শিক্ষার মান বাড়াতে কিছু সুপারিশ

সিদ্দিকুর রহমান
Published : 6 Jan 2013, 05:55 PM
Updated : 6 Jan 2013, 05:55 PM

আমাদের শিক্ষার মান নিয়ে নানা কথাবার্তা বলেন অনেকেই। যেকোনো পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেই জিপিএ পাঁচপ্রাপ্তদের সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে ইতিবাচক-নেতিবাচক দু'ধরনের কথাই শোনা যায়। আমি বলব, গ্রেডিং পদ্ধতি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এ পদ্ধতি চালু করার পেছনের কারণগুলো একটু ব্যাখ্যা করা দরকার।

একসময় আমাদের দেশে যে পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করা হত তার কিছু ত্রুটি ছিল। যেমন এ পদ্ধতিতে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলত। শুধু ফার্স্ট ডিভিশন বা স্টার মার্কস পেলেই চলত না, শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদি হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করত। এতে শিক্ষার্থীদের শরীর ও মনের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ত। দ্বিতীয়ত, পরীক্ষক-ভেদে শিক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়নে একটি পার্থক্য থাকে। একই খাতায় একজন পরীক্ষক দেন ৮২, আরেকজন ৮৫। ফলে বেশি মেধাবী হয়েও অনেকে কম নম্বর পেয়ে প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় হওয়ার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যেত বা বাদ পড়ত।

এ দিক থেকে দেখলে, জিপিএ পদ্ধতিতে ফলাফল প্রদানে এসব জটিলতা নেই। যে ৮০ পেল সে যেমন জিপিএ ৫ পাচ্ছে, যে ৮৫ পেল সে-ও তাই। ফলে অসুস্থ প্রতিযোগিতার জায়গাটা বন্ধ হয়ে গেছে। গোটা বিশ্বেই কিন্তু ফলাফল প্রদানে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু রয়েছে।

আমার মতে, কোনো পদ্ধতি থেকে সুফল পাওয়া নির্ভর করে ওই পদ্ধতির সুষ্ঠু ব্যবহারের ওপর। এখন যদি এমন হয় যে যে ভালো জিপিএ দেখানোর জন্য যারা এটা পাওয়ার যোগ্য নয়, তাদেরও দিয়ে দিই তাহলে এটা শিক্ষার মানের ওপর দারুণ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আবার যদি এমন প্রবণতা থাকে যে, লিখলেই নম্বর দিতে হবে, সেটা ভুল হল কী শুদ্ধ তা দেখার দরকার নেই- তাহলে সেটার প্রভাবও হবে খুব নেতিবাচক। কারণ তাতে যে শিক্ষার্থীরা ভুল লিখছে তারাও ভালো ফলাফল করছে, আবার যে সঠিক লিখছে তার ফলাফলও প্রায় একই রকম হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে ওই ছাত্রদের জীবনে এর প্রভাব খুব নেতিবাচক। কারণ তাতে তাদের মনে একটা ধারণা হবে যে, লিখলেই নম্বর পাওয়া যায়- ভুল লিখল কী শুদ্ধ লিখল তাতে কিছু যায় আসে না। তাদের মধ্যে তখন চিন্তাশীলতা বা পরিশ্রম করার প্রবণতা কমে যাবে।

এখন কথা হচ্ছে- এধরনের ব্যাপার ঘটছে তা বলারও উপায় নেই, হচ্ছে না সেটা বললেও আন্দাজের ওপর বলা হবে। যদি দৈবচয়ন পদ্ধতিতে কিছু খাতা নিয়ে পুনর্মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে হয়তো এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যেত। আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করুক, তবে যোগ্যতা অর্জন করে করুক।

এ প্রসঙ্গে পাবলিক পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন চালু হওয়ার প্রেক্ষিতটি উল্লেখ করছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে আমার এক ছাত্রী আশির দশকের শেষদিকে একটি গবেষণা করেছিলেন। সেজন্য ঢাকা বোর্ডের সে বছরের বাংলা প্রথম পত্র ও গণিতের পাঁচটি করে খাতা দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হল। তারপর সেগুলো সে বছরের কজন পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হল। এজন্য খাতাগুলোর নম্বর মুছে ফটোকপি করে নেয়া হল। দেখা গেল, বাংলায় এই খাতাগুলোতে পরীক্ষকরা ৩৮ থেকে ৫৪ এর মধ্যে নম্বর দিলেন। গণিতে আরও মজার ঘটনা ঘটল। আমাদের ধারণা ছিল, এ বিষয়ে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন নম্বরের মধ্যে পার্থক্য কম থাকবে। বাস্তবে বিপরীতটি হল। গণিতে সর্বনিম্ন নম্বর ছিল ৪০, আর সর্বোচ্চ ছিল ৬৯। এর কারণ একটি খাতায় কিছু ছোট ভুল ছিল যেগুলো কিছু কিছু পরীক্ষক লক্ষ্য করে অর্ধেক নম্বর দিয়েছেন, কিছু পরীক্ষক এড়িয়ে গিয়ে পূর্ণ নম্বর দিয়েছেন।

আমাদের এ গবেষণার পরই সরকার টাস্কফোর্স গঠন করলেন। ওই টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী এসএসসিতে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন চালু করা হল। রচনামূলক প্রশ্নে পরীক্ষক-ভেদে নম্বর প্রদানে যে পার্থক্য থাকে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে সেটি থাকার সুযোগ নেই।

তবে সে সময় কমিটির সাজেশন ছিল, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ৫০০ নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের নমুনা দিয়ে দেওয়া। পরে দেখা গেল, নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের বিরুদ্ধে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে। আন্দোলন ঠেকাতে তখনকার শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করলেন যে, ওই ৫০০ প্রশ্নের ভিত্তিতেই পরীক্ষা নেয়া হবে। এতে শিক্ষার মান অনেক নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে কয়েক বছর পর এ পদ্ধতি উঠিয়ে দিতে হয়েছিল। এভাবে কিছু কিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আমাদের শিক্ষার মানের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।

তবে আমি মনে করি, এ পদ্ধতিকে সৃজনশীলভাবে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এমনিতে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে পুরো বই পড়তে হয়। তবে শিক্ষক ও পরীক্ষকদের প্রশ্ন তৈরি করতে হবে আরও সৃজনশীলভাবে। 'বাংলাদেশের রাজধানী কোনটি' এভাবে প্রশ্ন না করে করতে হবে 'কেন ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী হল।' আবার 'পাহাড়ে, শীতপ্রধান দেশের গরুর লোম অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ও শিং বড়' এটি একটি তথ্য। এখন যদি শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করা হয় যে এটা কেন হয়, তাহলে তাদের চিন্তাশীলতা বাড়বে। তাই বলব, প্রশ্নের মানের ওপরও কিন্তু শিক্ষার গুণগত মান বাড়া বা কমার ব্যাপার রয়েছে।

গত তিন বছর ধরে চালু হয়েছে সৃজনশীল প্রশ্ন। শিক্ষার্থীরাও একে খুব সহজে গ্রহণ করেছে। কারণ তারা দেখছে এত ভালো জিপিএ পাওয়া যাচ্ছে। আমি সৃজনশীল প্রশ্নের পক্ষে শতভাগ। কারণ এটা না থাকলে শিক্ষার্থীদের চিন্তাশীলতার বিকাশ হবে না।

কিন্তু আমার কথা হল, সৃজনশীল প্রশ্নের সৃজনশীল উত্তর দেওয়া হচ্ছে কিনা এটা যাচাই করা জরুরি। আমি সবসময়ই বলে এসেছি যেহেতু এর মাধ্যমে আমরা মেধার মূল্যায়ন করছি তার মাপার যন্ত্রটি ঠিক থাকতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সৃজনশীল প্রশ্নকে কোনো কাঠামোতে বন্দী করা যাবে না। আমরা এখন সে কাজই করছি। আমি তাই সবসময় সৃজনশীল পদ্ধতির সংস্কারের পক্ষে বলে এসেছি।

সৃজনশীল প্রশ্ন করার জন্য শিক্ষকদের দক্ষতাও খুব জরুরি একটি বিষয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা যত সহজে এ পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে শিক্ষকরা সেভাবে পারছেন না। এখানে দক্ষতার ঘাটতি একটি বড় সমস্যা।

তবে এরও কারণ রয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ ও স্বচ্ছতা জরুরি। কিন্তু যদি মেধাবীরা এ পেশায় এগিয়ে আসতে না চান তাহলে আপনাকে তো মন্দের ভালোদের বেছে নিতে হবে। সে কারণে এখানে আবার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর একটি প্রশ্ন রয়েছে। এজন্য বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর একটি প্রচেষ্টা রয়েছে, অর্থের অভাবে কাজটা সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল নির্ধারণ। একেবারে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত। তাহলে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এ পেশার সামাজিক মর্যাদা বাড়বে। তখন মেধাবীরা এ পেশায় আসবেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের যদি কমিটমেন্ট থাকে তাহলে শিক্ষার গুণগত মান অনেক বেশি বেড়ে যাবে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বেশি। আমাদের পাশের দেশ ভারতেও শিক্ষকরা ভালো বেতন পাচ্ছেন। গত নভেম্বরে চীনে শিক্ষার ওপর একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিয়েছিলাম। সেখানে নানা দেশের শিক্ষকদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া হল। দেখলাম চীনেও শিক্ষকরা তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট। আমাদের দেশে এখন প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক-নিয়োগের প্রক্রিয়াটি খুব স্বচ্ছ। তাই মেধাবীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এ পেশায় আসছেন। তবে তাদের চিন্তা থকে একটি সরকারি চাকরি নিয়ে বয়স ধরে রাখা। পরবর্তীতে আরও ভালো সুযোগ পেয়ে এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন।

আমাদের এখন তিনটি কাজ করতে হবে। প্রথমত, শিক্ষকদের বেতন-কাঠামো আকর্ষণীয় ও সন্তোষজনক করতে হবে। দ্বিতীয়ত, নিয়োগ-প্রক্রিয়া আরও সুষ্ঠু করতে হবে। তৃতীয়ত, শিক্ষক-প্রশিক্ষণের বর্তমান ধারার সংস্কার করতে হবে।

শিক্ষক-প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আমার কিছু কথা রয়েছে। এখন যে ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাতে যে ফল পাওয়ার কথা তা হচ্ছে না। তাই আমি যে ধরনের প্রশিক্ষণের কথা বলি তাকে বলে 'হ্যান্ডস অন।' এজন্য প্রশিক্ষণার্থী-শিক্ষকদের শুধু এভাবে পড়াতে হবে বা ওভাবে, এসব তাত্ত্বিকভাবে না বলে, হাতে-কলমে শিখিয়ে দিতে হবে। যেমন, তাদের সামনে পড়ানোর একটি দৃষ্টান্ত প্রশিক্ষক যদি নিজে তুলে ধরেন, তারপর প্রশিক্ষণার্থী-শিক্ষকদের এর প্রয়োগ করতে বলা হয়, তাহলে ওদের ভুলগুলো বোঝা যাবে। পরে এগুলো সংশোধন করে নেয়া সহজ হবে। নিজেদের দুর্বলতা জেনে প্রশিক্ষণার্থী-শিক্ষক নিজেদের দক্ষ করে তুলতে পারবেন। প্রশিক্ষণ যে এদেশে হচ্ছে না তা নয়, প্রচুর হচ্ছে। তবে সেটা 'হ্যান্ডস-অন' হচ্ছে না বলেই যত সমস্যা।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার আরেকটি সমস্যা হল, আমরা পরীক্ষা বাড়াচ্ছি। অথচ দুনিয়ার সব দেশে কমানো হচ্ছে। পরীক্ষা কমানো হচ্ছে মানে পাবলিক পরীক্ষার কথা বলছি। অন্যান্য দেশে যিনি পড়াবেন তিনিই পরীক্ষা নেবেন এটাই হচ্ছে সিস্টেম। পাবলিক পরীক্ষা কমানো হচ্ছে। আমাদের দেশে আগে দুটো পাবলিক পরীক্ষা ছিল। এখন হয়ে গেছে চারটি। শিক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে জড়িত এমন কেউ একে সমর্থন করবেন না।

এর কারণ হল, এখন দশ-এগারো বছরের ছেলেমেয়েরা পাবলিক পরীক্ষা দিচ্ছে। এ মুহুর্তে হয়তো অভিভাবকরা ওদের ওপর চাপ দিয়ে ভালো ফলাফল বের করে নিচ্ছেন। তবে ভবিষ্যতে এ ছেলেমেয়েদের মানসিক বিকাশের ওপর খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে। ওদের পড়াশুনার প্রতি অনীহা চলে আসাও খুব স্বাভাবিক।

আমি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটিতেও ছিলাম। কমিটির সম্মিলিত সুপারিশ ছিল অষ্টম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এসএসসি উঠিয়ে দেওয়া হবে। আবার দ্বাদশ শ্রেণির পর পাবলিক পরীক্ষা। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, অষ্টম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষা নেয়া হলে সেটাও খুব দ্রুত হয়ে যায়। তাই আমি এর সঙ্গে একমত ছিলাম না।

যাহোক, আমার নেতৃত্বে নতুন কারিকুলাম তৈরি হয়েছে। এখানে আমরা একটি নতুন বিষয় সংযোজন করেছি। শিক্ষকের হাতে ২০ নম্বর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা এ মুহুর্তে প্রতি শ্রেণিতে চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে এসএসসি ও এইচএসসিতেও হবে। এ পদ্ধতি চালু করার কারণ হল, শিক্ষার্থীর বিভিন্ন দক্ষতা যাচাই করা। এখনকার পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমরা শুধুমাত্র তার লেখার দক্ষতা যাচাই করছি। কিন্তু তার অন্য তিনটি দক্ষতা, যেমন- বলার দক্ষতা, শোনার দক্ষতা ও পড়ার দক্ষতা যাচাই করা হচ্ছে না। নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অন্যান্য দক্ষতাগুলো যাচাই করে শতকরা ২০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীকে একটি নম্বর দেবেন। পরে শিক্ষার্থী বাকি ৮০ নম্বরের পরীক্ষায় যা পাবে তার সঙ্গে ২০ নম্বরে প্রাপ্ত নম্বরকে মিলিয়ে নিয়ে সমন্বয় করা হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকের কাছেও একটি ম্যাসেজ যাবে, ফলে তিনিও নম্বর প্রদানে সতর্ক থাকবেন।

আশা করছি, নতুন কারিকুলামের পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য ভালো শিক্ষক তৈরি করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে। আর ভালো শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করারও পরিবেশ তৈরি হবে।

ড. সিদ্দিকুর রহমান : শিক্ষাবিদ, গবেষক, ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট কনসালটেন্ট।