স্প্যানিশ ফুটবল
স্রেফ ১৭ বছর বয়সে নতুন প্রজন্মের অনেকের আদর্শ হয়ে উঠতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
Published : 23 Apr 2025, 09:10 PM
ছোটবেলায় লামিনে ইয়ামাল অনুপ্রেরণা খুঁজতেন লিওনেল মেসিকে দেখে। স্রেফ ১৭ বছর বয়সে বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড নিজেই এখন অনেক শিশুর প্রেরণার উৎস। এত অল্প বয়সে নতুন প্রজন্মের অনেকের আদর্শ হয়ে উঠতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত দারুণ প্রতিভাবান এই ফুটবলার।
২০২৩ সালে ১৫ বছর বয়সে বার্সেলোনায় অভিষেকের পর থেকেই দুর্দান্ত স্কিল আর অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতায় ইয়ামাল হয়ে উঠেছেন দলটির অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্পেন জাতীয় দলেও করে নিয়েছেন আপন জায়গা।
এই মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে তিনি গোল করেছেন ১৪টি। এছাড়া সতীর্থদের ২২টি গোলে রেখেছেন অবদান। তিনটি বড় শিরোপার লড়াইয়ে আছে কাতালান দলটি।
অসাধারণ পারফরম্যান্সে দ্রুতই নতুন প্রজন্মের ভক্তদের কাছে নিজেকে আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ইয়ামাল। ক্লাবের অফিসিয়াল স্টোরে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া জার্সিগুলোর একটি তার। বর্তমানে বার্সেলোনার ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামের স্ট্যান্ডগুলোতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তার জার্সিই।
ফুটবল ওয়েবসাইট ইএসপিএনকে ইয়ামাল বললেন, এই ব্যাপারগুলো দারুণ উপভোগ করেন তিনি।
“এটা অবিশ্বাস্য। যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন নেইমারের শার্ট, মেসির জার্সি পরতাম, তাই শিশুদের আমার শার্ট পরতে দেখার অর্থ হলো আমি তাদের অনুপ্রেরণা, অন্তত ফুটবলে।”
“এটা এমন কিছু যা আমি কখনও ভাবিনি যে, এত দ্রুত ঘটবে- ১৩ বছর বয়সী শিশুরা তাদের চেয়ে মাত্র চার বছরের বড় একজনের শার্ট পরছে। অবিশ্বাস্য। আমার মা সবসময় আমাকে (এর তাৎপর্য) নিয়ে ভাবতে বলেন। এটা যে কারোর সঙ্গে ঘটে না; কোথাও গিয়ে আপনার শার্ট পরা কোনো শিশুকে দেখলেন। এটা এমন কিছু, যা আমার অনেক ভালো লাগে এবং আমার সবচেয়ে পছন্দের বিষয়গুলো একটি।”
গত বছর স্পেনের ইউরো জয়ে বড় অবদান ছিল ইয়ামালের। ২০২৪ সালের ব্যালন দ’অর জয়ের লড়াইয়ে তিনি হয়েছিলেন অষ্টম। তবে সেরা তরুণ ফুটবলারের স্বীকৃতি ‘গোল্ডেন বয়’ অ্যাওয়ার্ড ও কোপা ট্রফি জিতেছিলেন তিনিই।
দুই দিন আগে এই বছরের লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডসে ‘ব্রেকথ্রু অব দা ইয়ার’ বা বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন তিনি।