শিলাইদহে কুঠিবাড়ির পুবের বারান্দায় দাঁড়িয়ে রবি ঠাকুর দেখেছিলেন দীর্ঘ এক তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অনাদিকাল থেকে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলোকে আরো অনেকেই দেখেছে, কারো কিন্তু মনে হয়নি একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকার কথা। কবি কল্পনায় দেখলেন এবং লিখলেন অনবদ্য পঙক্তিমালা: 'তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে/সব গাছ ছাড়িয়ে/উঁকি মারে আকাশে।' কেবল তাই নয়, কবির কল্পনায় তাঁর মনে কালো মেঘ ফুঁড়ে যাবার সাধ, একেবারে উড়ে যাবার বাসনা। বৃক্ষহীন আমাদের শহরে এখন আর তাল কেন, কোনো বৃক্ষই দেখা যায় না। এখন যা দেখা যায় তার নাম হরতাল। এত বেশি দেখা যাচ্ছে যে মানুষ রীতিমত অতিষ্ঠ। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের নামে সবচেয়ে বেশি অপব্যবহার করা হয়েছে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের হাতিয়ারটি, এর নাম হরতাল।
বাংলাকে শাসকগোষ্ঠীর কাছে অচল করে দেবার জন্য আগে 'বাংলা বনধ্' পালিত হত মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে, বছরে এক বা দু'বার। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে গান্ধীজীর ডাকে গোটা ভারতে পালিত হত 'ভারত বনধ্।' সেসবের সঙ্গে আজকের বিরোধীদলের ডাকা হরতালকে মেলানো যায় না। এটি হয়ে উঠেছে বহু-ব্যবহারে শীর্ণ ও রূপহীন বিগতযৌবনার মতো। সম্ভবত সবচেয়ে ঘৃণিত প্রতিবাদের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে হরতাল। এক কোটি চল্লিশ লাখ মানুষে ঠাঁসা দমবন্ধ শহরটির এক-তৃতীয়াংশই খেটে-খাওয়া মানুষ। তারা দিন আনে দিন খায়। এ রিকশাঅলা, টেম্পোচালক, দিনমজুর, ফুটপাতের ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা হরতালে বেকার হয়ে যান। একটি দিন হরতাল মানেই তাদের ঘরে চাল বাড়ন্ত। গাড়ি নিয়ে পথে নামলে হরতালকারীদের জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুরের মধ্যে পড়ে একমাত্র সম্বল রিকশা, ভ্যান বা টেম্পোটি হারাবার ঝুঁকি থাকে। দিনমজুরের কাজ নেই, ফুটপাতের দোকানদারের নেই কোনো ক্রেতা। এ হতদরিদ্র মানুষদের জন্য হরতাল অভিশাপ হয়ে আসে।
কেরানীঠাঁসা শহরটির বিপুল কেরানীকুল পড়ে যান বিরাট সমস্যায়- একদিকে মালিকের রক্তচক্ষু, অন্যদিকে হরতাল পালনে বাধ্য করা ভাড়াটে বাহিনী ও মারমুখী পুলিশ- দুয়ের মাঝে পড়ে তিনি হতবিহ্বল, কখনো আতঙ্কিত। জীবন বিপন্ন জেনেও তিনি পথে নামেন, ভয়ে ভয়ে গাড়িতে ওঠেন, কিন্তু সহসাই তার গাড়িতে ঢিল পড়ে, ভাঙচুর চলে এবং অবশেষে আগুন জ্বালানো হয়। আবার তিনি নেমে আসেন পথে, সেখানে পিকেটার আর সরকার-সমর্থক বাহিনীর মাঝে পড়ে জীবন নিয়ে পালান, পালাতে না পারলে আগুয়ান পুলিশের হাতে দু-চার ঘা খান, কিংবা কপাল আরো মন্দ হলে অ্যারেস্ট হন।
হরতালে অর্থনীতির উপর মারাত্বক আঘাত পড়ে। অফিসে-আদালতে উপস্থিতি থাকে নগণ্য, ফলে কাজ হয় না, অনেক কারখানা বন্ধ থাকে, দোকানপাট খোলে না। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকে, পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। এসব জেনেও দাবি আদায়ের জন্য অকাতরে হরতাল ডাকা হচ্ছে। এমনকী ভুঁইফোড় কেউ-কেউও হরতাল ডাকছে। যেমন গতকালের হরতালটি ডেকেছিলেন বিএনপির একজন প্রাক্তন নেতার সংক্ষুব্ধ স্ত্রী, যার আহবানে কেউ কর্ণপাত করেনি, ভয় দেখানোর মতো পর্যাপ্ত লোকবল বা রসদও তার ছিল না যে তিনি মানুষের ঘাড়ে হরতাল চাপিয়ে দিতে পারবেন।
বিজয়ের মাসে বিরোধীদল যে হরতাল ডাকছে এ নিয়ে তাদের ভাষ্য, নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানই তাদের মূল দাবি। সরকার বলছে, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাবার জন্য বিরোধীদল মরিয়া হয়ে উঠেছে। ডিসেম্বরের প্রথম হরতাল ডেকেছিল জামায়াত- তারা যে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতাদের বাঁচাতে মরীয়া তা তো বোঝাই যায়- পুলিশের উপর বেপরোয়া আক্রমণ করে তাদের উদ্দেশ্য তারা গোপন রাখেনি।
যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে বিএনপির গাঁটছড়া বাঁধা আছে চারদলীয় জোটের ভিতরেই, যেখানে জামায়াত-বিএনপির প্রধান রাজনৈতিক মিত্র। চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরা প্রায় সবাই জামায়াত-রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সুতরাং মিত্রের প্রতি দায়বোধ থেকে প্রকাশ্যে না হলেও বিএনপির মনেপ্রাণে বিচারের বিপক্ষে থাকাটাই স্বাভাবিক। তাদের দীর্ঘ শাসনামলে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। সম্প্রতি স্কাইপে যুদ্ধাপরাধ বিচার ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের সঙ্গে প্রবাসী আইন বিশেষজ্ঞ ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত কথোপকথনের একাংশ বিএনপি-সমর্থিত পত্রিকা 'আমার দেশ'-এ সবিস্তারে প্রকাশ এবং সে সূত্র ধরে মওদুদ আহমেদ প্রমুখ বিএনপি নেতার বিচার বাতিলের দাবি এ যুক্তির পক্ষেই কথা বলে।
বিজয়ের মাস উৎসবের মাস। ডিসেম্বরজুড়ে স্কুলগুলোতে বার্ষিক বা ষান্মাষিক পরীক্ষার ধুম পড়ে যায়। তপ্ত আবহাওয়ার বাংলাদেশে নেমে আসে শীতের হিমেল পরশ। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, উৎসবের জমজমাট আসর বসে, মানুষ বেড়াতে যায় সমুদ্রে বা বনে। এমনি এক মধুর সময়ে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক হরতাল। মধ্যবিত্তের বহুদিনের সঞ্চিত অর্থে কেনা মোটরগাড়িটি জ্বলছে পিকেটারদের দায়িত্বহীন হিংস্র তাণ্ডবে, সরকারি অর্থে কেনা সদ্য আমদানি করা দোতলা বাসগুলো পুড়ছে প্রতিহিংসাপরায়ণ কর্মীদের বোধশূন্য অ্রনলে। অনেক সময় হরতালে কিছু নিরাপরাধ মানুষ মারা যান, আহত হন অনেকে। জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ হয় কয়েকশ' কোটি টাকার লোকসান ও অপচয়। তবু কোনো কোনো হরতাল আমাদের সমর্থন পায়, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে হরতাল হয়ে ওঠে আমাদের প্রতিবাদের জোরালো ভাষা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেন্দ্র করে সারাদেশ যখন দ্বিধা-বিভক্ত, সরকারও কিছুটা দ্বিধান্বিত ও চিন্তিত- তখন এ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত এবং বিচার কার্যকর করার দাবিতে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বাম ও গণতান্ত্রিক দলগুলো– সিপিবি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক মোর্চা। লাগাতার হরতালে অভ্যস্ত বা ত্যক্ত-বিরক্ত জনগণ প্রথমদিকে এ নিয়ে তেমন গা করেনি। কিন্তু বামদলগুলোর হরতালের প্রতিবাদে ইসলামপন্থী ডানদলগুলো যখন ২০ তারিখে আবার হরতাল ডাকল, তখন সবাই নড়েচড়ে বসল। বিপরীত মতাদর্শের দু'মোর্চার উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী; একদল চাচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক, অন্যপক্ষ চাচ্ছে তা ব্যাহত করতে।
আজ থেকে ৪১ বছর আগে এ ভূখণ্ডে কী দানবীয় তাণ্ডব বয়ে গিয়েছিল, তা আজকের প্রজন্ম জানে না, কেননা তারা তা দেখেনি। একদিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের নারকীয় হত্যা ও ধ্বংসলীলা- অন্যদিকে এর প্রতিরোধে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী লড়াই, বীর বাঙালির জেগে-ওঠা। সুদূর পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত পাঞ্জাবি, পাঠান, বেলুচ, সিন্ধি সেনারা এদেশের মানচিত্র আর মানুষদের চিনত না। তাদের পথ চিনিয়ে নিয়ে এসেছিল এদেশেরই একশ্রেণির কুলাঙ্গার, যারা দেশমাতৃকার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে, ভুল আদর্শের কথা বলে।
এরাই আলাবদর, আলশামস, রাজাকার প্রভৃতি বাহিনী তৈরি করেছিল। নিজ দেশের মা-বোনদের ইজ্জত লুন্ঠন, বীর সন্তানদের হত্যা, সম্পদ লুঠ করার জন্য। বিজয়ের মাত্র দু'দিন আগে ১৪ই ডিসেম্বর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে তারা হত্যা করেছিল এদেশের কিছু শ্রেষ্ঠ সন্তানকে, জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য অভিপ্রায়ে। নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি, শরীয়তপুরে ডামুড্যায় আমার নানাবাড়ির বাইশটি টিনের ঘর আগুন জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করে দিয়েছিল পাকবাহিনী। তাদের এ কাজে ইন্ধন জুগিয়েছিল স্থানীয় রাজাকার কমাণ্ডার। আমার এক মামাতো ভাই ১৯৭১-এ রাজশাহী প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়ে পড়ত। হোস্টেল থেকে তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে রাজাকার বাহিনী।
রাজনীতির বিভিন্ন ডামাডোলে, হিসেব-নিকেশে, দ্বিধা-সঙ্কোচে মানবতাবিরোধী জঘন্য কর্মকাণ্ড করেও এরা পার পেয়ে গিয়েছিল। তারপর নিজেদের বিপুলভাবে সংগঠিত করে এদেশকে আবার পাকিস্তানের প্রদেশে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছিল। এমনকী স্বাধীন বাংলাদেশে মন্ত্রী হয়ে সরকারি গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে সে পতাকার মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছিল। পাপ যেমন বাপকেও ছাড়ে না, একাত্তরের পাপ এদেরও অবশেষে ছাড়েনি। এনে দাঁড় করিয়েছে বিচারের কাঠগড়ায়, বেরিয়ে আসছে ইসলামের লেবাসধারী এসব অপরাধীর লোমহর্ষক সব অপরাধের বৃত্তান্ত।
একাত্তরের প্রজন্ম, স্বাধীন বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম – সবার আজ একটাই দাবি- জাতির ললাট থেকে মুছে যাক এ অপবাদ, বিচার হোক সব যুদ্ধাপরাধীর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খুনী নাৎসী জেনারেলদের বিচার চল্লিশ বছর পরেও হয়েছে; আজও বসনিয়ায়-কম্বোডিয়ায় গণহত্যার জন্য দায়ী পিশাচদের বিচার চলছে। সুতরাং একাত্তরের খুনীদের অপকর্ম ভুলে যাবার বা তাদের নৃশংসতা ক্ষমা করার কোনো সুযোগ নেই।
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যুদ্ধাপরাধের বিচার ব্যহত হলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। ১৬ ডিসেম্বর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিজয়োল্লাসে সমবেত লাখো মানুষের কণ্ঠে ছিল, 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই' শ্লোগান। শ্রদ্ধার ফুলে ভরা শহীদবেদী থেকে স্বাধীনতার শত্রুদের প্রতি চরম ঘৃণা উচ্চারিত হয়েছে। আশার কথা, এ ঘৃণাপ্রকাশে সবচেয়ে বেশি সরব তরুণ প্রজন্ম, যারা লাল-সবুজে নিজেদের মুড়িয়ে রেখেছিল সারাদিন।
বামদলগুলোর হরতালের আরেকটি প্রধান দাবি জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলোর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। রাজনীতি করা বা কোনো ভাবাদর্শে বিশ্বাসস্থাপন যে কারোরই মৌলিক অধিকার, সন্দেহ নেই; কিন্তু কেবল ধর্মকে পুঁজি করে, ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক প্রচারণা একটি বহুধর্মভিত্তিক জনপদকে বিভক্ত করে ফেলে, সেখানে সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরুর কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে, অসহায়বোধ করে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই আমরা ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিষবাষ্প দেখেছি। একই ধর্মে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের প্রতি সমানাধিকার দূরে থাক, কোনোরকম সুবিবেচনা দেখায়নি।
দেশবিভাগের সময়ে পাকিস্তান ও ভারতের সীমান্তজুড়ে রক্তক্ষয়ী হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা, পিতৃপুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে ভীত, অসহায় মানুষদের দলে-দলে উদ্বাস্তু হয়ে অন্যদেশে প্রবেশ, একাত্তরে শরণার্থী শিবিরের করুণ চিত্র আমাদের সবার দেখা। সম্প্রতি আমরা দেখেছি মৌলবাদী শক্তিগুলোর সহিংস্ রূপ, তারা নির্বিচারে সাধারণ মুসলমানদের বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছে, এমনকী নামাজের সময় মসজিদে হামলা করে মুসল্লীদের হত্যা করেছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, কিন্তু এরা একটি বিশেষ রাজনৈতিক মিশন অর্জনে মরীয়া হয়ে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে সর্বত্র, বুকে বোমা-বাঁধা সন্ত্রাসীরা নিজের বেহেশত নিশ্চিত করার কল্পিত লোভে উড়িয়ে দিয়েছে বিশ-ত্রিশ বা আরো বেশি নিরাপরাধ মুসলমানকে।
ধর্মভীরু মানুষদের সরল বিশ্বাস ও খোদাভীতিকে কাজে লাগিয়ে বিপুল হয়ে ওঠা এই ফ্রাঙ্কেনস্টাইনকে প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। ইসলাম পরধর্মের প্রতি সহিষ্ণু হলেও এরা চূড়ান্ত অসহিষ্ণু। সে কারণেই আজকের বামদলগুলোর ডাকা হরতাল সচেতন, দেশপ্রেমিক নাগরিকের সমর্থন করা জরুরি। এ হরতাল আমাদের সবার প্রাণের দাবি তুলে ধরেছে। বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের কোনো স্থান নেই, নেই ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে অন্যধর্মের মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর সুযোগ। রামুর সহিংস ঘটনা আমাদের সবার জন্যই একটা অশনিসংকেত।
এ কলঙ্ক মুছে গেলে সবুজের পটভূমিতে লাল সূর্যটি হবে অনন্ত পবিত্র।
কামরুল হাসান: কবি ও শিক্ষক