দুর্নীতি ও করোনাভাইরাস বহে সমান্তরাল

কামরুল হাসান বাদলকামরুল হাসান বাদল
Published : 7 August 2020, 10:03 AM
Updated : 7 August 2020, 10:03 AM

সন্তুষ্ট হওয়ার মতো দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কোনো কালেই ছিল না। চিকিৎসা না পাওয়া, ভুল চিকিৎসায় রোগী মারা যাওয়া এমন খবরের সঙ্গেই আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম। গত মার্চ থেকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয় এবং সেসঙ্গে সংবাদমাধ্যমসমূহের শিরোনাম হতে থাকে কোভিড-১৯ নামের মহামারী সংক্রান্ত খবরগুলো।

আমেরিকা থেকে ল্যাটিন আমেরিকা, ইউরোপ থেকে আফ্রো-এশিয়া সবখানেই থাবা বিস্তার করেছে কোভিড-১৯। এটি এই সহস্রাব্দ ও শতাব্দীর প্রথম বৈশ্বিক মহামারী যার সৃষ্টি চীনের উহান থেকে। অত্যন্ত ছোঁয়াচে ও জীবনঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বা কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকর কোনো পন্থা বিজ্ঞানীরা এখনো বের করতে পারেননি। বিশ্বের অনেক দেশ ও প্রতিষ্ঠান দিনরাত চেষ্টা করছে ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কারে। বিচিত্রমুখী আচরণ, একেক দেশে একেক ধরনের লক্ষণ এবং ঘন ঘন জিনোম বদলানোর কারণে ভাইরাসটির টিকা আবিষ্কারে বিলম্ব হচ্ছে। লন্ডনের কিংস কলেজের বিজ্ঞানীরা বলেছেন তারা ৬ ধরনের কোভিড-১৯ রোগের সন্ধান পেয়েছেন। ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এগুলোকে আলাদা করেছেন। গবেষকদের এই দলটি দেখছেন একেক ধরনের রোগে সংক্রমণের তীব্রতা একেক ধরনের।

তবে সম্প্রতি একটি আশার কথা শোনা গেছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাজ্যের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রোজেনেকার উদ্ভাবিত সম্ভাব্য টিকাটি প্রাথমিক পরীক্ষায় নিরাপদ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। টিকাটি প্রয়োগের পর স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা সাময়িকী ল্যানসেট এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল পরীক্ষার কাজ এগিয়ে চলছে জোরেশোরে। সব কাজ শেষ করে আগামী অক্টোবর নাগাদ এটি ব্যবহারের উপযোগী করা যাবে। চীন, রাশিয়া, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের গবেষণা এবং তাদের তৎপরতা দেখে ধারণা করছি অক্টোবরের মধ্যে না হলেও অন্তত বছর শেষে বিশ্ববাসী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রথম টিকাটি পেতে যাচ্ছে।

এই ভাইরাসটির গতি-প্রকৃতি বেশ অদ্ভুত যা বিজ্ঞানীদের বারবার হতবাক এবং সেসঙ্গে বিভ্রান্তও করেছে। ভাইসারটি চীনে যে ধরনের আচরণ করেছে একই আচরণ করেনি ইতালিতে, ইউরোপে যেমন আচরণ করছে তেমন করেনি ভিয়েতনামে। আমেরিকায় যেমন করছে তেমন কানাডায় করেনি। আক্রান্ত এবং মৃতদের তালিকা দেখলে বোঝা যাচ্ছে এই রোগে কোনো দেশে যুবক বা তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে আবার অন্য দেশে এর বিপরীত চিত্র। কোনো দেশে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে না আবার কোনো কোনো দেশে শিশু মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। অধিকাংশ দেশে এই রোগে নারীদের মৃত্যুর সংখ্যা কম। তবে এই ভাইরাসের সবচেয়ে লক্ষণীয় দিক হলো এটি বিশ্বের সবাইকে এক কাতারে এনে দাঁড় করিয়েছে। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, প্রাচ্য-পাশ্চাত্য, ডান-বাম, আস্তিক-নাস্তিক সবাইকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে ছেড়েছে। ওই দেশগুলোই বেশি আক্রান্ত হয়েছে যে দেশগুলো বিশ্বের মোড়ল বা পরাশক্তি বলে পরিচিত। এ ভাইরাসটি আমেরিকা-ব্রাজিলকে একই দশায় এনে দাঁড় করিয়েছে।

তবে বাংলাদেশে ভাইরাসটির চরিত্র একেবারেই ভিন্ন। বলা যেতে পারে রহস্যজনক। সারাদেশে ভাইরাসটি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়লেও আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকা দেখলে একটি চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। বৈজ্ঞানিক গবেষণার কোনো তথ্য আমার হাতে নেই এবং ভাইরাস বিষয়ে আমার ন্যূনতম অভিজ্ঞতা না থাকলেও এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে এবং বাস্তব পরিস্থিতি অবলোকন করে দেখতে পাচ্ছি, ভাইরাসটি এখন পর্যন্ত আক্রমণ করছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত ও বিত্তশালীদের যারা শুরু থেকেই সতর্ক ছিলেন এবং নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছিলেন। অন্যদিকে নিম্নবিত্ত, বিত্তহীন, শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষদের আক্রান্তের সংখ্যা কম। কিংবা আক্রান্ত হলেও তাদের মধ্যে মৃত্যুহার লক্ষণীয়ভাবে কম। এটি একদিন গবেষণার বিষয় হয়ে উঠবে সন্দেহ নেই। যাদের ঘরে উদ্বৃত্ত খাদ্য নেই, পর্যাপ্ত আয় নেই, যারা দিনে এনে দিনে খায় তারা লকডাউন অমান্য করে ঘরের বাইরে বেরিয়ে এলেও, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলেও এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানতে না পারলেও তাদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা নগণ্য। শহর-গ্রামের কয়েক কোটি মানুষ যারা চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা যাদের পক্ষে সম্ভব নয়, যারা জীবিকার সন্ধানে রাস্তায় নেমে পড়েছে তারা দেশের বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী। তারা যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতো এবং তাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটত তাহলে দেশে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটত। যেসব বস্তিতে লাখ লাখ মানুষ বাস করে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তারা যদি অধিক হারে আক্রান্ত হতো এবং তাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটত তাহলে তার সংখ্যা এত বেশি হতো যে তাদের সৎকার করাও দুরূহ হয়ে পড়ত। এত মানুষকে একসঙ্গে কবর দেওয়ার লোক এবং জায়গাও পাওয়া যেত না।

করোনাভাইরাস নামক অণুজীবটির এই আচরণ দেখে মাঝে মধ্যে ভাবি, অনুজীবটির কি 'ইন্টেলেকচুয়াল পাওয়ার' বা চিন্তা করার ক্ষমতা আছে? ভাইরাসটি কি জানে বাংলাদেশের এই বিপুলসংখ্যক মানুষ যাদের চিকিৎসার ন্যূনতম সুযোগ নেই তাদের আক্রমণ সমীচীন নয়। করলে কেয়ামত হয়ে যাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এবং এই গরীব জনগোষ্ঠীর অসহায়ত্বের কথা ভেবে কি এক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিয়েছে নভেল করোনা নামক ভাইরাসটি? আমার ভাবনাটি অমূলক। করোনাভাইরাসের 'কমনসেন্স আছে' এই অংশটুকু পাঠ করে অনেকে আমার মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে পারেন।

২.

শুরুতে একটি অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছি। আসলে সংবাদমাধ্যমে প্রতিদিন করোনাভাইরাসের আপডেটই শুরু হয়নি একই সঙ্গে শুরু হয়েছে স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের সংবাদও। তার কারণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশ আক্রান্ত হয়ে আছে আরেকটি ভাইরাসে, তার নাম দুর্নীতি। এই ভাইরাসটি করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর। এই ভাইরাসটি বেশ আগে থেকেই সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এমন ভাবে প্রবেশ করেছে যে এটিকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বোধহয় কারুর নেই। এই ভাইরাসটি অত্যন্ত সংক্রামক। ইতোমধ্যে এ ভাইরাসে দেশের ছোট-বড়, সরকারি-বেসরকারি, মোল্লা-পুরুত, ডান-বাম, রাজনীতিক-ব্যবসায়ী সবাই আক্রান্ত হয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, সমাজের অধিকাংশই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় দুর্নীতি নামক ভাইরাসের হার্ড ইমিউনিটিও হয়ে গেছে। ফলে দুর্নীতি নামের ভাইরাসটি নিয়েই সবাই বেঁচে আছি। দুর্নীতি এখন সবার গা সওয়া হয়ে গেছে। কেউ আর এই ভাইরাস নিয়ে খুব বেশি উৎকণ্ঠিত নয়। মাঝেমধ্যে অত্যাধিক আক্রান্ত দু-চারজনের রোগ ধরা পড়ে দুর্ঘটনাবশত এবং তাদের চিকিৎসার জন্য কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে গেলেও তারা সুস্থ হন না কারণ সেখানেও আগে থেকে সংক্রমিত রোগীরা তাদের দেখভাল করেন, শুশ্রুষা করেন এবং এভাবে ভাইরাসটি বেঁচে থাকছে সমাজে। দুর্নীতি নামক ভাইরাসে আক্রান্তদের পরস্পরের প্রতি এক ধরনের সহমর্মিতা থাকে, যোগাযোগ থাকে এবং এভাবে ওরা ভাইরাসটিকে সমাজে প্রতিষেধকহীনভাবে বাঁচিয়ে রাখে।

বলেছিলাম করোনাভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর দুর্নীতি নামক ভাইরাস নিয়ে। বাংলাদেশে গরিবদের জন্য করোনাভাইরাস সামান্য মায়া (!) ও সহানুভূতি (!) দেখালেও দুর্নীতি নামক ভাইরাস এক্ষেত্রে কোনোরূপ ছাড় দেয় না। এই ভাইরাসটি করোনার চেয়েও অনেক বেশি নিষ্ঠুর। এই ভাইরাসে আক্রান্তরা বরং গরিবদের জন্য দেওয়া সরকারি-বেসরকারি সাহায্য খেয়ে ফেলে। মহামারীকালেও লুটপাট অব্যাহত রাখে। চিকিৎসাপ্রার্থী অসহায় মানুষদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় আর হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। এই ভাইরাসে আক্রান্তরা এতই নিষ্ঠুর যে একটি ভুল বা ভুয়া রিপোর্টের কারণে মানুষ মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে জেনেও তারা তেমন কাজ করে থাকে। দুর্নীতিভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এতই লোভী ও স্বার্থপর হয় যে, এরা জনগণের টাকা লুট করে দেশে রাজার মতো বসবাস করে এবং বিদেশে সম্পদ পাচার করে নিজের এবং পরিবারের জন্য নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরেকটি দুঃসংবাদ হচ্ছে, দেশের মানুষকে মহামারী থেকে বাঁচাতে সরকারের যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকেই মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে সে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরই বহু আগে থেকে দুর্নীতিনামক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তার চলৎশক্তি হারিয়ে একেবারে পঙ্গু হয়ে আছে।

একজন সামান্য কেরানি দুর্নীতিভাইরাসে আক্রান্তের পর কী হয়েছে তার একটি নমুনা পড়ুন, 'দুদকের অভিযোগ থেকে জানা যায়, আবজাল দম্পতির নামে রাজধানীর উত্তরায় ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডে তিনটি পাঁচতলা বাড়ি আছে। বাড়ি নম্বর ৪৭, ৬২ ও ৬৬। ১৬ নম্বর রোডে রয়েছে পাঁচতলা বাড়ি। বাড়ি নম্বর ১৬। উত্তরার ১১ নম্বর রোডে রয়েছে একটি প্লট। প্লট নম্বর ৪৯। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ও ফরিদপুরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তাদের অঢেল সম্পদ। অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে তাদের বাড়ি। দুদক সেই বাড়ির সন্ধানও পেয়েছে বলে জানা গেছে।' সামান্য একজন কেরানির এই অবস্থা হলে বড় বড় সাহেবদের কী 'করুণ' দশা হয়েছে তা সহজে অনুমেয়।

তবে এরমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ে দুদক তথা সরকার সামান্য তৎপর হয়েছে। অধিদপ্তরে নতুন ডিজি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদক ব্যাপক খোঁজখবর নিচ্ছে।

দুর্নীতির ফাইলের খোঁজে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার সদস্যের একটি অনুসন্ধানী দল। এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'করোনা পরিস্থিতি না এলে হয়তো স্বাস্থ্য খাতের এমন নগ্ন চেহারা অদেখাই থেকে যেত। দুর্নীতির বাসা এত গভীরে প্রবেশ করেছে যে, সবকিছুতেই কমিশন আর দুর্নীতি! কমিশনের লোভে নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি দামে মানহীন চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়, কি-না ঘটেছে? এসব দেখভালের দায়িত্ব যারা পালন করেন, তারা তো দায় এড়াতে পারেন না। কারণ দুর্নীতিবাজদের সরিয়ে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া তো ব্যবস্থাপকদের কাজ। কিন্তু তারা সেটি করেননি। এর দায় তাদেরই নিতে হবে।'

করোনাভাইরাস নামক অণুজীবের বিবেক (!) থাকলেও দুর্নীতি নামক ভাইরাসের কোন বিবেক নেই, মানবতা নেই, মানুষের জন্য কোন প্রকার দয়া মায়া নেই। পারলে ওরা টাকার জন্য অসুস্থ রোগীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অন্যের কাছে বেচে দিতে পারে।

দেশে করোনাভাইরাস ও দুর্নীতিভাইরাস সমান্তরালভাবে বইছে। তবে আজ হোক কাল হোক করোনাভাইরাস ঠেকানোর প্রতিষেধক আবিষ্কার হবেই। শুরুতে সে তথ্য দিয়েছিও। কিন্তু হায়! বাংলাদেশে জেঁকে বসা দুর্নীতি নামক ভাইরাস নির্মূল করার কোনো উপায় বা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কোনো সুখবর এখনো নেই জাতির সামনে।