১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২
আনন্দ শোভাযাত্রা নামে শুরু হয়ে মঙ্গল শোভাযত্রায় রুপান্তরের গল্প বললেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
বাংলা নববর্ষ কখনোই কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের অনুষ্ঠান ছিল না। এটি ছিল কৃষিনির্ভর সমাজের চক্রাকার জীবনের ছন্দ মেনে তৈরি হওয়া এক সময়চিত্র।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পাহাড় থেকে সমতলজুড়ে বাংলাদেশ মেতে উঠবে উৎসবে; নতুন রাঙা দিনের প্রত্যয়ে স্বাগত জানাবে ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে।
আগুনে পোড়া ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ নতুন করে বানিয়ে নেয়া হবে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায়। রাতের মধ্যেই সব প্রস্তুতি শেষ করার আশা শিল্পীদের। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সজাগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।
শোভযাত্রা শুরু হবে সকাল ৯টায়; চারুকলা থেকে শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর ঘুরে শেষ হবে সেই চারুকলায়।
"মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা হবে। আমরা এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি না। চারুকলার শিক্ষার্থীদের মতামত ছাড়া এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
“সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা যাওয়া সন্দেহভাজন যুবককে শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি,” বলেন ওসি।
বর্ষবরণের শোভাযাত্রাকে কেবলমাত্র ‘আনন্দ’ হিসেবে দেখার ভেতর দিয়ে দেশের গ্রামীণ নিম্নবর্গ এবং বৈচিত্র্যময় জাতিসত্তার সংস্কৃতির সাথে যোজন যোজন দূরত্বই জারি থাকে। কোনো বহুত্ববাদী অন্তর্ভুক্তি ঘটে না।