Published : 29 Apr 2021, 05:32 PM
লকডাউনে মানুষ ও গাড়ি উভয়ের চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স কিংবা ডাক্তারদের কথা ভিন্ন। তাদের রোড পাস থাকে কিংবা আইডি কার্ড দেখে বোঝা যায় যে তারা ডাক্তার। এর পরেও পুলিশের ভুলক্রমে বা অবহেলাবশত সম্প্রতি কয়েক জন ডাক্তারকে রাস্তায় নামার জন্যে জরিমানা গুণতে হয়েছে এবং পরে সেই টাকা ফেরতও দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের সংশোধনযোগ্য ভুল-ত্রুটি হতেই পারে। পুলিশও মানুষ এবং মানুষ মাত্রেই ভুল করে। পুলিশ যদি ভুলক্রমেও জরিমানা করে, সেই জরিমানা প্রথমে পরিশোধ করে তারপর জরিমানা মওকুফের জন্যে আবেদন করতে হয়, অন্ততপক্ষে বিদেশেতো এ রকম নিয়মই দেখেছি।
সম্প্রতি ডাক্তার-পুলিশ বাদানুবাদের একটি ভিডিওচিত্র অন্তর্জালে ভাইরাল হয়েছে। একটি গাড়িকে থামিয়ে নারী যাত্রীকে রোডপাস কিংবা আইডি কার্ড দেখাতে বলেছিল পুলিশ। সেই যাত্রী দাবি করেছেন যে তিনি ডাক্তার। গায়ে অ্যাপ্রন থাকলেও কোন প্রকার রোডপাস কিংবা আইডি তার ছিল না। তার দাবি, গাড়ির কাচে লাগানো হাসপাতালের স্টিকার দেখে পুলিশকে বুঝতে হবে, তিনি ডাক্তার। পৃথিবীর যে কোনো দেশে রোড পাস বা আইডি চেক করা পুলিশের দায়িত্ব এবং পুলিশ চাহিবামাত্র এসব ডকুমেন্ট দেখানো নাগরিকের কর্তব্য, তিনি ডাক্তার কিংবা মোক্তার যেই হোন না কেন।
গাড়ি থামানো-জনিত বেয়াদবির অপরাধে পুলিশ এবং উপস্থিত ম্যাজিস্ট্র্যাটকে সে নারী যাত্রী তুই-তোকারি করলেন (ম্যাজিস্ট্রেটের ভাষায় 'তুই-তোমারি'), এক পর্যায়ে 'হারামজাদা' বলেও গালি দিলেন। 'এই করোনায় আমরা শয়ের উপরে ডাক্তার মরেছি। তোরা পুলিশ মরেছিস কতজন?' শ্লোগানের ভঙ্গিতে একাধিকবার বললেন: 'ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে!' কয়েকবার উর্ধ্বতন বা গুরুত্বপূর্ণ কারো কাছে ফোন করলেন তিনি এবং ম্যাজিস্ট্রেটের দিকে নিজের ফোনটি এগিয়ে দিয়ে বললেন, সেই ভিআইপির সঙ্গে কথা বলতে। পুলিশ ফোনে কথা বলতে রাজি হয়নি। বাংলাদেশে এত বেশি ভিআইপি যে তাদের সঙ্গে কথা বলে ডিউটি করতে হলে চাকরি করা পুলিশের পক্ষে মুশকিল হয়ে যাবে।
বাদানুবাদের এক পর্যায়ে ওই নারী জানালেন, তিনি এক বীরবিক্রম মুক্তিযোদ্ধার কন্যা। 'আমার বাবাও মুক্তিযোদ্ধা!' বললেন ম্যাজিস্ট্রেট। 'আমার বাবাও!' দাবি করলেন পুলিশ অফিসার। 'মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে আপনি আইন অমান্য করবেন, দায়িত্বরত পুলিশকে গালাগালি করবেন, এটাতো হতে পারে না!' হুমকি-ধামকি, হৈচৈ চলতেই থাকে। কে শোনে কার কথা। তবে কর্তৃপক্ষ ডাক্তারের কথাই হয়তো শুনবেন, কারণ সামাজিক ক্ষমতাক্রমে আবহমান কাল থেকে কবিরাজের গুরুত্ব বাংলাদেশে কোতোয়ালের উপরে। উভয়ের কমবেশি দোষ থাকলেও কোতোয়ালেরই হয়তো শাস্তি হবে, কবিরাজ স্রেফ ফোনের বদৌলতে পার পেয়ে যাবেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যতটুকু তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে, তার ভিত্তিতেই বর্তমান আলোচনা। এর পিছনে কোনো ঘটনা যদি থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে আমার বিচার ও সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হবে। অন্তর্জালে ভাইরাল হওয়া যেকোনো ভিডিও চিত্রের মতো এ চিত্রটিও খণ্ডিত। আমরা জানি না, কে কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে এটিকে ভাইরাল করেছে, কিংবা এতে কোনো সংলাপ এডিট হয়েছে কিনা। ডাক্তার ভদ্রমহিলাকে পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেট যখন থামিয়েছিল, তখন যে ভাষায় পুলিশ তার সঙ্গে কথা বলেছিল, সেটা কমবেশি অপমানজনক ছিল কিনা, তা আমরা জানি না। এক হাতে তালি না বাজারই কথা। সব পুলিশও ধোয়া তুলসীপাতা নিশ্চয়ই নয়। পুলিশের অন্যায়ের ঘটনা প্রায়ই ভাইরাল হয়। সুতরাং জনগণের রক্ষক পুলিশও যে কখনই ভক্ষকের ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হন না, তেমন দাবি করা যাবে না।
আমার আপত্তি অন্য জায়গায়। পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডাক্তার – এ তিনজনই শিক্ষিত এবং সমাজের ভদ্রসমাজের প্রতিনিধি। যে সংলাপ আমরা শুনতে পেলাম কুশীলবদের মুখে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৃষ্টি হওয়া এ পথনাটকে, তাকে কোনমতেই ভদ্রসুলভ বলা চলে না। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে এমন পথনাটক অনুষ্ঠিত হওয়া আদৌ কি সম্ভব? কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলেই বা দাবি করতে হবে কেন? আপনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কিন্তু নিজেতো আপনি মুক্তিযোদ্ধা নন। খোদ মুক্তিযোদ্ধারাই কি আইনের উর্ধ্বে? মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মুখে এমন অশ্লীল গালাগালি মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ উভয়ের গৌরবের জন্যেই হানিকারক।
'তুই আমারে চিনস?' এ 'তুআচি' অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের সর্বত্র। 'আমি মুক্তিযোদ্ধা!' 'আমি মন্ত্রী!' 'আমি ছাত্রনেতা!' 'আমার বাবা ওমুক!' 'আমি ওমুক পরিবারের সন্তান!' 'ইচ্ছা হলেই মন্ত্রীকে ফোন করে রাস্তাঘাটের পুলিশ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ করতে পারি!' 'আমি কী হনু রে!' প্রত্যেকে এ দেশে মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তি, যেন একেক জন ঈশ্বরের (যম?) দূত এবং বাকি সকলে 'ফইন্নির পুত'। কেউ কাউকে মানে না। ট্র্যাফিক লাইট পর্যন্ত মানেন না, প্রধানমন্ত্রী বলা সত্ত্বেও মানে না। মন্ত্রীরাও মানেন না। সরকারী রাস্তাকে তারা নিজের বাপের তালুক বলে মনে করে রঙ সাইডে গাড়ি চালান।
চাহিবামাত্র নয়, সুযোগ পাইবামাত্র যে কেউ, পুলিশ-ডাক্তার-ম্যাজিস্ট্রেট, ক্ষমতা দেখায় বাংলাদেশে নিজের, পদের, পেশার, দলের কিংবা মামার। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ক্ষমতাটুক যেই হাত ফসকালো, অমনি 'রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস!' প্রচণ্ড ক্ষমতাধর ছাত্রনেতা সদলবলে রাতের অন্ধকারে পড়ি কী মরি করে পালাতে পথ পায় না। লৌহমানব নেতাদের পর্যন্ত পালিয়ে যেতে হয় বিদেশে, নেহায়েতই পৈত্রিক প্রাণটুকু বাঁচাতে। কেউ কেউতো বছরের পর বছর বিদেশেই ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে। অথচ বঙ্গবন্ধু কখনই বিদেশে পালিয়ে যাননি, সারা জীবন দেশে ছিলেন, দেশের কারাগারে।
'বাপকা বেটা সিপাহিকা ঘোড়া।' হিন্দি প্রবাদ। পরিবার হচ্ছে সমাজের, জীবনের বীজতলা। সন্তানের প্রথম এবং প্রধানতম শিক্ষক পিতা-মাতা, পরিবার। বাংলাদেশে অনেক পরিবারেই পিতা হয়ে থাকেন কমবেশি ধান্ধাবাজ, দুর্নীতিবাজ। আয়ের সঙ্গে তার ব্যয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। মাতা কিংবা পরিবারের বাকি সদস্যরা কখনই এ দুর্নীতির প্রতিবাদ করেন না। সন্তান প্রকাশ্যে প্রতিবাদ না করলেও মনে মনে পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা করার কোনো কারণ দেখতে পায় না, যখন কিনা হারামের টাকায় শরীর পুষ্ট করা ছাড়া কোনো উপায়ও তার নেই।
অন্যের অধিকার ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ পরিবার থেকে শিখতে হয়। বাংলাদেশে সব পরিবারেরই আভ্যন্তরীণ সংস্কৃতি গণতন্ত্র নয়, স্বৈরাচার। 'বেশি বুইঝো না? এ ফ্যামিলি আমার! আমি যা কমু তাই!' স্বামী বলেন স্ত্রীকে, সন্তানকে। সন্তান দেখে শেখে এবং লায়েক হয়ে নিজে অন্যের উপর ক্ষমতার অপব্যবহার করে। আদর্শহীন, অগণতান্ত্রিক এবং সব মিলিয়ে চরম হতাশাব্যঞ্জক একটা পরিবেশে বড় হয় বাংলাদেশের শিশুরা।
হতাশা ও আদর্শহীনতা থেকে মুক্তি পাবার আশায় এ কিশোরদের মধ্যে অনেকেই ধর্মের দেখনদারিতে আকৃষ্ট হয়। ভাগ্য যাদের খারাপ, তারা জঙ্গি দল অথবা ড্রাগ কিংবা যুগপৎ উভয়ের খপ্পরে পড়ে যায়। এর ফলশ্রুতিতে হোলি আর্টিজানের মতো দুর্ঘটনা ঘটে, যা ব্যক্তির জন্য তো বটেই, দেশের জন্যেও বিপদজনক।
বিগড়ে যাওয়া শিশু-কিশোর সমাজে বা বিদ্যালয়ে এসে শুধরানোর একটা সুযোগ ছিল। সুস্থ সমাজ বলে অবশিষ্ট কিছু কি আর আছে বাংলাদেশে? সমাজটা আগের মতো নেই, অন্ততপক্ষে স্বাভাবিক নেই। আশির দশক থেকে একটা সংস্কৃতিবিমুখ সমাজ গড়ে উঠেছে বাংলাদেশে। আমার ধারণা, ইদানিংকালের বাংলাদেশ পাকিস্তান-আফগানিস্তানের চেয়েও তুলনামূলকভাবে সংস্কৃতিবিমুখ। সর্বশেষ কবে আপনার এলাকায় একটা যাত্রা, থিয়েটার, সার্কাস, কবিগান কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতে দেখেছেন আপনি? আমাদের গ্রামে সর্বশেষ নাটক হয়েছে আশির দশকে। স্কুল-কলেজে কি জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এখনও হয়? মাদ্রাসার কথা বলা বাহুল্য, যেখানে জাতীয় সঙ্গীত পর্যন্ত প্রায় নিষিদ্ধ। বাংলাদেশে কোনো সার্কাস দল আছে কিনা আমি জানি না? মনে রাখতে হবে, নিছক ধন দিয়ে যেমন সংস্কৃতি হয় না, ধনী দেশ মাত্রেই সভ্য দেশ নয়।
আশির দশক থেকে পেট্রোডলারের ধাক্কায় গ্রামবাংলা থেকে সংস্কৃতি অনেকটাই বিদায় হয়েছে। সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছে যতটা না ধর্ম, তার চেয়ে বেশি ধর্মের নামে ভ-ামি, ধর্মাচরণের পরিবর্তে ধর্মের দেখনদারি। বাংলাদেশে বিদ্যালয়সমূহ লেখাপড়া হয়তো কমবেশি শেখাচ্ছে, কিন্তু পরিবার থেকে বিগড়ে আসা বাচ্চাগুলোকে ভদ্রমানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অনেকটাই ব্যর্থ হচ্ছে। নরম মাটিকে যেমন খুশি রূপ দেয়া যায়। আধা নরম, আধা শক্ত মাটিকে ছাঁচে ফেলা কঠিন। খারাপ লোহা দিয়ে কে কবে ধারালো তলোয়ার তৈরি করতে পেরেছে?
'তুই আমারে চিনস?' হ্যাঁ, আপনাকে খুব ভালো করে চিনি। আপনি একটা বদ্ধ ছাগল। বদ্ধ বলেই খুঁটির জোরে নাচেন এবং ছাগল বলে জানেনও না যে আপনি নাচেন যে খুুঁটির জোরে, সেই খুঁটি বা ক্ষমতার প্রকৃত মালিক জনগণ। মাস গেলে যদি বেতন পেয়ে থাকেন, তবে সেই বেতন যত বেশিই হোক না কেন, প্রকৃতপক্ষে আপনি হুকুমের চাকর। অবিভক্ত ভারতের সর্বশেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন রাণী এলিজাবেথকে লেখা চিঠিতে নিজের স্বাক্ষরের উপর লিখতেন: 'ইওর মোস্ট ওবিডিয়েন্ট ক্লার্ক!' বাংলাদেশ যেহেতু একটি গণপ্রজাতন্ত্র, সেহেতু শিক্ষক, সৈনিক, বিচারক, প্রধান-অপ্রধান মন্ত্রী, আমলা সবাই আমরা জনগণের ভৃত্য বৈ নই। কমবেশি লেখাপড়া জানি বলে আমরা 'জ্ঞানী ভৃত্য' বা ইংরেজিতে 'ক্লার্ক'।
প্রতিবার ভোটের আগে সরকার ও বিরোধী দলের মন্ত্রী এমপিরা করজোরে বিনীতভাবে বলেন না কি: '(আরও একবার) দেশ সেবার সুযোগ দিন!' জানি এ সবই কথার কথা। মিথ্যা বলে বেচারা গরীবকে ধোঁকা দেবার অন্য নামইতো রাজনীতি, অন্ততপক্ষে দক্ষিণ এশিয়ায়। হাজার এক মিথ্যা বলে আপনি ক্ষমতার রাশ হাতে পেয়েছেন। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা পাশ করে আপনি পাবলিকের সার্ভেন্ট বা জনগণের চাকর হয়েছেন। দেশের আইন মেনে, বিনীত ভৃত্য হয়ে জনগণের কিছুটা সেবা করা আপনার কর্তব্য ছিল না কি? অথচ আপনি কী করেন? কাজ যতটা না করেন, তার চেয়ে বেশি করেন রাষ্ট্রের সহজ-সরল মালিক অর্থাৎ জনগণের সঙ্গে প্রকাশ্যে বেয়াদবি এবং গোপনে ধান্ধাবাজি। নিজের চাকর-বুয়া এমন বেয়াদবি করলে কবেই তাকে আপনি ছাড়িয়ে দিতেন।
'দি ব্রিজ অন দি রিভার কাওয়াই' ছবিতে একটি সংলাপ আছে: আইন প্রণয়ন দিয়ে সভ্যতার সোপান রচিত হয়। যতদিন সেই আইনের প্রয়োগ চলমান থাকে, সভ্যতাও ততদিন চলমান থাকে। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে আমার সহকর্মী ও সহকারী অধ্যাপক মনির উদ্দীন যেমন বলেন, "বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতি থাকতে পারে, কিন্তু কোনো সভ্যতা সে অদ্যাবধি সৃষ্টি করতে পারেনি শুধু নয়, সৃষ্টি করার কোনো পর্যায়েও সে নেই।"
প্রকাশ্য রাস্তায় ভদ্রলোকের মুখে 'তুই আমারে চিনস?' জাতীয় সংলাপ প্রমাণ করে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে একটি 'অসভ্য ডট কম'।
'বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।' হায়! গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশে একটি আইনভিত্তিক, গণতান্ত্রিক, সুসভ্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে আমরা অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছি। পদ্মা সেতু, মেট্রো, জিডিপি, উপচে পড়া রিজার্ভ ইত্যাদি মেক আপ দিয়ে বাংলার রূপের আসল ঘাটতি ঢাকা যাবে না।