ম্যাচের আগেই পারিশ্রমিক পেয়ে যাওয়ায় সহজাত ক্রিকেট খেলা সহজ হয়েছে জানালেন দুর্বার রাজশাহীর জয়ের নায়ক সানজামুল ইসলাম।
Published : 17 Jan 2025, 09:27 PM
ম্যাচ সেরা হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকেই সানজামুল ইসলামের মুখ থেকে হাসি আর সরে না। মাঠের অন্য প্রান্তে সংবাদ সম্মেলনে আসার পুরোটা পথই উজ্জ্বল তার চোখ-মুখ। নিজের জন্মদিনে দলকে জেতানো তো বটেই, দুর্বার রাজশাহীর বাঁহাতি স্পিনারের আনন্দ পারিশ্রমিক নিয়ে শঙ্কার মেঘ সরে যাওয়াতেও।
গত কয়েকদিন ধরে পারিশ্রমিক সমস্যা নিয়ে টালমাটাল ছিল দুর্বার রাজশাহী। এমনকি এক দিন অনুশীলনও বয়কট করেন ক্রিকেটাররা। সেই সমস্যার সমাধান পেয়ে শুক্রবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হয় তারা। প্রতিশ্রূতি অনুযায়ী ২৫ শতাংশ অর্থ নগদ ও ২৫ শতাংশ অর্থের চেক দেওয়া হয় ক্রিকেটারদের।
পারিশ্রমিকের অর্থ পেয়ে যাওয়ার স্বস্তি নিয়ে খেলতে নেমে সিলেটকে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দেয় রাজশাহী। দাপুটে ব্যাটিং-বোলিংয়ে নিজেরা ১৮৪ রান করার পর সিলেটকে অলআউট করে দেয় মাত্র ১১৯ রান।
প্রায় ১৫ বছর ও ৮৬ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৩ উইকেট নিয়ে সানজামুল পান ম্যাচ সেরার পুরস্কার। পরে সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে প্রথম প্রশ্নই হয়, পারিশ্রমিক পেয়ে যাওয়াতেই এই সাফল্য কিনা? চওড়া হাসিতে সায় দিয়ে দলের সবাইকে কৃতিত্ব দেন সানজামুল।
“পারিশ্রমিক তো অবশ্যই প্রয়োজন। এর সঙ্গে আজকে চারজন বিদেশি নিয়ে খেলেছি। মানে পূর্ণ শক্তির দল, যতটুকু ভারসাম্যপূর্ণ করা যায়। শক্তি অনুযায়ী আমরা আজকে মাঠে নামতে পেরেছি আর সবাই যার যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে ঠিকঠাক। এজন্য আমরা জিততে পেরেছি।”
চট্টগ্রামে আসার পর প্রথম দিন বিশ্রামে কাটায় রাজশাহী। পরে বুধবার অনুশীলন রাখা হলেও পারিশ্রমিক না পাওয়ায় সেদিন টিম হোটেল থেকে মাঠে যেতে রাজি হননি ক্রিকেটাররা। এমনকি বৃহস্পতিবারের মধ্যে পারিশ্রমিক সমাধান না পেলে পরের ম্যাচ বয়কট করার হুমকিও দেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর থেকে পারিশ্রমিক পরিশোধ শুরু করে রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি। এমনকি ম্যাচের দিন সকালেও দেওয়া হয় কয়েকজন ক্রিকেটারের টাকা। ম্যাচের আগে পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলা স্বাভাবিকভাবেই রাজশাহীর ক্রিকেটারদের মাঝে নেতিবাচক অনুভূতির জন্ম দিয়েছে।
তবে মাঠে নামার আগেই পারিশ্রমিক পেয়ে যাওয়ায় চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পেরেছেন জানান সানজামুল।
“এটা (পারিশ্রমিক না পাওয়া নিয়ে চাপ) তো অবশ্যই কাজ করে। তবে যখন মাঠে চলে আসি, সবকিছু ভুলেই আসতে হয়। আমাদের কাজ তো পারফর্ম করা, মাঠে খেলা। ম্যাচের জন্য আসার আগেই পারিশ্রমিক পেয়ে যাওয়ায় চাপটা সরে গেছে। চাপটা আর থাকেনি। আমরা সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি।