স্বাধীনতার ৫০ বছর: প্রথম পেশাদার ফুটবলার সালাউদ্দিন

নাজমুল হক তপন
Published : 4 March 2021, 12:10 PM
Updated : 4 March 2021, 12:10 PM

"ওই সময়ে বাংলাদেশে ফুটবল খেলে যা টাকা পেতাম, তার চেয়ে ১৪ গুণ বেশি টাকা পেয়েছি হংকংয়ে।" কাজী সালাউদ্দিনের এ কথাটি স্রেফ কথা নয়। এর পরতে পরতে লুকিয়ে আছে গর্ব; উত্তরসূরীদের পেশাদার ফুটবলের পথ দেখানোর তৃপ্তিও।

কাউকে না কাউকে শুরু করতে হয়। আর পুর্বসূরীদের শুরুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে একটু একটু করে এগিয়ে যায় উত্তরপ্রজন্ম। এটাই ইতিহাসের ধারা। ক্রীড়াঙ্গনে পেশাদার জগতের সঙ্গে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া প্রথম ব্যক্তিটি হলেন ফুটবলার সালাউদ্দিন।

নিজের উপযোগিতা প্রমাণ করতে না পারলে বিশ্ব মঞ্চে জায়গা পাওয়ার কোন সুযোগই নাই – এটাই পেশাদারিত্বের শেষ কথা। একজন সার্থক পেশাদার ক্রীড়াবিদ কেমন হয়, আমাদের দেশের মানুষের জন্য বিষয়টাকে সহজ করে দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ সময়ে বিশ্বক্রিকেটের শীর্ষ আসরগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার। সাকিব ছাড়াও দেশের অনেক ক্রিকেটারই জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিকেটের শক্তিশালী জনপদগুলোতে। সংখ্যায় খুব বেশি না হলেও দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বড় মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। একটা সময় কলকাতা কাঁপিয়েছেন, মাতিয়েছেন ফুটবলার মোনেম মুন্না। এ সময়ে প্রমাণের চ্যালেঞ্জে ভালভাবেই উত্তীর্ণ জামাল ভুইয়া। পিছিয়ে নেই আমাদের মাঠের মেয়েরাও। খেলাধুলায় প্রতিষ্ঠিত দেশগুলো থেকে ডাক পাচ্ছেন নিয়মিতই। এই সবকিছুর শুরুটা সালাউদ্দিনের হাত ধরে।

সবে স্বাধীন হওয়া দেশ থেকে বিশ্ব মঞ্চে জায়গা পাওয়াটা কতটা কঠিন এটা অনুধাবন করতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে পঞ্চাশ বছর পেছনে। নতুন দেশ। শূন্য থেকে শুরু করতে হচ্ছে সবকিছু। ব্যতিক্রম নয় ক্রীড়াঙ্গনও। দেশে কিংবা দেশের বাইরে কোন একটা বিদেশি দলের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাওয়াই তখন বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। টেস্ট স্ট্যাটাসের স্বপ্ন তো অনেক দূরের কথা; বাংলাদেশ তখন পর্যন্ত আইসিসির সহযোগী সদস্যপদও পায়নি। সোজা কথায়, আইসিসি খেলার যোগ্যতা হয়নি। ফিফার সদস্যপদ পাওয়া গেছে ১৯৭৪ সালে। মোট কথা, খেলাধুলায় আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র পাওয়াটাই তখন খুব বড় এক চ্যালেঞ্জ। থাকার মধ্যে সম্বল একাত্তরের রণাঙ্গন থেকে ফেরা ক্রীড়াঙ্গনের যোদ্ধাদের আবেগ। কিন্তু শুধু আবেগ দিয়ে তো আর আন্তর্জাতিক আঙ্গিনার বদ্ধ দুয়ার খুলবে না। এবং এটাই ছিল বাস্তবতা।

হাজারো সমস্যার বোঝা মাথায় নিয়ে নতুন দেশে নতুন অভিযাত্রায় নামলেন আমাদের মাঠের যোদ্ধারা। ১৯৭২ সালের ১৩ মে তারিখটি দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য বিশেষ এক দিন। এর আগ পর্যন্ত শুধু ফুটবল নয়, আন্তর্জাতিক খেলাধুলার কোন চিহ্নই পড়েনি নতুন দেশে। এমন একটা সময়ে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে ঢাকায় এলো ভারত ফুটবল ইতিহাসের সমীহ জাগানো নাম মোহনবাগান ক্লাব। ওই দলটিতে ছিলেন ভারত জাতীয় দলের ৮/৯ জন ফুটবলার। ছিলেন কিংবদন্তী ফুটবলার চুনী গোস্বামীও।

বাংলাদেশের সেরা ফুটবলাররা অংশ নিলেও স্বাগতিকরা খেলল ঢাকা একাদশ নামে। ১৩ মে ম্যাচ শুরুর আগেই ঢাকা স্টেডিয়ামে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম) উপচে পড়া দর্শক। ফুটবলপ্রেমী বঙ্গবন্ধু এলেন মাঠে। দু'দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হলেন, ছবি তুললেন। দর্শকদের নিরাশ করেনি দু'দলের ফুটবলাররা। ম্যাচে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন সালাউদ্দিন। উৎসবে মেতেছিল ফুটবলপাগল বাঙালিরা।

৪৯ বছর আগের করা সেই গোল এখনও সালাউদ্দিনের স্মৃতিতে টাটকা। বাফুফে (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) ভবনে আড্ডায় এক ঝটকায় ফিরে গেলেন সোনালী সেই দিনে, "মাঝমাঠ থেকে ফ্রি কিক পেলাম। কায়কোবাদ বল শূন্যে ভাসিয়ে দিল। বলের দিকে নজর রেখেছিলাম। বক্সের বাইরে বাতাসে ভাসা বলকে ভলিতে দ্বিতীয় বার (পোস্ট) দিয়ে জালে জড়িয়ে দিই।" দূরত্ব কত হবে জানতে চাইলাম। বাংলাদেশ ফুটবলের এ প্রবাদ পুরুষ হিসাব অনুযায়ী, "২৫ গজের কম হবে না।" ওই একটি গোল সালাউদ্দিন তো বটেই বাংলাদেশ ফুটবলের জন্যই হয়ে গেল খুব বড় এক বিজ্ঞাপন। নিজের সামর্থ্যের প্রতি আস্থাবান হয়ে উঠলেন সালাউদ্দিনও।

১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠিত মারদেকা টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ অংশ নিল 'স্বাধীন বাংলা দল' নামে। প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের সঙ্গে ২-২ ড্র। এর পরের বছর ফিফা সদস্যপদের মর্যাদা পেল বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালে মারদেকা কাপে অংশ নিল বাংলাদেশ। সেসময় মারদেকা টুর্নামেন্টে প্রতিষ্ঠিত দলগুলো অংশ নিত। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব কিংবা কোন বড় আসরের আগে একটা অলিখিত 'ট্রায়াল টুর্নামেন্ট' হিসাবে খ্যাতি ছিল মারদেকা আসরের। কিন্তু বিধি বাম! মাঠের লড়াইয়ে খুব বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ল বাংলাদেশ।

হংকংয়ের কাছে দল উড়ে গেল ৯-১ গোলের ব্যবধানে। বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেছিলেন সালাউদ্দিন। কিন্তু বড় ব্যবধানে হারলেও সালাউদ্দিনের খেলা আলাদভাবে নজর কাড়ে অনেকেরই। যথারীতি ডাকও পেলেন। পেশাদার ফুটবলার হিসাবে খেলতে গেলেন হংকংয়ে। যোগ দিলেন ক্যারোলিন হিল এফসি ক্লাবে। খেলেছেন এক মৌসুম। সময়টা মোটে এক বছর হলেও অপার সম্ভাবনার পথটা কিন্তু দেখিয়ে দিলেন সালাউদ্দিন। কেন এক বছর পর ফিরে এসেছিলেন, সে প্রসঙ্গে সালাউদ্দিনের ভাষ্য, "বিদেশে খেলি, এটা আমার পরিবারের কেউই চাচ্ছিল না।"

পেশাদারিত্বের একটা গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক অর্থ। হংকংয়ের ক্লাব থেকে পাওয়া টাকার অংক প্রসঙ্গে বললেন, "ওই সময়ে বাংলাদেশে যা টাকা পেতাম, তার চেয়ে ১৪ গুণ বেশি টাকা পেয়েছি হংকংয়ে।" বাড়ি আর নাড়ির টানে আরও বড় সুযোগও ছেড়ে দিয়েছেন জানিয়ে বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রে তখন পেশাদার ফুটবল শুরু হয়েছে। ওই দেশের অ্যাজাক্স ক্লাব থেকেও খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিবারের চাওয়াকেই প্রাধান্য দিলাম।"

আরেকটি গল্প অনেকেরই জানা। ফুটবালার সালাউদ্দিনের বিশালত্বের কাছে আড়াল হয়ে গেছে ক্রিকেটার সালাউদ্দিন! যদিও ঢাকার মাঠে ক্রিকেটার সালাউদ্দিন নামটিও যথেষ্ট পরিচিত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকা ক্রিকেট লিগের প্রথম চ্যম্পিয়ন দলের অপরিহার্য সদস্য ছিলেন। নিজের ক্রিকেট খেলা প্রসঙ্গে বলেন, "ঢাকা ক্রিকেট লিগে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আজাদ বয়েজ। ওই দলের নিয়মিত প্লেয়ার ছিলাম। ব্যাট করতাম ওয়ানডাউনে।" ক্রিকেট খেলায়াড়ি জীবনের কথা টেনে জানালেন দারুণ এক তথ্যও, "যতদূর মনে পড়ে ঢাকা ক্রিকেট লিগে প্রথম ফিফটি এসেছে আমার ব্যাট থেকে।"

ক্যারিয়ার জুড়েই আবাহনী আর সালাউদ্দিন এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধন। মজাটা হচ্ছে, আবাহনীর আগে মোহামেডান ক্লাবে খেলেছেন ফুটবলার সালাউদ্দিন। এটা কিভাবে সম্ভব হয়েছিল শোনা যাক তারই কন্ঠে, "১৯৭০ সালে আমি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে ফুটবল খেলেছি। এর আগের মৌসুমে খেলেছিলাম ওয়ারী ক্লাবে। সম্ভবত লিগে ১৮ গোল করেছিলাম। আমি অবশ্য সর্ব্বোচ্চ স্কোরার ছিলাম না। তবে পারফরম্যান্স সন্তোষজনক ছিল। এরপর মোহামেডানে খেলার প্রস্তাব পেলাম। যোগ দিলাম মোহামেডানে।"

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবাহনীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠা প্রসঙ্গে জানালেন, "আবাহনীর সঙ্গে আমার যে চিরস্থায়ী বন্ধন এর মূল কারণ শেখ কামাল। আমরা ছিলাম স্কুল ফ্রেন্ড। স্বাধীন দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ভাল কিছু করতে চাচ্ছিল শেখ কামাল। তার এই চাওয়ার সঙ্গে মিশে গেলাম। ঢাকার ফুটবল আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছিল আবাহনীর কল্যাণে। এর আগের ফুটবলে নির্দিষ্ট ছক, পরিকল্পনা কিছু ছিল না। এরকম একটা অবস্থায় আবাহনীতে আনা হয় আইরিশ কোচ উইলিয়াম বিল হার্টকে। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনিই প্রথম বিদেশী কোচ। তার ছোঁয়ায় আমাদের ফুটবল অনেক বদলে গেল। আবাহনী হয়ে উঠল আধুনিক ফুটবলের ধারক ও বাহক।"

বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনের প্রথম তারকা বলতে এদেশের মানুষ কাজী সালাউদ্দিনকেই মনে করে। হালের টিভি বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশের ক্রীড়া তারকাদের যে জয়জয়কার, এর শুরুর সঙ্গেও জড়িয়ে তার নামটি। ১৯৭৮ সালে টিভি বিজ্ঞাপনে হয়েছিলেন লাইফবয় সাবানের মডেল। বলা বাহুল্য মাঠের তো বটেই, বাংলাদেশে শোবিজ তারকারাও তখন পর্যন্ত টিভি বিজ্ঞাপনে সুযোগ পাননি! তাকে নিয়ে লাক্স সাবানের এই বিজ্ঞাপন চিত্রটি ১৯৮৫ সালে আবার নতুন করে বানানো হয়েছিল এবং প্রচারিত হয়েছিল দেশের একমাত্র টিভি চ্যানেল বিটিভিতে, তাও মনে করিয়ে দিলেন সালাউদ্দিন।

মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবলের সঙ্গে আছেন সালাউদ্দিন। একাত্তরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে খেলেছেন ম্যাচের পর ম্যাচ। বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতার বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফুটবলার হিসাবে জয় করেছেন দর্শকদের হৃদয়। ফুটবল ছাড়ার পরপরই নাম লেখান কোচিংয়ে। ১৯৮৫ সালে আবাহনী থেকেই শুরু করেন কোচিং ক্যারিয়ার। সাময়িক বিরতির পর এসেছেন ফুটবল প্রশাসনে। টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বাফুফে সভাপতি। টানা ১৩ বছর ধরে আছেন বাংলাদেশ ফুটবলের প্রধান কর্তাব্যক্তির ভূমিকায়। দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলের (সাফ) সভাপতিও তিনি।

এক যুগেরও বেশি সময় দেশের ফুটবলের সর্বময় কর্তৃত্ব সালাউদ্দিনের হাতে। কিন্তু তার এই দীর্ঘ সময়েও বাংলাদেশ ফুটবলের ক্রমপতন থামেনি। একটা সময় দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্নে ভারতের পাশাপাশি উচ্চারিত হতো বাংলাদেশের নাম। এখন দৃশ্যপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। দক্ষিণ এশিয়াতে মূল প্রতিদ্বন্দিতা থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। সাউথ এশিয়ান ফুটবলে বাংলাদেশ সর্বশেষ শিরোপা জিতেছে ২০১০ সালে। গত চার আসরে সাউথ এশিয়ান ফুটবলের একটিবারের জন্যও ফাইনালের নাগাল পায়নি বাংলাদেশ। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ইতিহাসের সর্বনিম্ন (১৮৭) অবস্থানে নেমেছে বাংলাদেশ।

এমনই অবস্থায় ফেডারেশনের সর্বশেষ নির্বাচনের আগে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫০-এর মধ্যে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাফুফে প্রধান। খেলোয়াড়, কোচ ও প্রশাসক-এই তিন ভূমিকার মধ্যে কোনটিকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করেন? এই প্রশ্নের জবাবে বাফুফে প্রধান বলেন, "শেষেরটি, মানে এখন যেটা করছি। সিম্পলি, থ্যাংকলেস জব।" বলার সময় কিছুটা যেন অভিমানও ফুটে উঠল তার কন্ঠস্বরে।

বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা সবাই তাদের প্রিয় সালউদ্দিনকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। বাস্তবতা হচ্ছে সেই সুযোগটাই যে পাচ্ছে না তারা! বাফুফে প্রধানের সফল হওয়ার আশায় দিন গুণছে ১৭ কোটি মানুষ। ক্রমপতন থেকে কবে দেশের ফুটবলের মুক্তি মিলবে, এ নিয়ে কেবল অনিশ্চয়তাই বাড়ছে। ১৩টি বসন্ত চলে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবলের বসন্ত যেন এক হারানো সুর। সামনের দিনগুলোতে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ যদি ১৫০-এর মধ্যে জায়গা করে নিতে পারে, দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলে যদি ১৯৮০'র দশকের মতো সমীহ জাগানো দল হিসাবে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, তাহলে যা ঘটবে, তা সহজেই অনুমেয়। সালাউদ্দিনকে ঘিরে উচ্ছ্বাসের বন্যায় ভাসবে দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।

সালাউদ্দিন ক্রীড়াঙ্গনের প্রথম হিরো। আর হিরোকে 'থ্যাংকলেস' অবস্থায় নয়, বিজয়ীর বেশেই দেখতে চায় দেশের মানুষ!