দেশ-বিদেশে লেখালেখির স্কুল

আনিসুর রহমান
Published : 17 Sept 2021, 09:30 AM
Updated : 17 Sept 2021, 09:30 AM

একটি কবিতার শরণ নিয়ে লেখাটি শুরু করতে চাই। দশককাল ধরে ঘটনাক্রমে উপসালা, অসলো, স্টকহোম, হেলসিঙ্কি, অরহুস, বেলগ্রেডসহ বেশ কয়েকটি শহরে আবাসিক লেখক বা অতিথি লেখকের বৃত্তির সুবাদে নানা উপলক্ষে লেখালেখি বিষয়ক বিবিধ কর্মশালা, সংলাপ, সেমিনার, আলোচনা, বিতর্ক ও সিম্পোজিয়ামে অংশ নেবার সুযোগ হয়েছে। কখনো সৃজনশীল লেখালেখি বিষয়ে নানা কর্মসূচি ও পাঠ্যক্রম পরিচালনাও করেছি, বিবিধ প্রাতিষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে। অনেক সময় স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণদের রকমারি প্রশ্নের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। তরুণদের প্রশ্নের মধ্যে চিন্তা ও ভাবনার গভীরের আলোকরেখা খুঁজে নেবার তাগিদ লক্ষ্য করেছি। তাদের প্রশ্ন থেকে নিজে চিন্তার জগতে নতুন আলোর নিশানা খুঁজেছি নিজের নিরুদ্দেশ যাত্রায়।

তরুণদের অসংখ্য প্রশ্নের একটি ছিল এরকম: আবাসিক কবি কী? আবাসিক লেখকের কাজ কী? এর সাদামাটা কোনো উত্তর কোথাও সেভাবে সংজ্ঞায়িত নাই। আমার জবাবটা কবিতার অক্ষরে এরকম:

Poet in Residency

One cannot find poets in residency in schools, libraries and literary seating

They phrase the cheers and long-drawn sigh in life and

They live in prisons, fields, factories, streets, markets and labour colonies

Poets are Vasco da Gama and Columbus where there is life even in nook and corner

If any one of you ask about me in Uppsala

You will know, this is the poet in residency in Uppsala

I must say: Anisur Rahman is not poet at all

Just an image of a bird in the storm

The bird finds its shelter in the palace at stormy night

The bird waits just for dawn, afterwards of the storm…

আদতে প্রকৃত কবিদের দাঁড়াবার জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠান আর খবরদারির জায়গাগুলোকে নাকচ করেই লেখালেখিতে টিকে থাকতে হয়। তাই কবিরা বিদ্যালয়, গ্রন্থাগার, বিশ্ববিদ্যালয় আর সাহিত্যের নানা মেল ও মেলাকে নাকচ করার হিম্মত রাখেন। অন্যদিকে জেলখানা, মাঠ, কারখানা, বাজার, পথঘাট আর শ্রমিক তল্লাটকে কবিতার আশ্রম করেন। এই সত্য জানার এবং উপলদ্ধি করার পরও সেই আমি কি না স্ববিরোধী অবস্থান নিয়ে লেখালেখির মেল ও মেলায় ছুটে বেড়াই। কিন্তু কেন?

লেখালেখি এমন একটি যাত্রা যার শুরু প্রথম লেখা দিয়ে আর শেষ জীবনের শেষ লেখাটিতে। গোটা জীবনের সামগ্রিক লেখালেখি একজন লেখকের একটা একক ভ্রমণকাহিনীর মতো। সেই ভ্রমণে নানা ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের লেখালেখি নিয়ে চিন্তা ও প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার আগ্রহ একজন লেখকের থাকতে হয়। যদিও প্রকৃত লেখক কোনো প্রাতিষ্ঠানিক দরজা বা চেয়ারের ধার খুব একটা ধারেন না। তাই বলে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের গুরুত্বকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এই তাৎপর্যই আমাকে বারবার লেখালেখির নানা মেল ও মেলায় টেনেছে। অন্যদের কতটা কি হয়েছে আমি জানি না তবে আমি উপকৃত হয়েছি।

দেশে বিদেশে লেখালেখির নানা মেল ও মেলায় সংশ্লিষ্ট থাকার পেছনের তাগিদ ছিল অন্য লেখক এবং তরুণদের চিন্তার আগ্রহকে উস্কে দেয়া আর তাদের চিন্তার ও ভাবনার জায়গাগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়া। এই উপলদ্ধি বা তাগিদটা লাভ করেছি আমার পঠনের ভালো লাগার কয়েকটি জায়গা থেকে। এ প্রসঙ্গে প্রথমে উল্লেখ করতে চাই লালন ফকিরের জীবন ও কর্মের কথা। এরপরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম আর হেনরিক ইবসেনের জীবন ও লেখালেখির প্রসঙ্গ মোটা দাগে এই বলা যায়। প্রথমেই হেনরিক ইবসেনের প্রসঙ্গ টানতে চাই। তিনি লেখালেখি বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, লেখালেখি হচ্ছে দেখা। অন্য জায়গায় লিখেছেন কবি হবার অর্থ নিজের ভেতরের দানবের সঙ্গে লড়ে যাওয়া।

আমাদের ভূ-বঙ্গের তিন প্রতিভা লালন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল প্রাতিষ্ঠানিক বলয়কে নাকচ করেই নিজেরা হয়েছেন এক একটা দুনিয়া বা প্রতিষ্ঠান। তারা পরিণত হয়েছেন এক একটা অনন্য দর্শনে। এরকম উদাহরণ দেশে-বিদেশে আরো অনেক আছে। এদের যে যুগে আবির্ভাব সেই যুগে সৃজনশীল লেখালেখি বিদ্যার প্রবর্তন হয়ে থাকলেও ভিত্তিটা তখনও গড়ে ওঠেনি এবং প্রসার লাভ করেনি। তাই বলে কি সে যুগে লেখালেখি থেমে ছিল? ওই সময়ে লেখালেখি বিষয়ে প্রাথমিক বা খুঁটিনাটি ধারণা মানুষ কোথায় পেত? গুরুমুখী অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা বা যোগাযোগের একটা ব্যাপার নিশ্চই ছিল। আড্ডা বা আসরের প্রসঙ্গটাও এখানে সঙ্গত।

লেখালেখির ক্ষেত্রে সব দেশেই আসর বা আড্ডার বাস্তবতা অনিবার্য। ১৮৮০-এর দশকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সৃজনশীল লেখালেখি বিষয়ে পাঠদান শুরু করে। ১৯৩০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্টের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে সৃজনশীল লেখালেখির বিদ্যা সারা দুনিয়ায় সাড়া ফেলে কিংবা ডালপালা মেলে।

অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসরমান পশ্চিমা দুনিয়ার অনেক দেশে এই বিদ্যা চালু রয়েছে কিংবা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আমাদের দেশে এই বিষয়ে উল্লেখ করার মতো খবর এখন পর্যন্ত নেই। যদিও ইংরেজি জানা কেউ কেউ সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমাদের ধ্যানধারণার ফেউ হিসেবে ইংরেজির লেখক বা কাঠপণ্ডিত হিসেবে ফিটফাট হিসেবে নিজ দেশে ভিনগ্রহী কেউটে ভাব দেখিয়ে সাহেবি ভিক্ষুক হয়ে থাকেন। তাতে লেখালেখির জগতে বাংলা ভাষা সাহিত্যের দেশে পাঠক মহলে কোনো ছাপ তারা ফেলতে পারেননি।

বাংলা একাডেমি তরুণ লেখক প্রকল্পের মতো একটা উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ দুই একবার নিয়েছিল। তা শেষ পর্যন্ত লাগসই করতে পারেনি। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাহিত্য বিভাগ তাদের হামবড়া ভাব থেকে এখনো বের হয়ে আসতে পারেনি। তারা বুঝতেই চাইল না ওসব বিভাগের মান্যবর পণ্ডিতগণ চিন্তার মানচিত্রে যে জায়গায় আছেন, পৃথিবী তার থেকে অনেক দূর অগ্রসরমান। এসব নিয়ে, শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে কার্যকর বিতর্ক হতে পারে। সেই সুযোগটাও যদি অবারিত থাকত তাহলে ভালোই হতো। যে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় কর্তা যখন তার অপকর্ম বিষয়ে লেখালেখি না করতে নির্দেশনা জারি করে বহাল তবিয়তে লজ্জা শরম খেয়ে টিকে যান। এমন কি অপছন্দের লেখা ডিজিটাল আইনে মামলার হুমকি দিয়ে সংবাদপত্রকে প্রত্যাহার করাতে পারেন। সেই দেশে সৃজনশীল লেখালেখির বিদ্যার লাগসই প্রবর্তন সুদূর পরাহত, সেটা সহজে ভবিতব্য।

যে প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু করেছিলাম সেখানে ফিরে আসি। অগাস্টের শুরুর দিকে স্টকহোমের বাইরে একটি দ্বীপে প্রতিষ্ঠিত বিস্কোপস-আরনো নামের একটি সৃজশীল বিদ্যা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের নর্ডিক লেখালেখির স্কুল সুইডেন, নরওয়ে, মিশর, জিম্বাবুয়ে, ইরান, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, ইরান, সিরিয়া এবং বাংলাদেশের কুড়িজনের মতো লেখককে এক সপ্তাহের জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল লেখালেখি বিষয়ে এক সপ্তাহের ঠাসা কর্মসূচিতে অংশ নেবার জন্যে, ভাবনার আদান-প্রদান করার জন্যে। এই প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্যে প্রথম আমি আমন্ত্রিত হয়েছিলাম ২০০৯ সালে। আমি সেই সময় সবে আবাসিক লেখক বৃত্তি নিয়ে উপসালা শহরে থাকা শুরু করেছি। এর মাঝে অনেকবার গিয়েছি এখানে নানা উপলক্ষে আমন্ত্রিত হয়ে। প্রতিবারই তরুণদের সান্নিধ্য আর তাদের কল্পনার ও ভাবনার জগতে নিখাদ আগ্রহ ভালো লেগেছে।

এবারের আয়োজন ছিল ভিন্ন আঙ্গিকে। এখানে জমায়েত হওয়া দুই একজন ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশে এবং বিদেশে সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে নাম কুড়িয়েছেন। এক একজনের অভিজ্ঞতাও ভিন্ন। লেখালেখির যাত্রাও আলাদা। সেই বিষয়টাই মাথায় রেখে আয়োজকরা গোটা কর্মসূচিকে সাজিয়েছিলেন নিচে উল্লিখিত তিনটি প্রশ্নকে ঘিরে–

এক. সাহিত্যে অতীত ও বর্তমানের সম্পর্ক কী? দুই. পঠন ও লেখালেখি কীভাবে স্মৃতি ও যাপিত জীবনে একই অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করতে পারে? তিন. আপনার লেখালেখিতে অন্য মানুষ কিংবা লেখকের কোনো ধরনের প্রভাব ছিল?

প্রথম প্রশ্নে সৈয়দ শামসুল হকের কাছে ফিরতে হয়। তিনি বলে গেছেন, লেখালেখি মানে সময়ের কাছে প্রেমপত্র। এই সময় বলতে এখানে অতীত বর্তমান বা ভবিষ্যৎকে আলাদা করে ইঙ্গিত করা না হলেও প্রেমপত্রের প্রসঙ্গ যেহেতু তা বর্তমান অবধারিত। অতীত এখানে যাবে অভিজ্ঞতা তাড়িত, তথ্য ও সূত্রের প্রয়োজনে। অতীতের পরেই বর্তমান হলে সেই অতীত ভুলে বা অস্বীকার করে জীবনের রূপ নির্ধারণ করা যায় না। জীবনকে জানতে বা বুঝতে হয় সেই অতীত বা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে। সেই ইতিহাস হতে পারে নিজের জীবনের, পরিবারের, সমাজের, চারপাশের দেশের এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের। একজন লেখককে মনে করা হয় পরিপক্ক ও পরিণত মানুষ। মানুষ হিসেবে অপরিপক্ক হয়ে আর যাই হোক লেখালেখি চলে না। তাই লেখালেখিতে অতীতের এক অবিচ্ছেদ্য এবং প্রচ্ছন্ন ছাপ থাকবেই।

অন্যদিকে বর্তমানের একজন লেখক লিখবেন ভবিষ্যতের জন্যেও। আর সেই ভবিষ্যৎ খুঁজে পাওয়া যাবে বর্তমানকে ধরতে পারলেই। তাই সস্তা লেখক ও তাদের লেখালেখি সম্পর্কে আমি বলতে চাই, তাদের লেখায় অনেক কিছু থাকলেও থাকে না সময়। সময় ধরতে না পারলে লেখালেখিতে ধরা যায় না কিছুই। আর এখানেই একজন লেখকের জীবন সমাজ ও রাজনীতি সংশ্লিষ্টতার প্রসঙ্গ আসে। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল এবং শামসুর রাহমানের প্রজন্মে অনেকে ভালো লিখেছেন। কিন্ত আলোচনায় ঘুরে ফিরে তাদের নাম বেশি কেন আসে? ওই যে বলেছিলাম, তারা সময়কে ধরেছেন। জীবনকে ছেনে, ছেঁকে তুলে এনেছেন তাদের যাপিত জীবনের যাবতীয় লেখায়।

এই বিবেচনায় জার্মান ভাষার লেখক ফ্রান্স কাফকাকে মনে করা হয় ভবিষ্যতের লেখক। তিনি বর্তমানকে ধরেই অনাগত সময়ের আলেখ্য এঁকে গেছেন। অন্য ব্যাখ্যায় বদলেয়ারের কথা উল্লেখ করা যায়। তার পর্যবেক্ষণ ছিল এরকম– কবি হওয়া মানে নিজের শৈশবকে তুলে আনা। এখানেও অতীতের প্রসঙ্গই বলা হলো অন্যভাবে। বদলেয়ারের প্রসঙ্গ টেনে টমাস ট্রান্স্ট্রয়মার্কের তার কবিতায় শৈশব তুলে আনার কথা বলাতে তিনি তৃপ্তিমাখা মুচকি হাসি দিয়ে নীরব থেকেছিলেন। অতীত বা ইতিহাস প্রসঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের পর্যবেক্ষণ এরকম ছিল– ইতিহাস বইয়ে যা লেখা হয়েছে, তা সত্য নাও হতে পারে। কিন্তু একজন লেখক ইতিহাসের ঘটনা সম্পর্কে যা লিখবেন, তা সত্য। এখানে একজন লেখকককে নিজের কাছে সৎ থাকার বড় সত্য ধারণ করতে হয়।

উপরে উল্লেখিত বিস্কোপস-আরনো দ্বীপের নর্ডিক লেখালেখি স্কুলে অংশগ্রহণকারী লেখকরা লেখালেখির ধরন কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের জন্য তাদের নিজস্ব লেখা উপস্থাপন করার এবং একে অপরের কথা শোনার, অভিজ্ঞতা এবং ভাষা বিনিময় করার সুযোগও ছিল ব্যতিক্রম।

সৃজনশীল লেখালেখি বিদ্যা সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে, সাধারণত এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কতিপয় মাঝারি মানের লেখক বেরিয়ে আসে। এ প্রসঙ্গে অরুন্ধতী রায় কোনো রাখঢাক না রেখে বলেছেন, সৃজনশীল লেখালেখি বিদ্যার মাধ্যমে একজন প্রথম মানের লেখক মাঝারি মানে নেমে আসতে পারেন। আর একজন নিম্নমানের লেখক মাঝারি মানে উন্নীত হতে পারেন। তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে সৃজনশীল লেখালেখি বিদ্যা ভালো ও খারাপ লেখকের গড়পড়তা নির্ধারণের একটা ছাঁকনির মতো। কোনো প্রকৃত লেখক এরকম ছাঁকনি উপেক্ষা করার যোগ্যতা রাখেন।

লেখালেখির এরকম বিদ্যা বা স্কুল একজন প্রকৃত লেখকের প্রয়োজনে খুব একটা না আসলেও আধুনিক রাষ্ট্র ও সমাজের ক্রমবর্ধমান গণতান্ত্রিক বিকাশে বহুমুখী বারোয়ারি বিদ্যা এবং উচ্চ শিক্ষার প্রায়োগিক বৈচিত্র্যকে উপেক্ষা করার মানে তালেবানি লাইনের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে মিল খাওয়া। একটা প্রশ্ন দিয়ে শেষ করব। একটি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে শুধু কথায় নয়, কাজেও আমাদের দেখাতে হবে আমরা কোন লাইন যাব। সেই ভিত্তিতে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক অবকাঠামো এবং পরিকাঠামোগুলোর পুনর্গঠন করতে হবে না কি?