সুন্দরবনকে বাঁচাতে দরকার মাস্টারপ্লান

স্বদেশ রায়
Published : 28 May 2020, 01:16 PM
Updated : 28 May 2020, 01:16 PM

আমি উদ্ভিদ বা পরিবেশ বিজ্ঞানী নই,  সাধারণ সাংবাদিক মাত্র। সুন্দরবনকে বাঁচাতে ও বৃদ্ধি করতে কী কী করা দরকার সে সম্পর্কে কোন গভীর জ্ঞান আমার নেই। তারপরেও ছোট বেলা থেকে সুন্দরবনকে দেখে আসছি। চার দশকের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা করার কারণে বার বার সুন্দরবনে গেছি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এসে পরিবেশ বিপর্যয়ের ওপর রিপোর্ট করার একটা অতিরিক্ত ঝোঁক থাকার কারণেও যেতে হয়েছে সুন্দরবনে। 

বিদেশি একটি সংবাদ সংস্থার সঙ্গে মিলে রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিয়ে কিছু কাজ করতে গিয়ে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচিতিটা আরো বেশি করে ঘটে। এছাড়া ছোট বেলা থেকে সাপ ও বাঘের প্রতি একটা অতিরিক্ত আকর্ষণ থাকায়ও বার বার গিয়েছি সুন্দরবনে। আবার পশ্চিমবঙ্গের অংশের সুন্দরবনের সঙ্গেও নানান কারণে পরিচয় ঘটেছে। সর্বোপরি অর্থনীতিবিদ ও ফটোগ্রাফার বন্ধু চো প্রায় পাঁচ বছর সুন্দরবন নিয়ে কাজ করে গেছে। সে সময়েও তাকে সঙ্গ দিতে গিয়ে সুন্দরবনের আলাদা একটা রূপ দেখেছি।  এইসব ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে এ লেখার চেষ্টা।

সুন্দরবনের গভীরে সব থেকে বেশি ঘুরি ১৯৮৮ এর ঘূর্ণিঝড়ের পরে। ওই ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়। সে সময়ে সুন্দরবনের ভেতরে যে অবস্থা দেখেছিলাম তার পূর্ণ বিবরনী এখানে লেখার দরকার নেই। তবে সেটা ছিল একটা ধ্বংসস্তুপ। আমাদের শহর, বন্দর বা গ্রামের ধ্বংসস্তুপ দেখার অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু জঙ্গলের ভেতরের ওই ধ্বংসস্তুপ আমরা কমই দেখেছি। এ ধরনের ধ্বংসস্তুপের আরও একটা ভিন্ন দিক আছে। সেটা নির্বাক প্রাণের মৃত্যু। শহরে বাড়ি ঘর ভেঙ্গে পড়ে। বড় বড় দালান ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। কিন্তু তারা সকলে প্রাণহীন। আর জঙ্গলে যে হাজারে হাজার গাছ ভেঙ্গে পড়ে, উপড়ে পড়ে থাকে ঝড়ের আঘাতে- তাদের প্রাণ আছে। অথচ তারা কিছু প্রকাশ করতে পারছে না। উদ্ভিদ বিজ্ঞানী নই একজন সাংবাদিক মাত্র, তারপরেও ১৯৮৮ সালের সুন্দরবনের ভেতরের ওই ধ্বংসস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে বুকটা কেমন যেন হু হু করে উঠেছিল। 

মনে হয়েছিল কত প্রাণ মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করছে। আর সেখানে পৌঁছানোর আগে সুন্দরবনের পাশের অনেক গ্রাম পাড়ি দিয়ে গিয়েছিলাম। কথা হয়েছিল শত শত সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তাদের প্রত্যেকেরই কথা, এবারও সুন্দরবন আমাদেরকে বাঁচিয়েছে। যে কথা 'বুলবুলের' আঘাতের পরেও মিডিয়া বলেছে, এবারের 'আম্পান'-এর আঘাতের পরেও বলছে। আর সুন্দরবনের আশেপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বললে বোঝা যায়, তারা জম্মের পর থেকে শুনে আসছে এই বন তাদের মাতা। সে তাদের খেতে দেয়, তাদের রক্ষা করে। সুন্দরবনের আশেপাশের মানুষের এই বনের ওপর যে ভক্তি সেখান থেকে ধার করে কিছু ভক্তি আমাদের দেশ পরিচালকদের মনে নিয়ে আসতে হবে সুন্দরবনকে বাঁচানোর জন্যে। কারণ, যতক্ষণ না ওই ভক্তি তাদের মনে আসবে ততক্ষণ সুন্দরবনকে একটি সাধারণ বনই মনে হবে দেশ পরিচালকদের। তাই এর ধ্বংস নিয়ে তাদের বুকে ব্যথা জেগে উঠবে না। তারা সত্যি অর্থে এটাকে বাঁচাতে চাইবে না। অন্যদিকে দেশের রাজনীতিরও একটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন যাদের অর্থ আছে, তারা ভিন্ন উপায়ে শহরে বসে নমিনেশান নিয়ে সুন্দরবন এলাকার জনপ্রতিনিধি হন। তাই এখন আর শেখ আব্দুল আজিজের মত জন প্রতিনিধি হবেন না যিনি সত্যিই সুন্দরবনকে ভালোবাসতেন। 

আর কেন যেন মনে হয়, ভালোবাসা ছাড়া কোন কাজ হয় না। প্রাণহীন প্রচেষ্টা কোন প্রচেষ্টাই নয়। সকল প্রচেষ্টার মাঝে একটা প্রাণ থাকা চাই, একটা ভালোবাসা থাকা চাই। কোন প্রচেষ্টার সঙ্গে ভালোবাসার যোগটা কেমন তার উদাহরণ আমরা তিনজন মানুষের কাজের দিকে লক্ষ্য করলে পাই, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ বোস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই তিনজনই তাদের প্রতিটি কাজ করেছেন ভালোবাসা দিয়ে। অনেকটা মায়ের মত ভালোবাসা। বাস্তবে মায়ের মত ভালোবাসা দিয়েই আমাদের সুন্দরবনকে আমাদের নেতাদের দেখা উচিত। সুন্দরবন আমাদের জাতির জীবনে অনেক বড় সম্পদ শুধু নয়, এই সম্পদ শুধু একটাই। এর কোন বিকল্প নেই। কোন কারিগরি পদ্ধতি দিয়ে অন্য একটা সুন্দরবন তৈরি করাও সম্ভব নয়।  তাই সুন্দরবনকে  বাঁচাতে হলে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা দিয়েই বাঁচাতে হবে। 

যেমন ১৯৮৮ থেকেই যদি ধরি এবং তারপরে সর্বশেষ 'বুলবুল' ও 'আম্পানে' অনেক গাছ ধ্বংস হয়েছে সুন্দরবনে। আমাদের দুর্ভাগ্য হলো এই গাছগুলোর কত গাছ গাছ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে অর্থাৎ যেগুলো উপড়ে গেছে সেগুলো খাড়া করে তার মূল মাটিতে গেড়ে দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা আমরা করি না। চেষ্টা করি না যেগুলো অর্ধেক ভেঙ্গে গেছে সেগুলোর ডাল পালা ছেটে দিয়ে নতুন করে বাঁচিয়ে রাখা যায় কিনা? আমরা যদি সত্যি অর্থে সুন্দরবন রক্ষা করতে চাইতাম তাহলে প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের পরে শুধু নয়, বড় বড় জোয়ারের পরেও এ কাজগুলো করতাম।  এজন্যে এতদিন আমাদের উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের নিয়ে গঠিত একটি বিভাগ থাকতো। তাদের পরামর্শ মতো ঘূর্ণিঝড় ও বড় বড় জোয়ারে আঘাতপ্রাপ্ত কত গাছ রক্ষা করা যায় সেই চেষ্টাই করা হতো। কিন্তু এর বদলে যেটা হয় তাহলো, প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের পরে আঘাতপ্রাপ্ত ওই গাছ গুলোকে মৃত ঘোষণা করে ওর সঙ্গে জীবন্ত আরো অনেক গাছ কেটে, সেগুলোকে মৃত দেখিয়ে বিক্রি করে দেয়া হয়।  একারণেই সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হলে এই অসাধু এবং ভালোবাসাহীন চরিত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তারপরে অনেক নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে হবে। 

কী কী উদ্যোগ নিতে হবে সে বিষয়ে উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আরো সঠিক পরমর্শ দিতে পারবেন। তবে সাংবাদিক হিসেবে যা বুঝেছি তাহলো, ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের আঘাতের পরে আঘাত প্রাপ্ত কত গাছ, কীভাবে বাঁচানো যায় তার বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ নেয়া। পাশাপাশি যে গাছগুলোকে বাঁচানো যাবে না সেখানে নতুন গাছ কীভাবে লাগানো যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড়ের পরে ঘুরে দেখেছি নানান ধরনের ছোট ছোট জীব ও পোকামাকড় ব্যাপক সংখ্যক মারা যায়। অতি সাধারণ ধারণায় মনে হয়েছে সুন্দরবনের এই জীব বৈচিত্র্য একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। তাই এগুলো যখন এমনই ব্যাপকভাবে মারা যায় তখন তাদের বংশ বৃদ্ধির জন্যে কোনও পথ অবলম্বন করা যায় কিনা- সেটা জীব বিজ্ঞানীদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। সেভাবে তাদেরকে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। সুন্দরবনের প্রাণীকূলেরও আমাদের প্রয়োজন আছে। প্রাণীকূল ছাড়া কোন সুন্দরবনকে কল্পনা করা ঠিক নয়। যেমন সুন্দরবন ও তার আশেপাশের এলাকার অনেক প্রাণীকূল ধ্বংস হয়েছে জিয়াউর রহমানের আমলে অপ্রচলিত পন্য রপ্তানির আওতায় পড়ে। তখন ব্যাঙ, গুইসাপ ও নানান প্রজাতির সাপ সুন্দরবন ও তার আশে পাশের এলাকা থেকে ধরে বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছিল। যার ফলে এই প্রাণীগুলো প্রায় নেই বললেই চলে। এর ফলে সুন্দরবন এলাকার ফসলের ও পরিবেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। কারণ এরা অন্যান্য কীট পতঙ্গ ও প্রাণী খেয়ে ফসল, পরিবেশ এমন কি বাঁধ রক্ষায় সহযোগিতা করতো। ব্যাঙ ও গুইসাপ প্রচুর পরিমাণে কীট-পতঙ্গ খেয়ে ফসলকে রক্ষা করতো। পেস্টিসাইড কম লাগতো। পরিবেশ রক্ষা হতো তাতে। অন্যদিকে সাপ তাদের খাদ্য হিসেবে  ইঁদুর খেয়ে ইঁদুরের হাত থেকে ফসলও বাঁধ রক্ষা করতো। এছাড়াও সার্বিক বনের জন্যেও একটি জীব বৈচিত্র্য প্রয়োজন আছে। এরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল।

সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও গাছ ধ্বংসের আরেকটি কারণ ফারাক্কা বাঁধ। কারণ, সুন্দরবন বলতে শুধু সাগরের পাশে ওই বনটুকুকে আগে বোঝাত না। এর আশে পাশের নদীগুলোর দুই তীর ঘিরে তখন নানান ধরনের গাছের ও ঝোপ ঝাড়ের একটা জঙ্গল ছিল। যা সুন্দরবনেরই অংশ বা বৈচিত্র্য হিসেবেই ছিল। এই গাছপালা ও ঝোপঝাড়গুলো মানুষ ধ্বংস করেছে ঠিকই পাশাপাশি অতিরিক্ত লোনা পানিতেও অনেক গাছপালা মারা গেছে। এই অতিরিক্ত লোনা পানির কারণ ফারাক্কা বাঁধ। গঙ্গা দিয়ে আগের মত মিষ্টি পানি না আসা। এই মিষ্টি পানি না আসার ফলে সুন্দরবন এলাকায় বিশেষ করে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা এলাকার সেই সবুজ বনানী ঘেরা গ্রাম ও নদীর কূল নষ্ট হয়ে গেছে। সার্বিকভাবে সুন্দরবনকে শুধু সাগরের পারে বিচ্ছিন্নভাবে রেখে কতকাল রক্ষা করা যাবে এ নিয়ে সন্দেহ আছে। বঙ্গোপসাগরবাহী এ নদীগুলোর কূলে কূলে গাছ ও ঝোঁপ ঝাড় আবার ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিতে হবে। এগুলো প্রত্যক্ষভাবেই সুন্দরবনের অংশ ছিল।  

তবে এ ক্ষেত্রে বড় বাধা অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা এলাকায় চিংড়ি চাষ অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ, চিংড়ি অনেক অর্থকরী ফসল। অনেক মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। বহু মানুষের কর্মসংসস্থান করেছে। আবার এই চিংড়ি চাষ ঘিরে একটা নীল চাষের চরিত্রও আছে সে বিষয় এখানে নয়। তবে এই অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ গোটা সুন্দরবন  এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় ও সুন্দরবন ধ্বংসের একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি প্রথমেই বলেছি আমি বিশেষজ্ঞ নই, তারপরেও দীর্ঘ পাঁচ দশকের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে আমার যা মনে হয়েছে তাহলো- বিচ্ছিন্নভাবে সুন্দরবনকে রক্ষা করা যাবে না। সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হলে সামগ্রিক সুন্দরবন এলাকাকে রক্ষা করতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন থাইল্যান্ডের মত আমাদের দেশে পরিকল্পিত ও বিজ্ঞানভিত্তিক চিংড়ি চাষ। প্রয়োজনে আরো বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক করা যেতে পারে- সেজন্য চিংড়ি চাষকে ঘিরে একটি মাস্টার প্ল্যান দরকার। যার ভেতর দিয়ে এই এলাকায় চিংড়ি চাষও হবে আবার সুন্দরবনও ফিরে পাবে তার পূর্বের সেই বিস্তীর্ণ 'সুন্দরবন এলাকা'। 

সুন্দরবনের বাইরে এই 'সুন্দরবন এলাকা' একান্তই দরকার সুন্দরবন টিকে থাকার জন্যে।  অবশ্য এটা সরকারের জন্যে বেশ কঠিন কাজ। কারণ চিংড়ি চাষের সঙ্গে জড়িত অনেক রাজনীতিক ও বড় বড় ব্যবসায়ী। এই রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদেরকে একটি বিশেষ সিস্টেমে আনার কোনও ক্ষমতা বর্তমান সরকারের প্রশাসনের নেই, এটা কেবল করতে পারবেন যদি শেখ হাসিনা নিজে উদ্যোগ নেন। আর সুন্দরবনসহ পুরো 'সুন্দরবন এলাকা' রক্ষা ও তার পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে এ সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকেই নিতে হবে।

আরেকটি বিষয় সুন্দরবন এলাকা পর্যবেক্ষণ করে মনে হয়েছে- ষাটের দশকে যে বেড়ি বাঁধগুলো হয়েছে এগুলো শতভাগ বিজ্ঞান ভিত্তিক কিনা? কারণ, এই বাঁধের কারণে বহু নদী-নালা মারা গেছে। যার ফলে বঙ্গোপসাগর জোয়ারে যে পরিমাণ পলি সুন্দরবনের আশেপাশের এলাকার নদীতে পাঠায় তার অনেক পলি জমা থেকে যায় বড় বড় নদীতে। আর এ ফলে ত্রিশ বা চল্লিশ বছর আগের বড় বড় নদীগুলো এখন শীর্ণকায় হয়ে গেছে। এই শীর্ণকায় নদীগুলোকে আবার যদি সেই প্রবল প্রতাপের নদীতে পরিণত করা না যায়, তাহলে সত্যি অর্থে শেষ অবধি সুন্দরবন রক্ষা করা যাবে । নদীগুলো মারা গেলে সুন্দরবন বাঁচবে কিনা সেটাও ভেবে দেখা দরকার। অনেক জায়গায় নদী মারা যাওয়াতে ধীরে ধীরে সুন্দরবনও মারা গেছে। সেগুলো এখন নতুন জনপদ হয়েছে। এভাবে এগোতে থাকলে সুন্দরবনের বহু অংশ জনপদ হয়ে যাবে। সুন্দরবনকে বাঁচাতে হলে যে মাস্টাপ্লান নিতে হবে সেখানে এ বিষয়গুলোও মাথায় রাখা প্রয়োজন। 

এখন অনেকে মনে করতে পারেন, দেশ যে সময় কোভিড-১৯ এ ধুঁকছে সে সময়ে কেন সুন্দরবন নিয়ে এই লেখা। বাস্তবে ২০ তারিখ সুন্দরবন আম্পান-কে ঠেকিয়ে এই করোনাভাইরাসের ভেতর আরো হাজার হাজার মৃত্যুকে ঠেকিয়েছে এবং নিজে হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই করোনাভাইরাসের ভেতর যেমন আমরা নিজেরা বাঁচার চেষ্টা করছি তেমনি আমাদেরই জীবনের অংশ সুন্দরবনকে বাঁচাতে হলে এই দুঃসময়েও সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি পূরণের চেষ্টা করতে হবে। 

আর করোনাভাইরাস যেমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফল তেমনি সুন্দরবন না থাকলে ভিন্নভাবে  প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের এমনই ভয়াবহতা নেমে আসবে দেশের একটি বিরাট অংশের ওপর।