দুর্ঘটনা ও শিশুদের জন্য সড়ক নিরাপত্তা

অপূর্ব সাহা
Published : 9 July 2015, 11:04 AM
Updated : 9 July 2015, 11:04 AM

প্রতিদিন একটু একটু করে জনজীবন গ্রাস করে নিচ্ছে এক নতুন মহামারী। ম্যালেরিয়া বা কলেরা নয়, এইডসও নয়। এ মহামারীর নাম সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই সড়কে ঝরে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় জীবন। টেলিভিশন খুললেই স্ক্রলে ক্রল করে যাচ্ছে নতুন কোনো দুর্ঘটনার খবর। বুকের ভেতর শ্বাস যেন আটকে আসে। প্রচণ্ড হতাশায় মাঝে মাঝে মনে হয় এ মুত্যুর মিছিল বোধহয় আর কোনো দিন শেষ হবে না। শেষ হবার নয় মানুষের মূর্খতা, ভুল আর অবহেলাজাত, মানুষেরই সৃষ্ট এই রক্তহোলির।

সড়ক, মহাসড়ক আর পরিবহন বাদ দিয়ে যে জীবন তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। জীবনের এই অনিবার্য অনুষঙ্গ– যাতায়াত ব্যবস্থা আমরাই করে তুলেছি কলুষিত, দুর্বিষহ। আমরা নিরাপদে পথ হাঁটতে জানি না; পথে নেমে ভুলে যাই রাস্তা আর শোবার ঘরের পার্থক্য। একের পর এক আইন অমান্য করতে থাকি। যেন আইন অমান্য করতে পারার ভেতরেই জীবনের চরম সার্থকতা নিহিত। যখন যাত্রী হয়ে পরিবহন ব্যবহার করি, তখনও আমাদের আচরণ একই রকম নেতিবাচক।

চালক হলে তো কথাই নেই। আইনভঙ্গের মহোৎসবে মেতে উঠি। নির্বিকারভাবে সিগারেট ফুঁকি; নেশা-সামগ্রী ব্যবহার করি যা আমাদের চিত্তবিক্ষেপের জন্য দায়ী। গাড়ি চালাতে চালাতে আমরা এমনভাবে আলাপ জুড়ে দিই যেন গাড়িতে নয়, নিজের ঘরে আছি। বিশেষজ্ঞদের মতে, গাড়ি চালাতে চালাতে মোবাইলে আলাপ দুর্ঘটনার আশঙ্কা চারশ গুণ বাড়িয়ে দেয়। এই তথ্য আমরা জানি না। আর জানলেও মানি না। আমরা আইন ভেঙে ফেলি; কারণ আমরা জানি যে, আইন ভাঙলে শাস্তি পেতে হয় না। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, শাস্তিহীনতার সংস্কৃতি আমাদের বেপরোয়া করে তুলেছে।

পথঘাট নির্মাণের ত্রুটি তো আছেই উপরি হিসেবে। একদিকে প্রকৌশলগত ত্রুটি; যেমন অন্ধবাঁক, অন্যদিকে সড়কের বিভিন্ন ভাইটাল পয়েন্টে সতর্ক নির্দেশনার অভাব। সাইন-সিগন্যাল, রোড মার্কিংএর কথা বলছি, যা প্রয়োজনমতো নেই। এগুলো নিয়মিত আপডেট করা বা পরিচর্যা করা কি জটিল কোনো কাজ? সড়ক ও জনপথ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এই কাজ যথাযথভাবে করেন না।

সব মিলিয়ে একটা হ-য-ব-র-ল অবস্থা। আমাদের দায়িত্বহীনতা, আমাদের ভুল, আমাদের আইন অমান্য করার দুর্নিবার প্রবণতা সড়ক, মহাসড়কগুলো করে তুলেছে মৃত্যুফাঁদ। যে ফাঁদে প্রতি বছর প্রাণ হারাচ্ছে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান। সরকার বলছে এ সংখ্যা অনেক কম, ৩ হাজারের মতো। হিসাবে কেন এই বিরাট ফারাক?

আসলে সড়ক দুর্ঘটনার সঠিক হিসাব পাওয়ার জন্য আজও আমাদের দেশে গ্রহণযোগ্য কোনো তথ্য-ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। শুধু পুলিশ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে হিসাব করা হয়। কিন্তু পুলিশ রিপোর্ট তৈরি হয় দুর্ঘটনার তাৎক্ষণিক পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বা আরও পরে আহতদের ভেতর থেকে যারা মারা যান তারা রিপোর্টে অন্তর্ভূক্ত হন না। ফলে বাস্তবতার সঙ্গে বিশাল তফাৎ তৈরি হয়ে যায়। এই তফাৎই এখন বাস্তবতা।

সরকারি হিসাব মতে গড়ে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা ৪০০০ ধরা হলেও, তার ২১ শতাংশ হচ্ছে ১৬ বছরের নিচের বয়সী শিশু। আজকের আলোচনার প্রাণকেন্দ্রে শিশুদের রাখতে চাই। কারণ, বাংলাদেশে ১০-১৪ বছর বয়সের শিশুদের অপঘাতে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। এর অর্থ, সড়ক শিশুদের জন্য উচ্চ পর্যায়ের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা হয়ে উঠেছে।

অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, শিশুরা কখনও পথচারী, কখনও সাইক্লিস্ট এবং কখনও গাড়ির যাত্রী হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়। তবে সবচেয়ে বেশি হয় পথচারী হিসেবে। গবেষণাটি বলছে, দুর্ঘটনায় যত শিশু মারা যায় তার শতকরা ৮০ ভাগই পথচারী হিসেবে, যাদের বয়স ৫ থেকে ১০ দশ বছরের মধ্যে। শিশু পথচারীদের প্রায় অর্ধেক মারা যায় রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় এবং প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ রাস্তা পার হতে গিয়ে।

ভারী যানবাহন বিশেষত বাস-ট্রাক প্রধানত দায়ী রাস্তায় শিশুদের হত্যা করার জন্যে। তবে বাইসাইক্লিস্ট হিসেবেও শিশুরা কিন্তু যথেষ্ট বিপন্ন; কারণ সড়ক দুর্ঘটনায় যত সাইক্লিস্ট মারা যান তার ১৬ ভাগ শিশু– ৪০০০ এর ২১ শতাংশ। সংখ্যাটা নেহাৎ কম নয়। দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ১৬ এপ্রিল সংখ্যায় 'গত বছর সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু দুর্ঘটনায়' শিরোনামে এক প্রতিবেদনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ২০১৪ সালে পত্রিকায় ছাপা হওয়া এক হাজার ৮৫টি খবর অনুযায়ী বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এক হাজার ৩৯৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদের ৫১৭ জনই মারা গেছে সড়ক দুর্ঘটনায়। নারায়ণগঞ্জ, যশোর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি শিশু মারা গেছে। সংখ্যাটা কি আঁতকে উঠার জন্য যথেষ্ট নয়?

২১ ফেব্রয়ারি, ২০১৫ রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার সংলগ্ন ঢালে সড়ক দুর্ঘটনায় দশ বছরের মামুন নিহত হয়। তার বাবা মোহাম্মদ আরিফ বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালী ফ্লাইওভারের ঢালে একটি গাড়ির ধাক্কায় সে আহত হয়। এরপর তাকে প্রথমে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে দুপুর ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

১০ এপ্রিল, ২০১৫ রাজধানীর কদমতলীর মাতুয়াইলে মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় শাকিলা এরশাদ ঝুমুর ও তার চার বছরের ছেরে হামিম নিহত হন। সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয় ঝুমুরের মেয়ে রিতু। শাকিলার স্বামীর ভাষ্য অনুযায়ী, তার স্ত্রী সকালে দুই সন্তানকে নিয়ে রিকশাযোগে মাতুয়াইলে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌছুলে একটি পিকআপভ্যান তাদের রিকশাটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তারা তিনজনই গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় দুই পথচারী তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রতিনিয়তই ঘটছে এ রকম দুর্ঘটনা। আর ঝরে যাচ্ছে অসংখ্য তাজা প্রাণের সঙ্গে বেশ কিছু তরুণ-প্রাণ। যে কোনো অপমৃত্যুই বেদনার। কিন্তু শিশুদের অপমৃত্যু যেন মেনে নেওয়া যায় না কোনোমতেই। শিশুরা জাতির ভবিষ্যত। আমাদের অবহেলার কারণে সেই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ অকালেই পতিত হবে মৃত্যুর অন্ধকারে, এর থেকে হৃদয়বিদারী আর কিছু হতে পারে না। মনে পড়ছে সেই মিরেশ্বরাই ট্রাজেডির কথা, যেখানে চালকের ভুলের কারণে প্রায় অর্ধশত নিষ্পাপ শিশুর প্রাণনাশ ঘটে। গোটা জাতি বেদনার্ত হয়ে উঠেছিল সে ঘটনায়।

সড়কে শিশুহত্যা কীভাবে ঠেকানো যাবে? গবেষণা বলছে, যে উপাদানগুলো সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে শিশুদের জড়িত করে ফেলে তার মধ্যে রয়েছে, চালক এবং শিশু উভয়েরই ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ; সড়কে শিশুদের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে যে প্রকৌশল-পদ্ধতি তার অপ্রতুলতা ও অকার্যকারতা; অপর্যাপ্ত শিক্ষা আর অসন্তোষজনক আইন-প্রয়োগ কাঠামো। শিশুদের সড়ক নিরাপত্তার শিক্ষা দেওয়া হলে তা দীর্ঘমেয়াদে প্রতিরোধ করতে পারে সড়ক দুর্ঘটনা, বাঁচিয়ে দিতে পারে অসংখ্য তরুণ-প্রাণ।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, শিশুদের জন্য সড়ক নিরাপত্তার শিক্ষা কী? এটি হচ্ছে এমন একটি দীর্ঘমেয়াদী শিখন-পদ্ধতি যা সড়কে শিশুদের আচরণ পাল্টে দিয়ে তাদের দুর্ঘটনায় পড়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস করতে পারে। এটা পুরোপুরি একটা বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি, যা শিশুর বয়োঃবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে তাকে তৈরি করে দেয় একজন নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী হিসেবে। এটা ঘটে এভাবে:

১. সড়ক এবং যানবাহন সম্পর্কে তার জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে;

২. সড়কে যানবাহনের উপস্থিতিতে নিজেকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে;

৩. নিজেদের নিরাপদ রাখতে নিজেদের দায়িত্বশীল হতে হবে, সেই সত্য বোঝার মাধ্যমে;

৪. সড়ক দুর্ঘটনার কারণ এবং ফলাফল সম্পর্কে জ্ঞানবৃদ্ধির মাধ্যমে এবং

৫. নিজেদের নিরাপত্তা এবং এবং একই সঙ্গে অন্যদের নিরাপত্তার প্রতি দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির মাধ্যমে।

একটি অলাভজনক আন্তর্জাতিক সংস্থা, গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি) রীতিমতো গবেষণা করে বের করেছে যে, একজন শিশু তার স্কুলজীবনের শুরু থেকে তার বয়স এবং উপলব্ধির ক্ষমতা অনুসারে ধাপে ধাপে কীভাবে সড়ক নিরাপত্তার পাঠ গ্রহণ করবে। এলোমেলো শিক্ষা তার জন্যে হিতে বিপরীত হতে পারে।

শূন্য থেকে চার বছর বয়সের শিশুরা নিজেদের দায়িত্ব নিতে পুরোপুরি অক্ষম। এই বয়সে তারা শুধু শিখবে যে, রাস্তায় বড়দের হাত ধরে রাখতে হবে। ফুটপাত অথবা রাস্তার কিনার ধরে হাঁটতে হবে। তাকে এটুকু বুঝতে হবে যে, রাস্তা তার জন্যে একটি বিপজ্জনক জায়গা, খেলাধুলার জায়গা নয়। পাঁচ থেকে সাত বছর বয়সী শিশুরা সাধারণত নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। এই সময় তারা দেখে এবং শুনে যানবাহনের গতিবিধি নির্ণয়, রাস্তা পার হওয়ার জন্য কারও সাহায্য গ্রহণ করা, সুবিধাসম্পন্ন জায়গায় রাস্তা পার হওয়া, নিরাপদে স্কুলে যাওয়া-আসা, দুর্ঘটনার কারণে সে আহত বা নিহত হতে পারে ইত্যাদি বিষয় শিখবে।

আট থেকে বার বছর বয়সী শিশুদের কাছ থেকে আশা করা হয় যে, তারা নিজেরাই সড়কে কিছু ঝুঁকি মোকাবেলা করবে। এই সময় তারা যা শিখবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ট্রাফিক বাতি, ট্রাফিক সংকেত, সড়ক চিহ্ন ইত্যাদি; যানবাহন পর্যবেক্ষণ করে তাদের গতিবেগের ভিন্নতা শনাক্তকরণ; বিরূপ আবহাওয়া, গাড়ির কন্ট্রোল এবং ব্রেকিং, দৃশ্যমানতা ইত্যাদি উপলব্ধি করা; এটা বোঝা যে, সড়কে সকল সড়ক ব্যবহারকারী সমানভাবে আইনকানুন মেনে চলে না; সড়কে শিশু, বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধীদের বিশেষ চাহিদার বিষয়ে ধারণা অর্জন; অন্য শিশুদের কাছে ভালো উদাহরণ তৈরি করা ইত্যাদি।

বার থেকে ষোলর বেশি বয়সের শিশুদের আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে 'খুদে পূর্ণবয়স্ক' হিসেবে দেখা হয়। তাই তাদের শিক্ষা-পদ্ধতি হবে ভিন্নতর। এ সময় তারা শিখবে গণপরিবহনে নিরাপদে চলাচলের পদ্ধতি; বাইসাইকেল চালনা, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুধাবন ও ঝুঁকি হ্রাসের উপায়; যানবাহনের গতি ও দূরত্ব বিবেচনা করা; মহাসড়কের আইনকানুন জানা এবং প্রাথমিক চিকিৎসায় করণীয়।

এই হচ্ছে সংক্ষেপে সড়ক নিরাপত্তা শিক্ষার সার্বিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে উপরের শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ সাজাতে হবে।

আমাদের পাঠ্যবইগুলোতে সড়ক নিরাপত্তা শিক্ষার সার্বিক চিত্র কী? প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সড়ক নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট পাঠগুলো বিশ্লেষণ করে সন্তোষজনক চিত্র মিলে না। বিভিন্ন শ্রেণিতে যে পাঠ যোজিত হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। জিআরএসপিএর নির্দেশনা অনুযায়ী এগুলে দেখা যে, প্রয়োজনীয় পাঠের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সংযোজিত হয়েছে মাত্র। তার মানে, সামনে অনেক পথচলা বাকি। বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভিন্ন বইয়ে সড়ক নিরাপত্তার পাঠ সংযোজনের প্রক্রিয়া চলছে, এ কথা সঠিক। কিন্তু গতি অত্যন্ত শ্লথ।

এ কথা অনস্বীকার্য যে, শিশুদের অকালমৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে এবং একটি দায়িত্বশীল ও সড়ক নিরাপত্তার প্রতি সংবেদনশীল জাতি গড়তে সড়ক নিরাপত্তা শিক্ষার বিকল্প নেই। তাই গতি বাড়ানো ছাড়া গত্যন্তরও নেই।

অপূর্ব সাহা: ব্যবস্থাপক, ব্র্যাক সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি।