Published : 19 Feb 2014, 09:08 PM
আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা কর্তৃক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামীপক্ষের এক সাক্ষীকে (যিনি পূর্বে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ছিলেন) অপহরণের অভিযোগ বিষয়ক আমার একটি ব্লগ সম্পর্কে, বিডিনিউজের মতামত-বিশ্লেষণ বিভাগে ৯ জানুয়ারি, ২০১৪ তে ওমর শেহাবের "সুখরঞ্জন বালীর খোঁজে" শীর্ষক প্রবন্ধটি আমার জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা ও মানহানির দায়ে জরিমানার উৎস হতে পারত।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমার মনে হয় না যে, বাংলাদেশে কেউ কখনও আদালত থেকে এমন কোনো আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ পেয়েছে। তাই আমি ওমরের প্রবন্ধের জবাব এখানেই দিচ্ছি।
[ওমর শেহাবের প্রবন্ধের লিংক–
এই প্রবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে আমি সাক্ষী অপহরণের কাহিনি অতিরঞ্জিত করার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও এতে অনেক ত্রুটি ও সত্যগোপনের উদাহরণ রয়েছে। সব মিলিয়ে লেখাটি যথেষ্ট বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী।
ওমর শেহাবের মূল অবস্থান বেশ স্পষ্ট– দেলোয়ার হোসেইন সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাইরে আসামীপক্ষের আইনজীবীর গাড়ি থেকে অপহৃত হননি; তার অপহরণ নাটকের এই ষড়যন্ত্রে জামায়াতে ইসলামী জড়িত এবং আমিও এই ষড়যন্ত্রের একটি পক্ষ।
বালী নিজে কী বলছেন
বালী নিজে বলেছেন যে, তিনি বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক ট্রাইব্যুনালের বাইরে থেকে অপহৃত হয়েছিলেন।
ঠিক আছে, জামায়াতের আইনজীবীদের অভিযোগে বিশ্বাস না করুন এবং যদি চান আমার সাংবাদিকতাও বিশ্বাসযোগ্য মনে না করুন– ওমর (এবং অন্যরা) অন্তত বালীর কথায় বিশ্বাস করতে চাইতে পারেন! নাকি এমন কোনো সাক্ষ্যই নেই যেটাতে তারা বিশ্বাস করবেন!
২০১৩ সালের শুরুর দিকে বালী প্রথম তার অপহরণের কথা বিস্তারিত জানান। এর এক অংশ 'নিউ এইজ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। বালী এই একই কথা তার আইনজীবীদের মাধ্যমে ভারতের সুপ্রিম কোর্টেও বলেছেন। তিনি এটি বলেছিলেন ভারতে তার আশ্রয়প্রার্থনার একটি আবেদনে যেটি এখন ভারত সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। একই সঙ্গে পাঠক এটিও লক্ষ করে থাকবেন যে, বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী পক্ষের বেশ ক'জন সমর্থক ও কর্মীকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষ্য
ট্রাইব্যুনালের গেটের বাইরে থেকে বালীর অপহৃত হওয়া সম্পর্কে তার নিজের দাবি বা বক্তব্য অপহরণের ৫ দিন পরে আমার প্রাথমিক ব্লগপোস্টের লেখায় আরও জোরদারভাবে সমর্থন করে। ১০ নভেম্বর আমি লিখেছিলাম–
''যদিও এই অপহরণের কোনো স্বাধীন সাক্ষী নেই– ঘটনার প্রেক্ষাপটগত পরিস্থিতি, সরবরাহকৃত প্রাসঙ্গিক বিস্তারিত বর্ণনা এবং পুলিশের যে গাড়িতে বালীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে, তার আলোকচিত্রের আলোকে বিবেচনা করলে ঘটনাটি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।''
ওমরের প্রবন্ধ অনুযায়ী, আমি অপহরণের অভিযোগ বিশ্বাস করার আগে এটি লক্ষ করছি না যে ঘটনাটির একমাত্র সাক্ষী জামায়াতের আইনজীবী এবং এ দলের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি খবরের কাগজে কর্মরত ব্যক্তিরা। মূল প্রবন্ধ পড়লে এটি যে কেউ স্পষ্টভাবে দেখতে পাবেন যে তার বক্তব্য সত্য থেকে অনেক দূরে। সে পোস্টে আমি লিখেছিলাম–
"বর্তমানে প্রাপ্তিসাধ্য একমাত্র সাক্ষী হচ্ছে আসামীপক্ষের আইনজীবীর দল, তাদের গাড়ির চালক এবং আসামীপক্ষের উদ্দেশ্যের প্রতি সহানুভূতিশীল একটি পত্রিকার দুজন সাংবাদিক। স্বাধীন সাক্ষ্য ব্যতিরেকেও এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, বালী সত্যিই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের বাইরে থেকে পুলিশ কর্তৃক অপহৃত হয়েছিলেন।"
এরপর আমি ব্যাখ্যা করি কেন আমি এমনটি ভেবেছিলাম–
"আলোকচিত্রগুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ–
ক) ১ নম্বর ছবির গাছটি– গেটের বাইরে যে গাছটির সামনে থেকে বালীকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে সাক্ষী দাবি করছেন সেটি আসল গাছটির সঙ্গে মিলে যায়;
খ) ১ এবং ২ দুটো ছবিতেই পুলিশের গাড়ির গতিমুখ রাস্তার দিকে ছিল যাতে মনে হয় যে এটি ট্রাইব্যুনালের ভেতর থেকেই আসছে, সাক্ষীরা যেমনটি সাক্ষ্য দিয়েছেন;
গ) আরও দুটো ছবি রয়েছে যেখানে দুজন সাক্ষী শহিদুল ইসলাম এবং গোলাম আজম অপহরণের স্থানে ছিলেন বলে দেখা যাচ্ছে, এগুলো অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্য।''
"স্বাধীন সাক্ষ্য ছাড়া, উক্ত অপহরণ ঘটনা সংঘটনের সম্ববত আর কোনো শক্তিশালী প্রমাণ নেই। এটিও লক্ষ্যণীয় যে, সে সময় উপস্থিত দুজন সাংবাদিকই 'সংগ্রাম' পত্রিকায় কর্মরত। তবে বিস্তারিত সাক্ষ্য ও আলোকচিত্র থেকে বোঝা যায় যে আসামীপক্ষের সাক্ষী ট্রাইব্যুনালের গেটের বাইরে থেকে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা কর্তৃক অপহৃত হয়েছিলেন।"
আমি অত্যন্ত স্পষ্ট করেই বলেছিলাম যে, স্বাধীন সাক্ষ্যের অভাবে অপহরণের অভিযোগ সম্পর্কে কোনো উপসংহারে উপনীত হওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তবে তখন এটি আমার ধারণা ছিল। এখন (বালীর নিজের সাক্ষ্য অপহরণ ঘটনার সমর্থন করছে) দেখা যাচ্ছে যে, অপহরণের অভিযোগটি বিশ্বাসযোগ্য ছিল। সাক্ষাৎকারে প্রদত্ত বিস্তারিত বর্ণনা (যার সবগুলোই পৃথকভাবে সংগৃহীত হয়েছে), প্রদত্ত সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতা এবং আলোকচিত্রসমূহের সমর্থন।
বালীর স্ত্রীর সাক্ষ্য
এক সপ্তাহ পরে আমি পিরোজপুরে যাই এবং বালীর স্ত্রী সাক্ষাৎকার গ্রহণ করি। ওমর এটি উল্লেখ করেছেন, কিন্তু এটি বলতে ব্যর্থ হছেন যে, বালীর স্ত্রীর সাক্ষ্য আসামীপক্ষের আইনজীবীদের দাবি সমর্থন করে এবং তিনি ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে ঢাকায় গিয়েছিলেন।
আমি আমার ব্লগপোস্টে সাক্ষাৎকারটি (যাতে কথোপকথনের একটি প্রতিলিপি প্রদান করা হয়েছিল) সম্পর্কে বলেছিলাম–
"সাক্ষাৎকারটি বালির অপহরণের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিষয় সমর্থন করে–
ক) বালী ঢাকায় গিয়েছিলেন;
খ) ৫ তারিখ সকালে যখন বালী তার স্ত্রীকে ফোন করেন তখন তিনি ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার পথে ছিলেন;
গ) বালী স্বেচ্ছায় সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে যাচ্ছিলেন;
ঘ) বালী তখন থেকে নিখোঁজ, তার পরিবার ৫ তারিখের পর থেকে আর কোনো ফোন কল পায়নি।''
প্রেক্ষাপটগত পরিস্থিতি
আমার সে সময় উক্ত ধারণায় উপনীত হওয়ার একটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ ছিল ঘটনার প্রেক্ষাপটগত পরিস্থিতি, যেটি আমি ব্লগে লিখেছিলাম।
দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে, ওমর তার প্রবন্ধে এটি উল্লেখ করেননি যে, আসামীপক্ষ কীভাবে বালীকে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য কয়েক সপ্তাহ যাবত চেষ্টা করে যাচ্ছিল এবং বালীকে আদালতে উপস্থিত করাতে তাদের স্বার্থ জড়িত ছিল এবং কেন তাকে আদালতে আনা প্রতিহত করাতে রাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত ছিল।
বালী মূলত ১৯৭১ সালে তার বড় ভাইয়ের মৃত্যু-সম্পর্কিত বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে তালিকাভূক্ত ছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত একটি লিখিত জবানবন্দীতে তিনি জানান যে, বালী অভিযোগ করেছেন যে, সাঈদী তার ভাইকে হত্যার নির্দেশ দেন। এরপর ২০১২ সালের মার্চ মাসে বেশ কয়েকটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয় যেখানে বালী বলেন যে, সাঈদী তার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং তিনি এ ধরনের কোনো জবানবন্দী কখনও প্রদান করেননি।
রাষ্ট্রপক্ষ বালীকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আদালতে নিয়ে আসেননি। তারা বলেন যে বালী নিখোঁজ ছিলেন। সে সময় আসামীপক্ষ দাবিটি নাকচ করে দেন। ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর আসামীপক্ষ ট্রাইব্যুনালে বালীকে আসামীপক্ষের সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত করার জন্য একটি আবেদন জমা দেন। আবেদনে বলা হয়–
"মামলায় উত্থাপিত ঘটনা সম্পর্কে সুখরঞ্জন বালীর প্রত্যক্ষ জ্ঞান রয়েছে। মামলার অভিযোগ নম্বর ১০ অনুযায়ী, আসামীর নির্দেশে নিহত বিশাবালী তার ভাই। তাই আসামীপক্ষের সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সুখরঞ্জন বালীকে আদালতে উপস্থিত করার জন্য সমন জারি করা প্রয়োজন।"
২৩ অক্টোবর আবেদনপত্রটির শুনানি হয় এবং ট্রাইব্যুনাল বলেন যে, কোনো সমন জারি করা হবে না, তবে আসামীপক্ষ যে কোনো সাক্ষীকে নিয়ে আসতে পারে। এটি লক্ষ্যণীয় যে, রাষ্ট্রপক্ষের সকল সাক্ষীর জন্য ট্রাইব্যুনাল সমন জারি করেন।
দুদিন পর, ট্রাইব্যুনাল আসামীপক্ষকে মামলাটি বন্ধ করতে বলেন এবং ৫ নভেম্বর, ২০১২ এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে মামলাটির উপসংহার টানতে বলা হয়। আসামীপক্ষ তাই ৩১ অক্টোবর, ২০১২ তে রাষ্ট্রপক্ষ কর্তৃক মামলাটির উপসংহার টানার আগে বালীকে (এবং আরেকজন সাক্ষীকে) আদালতে সাক্ষ্য দেবার জন্য উপস্থিত করার অনুমতি চান।
ট্রাইব্যুনাল বলেন যে, তিনি ৪ নভেম্বরে আবেদনটি শুনবেন। আসামীপক্ষের আইনজীবীদের কথা অনুযায়ী, বালীকে সেদিন ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তিনি সারাদিন আসামীপক্ষের রুমে ছিলেন। তবে ট্রাইব্যুনাল আবেদনটি শুনেননি। আসামীপক্ষ আরও দাবি করেন যে, পরের দিন সকালে তাকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যাওয়া হয়; একমাত্র যেদিন তার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করা সম্ভব হত, সেদিন তিনি অপহৃত হন।
এটি স্পষ্ট যে আসামীপক্ষের স্বার্থেই বালীকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। ভিডিওতে প্রদত্ত সাক্ষ্য অনুযায়ী, তিনি হয়তো সাক্ষ্য দিতেন যে সাঈদী তার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং তদন্ত কর্মকর্তার মন্তব্য মিথ্যা ছিল। রাষ্ট্রপক্ষ বেপরোয়াভাবে চেয়েছিলেন যেন এটি ঘটতে না পারে।
সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ
রাষ্ট্রপক্ষ, পুলিশ এবং ট্রাইব্যুনাল কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকেই অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। কর্তৃপক্ষের একটি অন্যতম ব্যর্থতা ছিল সে দিনের এবং তার আগের দিনের সিসিটিভি ফুটেজ অনুসন্ধানের অনুমোদন দিতে ব্যর্থ হওয়া, যাতে অপহরণের অভিযোগটির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারত। এর মধ্যে আদালতের ভিতর থেকে পুলিশ ভ্যানের গতিমুখের উদাহরণটিও অন্তর্ভুক্ত।
আমি সে সময় যেমনটি বলেছিলাম যে, সিসিটিভি ফুটেজের একটি যথাযথ অনুসন্ধানের অনুমোদন দিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থ হওয়া অত্যন্ত ইঙ্গিতবহ।
বিবিসির প্রবন্ধ
ওমর তার লেখায় বলেছেন যে, বিবিসির একটি প্রবন্ধে 'নিউ এইজ'-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের 'অসত্যতা' নিশ্চিত করা হয়েছে। ব্যাপারটি মোটেও সে রকম নয়। সত্য হল এই যে, বিবিসির প্রবন্ধটির ব্যাপারে আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে একজন কর্মকর্তা আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে, "আমাদের উৎসগুলো আপনার প্রতিবেদনে উল্লিখিত বালী কর্তৃক বাংলাদেশে একটি বার্তা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, তবে কীভাবে তা পাঠানো হয়েছিল তা নিয়ে পার্থক্য রয়েছে"।
বিবিসিকে প্রদত্ত কোনো এক কারা কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়ে বার্তাটি পাঠানোর যে দাবি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারা কর্মকর্তা করেছিলেন সেটি অবশ্যই মিথ্যা। বালির বক্তব্যটি নিয়ে আসার সঙ্গে ঠিক কারা জড়িত ছিলেন তা আমি জানি। সেখানে কোনো আর্থিক লেনদেন ছিল না এবং এটি আইনসিদ্ধ পন্থায় করা হয়েছিল।
এটিও লক্ষ্যণীয় যে, বিবিসি কর্মকর্তা স্বীকার করেছিলেন যে উক্ত প্রবন্ধটিতে সমস্যা ছিল–
"আমি মনে করি না যে বিবিসি বাংলা লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে… প্রেক্ষাপটের অনুপস্থিতি সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক… আমি দেখতে পেয়েছি যে আপনার অভিযোগ আংশিকভাবে গৃহীত হয়েছে। পাঠকের কাছে সম্পূর্ণ ও স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরতে প্রবন্ধটিতে আরও অনেক বেশি ব্যাখ্যা ও প্রেক্ষাপট প্রদান করা উচিত ছিল।"
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ওমরের পক্ষপাতদুষ্ট, হানিকারক ও বিভ্রান্তিমূলক প্রবন্ধটি সম্পর্কেও একই বা আরও বেশি কথা বলা যেতে পারে।
এই প্রবন্ধের মূল ইংরেজি সংস্করণ নিম্নোক্ত লিংকে পাওয়া যাবে–