২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন। সংবিধান ও জীবনানন্দ দাশ নিয়ে গবেষণা করেন। এ পর্যন্ত তার লিখিত ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১৫টি। এর মধ্যে ‘জীবনানন্দের মানচিত্র’ বইয়ের জন্য ২০২১ সালে পেয়েছেন ‘কালি ও কলম পুরষ্কার’। তার অন্যান্য বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘সংবিধানের রাজনৈতিক বিতর্ক’, ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী: আলোচনা-তর্ক-বিতর্ক’, ‘সরকারি বিরোধী দল’, ‘উন্নয়নপাঠ: নদী ও প্রাণ’ ইত্যাদি।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, আইনের নিজস্ব গতি বলে কিছু নেই। গতি নির্ধারিত হয় প্রধানত রাজনৈতিকভাবে। এর সঙ্গে অনেক সময় যুক্ত হয় ক্ষমতা, অর্থ ও অন্যান্য চাপ।
বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্ষমতা গ্রহণ করলেই কি সেই সরকারটি নির্বাচিত, বৈধ বা সাংবিধানিক হয়ে যায়? নির্বাচনের মধ্য দিয়ে লুটেরা মাফিয়া শ্রেণি ক্ষমতায় আসে— এই যুক্তিতে কি নির্বাচনি ব্যবস্থাটি বাতিল করে দিতে হবে?
নিকট অতীতেও আমরা দেখেছি নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কারা পাবে বা পাবে না, সেখানে সরকারের ব্যাপক ভূমিকা থাকে।
প্রতিটি ‘হ্যাঁ-না’ বা গণভোটের ফলাফলই নিরঙ্কুশভাবে সরকারের পক্ষে গেছে। সরকার যে ফলাফল চেয়েছে, গণভোটের ফলাফলে তার কোনো ব্যতিক্রম হয়নি।
অবশ্য অনেকেই মনে করেন, দেশকে এগিয়ে নিতে ইউনূসের বৈশ্বিক যোগাযোগ কাজে লাগানোর জন্য আগামীতে যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন, তারা তাকে রাষ্ট্রপতি বানাতে পারে।
বর্তমান আইনে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার কথা বলা আছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ১৮০ দিনের মধ্যেও বিচার শেষ হয় না। অথচ এখন আইন সংশোধন করে এই সময়সীমা ৯০ দিনে নিয়ে আসা হচ্ছে।