কোরবানির পশু এবং পাপুল-সাহেদ সমাচার

আহসান কবিরআহসান কবির
Published : 9 August 2020, 01:27 PM
Updated : 9 August 2020, 01:27 PM

কোরবানির ঈদের আগে ছেলে-মেয়েরা নাকি বিভাজিত হয়! ছেলেরা ছোটে গরুর হাটে আর মেয়েরা ঘোরে মার্কেটে! ছোটকালে ভাবতাম শুধু ঈদেই ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের সাথে কোলাকুলি করা যায়! বড় হয়ে দেখলাম ভাবনা ঠিক নয়। খুব নির্মমভাবে এই ভাবনা থেকে সরে আসতে হয়েছিল। সে আরেক গল্প। পরে কোনো একদিন হবে। একটু বড়কালে মনে হতো মেয়েদের সাথে কোলাকুলি করতে না পারার বেদনা থেকেই এই গানটি তৈরি হয়েছে- ছোটকাল ছিল ভালো, যৌবন কেন আসিলো…

এই করোনাকালীন ঈদে আমরা আসলে কোলাকুলিটাকেই মিস করেছি প্রচুর, ঈদের আর্টটাই বদলে গেছে। এখন কেউ মাস্ক না পরে বের হলেই তাকে শত্রু মনে হয়। আর যারা ওয়াজে ওয়াজে মাস্ক না পরার বয়ান দিতেন তারা যখন মাস্ক পরে ঘর থেকে বের হন তখন তাদের টিকটিকি বা কার্টুন মনে হয়। আসলে মহামারীর কাছে গরীব, ধনী, ওয়াজকারী কিংবা শ্রোতা সবাই সমান।

কিন্তু মানুষ এর কাছে মানুষ? মানুষের কাছে মানুষ সবাই সমান না। অ্যানিম্যাল ফার্ম উপন্যাসের সেই বিখ্যাত দুই লাইনের কথা অনেকেরই মনে আছে- 'এভরিবডি ইজ ইকুয়াল বাট সামবডি ইজ মোর ইকুয়াল!' সবাই সমান কিন্তু কেউ কেউ একটু বেশি সমান! যেমন ধরুন পাপুলের কথা। পাপুল গিয়েছেন কুয়েতে। সেখানে ঈদের দিন তাকে দাওয়াত দিয়েছেন এক কুয়েতি শেখ। তো পাপুল অনেক দেরি করে সেখানে গেলেন। গিয়ে দেখলেন খাওয়া-দাওয়া প্রায় শেষ। অনেক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। দাওয়াতকারী সেই শেখ সবাইকে ঈদের উপহার দিচ্ছেন। পাপুল লাইনে দাঁড়ালেন। তার পালা যখন এলো তখন দেখা গেল তাকে একটি অর্ধেক হাত ধোয়ার সাবান উপহার দেয়া হয়েছে! পাপুল অপমানিত বোধ করে জানতে চাইলেন- সবাইকে দামী দামী উপহার দিলেন আর আমার জন্য শুধু অর্ধেক হাত ধোয়ার সাবান? সেই শেখ উত্তর দিলেন- আপনি অনেক দেরি করে ফেলেছেন! তাই এই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তাড়াতাড়ি করে খেয়ে নিন!

পাপুলের কথায় পরে আসা যাবে! বাঙালি আসলে জানে না কোন কাজটা তাড়াতাড়ি করতে হয় আর কোন কাজে দেরি হলেও চলে! তবে যে কাজে দেরি হলে ভালো হয় বা ভালো লাগে বাঙালি সেটা নাকি খুব দ্রুত সেরে ফেলতে চায়। যেমন ধরুন এক মালি, সে কাজ করে হোয়াইট হাউসে। কাজ ফাঁকি দেয় আর কাজে খুব তাড়াহুড়া করে। তাকে একদিন ডেকে পাঠালেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তাকে জেরা শুরু করলেন-

– কি করো তুমি?

-স্যার আমি সকালে উঠে দৌড়াই। তারপরে স্যার গাছের গোড়ার মাটি সমান করি। আমি স্যার গাছ‌ও লাগাই। সব কঠিন কাজ করি আমি। মাঝে মাঝে পানি দেই আর গাছের গোড়ায় রং করি। স্যার আমি সারাদিন একের পর এক শুধু এই কঠিন কাজই করি। চুপ করে গেলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। একটু ভেবে ট্রাম্প বললেন- বিয়ের পর যা করতে হয় বউয়ের সাথে ওটা কি কঠিন কাজ না সহজ?

মালি একটু চিন্তা করে বললো- স্যার ঐটা সবচাইতে সহজ কাজ! কারণ ঐটা যদি কঠিন হ‌ইতো তাহলে হোয়াইট হাউজের অফিসাররা ওইটা নিজেরা করত না। আমাদের দিয়েই করাইতো। ট্রাম্পকে এমন কথা কেউ কখনো বলেনি। আসলে কী তাই? বড়লোক বা অফিসাররা কী কঠিন কাজ শ্রমিক, পিওন, সুইপার, মালি, ড্রাইভার, মুটে, মজুর, কুলিদের দিয়ে করায়?

কোরবানি কিন্তু একার কাজ নয়। সাধারণত একা একা কেউ হাটে যায় না। কারণ হাট থেকে গরু বা ছাগল কিনে আনতেও একজনের সাথে আরও এক বা দুজন মানুষ লাগে। কিনে আনার পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা গরু ছাগলের দেখভাল করে তারা নিজেরা কখনো কোরবানি দিতে পারে কিনা সন্দেহ আছে! কোরবানি ঈদের দিন সকালে যখন গরু কাটা হয়, গরুর চামড়া ছিলে যখন মাংস আলাদা করা হয়, সেগুলোর কাজে যারা নিয়োজিত থাকেন, বেশিরভাগ সময় জীবনে তাদের কোরবানি দেওয়ার ফুসরত হয় না। সামান্য কিছু মাংস 'ভাগা' নিয়ে বাসায় যেতে পারাটাই যেন তাদের নিয়তি! কিন্তু যারা লক্ষ টাকা খরচ করে গরু কোরবানি দেন তাদের নিয়েও কিন্তু গল্প ছড়ায় এমন- 'জানিস এবার মোখলেস সাহেবের সাত লাখ টাকার গরুটা কোরবানি দিয়েছে জুম্মন কসাই। আর মাংস রান্না করেছে পুরনো ঢাকার রাজ্জাক বাবুর্চি। এটা শুনে আরেকজন মন্তব্য করে- আরে এটা কোনো গল্প হলো? এই করোনার সময়েও হাফিজ স‌ওদাগর গরু কিনেছে ১৫ লাখ টাকায়! গরু কোরবানি দিয়েছে বিখ্যাত বিহারী কসাই খাদিম আর এটা রান্না করার জন্য ইন্ডিয়ার কাশ্মীর থেকে বাবুর্চি আনা হয়েছে! এই বাবুর্চি নাকি স্পেশাল কাশ্মীরি বিরিয়ানী রান্না করে সবাইকে ঈদের দিন খাইয়েছে!'

ভারত অবশ্য কাশ্মীরকে এখনো স্পেশাল করে রেখেছে। এই ঈদে কাশ্মীরে আর করোনাতে কতজন মরবে সেটা কেউ জানে না। আমরা আসলে অনেকেই অনেক কিছু জানি না। যেমন ১৯৮৮ কিংবা ১৯৯৮ সালের মতো এবারেও (২০২০ জুলাই) যে বন্যা এসেছে সেটার ক্ষত কত বেশি দীর্ঘস্থায়ী হবে আমরা জানি না। করোনাভাইরাস আর বন্যা আক্রান্ত এবারের কোরবানি ঈদ। কিন্তু ওই যে আমরা অনেকেই অনেক কিছু জানি না।

যেমন এক ছেলে একটা পাঞ্জাবি নিয়ে দর্জির দোকানে গিয়েছে। সে দর্জিকে বললো- আমাকে এই পাঞ্জাবিটা একটু সাইজ করে দিন। আগে এটা বাবা পরতেন এবারের ঈদে আমি পরব। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দর্জি বলল- ৬৫ সালের যুদ্ধে নিজেই সাইজ হয়ে ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছিলাম। কিছুদিন পর থেকে এখানে দর্জিগিরি শুরু করি কিন্তু এখন আর কোনো কিছু সাইজ করতে পারি না। কারণ ১৯৯০ সাল থেকেই আমার চোখের পাওয়ার নেই! আপনি দয়া করে অন্য কোথাও যান!

বেশিরভাগ মানুষ আসলে নিজের গণ্ডির বাইরে যেতে পারে না। যেমন অবিভক্ত ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন যেতে চাননি বা পারেননি। তিনি খুব নিয়ম মানতেন। তবে সব সময় কি আর নিয়ম মেনে সবকিছু করা সম্ভব হয়? ভারতে এসে প্রথম দিন লর্ড মাউন্টব্যাটেন ডিনারের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। আয়োজন করেছিল সেনাবাহিনীর লোকজন। খাবার-দাবারের মাঝখানে তিনি টয়লেটে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। ডিনার শেষে বলেছিলেন- ইন্ডিয়া না এলে বুঝতেই পারতাম না এখানকার মানুষরা টয়লেটে কেন টিস্যুর পরিবর্তে পানি ব্যবহার করে! খাবার রান্না করতে যে মসলা ব্যবহার করা হয় সেই মসলাতে পেটে এমন আগুন ধরে যে সেই আগুন টিস্যুতে নেভার কথা নয়! জল শুধু জল‌ই লাগবে সেই আগুন নেভাতে!

গরু বা ছাগলের মাংস দিয়ে সাধারণত মশলাযুক্ত গুরুপাক খাবার রান্না করা হয়। বয়স্করা অনেকেই এই 'রেডমিট' অ্যাভয়েড করেন। তবে কোরবানি বা বলির পশু নিয়ে ঝামেলা (গরু ছাগল আর শূকর বিষয়ক) আছে। ঝামেলা আছে জল আর পানি নিয়েও। ঝামেলা আছে মাংস আর গোশতের মতো শব্দ নিয়েও। সারা পৃথিবীতে অবশ্য গাছ নিয়েও সমস্যা আছে। খেজুর, ক্রিসমাস, বোধিবৃক্ষ কিংবা তুলসি গাছ নিয়ে এখন আর কিছু না বলি। এমনকি ভেজাল আছে গানেও! যেমন আপনি খুব দরদ দিয়ে গাইলেন- প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ/জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ… মানুষ কিন্তু আপনাকে একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সমর্থক ভেবে বসে থাকবে! আবার সেই আপনি যদি গান- জয় বাংলা বাংলার জয়… তাহলে আপনার দিকে সন্দেহের চোখে তাকাবে মানুষ! আবার আপনি যদি- 'নতুন বাংলাদেশ গড়বো মোরা নতুন করে আজ শপথ নিলাম' এই গান গান তাহলে আপনাকেও মানুষ একটা দলের সদস্য বা সমর্থক ভেবে বসে থাকতে পারে। সুতরাং আমরা এই সমস্যা বা ভেজালে আর না যাই বরং ফিরে আসি ঈদ বা কোরবানিতেই!

মার্কিন মুল্লুকে অবশ্য গরু নিয়ে জনপ্রিয়তম কৌতুকটা অন্যরকম। জুনিয়র বুশের সময় সর্বশেষ অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়েছিল কৌতুকটা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময় সেই রেকর্ড একেবারেই ছাড়িয়ে গেছে। হোয়াইট হাউজের তত্ত্বাবধায়ক একদিন সন্ধ্যার পরে গেছেন কবরস্থানে। সেখানে তিনি দেখলেন জর্জ ওয়াশিংটন কবর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন! জর্জ ওয়াশিংটন বললেন- আমি গরুর শিক কাবাব খাব। খুব ভয় পেয়ে তত্ত্বাবধায়ক ছুটে গেলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে। ট্রাম্পকে ঘটনা খুলে বলার পর ট্রাম্প এবং ওই তত্ত্বাবধায়ক কবরস্থানে এলেন। ট্রাম্প দেখলেন ঘটনা সত্য! কবরের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন জর্জ ওয়াশিংটন। তত্ত্বাবধায়ককে দেখে জর্জ ওয়াশিংটন বললেন- আমি তোমাকে শিক কাবাব আনতে বললাম আর তুমি একটা ম্যাড অক্সকে নিয়ে আসলা? জানো এই পাগলা গরু বা ষাড়কে বিক্রি করারও নিয়ম নাই?

নিয়ম আসলে অনেক কিছুই তৈরি করা থাকে। মানুষ নিয়ম তৈরি করে আবার মানুষই নিয়ম করে নিয়ম ভাঙ্গে! মনের পশুকে কোরবানি দেয়ার নিয়ম থাকলেও এই পশুটাই যেন জেগে ওঠে রোজার ঈদ কিংবা কোরবানি ঈদের মৌসুমে। নিয়ম করেই দাম বাড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের। কোরবানির ঈদ এলে ফিবছর পশুর হাট নিয়ে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ক্ষমতাসীনদের কেউ কেউ হাট ডেকে নেয়, মানুষের মতো গরু ছাগলের‌ও অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করে তারা। ভারতীয় গরুতে কি কোরবানি হবে নাকি হবে না এই বিতর্ক যখন শুরু হয়ে যায়, তখন বন্যার পানির সাথে ভারত থেকে গরু আসে! গতবছর কোরবানির চামড়ার দাম না পেয়ে অনেকেই চামড়া মাটিতে পুতে ফেলেছিলেন। কেউ কেউ দুঃখ করে লিখেছিলেন- কোরবানির চামড়া পুতে ফেলি আমরা! কেউ কেউ ফেলে দিয়েছিলেন ডাস্টবিনে, কেউ ফেলে এসেছিলেন রাস্তায়। এবার কোন দিকে হাঁটলো দেশ কে জানে! সেই পুরনো কৌতুক এর মতোই বলতে হবে- যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ!

রোজার ঈদ চলে গেলে মানুষের একটা শান্তনা থাকে যে দুই মাস দশ দিন পরে কোরবানির ঈদ আসবে। কিন্তু কোরবানির ঈদ চলে গেলে সান্তনা থাকে না। মনে হয় আবারো ঈদ আসতে ১০ মাস অপেক্ষা করতে হবে! যদিও রেল, বাস-ট্রেন ও বিমানে মানুষের তেমন ভিড় ছিল না যতটা গত ১৫ বছর ধরে আমরা দেখে এসেছি, তেমন ভিড় ছিল না কোরবানির হাটে।

কোরবানির গরুর কাটাকাটিতে যারা গতর খাটে, কাজ শেষে সামান্য মাংস নিয়ে বাড়িতে যাওয়াটাই তাদের কাছে উৎসব। যারা দিন-রাত কাজ করে বহুতল ভবন বানায় সেইসব শ্রমিকদের কেউ ঐ ভবনে থাকতে পারে না। ঠিক যেমন ধনবানদের কোরবানির গরু কাটতে যারা শ্রম দেয় তাদের নিজেদের‌ও কোরবানি দেয়ার সামর্থ্য থাকে না! রাষ্ট্র বা ধর্মের উৎসবে কিংবা মানুষের প্রয়োজনে এইসব 'খেটে খাওয়া' কিংবা নিছক কাজের মানুষেরা তিল তিল করে আসলে নিজেরাই কোরবানি হয়ে যায়!

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এক পাপুলের কৌতুক দিয়ে লেখাটা শুরু হয়েছিল। পাপুল বিষয়ক অল্প কয়েকটি লাইন এবং আরেকটি কোরবানি বিষয়ক কৌতুক বলে লেখাটা শেষ করি।

পাপুলের মত মানুষরা দেশ বা দেশের সম্মানের দিকে তাকাননি। অবৈধভাবে তাড়াতাড়ি নিজের আখের গোছাতে চেয়েছেন। অবৈধ সম্পদ গড়ার সময় অনেকেই তার কাছে গিয়েছেন ভাগ নিতে! তখন হয়তো তার কাছে জীবনটা ঈদ ঈদ মনে হয়েছিল। অপরাধ প্রমাণ হবার পরে বা কারো বিরুদ্ধে কোনো গুরুতর অভিযোগ উঠলে তখন সেই অপরাধের সাজা ব্যক্তিগতভাবে সেই মানুষদের‌ই ভোগ করতে হয়। যেমন পাপুল ও সাহেদ এখন ভোগ করছেন। মানুষের বিপরীতে গেলে দলবদ্ধ অন্যান্য মানুষ অপরাধীদের একা করে ফেলে। সাহেদ ও পাপুলের জীবন কোরবানির পশুর চেয়েও একাকিত্বের। কোরবানির পশুর পূণ্য থাকে, এদের লোভ আর পাপ ছাড়া কিছুই ছিল না, নেইও।

অনেক কথা বলে ফেললাম। এবার কৌতুক দিয়ে শেষ করি। গরু, ছাগল, কুকুরসহ বিভিন্ন পশুদের একটি পেইজ খোলা হয়েছিল। কোরবানি ঈদের আগে সেই পেইজে কারো কারো স্ট্যাটাস-

প্রথম গরু- পরপর তিনদিন কোরবানির হাঁটে দাঁড়ায়া থাকলাম! কেউ আমার দাম‌ও জিগাইলো না!

দ্বিতীয় গরু (প্রথম গরুকে)- মুখ নিচেরদিক দিয়া খিইচ্চা প‌ইরা থাক। দাঁত দেখাইস না। কোরবানি হ‌ইয়া যাবি কিন্তু।

তৃতীয় গরু- একটা মেয়ে গরুকে দেখলাম না। শুনেছি এয়ারপোর্ট এর আশেপাশে যে গরুর হাট আছে সেখানে নাকি অনেকগুলো মেয়ে গরু আছে আফসোস ওখানে যেতে পারলাম না।

এমন সময় এই পেইজে ঢুকলো কুকুর। হুমকি দিয়ে বলল- তোরা আমাকে ঝাড়ি দিয়ে বলেছিলি এই পেইজ থেকে আমার এডমিন বন্ধ করে দিবি। আমি এখন হাটে হাটে ঘুরছি। তোদের যেখানে যেখানে কোরবানি হবে আমি সেখানে সেখানে যাব। সেইসব বাসার সামনে ঘুরঘুর করব। তারপর তোদের হাড্ডি চিবিয়ে আমি বাসায় ফিরব শয়তান!