টার্মিনালে কনটেইনার রাখার জন্য পাঁচ হাজার ১০০টি গ্রাউন্ড স্লট থাকবে।
Published : 23 Apr 2025, 12:13 AM
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) ও জাপানের দুটি কোম্পানির মধ্যে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প চুক্তি সই হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর লো মেরিডিয়েন হোটেলে এ চুক্তি হয়। এতে সই করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান ও পেন্টা ওশান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার তোমোকাজু হাসেগাওয়া।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি কেবল একটি অবকাঠামো প্রকল্প নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি কৌশলগত বিনিয়োগ।
“মাতারবাড়ী বন্দর চালু হলে বড় জাহাজের ধারণক্ষমতা বাড়বে। বন্দরগুলোয় যানজট কমবে এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা আরও গতিশীল হবে। সরাসরি প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে কক্সবাজার-মহেশখালীর নতুন শিল্পাঞ্চলে। এতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও ট্রান্সশিপমেন্ট হাবে পরিণত হবে।”
প্যাকেজ ১ কার্যক্রমের আওতায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টি পারপাস জেটি নির্মাণ, ২০০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার জেটি নির্মাণ, ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার বার্থ নির্মান, টার্মিনাল, ভবন, পেভমেন্ট, রিটেইনিং ওয়াল, সি ওয়াল ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে।
টার্মিনাল এরিয়াতে কনটেইনার রাখার জন্য পাঁচ হাজার ১০০টি গ্রাউন্ড স্লট থাকবে বলেও মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
উপদেষ্টা বলেন, “জাপান সরকারের ও জাইকার সহযোগিতা মাতারবাড়ী প্রকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়ক হবে। জাইকার প্রযুক্তিগত দক্ষতা, অর্থায়ন ও সক্ষমতা উন্নয়নের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ।”
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর প্রধান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জাপান দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং জাইকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।