সময়ের প্রত্যাশা, কমিশন গঠন

পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়
Published : 15 August 2020, 06:04 PM
Updated : 15 August 2020, 06:04 PM

বর্ষপঞ্জির একটি মাস যে একটি জাতির ললাটে গভীরতম শোকের ক্ষতচিহ্ন এঁকে দিতে পারে তা বিশ্বের কোন দেশ এবং জাতির ইতিহাসে বিরল। ইংরেজি বর্ষপঞ্জির অতি সাধারণ একটি মাস অগাস্ট যে নৃশংসতা, বর্বরতা আর পৈশাচিকতার অপর নাম হয়ে যাবে '৭৫ সালের আগে কেউ ভেবেছে কখনও! বাংলাদেশ আর অগাস্টকে শোকের বন্ধন ছিঁড়ে কোনদিন ভিন্ন বা আলাদা করা যাবে না, সম্ভবও নয়। বাঙালির জীবনে অগাস্ট তাই দুর্বিষহ শোকের মাস। অমোচনীয় কলঙ্ক আর নিষ্ঠুরতার মাস। শোকের দাবানলে পুড়ে শক্তি অর্জনেরও মাস।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট নিকষ অন্ধকারময় রাত পোহাবার আগে পাষণ্ডের দল ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিত আক্রমণ করে হত্যা করে ইতিহাসের মহানায়ক বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একই সঙ্গে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর আজীবনের ছায়াসঙ্গী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাদের তিন পুত্র, দুই পুত্রবধূ এবং বঙ্গবন্ধুর একমাত্র সহোদরকে। ধানমন্ডি এবং মিন্টো রোডের অপর দুই বাড়িতে একই সময়ে আক্রমণ করে হত্যা করে দুগ্ধপোষ্য শিশুসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে। হত্যা করা হয় সরকারি কর্তব্যে দায়িত্বরত আরও কয়েকজনকে যাদের ভেতর একজন ব্রিগেডিয়ার জামিল। নির্দয় সেই অগাস্টের শেষ রাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের চরম বিপদের সময় ছুটে গিয়েছিলেন সেই সাহসী বীর। সেই নির্দয় রাতে বঙ্গবন্ধুসহ যে প্রিয় স্বজনদের জাতি হারিয়েছে তাদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

বিশ্ব ইতিহাসে রাজা-বাদশা হত্যার বহু নিষ্ঠুর দৃষ্টান্ত আছে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে লোভ, লালসা এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের কুৎসিত, কদর্য এবং ঘৃণ্য অভিপ্রায়। কিন্তু বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতাকে আত্মীয়-পরিজনসহ সপরিবারে হত্যা করার পেছনে ছিল সুদূরপ্রসারী ও গভীরতম এক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হাসিলের হীন প্রচেষ্টা। আর সেই লক্ষ্যটি হলো একটি শুভবাদী রাষ্ট্র দর্শনকে কলুষিত করা। ছিল কঠিন সংগ্রাম এবং অগণিত জনের সম্মিলিত রক্তস্রোতের মাধ্যমে পাওয়া স্বাধীনতাকে ধ্বংস করা। একটি জাতির চিরায়ত মানবিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যিক ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে পারলেই তো পাখির ডানা কেটে দিয়ে মুক্ত ওড়াউড়ি বন্ধ করে দেয়া যায়। হত্যাকারীর দল এবং তাদের দেশী-বিদেশী প্রশ্রয়দাতারা ইতিহাসের এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নভাবে প্রচার করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। তাতে কিন্তু সত্য মিথ্যা হয়ে যায়নি।

যতই অপচেষ্টা আর বলপ্রয়োগ করা হোক না কেন প্রকৃত সত্য তার নিজ শক্তিতেই একদিন প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম হওয়াটা অস্বাভাবিক।

বিদেশে অবস্থান করায় পঁচাত্তরের পনেরোই অগাস্ট নিষ্ঠুরতার সেই কালরাতে সৌভাগ্যক্রমে জীবনে বেঁচে যান দুই হতভাগ্য বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। স্বজন হারানোর নিদারুণ শোক যন্ত্রণায় বুকে পাথর বেঁধে দুই সহোদরা কাটিয়েছেন পঁয়তাল্লিশটি বছর এবং সর্বংসহা হয়ে প্রিয় পিতার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণের বিশাল দায়িত্ব পালন করে চলেছেন নিরলসভাবে। কদর্য রাজনৈতিক প্রতিরোধ ও প্রতিহিংসা শিষ্টাচারবহির্ভূত অপবাদ, কিছু কিছু গণমাধ্যমের নোংরা অপসাংবাদিকতা এবং স্বৈরাচারী সরকার আর বঙ্গবন্ধুর খুনীচক্রের দুর্দান্ত ক্ষমতার বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে লড়াই করে শেখ হাসিনা যে অনমনীয় দৃঢ়তা, বিচক্ষণতা এবং দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন গত পঁয়তাল্লিশ বছরে, তার সুফল পাচ্ছে আজকের বাংলাদেশ। দেশ, জাতি, দল ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্বের দক্ষতা এবং প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব সমাদৃত রাষ্ট্রনায়ক। এ সবের বাইরে দুই জন্ম সহোদরা সযত্নে লালন করে চলেছেন বত্রিশ নম্বর বাড়ির সহজ সরল জীবন দর্শন ও আচারাদি। জীবন দর্শনে মিশে আছে বিনয়, শিষ্টাচার, অতিথিপরায়ণতা, সহৃদয়তা এবং অপরকে সাধ্যমতো সাহায্য করার উদারতা – এসব মূলত বঙ্গমাতার জীবন থেকে নেয়া শিক্ষণ। দুই বোনের চোখে মুখে অতি অল্প প্রাপ্তিতেই খুশি হবার উচ্ছ্বাস যারা দেখেছেন তারা নিশ্চয় আমার বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করবেন না। অন্তরে অবিচল রক্তক্ষরণ নিয়েও বহিরাঙ্গে শান্ত জলস্রোতের মতো আপাত স্বাভাবিক বয়ে চলেছে দুই হতভাগ্য জীবন গত পঁয়তাল্লিশ বছর ধরে রোদ-বৃষ্টি, আলো-ছায়ায়।

রাষ্ট্র, সরকার এবং সরকার সমর্থিত রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতা আর সহযোগিতায় কতবার যে শেখ হাসিনার জীবননাশের চেষ্টা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ অগাস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় তার বেঁচে যাওয়া অলৌকিক ব্যাপার নয় কি! আবার সেই নিষ্ঠুর অগাস্ট মাসের কথা। সৌভাগ্যক্রমে ভেস্তে গেল শেখ হাসিনাকে পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দেয়ার নিশ্চিত হত্যা পরিকল্পনা। তাই আবারও বলছি বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি আর ইংরেজি বর্ষপঞ্জির অগাস্ট নিষ্ঠুরতার সুতোয় বাঁধা। কেন যে ঘাতকেরা বার বার বেছে নেয় অগাস্ট মাসকে!

পঁচাত্তরের অগাস্টে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল এই সত্য নানা গবেষণায়, তথ্য উপাত্তে অনেক স্পষ্ট আজ। কিন্তু ঘাতকগোষ্ঠীর নিরন্তর প্রচারে অনেক দিন ছিল অন্য কথা। তাদের সদম্ভ স্বীকারোক্তিতে ছিল ব্যক্তিগত ক্ষোভ, হতাশা আর অপ্রাপ্তির কথা। ব্যক্তিগত ক্ষোভ কেন! হতাশা কেন! কারণ বঙ্গবন্ধু নাকি ঘাতকদের যথার্থ মূল্যায়ন করেননি, প্রত্যাশা পূরণের উদ্যোগ নেননি। বঙ্গবন্ধু স্বৈরতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার নাকি সমাজে নানা অনাচার সৃষ্টিতে যুক্ত হয়েছিল। ইত্যাদি আরও অনেক হাস্যকর এবং অবাস্তব ব্যাখ্যা। উল্লিখিত বিষয়গুলো কি একটি জাতির মুক্তিদাতাকে সপরিবারে হত্যা করার কারণ হতে পারে! সেটা কি বিশ্বাস করার মতো!

ঘাতকের দল এবং তাদের সুবিধাভোগী প্রশ্রয়দাতা রাজনৈতিক ও সেনা কর্মকর্তারা সুকৌশলে এই অপপ্রচার চালিয়েছে দেশে এবং বিদেশে। সরলপ্রাণ বাঙালিরা এই অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়েছে সত্য। কারণ, এই অপপ্রচারের ছাইয়ে কুলার বাতাস হয়ে যুক্ত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের বিরোধিতাকারী চিহ্নিত কিছু রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি, যাদের অধিকাংশই বঙ্গবন্ধুর জীবিতাবস্থায় ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। জড়িত হয়েছিল গোটাকয় গণমাধ্যম, তাদের মালিক-সাংবাদিক এবং উচ্ছিষ্টভোগী দল, সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবী। সেনা ও সিভিল ব্যুরোক্রেটদের তথাকথিত সামাজিক এলিটদের সাক্ষ্য টেবিলে মিথ্যার ফোয়ারা ছিটিয়ে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হেয় করাই ছিল যাদের আত্মার বিষয়বস্তু। পরবর্তী একুশটি বছর রাষ্ট্র এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই গোষ্ঠী অর্থের পাহাড় গড়েছে, অতিশয় ক্ষমতাধর হয়ে নষ্ট করেছে সমাজের সুস্থ ও স্বাভাবিক সংস্কৃতি।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না – এই মর্মে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাসহ অসংখ্য ভক্তের কাছে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নীরবে-নিভৃতে কেঁদেছে দীর্ঘদিন। বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্র এবং সরকারি ক্ষমতার এক ফোঁটাও প্রভাব খাটাননি। নিয়েছেন আইনের আশ্রয়। আইনকে তার স্বাভাবিক ও নিয়মতান্ত্রিক পথেই চলতে সহযোগিতা করেছেন এবং পরিশেষে আইনি লড়াইয়ে জিতেছেনও। এরপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের নানা প্রতিবন্ধকতা বিচক্ষণতার সঙ্গে মোকাবিলা করে সুষ্ঠু আইনি প্রক্রিয়ায় শেষ করলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারও। জিতলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। জিতল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল সরকার এবং সরকারপ্রধানের প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু আইনি বিচার। সকল বাধা, সকল জল্পনা-কল্পনা, সকল দম্ভোক্তিকে মিথ্যা প্রমাণ করে বহু আকাঙ্ক্ষিত বঙ্গবন্ধু হত্যার রায়ে ফিরল স্বস্তি, বাড়ল দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা।

রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে বারোজন সামরিক কর্মকর্তার, যার ভেতর ছয় জনের রায় কার্যকর হয়েছে। পাঁচজন পলাতক, একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বিদেশে।

প্রশ্ন উঠেছে যে বারোজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যাকারী প্রমাণ করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তারা কি ভিন্নগ্রহের মানুষ ছিল! তারা কি পরিবার, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠজন বঞ্চিত বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করত! তারা কি একা একাই এই রকম একটা চরম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল! ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনা ঘটাবার পর তারা কি সমাজের জলে মাছের মতো স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়ায়নি! মহা-উচ্ছ্বাসে হত্যাকারীদের বুকে জড়িয়ে ধরেনি কেউ! প্রশংসায় কেউ পিঠ চাপড়ায়নি! সান্ধ্য আড্ডায় সোনালি গ্লাসের ঠোকাঠুকিতে সমস্বরে চিয়ার্স বলেনি! বিদেশে উইকএন্ড পার্টি হয়নি মহাসমারোহে!

এই রকম হাজারো যৌক্তিক প্রশ্ন পঁচাত্তরের পর থেকে কোটি বাঙালির মনে গুমরে মরেছে। উত্তর মেলেনি। প্রশ্ন উঠেছে সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্তদের যারা পিঠ চাপড়েছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েছে, বছরের পর বছর দেশে বিদেশে মিথ্যা প্রচার চালিয়েছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বর্বর হত্যাকারীদের সূর্যসন্তান বলেছে তারা কি ধোয়া তুলসীপাতা? জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের সুবিধা নিয়ে যারা রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন চূড়ায় বসে অনৈতিক অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে তারা কি দুধে ধোয়া সফেদ মানুষ?

বঙ্গবন্ধু হত্যার দায় এড়াতে পারেন না অনেকেই। প্রধান হত্যাকারীদের শাস্তি হয়েছে, এখন সময় এসেছে পেছনের চক্রান্তকারী এবং সমাজের শুভ মূল্যবোধ হত্যাকারীদের খুঁজে বের করার। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের রায় প্রকাশ করার পর থেকেই অল্প অল্প করে হলেও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলা শুরু হয়েছে। এখন তো এটা নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে, বক্তৃতা-বিবৃতির কথাও জানা যাচ্ছে। সরকারি পর্যায়েও খোঁজ খবর নেয়া শুরু হয়েছে বলে স্পষ্ট আভাস পাওয়া যাচ্ছে। একটি কমিশন গঠনের দাবিও বেশ জোরালো এখন।

২০১৯ সালের অগাস্টে 'সম্প্রীতি বাংলাদেশ' আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের সেমিনারে প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী সেই রকম কথাই বলেছেন। 'শোকের মাস, ষড়যন্ত্রের মাস অগাস্ট' শিরোনামের সেমিনারে তিনি বলেছেন- 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী এবং মদদদাতাদের চিহ্নিত করে বিচারের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিশন গঠন করা হবে।' (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ২৭.০৮.২০১৯)। তিনি আরও বলেন, 'আমরা এই কমিশন ইনশাল্লাহ গঠন করবই। এই কমিশনটা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে। আমি মনে করি, এই কমিশনটা শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল তাদেরকে বের করার জন্যই করা উচিত।' (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ২৭.০৮.২০১৯)। একই দিনে ইউএনবি.কম বিডি মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম ছিল '১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারে শিগগিরই কমিশন গঠন হবে: আইনমন্ত্রী।' একই সংবাদে তিনি বলেছেন, '১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিলেন তা বের করার সুযোগ আমাদের আছে, ইনশাল্লাহ কমিশন গঠন করা হবে।'

আইনমন্ত্রীর প্রকাশ্য ঘোষণার পর বছর পেরিয়ে গেছে। প্রত্যাশা ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের বছরে কমিশনের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শুনব। প্রতীক্ষায় আছি।

আরও প্রতীক্ষায় আছি সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক হত্যাকারীদের বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষের বছরেই দেশে এনে রায় কার্যকর হতে দেখার।

সবশেষে বলি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছেন। জাতির জন্য এটা চিরস্বস্তির। জাতি তাই চিরকৃতজ্ঞ। বাকি প্রত্যাশাও যেন তার হাতেই পূরণ হয়। অপেক্ষায় আছি।