“আগুন ছড়িয়ে পড়লে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত; কারণ প্লাস্টিক, লেদারসহ দাহ্য বস্তুর কারখানা ছিল ভবনটিতে,” বলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম।
Published : 17 Jan 2025, 09:13 PM
ঢাকার হাজারীবাগে ট্যানারি কাঁচাবাজার এলাকায় আগুন লাগা সাততলা ভবনটিতে প্লাস্টিক ও চামড়াসহ ‘দাহ্য বস্তুর’ কারখানা থাকলেও সেখানে ‘অগ্নি সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা ছিল না’ বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
বাহিনীর পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছেন, “ভবনটি বেশ পুরনো। দাহ্য পদার্থ থাকার পরেও ফায়ার সেইফটি প্ল্যান বলতে কিছু ছিল না। কয়েকবার নোটিস দেওয়া হয়েছিল ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে।”
শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ভবনটির পঞ্চম তলায় আগুন লাগে, যা ষষ্ঠ ও সপ্তাম তলাতেও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় বিকাল পৌনে ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুন কেউ হতাহত হয়নি জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, “আগুন ছড়িয়ে পড়লে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত। কারণ প্লাস্টিক, লেদারসহ দাহ্য বস্তুর কারখানা ছিল ভবনটিতে।
“আমরা ভয় পাচ্ছিলাম এখানে ঘিঞ্জি এলাকা, আগুন বিস্তার লাভ করলে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটত। সেটি আমরা রোধ করতে পেরেছি, যা বড় সফলতা।”
ট্যানারি কাঁচাবাজার এলাকার আগুন লাগা ওই ভবনটির কাছে যেতেও বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
সরু সড়ক, গা ঘেঁষে ঘেঁষে দাঁড়ানো ভবন, উৎসুক মানুষের ভিড় আর পানির সংকটের কারণে ফায়ার সার্ভিস পুরো সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারেনি বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “সব ইকুইপমেন্ট এখানে আনা সত্ত্বেও আমরা কাজ করতে পারিনি। এখানকার রাস্তা অনেক ছোট, ভবন একটির সঙ্গে আরেকটি লাগানো। আমরা ১৩টি ইউনিট এনেছিলাম, কিন্তু সব ইউনিট কাজ করতে পারেনি।”
আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আগুনের সূত্রপাত এখনও বের করা যায়নি। তবে শর্টসার্কিট কিংবা সিগারেটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তদন্তের পর আসল কারণ জানা যাবে।”