এই তরুণেরা প্রমাণ করেছেন যুদ্ধাপরাধের বিচার কোন খুনি শাসন-ব্যবস্থার রক্ষা-কবচ নয়, রাজনৈতিক দাবার বোড়ে নয়, এইটা আমাদের এক অসমাপ্ত বিপ্লবের অমিমাংসিত ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। তারা ফাঁসির দাবি তুলেছেন কাউকে হত্যার জন্য নয়, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য।

কিন্তু এখনো শাহবাগ কোন বিপ্লবের নাম না, কিন্তু অনেক সম্ভাব্য বিপ্লবের অন্তর্লীন আভায় দেদীপ্যমান…
কেন শাহবাগ বিপ্লব না? বিপ্লব বস্তুটা কী সেটা খতিয়ে দেখা দরকার এই প্রশ্নে। আমরা সমাজবিদ্যার ক্লাসরুমে পড়ি সমাজ যে কয়টা প্রক্রিয়ায় বদলায় তার একটা হচ্ছে বিপ্লব। বিবর্তন/রূপান্তর/প্রগতি/উন্নয়নসহ সমাজ পরিবর্তনের যে যে প্রক্রিয়া চালু আছে তার সাথে বিপ্লবের মৌলিক পার্থক্য আছে। এভুলুশনের সাথে রেভুলেশনের পার্থক্য কী? পার্থক্য হচ্ছে বিবর্তনে মানুষ বা মানুষের সমাজকে সময়ই বদলে দেয়, উন্নয়নে অধিপতি কিছু মানুষ অধস্থনের জীবন বদলে দেয় বা দিতে চায়; কিন্তু বিপ্লবে মানুষ নিজেই নিজের সমাজ আর রাষ্ট্রকে বদলে দেয়। সে বদলানো মানে কিন্তু সংসদীয় পদ্ধতির বদলে রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা টাইপ বদলানো না, সে বদলানো মানে খুব আমূল কিছু বদলে যাওয়া। ফরাসী বিপ্লবের আগে খোদ ইউরোপেই কেউ ভাবতেই পারতেন না শিক্ষা একটা সার্বজনীন অধিকার হতে পারে বা নারীরাও ভোট দিতে পারেন। যারা ভাবতেন সমাজ তাদের পাগল ভাবত। কিন্তু সেই ফরাসী বিপ্লবের পরেই সবচেয়ে রক্ষণশীল মানুষটাকেও মেনে নিতে হয়েছে এই বিপ্লবের সত্যকে, মানুষে মানুষে সাম্যের যুক্তিকে। শাহবাগের সমাবেশে সেই মাত্রার আমূল পরিবর্তনের কল্পনাশক্তি এখনো স্পষ্ট নয়। এখনো এইটা জাতীয়তাবাদী ভাবাদর্শের সীমাবদ্ধতাকে ছাপিয়ে যেতে পারছে না। এই জনসমুদ্রে প্রতিফলিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটি এখনো খণ্ডিত এক চেতনা। আমাদের রাজনীতি আর সমাজের বৈপ্লবিক কোন পরিবর্তন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে খণ্ডিত করে আসবে না। সেইটা করে করেই আমরা মুক্তিযুদ্ধকে একটু একটু করে অকার্যকর রাজনৈতিক প্রপঞ্চ করে ফেলেছি।

বিপ্লবই হোক বা সমাজের অন্য যে কোন ধরণের পরিকল্পিত রূপান্তরই হোক, সমাজ কীভাবে কোন্ দিকে বদলাবে সেটা একটা রাজনৈতিক প্রশ্ন, ক্ষমতা চর্চার প্রশ্ন। কে ঠিক করবে সমাজ-রাষ্ট্র কীভাবে বদলাবে? চলমান উত্তরটা হচ্ছে আমরা ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করব, যাকে বেশি লোকে নেতা মানবে বাকিদের তাকে পছন্দ না হলেও মেনে নিতে হবে। সেই নেতারা সংসদে বসে ঠিক করবেন রাষ্ট্র-সমাজ কীভাবে চলবে, সে আইনের বিধান এমনকি মানুষকে হত্যা করবারও বৈধ অধিকার রাখবে। বাস্তব চর্চায় বৈধতার ধার না ধারলেও নির্বাচিত রাজনৈতিক শক্তিকে তবু আমরা সংখ্যাগুরু মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে মাফ-টাফ করে দিয়ে থাকি, অথবা নিরুপায় চেয়ে থাকি। সমাজ কীভাবে কোনদিকে বদলাবে সেই মতের পার্থক্যই রাজনৈতিক মতাদর্শ আর ব্যবস্থাগুলার পার্থক্য গড়ে দেয়। সমাজ কেউ শরীয়া আইন দিয়ে বদলাতে চান তো কেউ সর্বহারার একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে বদলাতে চান। আবার কেউ সংখ্যাগুরুর মত মেনে নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্র-সমাজকে এক দল নির্বাচিত লোকের হাতে তুলে দিয়ে গণতন্ত্রে আছেন ভেবে নিশ্চিত থাকেন।

তো, শাহবাগের সমাবেশ এই পরোক্ষ প্রতিনিধিত্বশীল সংখ্যাগরিষ্ঠের গণতন্ত্রকে অস্বীকার করেছে। শাহবাগে আজকে আমরা যা দেখছি সেটা নতুন প্রজন্মের অভিনব এক গণতান্ত্রিক চর্চা, এইটা প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের ঘাড় চেপে ধরা প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র, জনগনের গণতন্ত্র, গণতন্ত্রের আদি নির্যাস যেন ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসেছে এই সমাবেশে। ঠিক যেভাবে টেসিটাস বর্ণিত রোমে প্রাত্যহিক সমাবেশে নাগরিক তার স্বরাজের প্রতীক বর্শা হাতে হাজির হতেন রাজনীতির উপরে ব্যক্তি আর সমাজের প্রত্যক্ষ অধিকার নিশ্চিত করতে। আর একারনেই শাহবাগ বিপ্লবের এক প্রদোষকাল হয়ে উঠতে পারে, খুব ঘনিয়ে আসা কোন বিপ্লবের সুবেহ সাদিক হতে পারে…
কীভাবে? কেন?

কারণ এখানে যে প্রজন্ম একত্রিত হয়েছে তারা সবাই ছাত্রযুবা। গত দুই দশক ধরে সুশীল গণমাধ্যম এদের জানিয়েছে রাজনীতি করা খারাপ। তারা কথা শুনেছেন। রাজনীতি করেন নাই; মানে রাজনৈতিক দল করেন নাই। তার মানে কিন্তু তারা নিষ্ক্রিয় ছিলেন না, এদের অনেকেই বেতন-ফির বিরুদ্ধে লড়েছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়েছেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়েছেন, প্রতিনিয়ত শিখেছেন। কিন্তু দলে নাম লেখান নাই, কোন মতাদর্শে আনুগত্য দেখান নাই। কাজেই আমাদের এই তথাকথিক সাধারণ তরুণ সমাজ নিজেদেরকে অরাজনৈতিক ও নিষ্ক্রিয় করে তোলার যাবতীয় দীক্ষা-প্রকৌশলকে খারিজ করে তৎপরতায় ফিরেছেন। এবং কী অভিনব সেই ফিরে আসা! খুব অন্যরকম এক চর্চা নিয়ে ফিরেছেন তারা। শাহবাগ কোন সরকার পতনের আন্দোলন না। বলা হয়ে থাকে এই তরুণ প্রজন্মের ভোটই আওয়ামী লীগকে গত নির্বাচনে এত বড় বিজয় এনে দিয়েছিল। কিন্তু এই তরুণ প্রজন্ম এখন আর শুধু সেই ভোট দেয়া সরকার বা সংসদের উপর ভরসা করে নাই। তারা এখন বিচার-ব্যবস্থাসহ প্রতিনিধিত্বশীল রাজনীতির উপর আস্থা হারিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। প্রত্যক্ষ বোঝাপড়া চাইছেন। প্রতিনিধিত্বশীল পরোক্ষ গণতন্ত্রের ব্যর্থতা আজ দারুণ এক সরাসরি প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের ক্ষেত্র তৈরি করেছে। আজকের শাহবাগ তেমনি এক প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের ঐতিহাসিক ক্ষণমূহূর্তের নাম। পাঁচ বছরে একবার না, সরাসরি সার্বক্ষণিক রাষ্ট্র-আইন-সরকারের সাথে জনগণের প্রত্যক্ষ বোঝাপড়ার সামাজিক তৎপরতা এইটা। শাহবাগের তরুণেরা জনগণকেই নিজেদের নেতৃত্ব বলে ঘোষণা দিয়েছেন। প্রগতিবাদী দলগুলোর সহমর্মিতাকে তারা নিরাপদ দূরত্বে থেকে গ্রহণ করেছেন। গত এক দশক ধরে ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক আন্দোলনগুলোতে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর বাইরের শিক্ষার্থীরা যে বিপুল হারে অংশ নিয়েছেন সেই হারে কিন্তু প্রকৃতই ছাত্রাধিকার নিয়ে আন্দোলন করে এমন সংগঠনগুলোরও নিয়মিত কর্মীসংখ্যা বাড়েনি। তার মানে এই শিক্ষার্থীরা কোন সাংগঠনিক বা মতাদর্শিক আনুগত্যে যেতে চান না কিন্তু এইসব ক্ষণ-মুহূর্তে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। এটা রাজনীতির প্রশ্নে একটা নতুন সামাজিক রুপান্তরের লক্ষণ।

জানা যাচ্ছে এই আন্দোলনের সূতিকাগার ইন্টারনেটের সোশাল নেটওয়ার্ক। মানুষ এখন প্রতিদিন প্রতিমূহূর্তে নিজের একটি প্রকাশ্য অবস্থান নিতে সক্ষম, সেটা একে অন্যের সাথে মেলাতে সক্ষম, কোন নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচনী রাজনীতির বাইরেই। এই আন্দোলন ইতিমধ্যে আমাদের স্বাধীনতাকে আরেকটু চওড়া করেছে। বাংলাদেশে এখন ফেসবুক/ইউটিউব বন্ধ করতে হলে শাসককূলকে দশ বারের জায়গায় বিশ বার ভাবতে হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ঘৃণা আর উম্মাদনা বলে ছড়িয়ে নিজ কুকর্মের রক্ষা-কবচ বানানো আর সহজ হবে না। সরকার, রাষ্ট্র, আর আইনের সাথে জনগণের অহিংস এবং প্রত্যক্ষ বোঝাপড়ার এক নতুন সামাজিক তৎপরতা তৈরি হচ্ছে। সেটা শুধু কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর সাজা দেয়ার মাঝে বাঁধা পড়ে থাকবে বলে মনে হয় না।

আহমদ ছফার নামে একটা কথা চালু আছে বিপ্লব নিয়ে, বিপ্লব নাকি শ্রাবণের মুষলধারে বৃষ্টির মত, যখন আসে তখন সবাইকে ভিজতে হয়… সবাইকে ভাসতে হয় সেই প্লাবনে… এই মূহূর্তে শাহবাগ ভাসছে এক প্লাবনে, আমরা সবাই ভাসছি।

বখতিয়ার আহমেদ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন। সম্প্রতি সমাজ পরিবর্তন বিষয়ে দীর্ঘ মেয়াদী গবেষণা করেছেন দুইটি অস্ট্রেলিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।