২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির নেতারা বলেন, চার বছর নয়। সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ পাঁচ বছরই বহাল রাখার পক্ষে তারা।
এ বছর জাতীয় দারিদ্র্যের হার ২২ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, আইনের নিজস্ব গতি বলে কিছু নেই। গতি নির্ধারিত হয় প্রধানত রাজনৈতিকভাবে। এর সঙ্গে অনেক সময় যুক্ত হয় ক্ষমতা, অর্থ ও অন্যান্য চাপ।
আমাদের স্বীকার করতে হবে— ক্ষমতা সব সময়ই মানুষকে বদলায়। কাজেই শাসকের সদিচ্ছা নয়, দরকার একটি প্রতিষ্ঠাননির্ভর, নিয়মতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ রাজনৈতিক সংস্কৃতি।
বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্ষমতা গ্রহণ করলেই কি সেই সরকারটি নির্বাচিত, বৈধ বা সাংবিধানিক হয়ে যায়? নির্বাচনের মধ্য দিয়ে লুটেরা মাফিয়া শ্রেণি ক্ষমতায় আসে— এই যুক্তিতে কি নির্বাচনি ব্যবস্থাটি বাতিল করে দিতে হবে?
নিকট অতীতেও আমরা দেখেছি নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কারা পাবে বা পাবে না, সেখানে সরকারের ব্যাপক ভূমিকা থাকে।
আমাদের সংস্কার প্রস্তাবগুলোয় অনেক ভালো এবং দীর্ঘমেয়াদী সুপারিশের কথা বলা হলেও জবাবদিহি নিশ্চিতের বিষয়টি সেভাবে এসেছে বলে মনে হয় না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনসহ নিজেদের প্রস্তাব তুলে ধরেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রথম ধাপের সংলাপ শেষ করতে চায় কমিশন।