প্রশাসনের দলীয়করণ বনাম নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা

আকবর আলি খান
Published : 15 Jan 2013, 06:11 AM
Updated : 15 Jan 2013, 06:11 AM

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা হলেও, একে দিয়ে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব কিনা সে ব্যাপারে যথেষ্ট প্রশ্ন থাকার কারণ রয়েছে। প্রথমে এটা মনে রাখতে হবে যে, নির্বাচন কমিশনকে যখন শক্তিশালী করার কথা বলা হচ্ছে তার মানে এখানে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। যে সমস্যাগুলো রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হল, প্রশাসনের দলীয়করণ এবং রাজনৈতিক কাজে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ব্যবহার। নির্বাচনের সময় প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এ বিপুল সংখ্যক লোককে সুষ্ঠুভাবে তত্ত্বাবধান করা সম্ভব কিনা এটা আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশন এসব কর্মকর্তা-কর্মচারির নিয়োগকর্তা নয়। ফলে এরা যদি কমিশনের কথা না শোনে তাহলে কমিশনের পক্ষে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা সীমিত।

নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার প্রসঙ্গে অনেকেই ভারতের উদাহরণ টেনে আনেন। বুঝতে হবে যে, ভারতের সঙ্গে আমাদের বেশ কয়েকটি জায়গায় পার্থক্য রয়েছে। প্রথমত, ভারতের সরকার ব্যবস্থা ফেডারেল কাঠামোতে আবদ্ধ। ওখানে পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন প্রাদেশিক সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রায়শই দেখা যায়, ভিন্ন ভিন্ন দল প্রাদেশিক ও ফেডারেল সরকার গঠন করেছে। পশ্চিমবঙ্গে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায়, দিল্লিতে সেখানে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন সরকার। ফলে পুলিশ ও প্রশাসনে এমনিতেই একটি চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্স আছে।

দ্বিতীয়ত, এর চেয়েও বড় কথা, ভারতে ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস) বলে একটি সার্ভিস আছে যার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা সম্পূর্ণভাবে ফেডারেল সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন। প্রাদেশিক সরকারগুলো এদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এরা মোটামুটি নিরপেক্ষ বলেই পরিচিত। ফলে এভাবেও একটি চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্স সেখানে আছে।

তৃতীয়ত, আমাদের দেশে যেভাবে রাজনৈতিক বিচেনায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, ভারতের কোথাও তা সম্ভব নয়। সেখানে প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হলেও আমাদের দেশের মতো এত ব্যাপকভাবে হয়নি। এর কারণ সেখানে ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকারের টানাপড়েন। তবে সেখানকার রাজনীতিবিদরাও তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। ভারতের খুব কম মন্ত্রীর মুখেই আপনি শুনবেন যে তারা দলের লোকদের নিয়োগ দিতে চান। সেখানে একেবারে যে কিছু হয় না, তা নয়। অনেক বড় দেশ সেটি, নানা প্রদেশে নানা ধরনের সংস্কৃতি রয়েছে। তবে আমাদের মতো এত ব্যাপক দলীয়করণের কোনো সুযোগই সেখানে নেই। তাই সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এরা সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকেন না।

সে সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে, ভারতে মাঝে মাঝে প্রাদেশিক সরকারের নির্বাচনে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মতো ব্যবস্থারও নজির দেখা গেছে। সাধারণত কোনো প্রাদেশিক সরকার প্রশাসনে খুব বেশি রাজনীতিকরণ করে ফেললে, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ওই সরকার ভেঙ্গে দিয়ে গভর্নরের নেতৃত্বে ক'জন উপদেষ্টার সমন্বয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে। এ সরকারই পরে নির্বাচন পরিচালনা করেছে এমন উদাহরণ আছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ও পাঞ্জাবে এমন ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আরও অসংখ্য প্রদেশে অনেকবার এ ধরনের সরকার গঠনের উদাহরণ আছে।

আমাদের দেশের অবস্থা ভারতের চেয়ে পুরোপুরি ভিন্ন। কিছুদিন আগেও এক উপদেষ্টা আমাদের জানিয়েছেন যে, 'আগের সরকার তাদের লোকদের নিয়োগ দিয়েছে, আমরা আমাদের লোকদের দেব।' যখন কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারি কর্মজীবন শুরুই করেন রাজনৈতিক দলের অনুগ্রহে বা অনুকম্পায়- তার পক্ষে নিরপেক্ষ থাকা অসম্ভব। দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশে ফেডারেল রাষ্ট্রকাঠামো নেই। তৃতীয়ত, ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনস্ট্রেটিভ সার্ভিসের মতো কোনো সার্ভিসও নেই। তাই এখানে ক্ষমতার ক্ষেত্রে কোনো রকম চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকে না।

এসব দিক চিন্তা করেই পাকিস্তানে ছ'সাত বছর আগে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ করে দেওয়া হয়েছে। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল সরকারের নির্বাচন অনেকাংশে পরিচালনা করে অঙ্গরাজ্যগুলোর নির্বাচন কমিশন। বাকি বিশ্বে যেখানেই সংসদীয় গণতন্ত্র চালু আছে সেখানেই ফেডারেল রাষ্ট্রীয় কাঠামো রয়েছে। ফলে সেখানে এমনিতেই একটা চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্স থেকে যাচ্ছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা থাকে কেবল সেসব দেশে যেখানে অত্যন্ত শক্তিশালী কেন্দ্রীভূত সরকার রয়েছে। বাংলাদেশের প্রশাসনের প্রকৃতি ভিন্ন। এখানে একককেন্দ্রিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সরকারের আর কোনো স্তর নেই যেখানে ক্ষমতা ভাগ হয়ে যায়। এদিক থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে কেবল তুলনীয় হতে পারে বিলেতের প্রশাসনের। কিন্তু সেখানকার রাজনীতি ও প্রশাসনে দীর্ঘদিনে যেসব নর্মস বা আচার-আচরণ গড়ে উঠেছে তার সঙ্গে আমাদের তুলনা হতে পারে না। তাছাড়া বিলেতের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা অনেক বেশি। সুতরাং এখানে একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী থাকলে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন তাঁর সঙ্গে পেরে উঠবে না।

আমাদের এখানে গত চল্লিশ বছরে প্রশাসনে সবচেয়ে বেশি দলীয়করণ হয়েছে। এটা করা হয়েছে প্রথমত নিয়োগের মাধ্যমে। এমনকি পাবলিক সার্ভিস কমিশসনে সদস্য ও চেয়ারম্যান হিসেবে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যাদের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনগুলোর ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এবং এভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ফলে যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সে সরকারের কর্মীদের বিপুলভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ অভিযোগ এমনকি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারেও রয়েছে। একবার জানা গেল যে, কমিশনে শুধুমাত্র ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আবার শোনা গেল, কমিশনে শুধুমাত্র ছাত্রদলের কর্মীদের নিযোগ দেওয়া হয়েছে। এটি হল একটি পর্যায় যেখানে নিয়োগের মাধ্যমে দলীয়করণ হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায় হল পদোন্নতি ও পদায়ন। এসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।

এর ফলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একা নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সংবিধানেও বলা হয়নি যে, কমিশন সরকারের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। সুতরাং সরকারকে একটি সহায়ক শক্তি হিসেবে থাকতে হবে।

প্রথম কথা হল, নির্বাচন কমিশনে সরকারের বিকল্প হতে পারে না। বরং কমিশন সরকারের সহযোগী হয়ে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সাহায্য করতে পারে। তার মানে, কমিশন শুধু রেফারির দায়িত্ব পালন করবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনে সরকারের একটি ভূমিকা থাকে। সে ভূমিকা নিরপেক্ষ করতে হলে নির্দলীয় সরকার দরকার। সেটা সম্ভব না হলে সবার আস্থাভাজন সরকার থাকতে হবে।

এর জন্য যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারই গঠন করতে হবে তা নয়। যদি নির্বাচিত সরকার সবার আস্থা অর্জন করতে পারে তবে সমস্যা নেই। আমাদের দেশে যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সেটিই পুরোপুরি দলীয় সরকার হয়ে যায়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দল ও সরকারের মধ্যে যে তফাত রয়েছে সেটা তারা ভুলে যান। যে বা যারাই সাংবিধানিক বিভিন্ন পদে (যেমন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সাংসদ) নিযুক্ত হন তাদের কিন্তু শপথ নিতে হয় এভাবে যে, তিনি বা তাঁরা কারও প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবেন না।

কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে তাঁরা বলেন যে, দলীয় লোকদের তাঁরা নিয়োগ দেবেন। এর মাধ্যমে কিন্তু উনারা শপথ ভঙ্গ করেন। সংবিধান তাঁদের এ ক্ষমতা দেয়নি। তাঁরা কারও প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কাউকে নিয়োগ বা পদোন্নতি দিতে পারেন না বা কাউকে এ থেকে বঞ্চিত করতে পারেন না। তবু আমাদের দেশে এটা হরহামেশাই ঘটছে। প্রতিটি সরকারই এ কাজ করছে। এমনকি আমাদের দেশে প্রশাসনের দলীয়করণ সামরিক সরকারের আমলেও ছিল। কারণ ওই সরকারগুলো রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করেছে।

এজন্যই নির্বাচন প্রসঙ্গে আমি সবার বিবেচনার জন্য চারটি ফর্মূলা দিয়েছিলাম। এগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। একটি ফর্মূলার জন্য সংবিধান সংশোধন না করেও নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা যায়। আর দুটি ফর্মূলার জন্য সংবিধান সংশোধন করা দরকার। এ তিনটি ফর্মূলার বাইরে চতুর্থটির জন্য গণভোটের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

আমার ফর্মূলাগুলোর ব্যাপারে বিরোধী দল এখনও কিছু বলেনি। তবে সরকার সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাতে কোনো সমস্যা নয়, সমস্যা হল সরকারের নিজস্ব ফর্মূলাটি কী সেটা জানা দরকার। আমার মতে, ফর্মূলা চারটি নয়, চারশ'টি হতে পারে। আমার ফর্মূলা নিয়ে দু'দলের মধ্যে আলোচনার কোনো সুযোগও আমি দেখছি না।

যাহোক, আমাদের দেশের প্রশাসনের এককেন্দ্রিকতার জন্যই এখানে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকে না, কোনোরকম চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্স নেই। এটা সম্ভব হত ফেডারেল রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে। আমরা যেহেতু সেদিকে যাইনি তাই স্থানীয় প্রশাসনকে শক্তিশালী করা উচিত ছিল। আমাদের সংবিধানেই আছে নির্বাচিত জেলা কাউন্সিলের কথা। আমরা যদি স্বাধীন ও শক্তিশালী জেলা কাউন্সিল গঠন করতে পারি তাহলে তা প্রাদেশিক সরকারের বিকল্প হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে পুলিশের অনেক কাজ কিন্তু নির্বাচিত জেলা পরিষদ সরকারের অধীনে চলে যেত। যুক্তরাষ্ট্রে এ ব্যাপারে দারুণ একটি উদাহরণ রয়েছে। সেখানে নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের অধীনে আলাদা পুলিশ থাকে। ফেডারেল সরকারের পুলিশ, স্টেট পুলিশ ও সিটি কাউন্সিলের পুলিশ ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব পালন করে। প্রত্যেক বিভাগের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করা আছে। ফলে সবার কাজে সমন্বয় থাকে। আমরা সেভাবে ভাবতে পারি। আর আমাদের নির্বাচিত জেলা পরিষদের একেকটিতে একেক দলের সরকার থাকলে সেটাও চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্সের কাজ করবে। এভাবে জেলা পরিষদ শুধু নয়, উপজেলা পরিষদগুলোকে কিছু ক্ষমতা দিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদগুলোতেও আবার কিছু ক্ষমতা কেন্দ্রিভূত হবে।

এভাবে ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণ করা হলে, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় একটা ভারসাম্য থাকবে। আমাদের দেশে এখন উপজেলা পরিষদ বা ইউনিয়ন পরিষদগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের 'শাখা' হিসেবে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় সরকার যা বলছে ওরা তাই পালন করছে মাত্র। স্থানীয় সরকারের মানে হল, এরা স্বাধীনভাবে বা স্থানীয় প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করবে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নয়। কিন্তু আমরা এটা করতে পারিনি।

আমরা যদি সংবিধান মেনে স্থানীয় সরকার গঠন করি সেক্ষেত্রে এ সরকারগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বাজেট নিতে পারে। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে এ সরকার যদি স্বাধীন না হয় তাহলে একে 'সরকার' বলা ঠিক হবে না। অন্তত অল্প কিছু বিষয়ে হলেও এ সরকারগুলোকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দিতে হবে। তাহলেই স্থানীয় সরকারকে 'সরকার' হিসেবে গণ্য করা যাবে।

আসল কথা হল, সবরকম প্রশাসনিক ক্ষমতা যদি শক্তিশালী একটি কেন্দ্রের হাতে থাকে তাহলে সেখানে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশা করা যায় না। আমাদের তাই ধীরে ধীরে প্রশাসনিক ক্ষমতাকে বণ্টন করে দিতে হবে- সেটা সংবিধান অনুযায়ী শক্তিশালী জেলা পরিষদ গঠনের মাধ্যমে হতে পারে। ততদিন পর্যন্ত প্রশাসনের এত ব্যাপক দলীয়করণের অবস্থায় নির্বাচিত কোনো সরকারের পক্ষে জনগণের আস্থাভাজন হওয়া কঠিন।

ড. আকবর আলি খান : সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং ২০০৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।