Published : 08 Feb 2021, 01:29 PM
বাংলাদেশের মানুষের আবেগঘন রাজনৈতিক মাতামাতি আর সংশ্লিষ্টতা মাঝে মাঝে এতটাই ভয়ানক হয়ে উঠে নিজের কিসে ভালো হয় তার বোঝার বোধবুদ্ধি বিবেচনা নিমেষেই উধাও হয়ে যায়। একটু ঘুরে তাকালেই যে বৈজ্ঞানিক সত্যতাকে দেখা যায়, তাকে দেখেও না দেখার ভনিতার ঘোর কখনো কখনো চেপে বসে অধিকাংশ জনগোষ্ঠীকে।
এরকম সময়ে পাশ্চাত্যে দেখা যায় দায়িত্বশীলরা এগিয়ে এসে মূল ঘটনা বা ফ্যাক্টসটাকে জনগণের সামনে তুলে ধরে। আর আমাদের ঘটে বিপরীত। ভ্যাকসিন নিরাপদ কিনা তা নিয়ে উন্নত দেশগুলোর মিডিয়াতে কোন রাজনীতিবিদের বয়ান শুনবেন না, মিডিয়া সেই পথে হাঁটবেও না। আমাদের রাজনীতি, আমলাতন্ত্র, মিডিয়া- সবকিছুতেই আত্মম্ভরী ভাব, বিষয়ভিত্তিক গভীরতা ছাড়াই।
ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতিবিদদের এ লড়াইয়ে একটি টক শো-র পর্বে দেখলাম- 'রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন ফর্মুলায়' একজন তো প্রথমেই রেগে হেরে বসে আছেন। আর আরেকজনতো কারিগরি জ্ঞানের ভারে অবশেষে পর্বতের মূষিক প্রসব করালেন! প্রমাণ দিলেন সমসাময়িক বৈশ্বিক কর্পোরেট কালচারে উনি অভ্যস্ত নন; বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের টেকনোলজি ট্রান্সফারের আর ব্যবসায়িক উৎপাদনের নীতি বিষয়ে ওয়াকিবহাল নন।
ভ্যাকসিন আনা নিয়ে সরকারের কৌশল, ব্যবসায়ীদের লাভ ইত্যাদি বিষয়ে বিতর্ক হতেই পারে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে এবং গণতান্ত্রিক সমাজে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার মত স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা বলতে হলে বলতে হবে নির্মোহ আর নির্ভীকভাবে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্তের আলোকে। কারণ এর সাথে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত। কোভিড উদ্ভূত স্বাস্থ্যগত আর স্বল্প, দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক সংকট যে কোনও দেশের জাতীয় নিরাপত্তার অংশ বটে।
দেখা গেল রাজনীতিবিদদের বাহাসে ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে সরাসরি নেতিবাচক কিছু কারো মুখ থেকে বের না হলেও, ভ্যাকসিনের উপর আস্থার সংকট তৈরি করার বিষয়টি কিন্তু হালে পানি পেয়ে গেল। কাজে লাগিয়ে দেওয়া গেল।
ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে দেশের ভেতর আর বাইরে থেকে মিডিয়ায় রাজনীতিবিদদের ষাঁড়ের লড়াইয়ে জড়িয়ে দিয়ে ভিউয়ার বাজিমাত করার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর কিছু ছিল না। দুর্ভাগা দেশে মিডিয়ায় ভ্যাকসিন সেইফটি নিয়ে কথা বলছেন রাজনীতিবিদরা অদ্ভুত সব তথ্য উপাত্তে, বিজ্ঞান নয় কেবল নিজের মতাদর্শের ১০০ শতাংশ আনুগত্যে! আমাদের কালচারে এরাই চূড়ান্ত বিনোদন। আর এ বিনোদনটাই দরকার অনুষ্ঠানের প্রযোজক ও উপস্থাপকদের কাঙ্ক্ষিত টিআরপি বাড়াতে, তাতে জনগণ আর দেশটির কল্যাণ নিহিত থাকুক আর না থাকুক।
জনমত মিথ্যাটাকে সত্য বলে জানলেই মিথ্যাটি সত্য হয়ে যায় না। যুগে যুগে এরকম উদাহরণ অনেক আছে। এই ক্ষেত্রে দরকার সততার সাথে আচরণ করা। কোভিড আর ভ্যাকসিন নিয়ে চর্চাকারী বিশেষজ্ঞদের নির্ভীক আলোচনায় জনগণের আস্থা ফেরানো, সত্যটা জানানো ভীষণ জরুরি।
নতুন প্রযুক্তি যখন মাঠে যায়, প্রযুক্তি হস্তান্তরের সময় কিছু বাধা বিপত্তি পেরোতে হয় এবং এ বাস্তবতাটুকু বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভূ-রাজনৈতিক কারণে স্পর্শকাতর প্রযুক্তি বিষয়ে সমস্যাটি অনেক জটিল। এর সমাধানে সরকারের আর মিডিয়ার ভূমিকাটা মুখ্য।
ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধার বিষয়টি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী কমবেশি পরিলক্ষিত। কানাডাও এ সমস্যায় আক্রান্ত। পার্থক্যটা হচ্ছে কানাডায় দ্বিধাটি কেউ উসকে দিচ্ছে না, আর সরকার চেষ্টা করেছে দ্বিধা দূর করতে। মিডিয়ার আচরণ দেখার মত দায়িত্বশীল।
কানাডার কেন্দ্রিয় সরকার ভ্যাকসিন নিয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ৬৪ মিলিয়ন ডলারের বাজেট দিয়েছে। শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধা, ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করে ভ্যাকসিন বান্ধব করার জন্য এ আয়োজন। কানাডার স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাটি হাজদু প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিনিয়োগের কথা জানান।
ইমিউনাইজেশন পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভ্যাকসিন নিয়ে সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং সময়মত তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে কানাডার নাগরিকদের সপরিবারে ভ্যাকসিন নিয়ে আস্থাবান করে তোলাই এর মূল লক্ষ্য।
কানাডার সরকার ৩০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে ভ্যাকসিনের উপর বিশ্বাস আর আস্থা বাড়াতে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভ্যাকসিন নিয়ে 'নলেজ গ্যাপ' দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বরাদ্দের বাকি বাজেট থাকবে শিক্ষামূলক উপকরণ আর সামাজিক প্রতিবন্ধকতা দূর করতে।
কোভিড-১৯ সংকট নিরসনে ভ্যাকসিনের ভূমিকা অপরিসীম। কানাডার প্রধানমন্ত্রী ত্রুদ্যু বারবারই বলছেন, ভ্যাকসিন কার্যকর আর নিরাপদ। নিয়মমাফিক যখন ভ্যাকসিনের ডাক আসবে প্রধানমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ নিয়ে নেবেন।
ব্যবসা আর মুনাফা ছাড়া কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারবে না। বর্তমান বিশ্বে বড় বড় কর্পোরেটের মুনাফা থেকে মোটা বাজেট থাকে আবার সামাজিক দায়দায়িত্বে পালনে। বিশ্বের বড় বড় ধনীরা চ্যারিটির পেছনে খরচ করেন মুক্তহস্তে। কোভিড সংকট কালে বিপুল আর্থিক সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন বিল গেটস আর জ্যাক মা-র মত ব্যবসায়ীরা।
তিন কোটি ভ্যাকসিন থেকে এক ডলার লাভ হলে মোট লাভ তিন কোটি ডলার অর্থাৎ আড়াই শ কোটি ডলার। ভ্যাকসিন নিয়ে জনগণের আস্থা ফেরাতে এ কোভিড সংকটকালে কর্পোরেট সোশাল রেস্পন্সিবিলিটির অংশ হিসেবে লভ্যাংশের একটা অংশ ব্যয় করা তো মন্দ নয়।
এবার একটু তাকাই বাংলাদেশে যে ভ্যাকসিনটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে তার দিকে। রাজনীতি, ভূগোলনীতির আবেগীয় রঙে নয়, কার্যক্রমের ইতিহাস আর বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্টসের আলোকে ফিরে দেখা। ভ্যাকসিনটি হচ্ছে কোভিশিল্ড, ভারতের সেরাম ইন্সিটিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির ভ্যাকসিন। সেরামের এই কোভিশিল্ড ছাড়া ভারতের আর কোন কোম্পানির ভ্যাকসিন এখনো বাংলাদেশে আসেনি।
ভারতের পুনেতে অবস্থিত সেরাম ইন্সটিটিউট বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় ভ্যাকসিন উৎপাদক, অর্ধশত বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে বিশ্বে বেশ পরিচিত। বছরে প্রায় দেড়শ কোটি বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদন সক্ষমতায় বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত ব্যবসায় আন্তর্জাতিক খ্যাতি আছে যথেষ্ট। সক্ষমতাজনিত এ ফেইসভ্যালুর কারণে কোভিড সংকটের শুরুরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যখন ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে গাঁটছড়া বাঁধল ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মা কর্পোরেট অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে উৎপাদন আর বিপণনে, তখন উৎপাদনে বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে সাথে নেয় ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটকে।
যে কোন একটি নির্দিষ্ট অসুখ-বিসুখে বিশ্বের হয়তো ৫ থেকে ১০ শতাংশ জনসংখ্যা আক্রান্ত হয় ফলে ওষুধ বা ভ্যাকসিন উৎপাদনে চাহিদা ওই অনুপাতে। কিন্তু কোভিড প্যানডেমিকে অবস্থা ভিন্ন, এ মুহূর্তে ওষুধ বা ভ্যাকসিনের চাহিদা বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় কাছাকাছি। কোন ফার্মা কর্পোরেটের পক্ষেই এই চাহিদা সামাল দেওয়া সম্ভব নয়, দরকার বিশ্বস্ত আর যোগ্য অংশীদার।
প্রাইভেট, পাবলিক আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাযুক্তিক সহযোগিতার সাথে যারা পরিচিত তা জানেন "টুল ম্যানুফ্যাকচারিং" এর অর্থ কী। "টুল ম্যানুফেকচারিং" সিস্টেমে লজিস্টিক সক্ষমতায় একই ধরনের প্রযুক্তিতে পণ্য উৎপাদনে অভ্যস্ত কোনও উৎপাদক অন্যের প্রযুক্তি দিয়ে উদ্ভাবিত পণ্যটি শুধু নিজের কারখানায় উৎপাদন করে দেয়- নিজেদের মধ্যে কঠোর গোপনীয়তার আর দায়দায়িত্ব পালনের চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন AZD1222 সেরাম ইন্সিটিটিউট তাদের উৎপাদন সক্ষমতা, কারিগরী আর কোয়ালিটি নিয়ন্ত্রণের দক্ষতায় উৎপাদন করে দিয়েছে মাত্র। মূল প্রযুক্তিটি অক্সফোর্ডের। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সার্বিক দায়িত্বে ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের দৌড়ে প্রথমেই এগিয়ে এসেছিল এ প্রতিষ্ঠান দুইটি। বিপুল বিনোয়েগের কর্পোরেট ঝুঁকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্য থেকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ জোটে ওই দুই দেশকে প্রথম ভ্যাকসিন সরবরাহের চুক্তি করে।
গত জুন মাসে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে কোয়ালিশন ফোর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন (সেপি), গ্লোবাল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (গাভি) আর সেরাম ইন্সিটিটিউটের সাথে বৈশ্বিক চুক্তি হয় নিম্ন আর মধ্য আয়ের দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্যে। আর এভাবেই ভ্যাকসিন উৎপাদনে সেরামের অংশগ্রহণ।
কোভিশিল্ড উৎপাদনে সেরামের ভূমিকা- বৈশ্বিক এবং ভারতের বিপুল চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে। ভ্যাকসিন নিয়ে এ কারিগরি উদ্ভাবন, উৎপাদনে বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কঠোর নজরদারী আর সার্বিক সহযোগিতায় ভ্যাকসিনের মান আর সেইফটি নিয়ে বাংলাদেশ ভিত্তিক রাজনীতির কোন উপাদান খুঁজতে যাওয়া বাস্তবতাবর্জিত এক মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। এ সমস্যাটি উসকে দিয়ে ভ্যাকসিন বিমুখ করার ফলে বাংলাদেশের কোভিড ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে যেতে পারে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা,নিরাপত্তা প্রায় ২৪ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রমাণিত এবং বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির বিশ্বাসযোগ্যতার "কাঠগড়া" পিয়ার রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বিখ্যাত ল্যান্সেট জার্নালে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় ৭৫ হাজার পারসন মাসের সেফটি ডেটায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ১৬৮ জনের, যার মধ্যে ৮৪ জন ছিল ভ্যাকসিন গ্রুপে আর ৯১ জন ছিল ভ্যাকসিন না নেওয়া কন্ট্রোল বা প্লাসেবো গ্রুপে। ভ্যাকসিন নিয়ে ৮৪ জনের সমস্যা হলে আর ভ্যাকসিন না নিয়ে ৯১ জনের সমস্যা হলে পরিসংখ্যানগত ভাবে ভ্যাকসিনের সেইফটির উপর দায় চাপানো যায় না। তাছাড়া ভ্যাকসিনে কিছুটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা তো নতুন নয়। ব্রিটিশ আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কঠোর যাচাই বাছাই মানদণ্ডে ভ্যাকসিনটি অনুমোদিত।
ইইউ তার ৪৫ কোটি জনগণের জন্যে মোট ২০০ কোটি ডোজের ব্যবস্থা করেছে যার ৪০ কোটি আসবে ইউরোপের অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিভিন্ন প্লান্ট থেকে।
সেরামের কারখানায় একই প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ভ্যাকসিন নিয়ে আমাদের জড়তার সাথে রাজনীতি আর ভূগোলনীতির সংশয়পূর্ণ চাহনি ছাড়া ভ্যাকসিন প্রযুক্তির বাস্তবতায় কোনও ভিত্তি নেই।
রাজনীতি, অবিশ্বাস আর আবেগকে একপাশে রেখে জনস্বাস্থ্যে আমাদের উচিত ভ্যাকসিন বিজ্ঞানের সম্ভব-অসম্ভবকে চিহ্নিত করা। বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কোনও কোনও উপস্থাপকও ভ্যাকসিন আর কোভিড বিষয়ে রাজনীতিবিদদের চাইতে বিশেষজ্ঞদের মতামতের উপর নির্ভরশীল কানাডিয়ান মিডিয়া কালচারটাকে পরখ করে দেখতে পারেন।
অবশ্য আশার ব্যাপার হলো- সব বিতর্ককে ছাপিয়েই গণভ্যাকসিন শুরুর প্রথম দুইদিন পাওয়া গেছে বিপুল সাড়া! টিকা দেওয়াটায় একটি উৎসবের আমেজ এসেছে। অসুখ মোকাবেলায় এ আমেজ নতুন বাংলাদেশের কথাও কিন্তু বলে।