বাংলাদেশে মেডিকেল উচ্চ শিক্ষা নিয়ে কিছু ভাবনা

মো. আব্দুল জলিল চৌধুরী
Published : 9 Jan 2019, 02:54 PM
Updated : 9 Jan 2019, 02:54 PM

দেশের সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় ইদানিং একটা আমূল পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। স্কুল-কলেজগুলোতে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান হচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী পরীক্ষাও হচ্ছে। তাতে কতটুকু সৃজনশীল মানুষ তৈরি হচ্ছে সে ব্যাপারে অনেক মতবিরোধ আছে। পশ্চিমা বিশ্ব শিক্ষা-দীক্ষায় ইতিমধ্যে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোও অনেক এগিয়ে আছে।

আমাদেরকেও তাদের সাথে তাল মিলিয়ে এগোতে হবে এবং আমরা এগোচ্ছিও। পাশের অনেক দেশের চেয়ে স্বাস্থ্য খাতে আমাদের অগ্রগতির সূচক অনেক ভাল। তাই বলে যথাযথ অবকাঠামো তৈরি না করে, প্রয়োজনীয় ন্যূনতম শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ না দিয়ে দেশের যত্রতত্র মেডিকেল কলেজ স্থাপন করে কতকগুলো অর্ধশিক্ষিত ডাক্তার তৈরির কারখানা বানালে দেশের মানুষের দোরগোঁড়ায় চিকিৎসা পৌঁছে যাবে এটা ভাবা ঠিক হবে না।

ধরে নিলাম আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এসব মেডিকেল কলেজের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। যদি সেটি হয়, তারপরও কথা থাকে এই কয়েক বছরে যারা তথাকথিত পাস করে বের হবে তাদের কী হবে? স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শিক্ষার কথা বলতে গিয়ে এসব কিছু বলার অর্থ হলো- কাঁচামাল ভাল না হলে যেমন ফ্যাক্টরি থেকে উন্নত মানের ফিনিশড প্রোডাক্টস পাওয়া যায় না, তেমনি ভাল এমবিবিএস/ বিডিএস ডাক্তার তৈরি না হলে পরবর্তীতে ভাল বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তৈরি হবে না।

শুরু থেকেই মেডিকেল কলেজগুলো তৈরি হয়েছিল এমবিবিএস ডাক্তার তৈরির জন্য। এমবিবিএস ডাক্তাররাই দেশেরশতকরা ৮০ ভাগ রোগীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে পারার কথা। একে তো নতুন স্থাপিত মেডিকেল কলেজগুলো ভাল মানের ডাক্তার তৈরির সুবিধা বঞ্চিত অন্যদিকে আবার পুরাতন মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষক সংখ্যা অপ্রতুল। তার মধ্যে পুরাতন প্রায় সবকটি মেডিকেল কলেজেই স্নাতকের পাশাপাশি স্নাতকোত্তর কোর্স চালু আছে। এসব মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের প্রধান দায়িত্ব ছিল এমবিবিএস ছাত্র পড়ানো এবং শেখানো। এখন তারা কী এমবিবিএস শিক্ষার্থী পড়াবে নাকি স্নাতক শিক্ষার্থীদের পড়াবে? তাদের আছে রোগী চিকিৎসার বাড়তি দায়িত্ব। ফলে সবক্ষেত্রেই এমবিবিএস পাস করা ডাক্তারদের মান নেমে গেছে।

এমবিবিএস পাস করা ডাক্তারদের উপর এখন আর কেউ আস্থা রাখতে পারছে না। তাই প্রয়োজন দেখা দিয়েছে বেশি বেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তৈরির। আর এই জন্যই ঘোষণা এসেছে প্রত্যেক বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। সেই প্রেক্ষাপটে আজকের এই লেখার সূত্রপাত।

দেশে বর্তমানে প্রধানত দুইটি প্রতিষ্ঠান স্ব-স্ব কারিকুলাম অনুযায়ী স্নাতকোত্তর চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষার দায়িত্ব পালন করছে। একটি বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এবং অন্যটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। স্বাধীনতোত্তর যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব উপলদ্ধি করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অধ্যাদেশ বলে ১৯৭২ সালে বিসিপিএস প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকেবিসিপিএস এদেশে স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শিক্ষায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আসছে। এদেশের মেডিকেল কলেজগুলোর বেশিরভাগ শিক্ষক, বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের বেশীর ভাগ শিক্ষক, কনসালটেন্ট, জেলা হাসপাতাল এমনকি উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত বেশীরভাগ কনসালটেন্ট বিসিপিএস থেকে পাস করা এফসিপিএস এবং এমসিপিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক।

এমনকি বিদেশেও এফসিপিএস পাশ করা ডাক্তাররা সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এফসিপিএস এখন একটি আস্থার নাম। বিসিপিএস এর শিক্ষাদান পদ্ধতি অনেকটা ব্রিটিশ রয়েল কলেজের ধাঁচে পরিচালিত। এমবিবিএস পাশ করার পরে ডাক্তাররা তাদের চাকরিকালীন অবস্থায়ই নিজ নিজ পছন্দমত বিষয়ের উপর মেডিকেল কলেজ বা বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান বা জেলা সদর হাসপাতালে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নেয়। সেসব প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্য বিসিপিএস কর্তৃক নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হতে হয়। বিসিপিএস সেই সকল প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রশিক্ষক সবাইকে তার নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী মনিটর করে থাকে। বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন মেয়াদের প্রশিক্ষণ শেষে ফাইনাল পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। দেশি বিদেশি পরীক্ষকের সমন্বয়ে নেওয়া বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষা শেষে মানদণ্ডের কষ্টিপাথরে যাচাইয়ের পর তারা পরীক্ষায় পাস করলে এফসিপিএস ডিগ্রি লাভ করে। এখন পর্যন্ত দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে, বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে, কর্পোরেট হাসপাতালগুলোতে, আর্মি মেডিকেল কোরে, জেলা উপজেলা সদর হাসপাতালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন এবং শিক্ষকতার কাজে নিয়োজিত আছেন।

স্বাধীনতার আগে থেকেই শাহবাগের ইনস্টিটিউট অব পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ তথা আইপিজিএমআর দেশেরবিশেষজ্ঞ চিকিৎসা দিয়ে আসছিল। এফসিপিএস পরীক্ষা দেওয়ার আগে এখানেই বেশিরভাগ ডাক্তাররা তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিত। দেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে আইপিজিএমআরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। এবং সেখান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে এমডি, এমএস, এম ফিল, ডিপ্লোমা ইত্যাদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান শুরু হয়। সাথে অধিভূক্ত কিছু কিছু মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতেও অনেক বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করা হয়। অর্থাৎ এখন বর্তমানে দুইটি প্রতিষ্ঠান স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শিক্ষার সাথে জড়িত। একটি বিসিপিএস এবং অন্যটি বিএসএমএমইউ। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরও দুইটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এবং অচিরেই আরও কয়েকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চালু হবে। এতে নিঃসন্দেহে দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়বে। কিন্তু প্রশ্ন হলো এখন যেভাবে চলছে তাতে মানসম্মত বিশেষজ্ঞ তৈরি হবে কিনা তাতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এখানে বলে রাখা ভালো বিশ্ববিদ্যালয় বা তার অধিভূক্ত মেডিকেল কলেজগুলোতে একজন ছাত্রকে ক্লিনিক্যাল বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার পর ৫ বছরের জন্য ডেপুটেশনে আসতে হয়। ফলে অনেক সময় অনেক জায়গায় ডাক্তার থাকেনা, তার একটা কারণ কিন্তু এই ডেপুটেশন প্রথা। অন্যদিকে বিসিপিএস থেকে

এফসিপিএস পরীক্ষা দিতে কোথাও ভর্তি হতে লাগেনা। ডাক্তাররা স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে করতে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পরে ফিস জমা দিয়ে চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। সেখানে কোনও ডেপুটেশনের প্রয়োজন পড়ে না। এই প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীকে কোনও টাকা পয়সা খরচ করতে হয় না এবং শিক্ষকরাও তাদের প্রচলিত বেতনের বাইরে আর কোনও বিশেষ আর্থিক সুবিধা পান না। তাই সময় এসেছে দেশে মানসম্মত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে একটি সমন্বিত স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। আমরা যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারি, তাহলে রোগীরা আস্থাহীনতায় ভুগবে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাতে শুরু করবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিএমডিসি ও বিএমএ সমন্বিত উদ্যোগ নিলে একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা যেতে পারে। এমন হতে পারে বিসিপিএস মূলত জেনারেল বিষয়গুলোতে এফসিপিএস ডিগ্রি দেবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্পেশালিটি বিষয় সমূহে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি যেমন এম ডি, এমএস ইত্যাদি ডিগ্রি দেবে। এ ব্যাপারে সম্প্রতি  প্রধানমন্ত্রীর উক্তিটি প্রণিধান যোগ্য। তিনি বলেছেন- বিশ্ববিদ্যালয় হবে গবেষণার জায়গা। সাধারণ বিষয়ে শিক্ষাদান করা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হবে না।

তাই যদি হয় তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির পূর্বে প্যারেন্ট সাবজেক্টে যে কোর ট্রেইনিং করতে হয় সেটার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উপযুক্ত স্থান নয়। কোনও বিষয়ে ভাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হতে হলে তার সংশ্লিষ্ট জেনারেল সাবজেক্ট সম্বন্ধে ভাল জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হয়। উন্নত বিশ্বের সব দেশেই একই নিয়ম। যেমন একজন ভাল কার্ডিওলজিস্ট হতে হলে তাকে মেডিসিন ভাল জানতে হবে। যেহেতু আমাদের দেশে বেসিক ডিগ্রি তথা এমবিবিএস ডিগ্রির মান কমে গিয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ছেড়ে দেওয়া উচিত গবেষণা কাজে মনোনিবেশ করার জন্য তাই বিশেষজ্ঞ তৈরির প্রাথমিক ধাপ হিসেবে তার ড়্যারেন্ট সাবজেক্ট এবং কোর ট্রেইনিং এর জন্য অন্য কাউকে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। আর এ কাজটা বিসিপিএস ভালভাবেই করে আসছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থাৎ ৩ পর্যায়ে বাংলাদেশের স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তাব করা যেতে পারে।

প্রথম ধাপে এমবিবিএস পাসের পর ইন্টার্নশিপ শেষ করবে। ২য় ধাপে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে জেনারেল বিষয়ে এফসিপিএস পাস করবে। তৃতীয় ধাপে তাদের মধ্য থেকে যারা চাইবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে স্পেশালিটি বিষয়গুলোতে নির্ধারিত প্রশিক্ষণ নিয়ে এমডি, এমএস, ইত্যাদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করবে। তাদের থেকে কেউ আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধিকতর গবেষণা কাজে নিয়োজিত থেকে পিএইচডি করতে পারবে।

এতে করে দেশে যে উন্নত মানের বিশেষজ্ঞ তৈরির রাস্তা প্রসারিত হবে তা বোধকরি সবাই স্বীকার করবেন।

এতে উচ্চশিক্ষা সংকুচিত হয়ে যাবে বলে হইচই শুরু হয়ে যেতে পারে। দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা কমে যাবে বলে অনেকে মনে করতে পারেন।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্র পাওয়ার জন্য বিসিপিএস এর মুখাপেক্ষী থাকতে হবে বলে অনেকে ধারণা করতে পারেন। যারা এফসিপিএস পাস করার জন্য কষ্ট স্বীকার করতে রাজি না, যারা সহজে কোনও একটা স্নাতকোকোত্তর ডিগ্রি লাভ করার চেষ্টায় রত, তারাই দেশে মেডিকেল উচ্চ শিক্ষা সংকোচন হয়ে যাবে বলে উচ্চ-স্বরে আওয়াজ তুলতে পারে। জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে- জনগণের সরকারই পারে এ ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে। প্রশ্ন হল আমরা কী চাই? কোয়ালিটি নাকি কোয়ানটিটি?

আমরা তো জানিনা দেশে কোন বিষয়ে কত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দরকার। সময় এসেছে এসব কিছু ভেবে দেশের স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের ধ্বস নামার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়, বিসিপিএস, বিএমডিসি, প্রফেশনাল বডি এবং চিকিৎসা শিক্ষার সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞ মিলে একটি আধুনিক যুগোপযোগী সমন্বিত চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য এক যোগে কাজ করার।

কথা উঠতে পারে সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি শুধু এমডি, এমএস দেওয়া হয়, মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলো কী করবে? উত্তর হলো মেডিকেল কলেজগুলো উন্নতমানের এমবিবিএস ডাক্তার তৈরি করবে, আর এফসিপিএস পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে যে প্রশিক্ষণ লাগবে সেই প্রশিক্ষণ তারা দিবে। বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গুলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবার কাজে নিয়োজিত থাকবে এবং বিভিন্ন বিষয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজটি করবে। যার যে কাজ তার সে কাজটাই ভালভাবে করা উচিৎ।