খুনের পরম্পরা ও উৎপল কুমারের বাংলাদেশ

আহসান কবিরআহসান কবির
Published : 7 July 2022, 10:40 AM
Updated : 7 July 2022, 10:40 AM

একসময় খুন হতেন মুক্তবুদ্ধির শিক্ষকরা। এরপর কালো ব্যাচ ধারণ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হতো। রাজনৈতিক ধোঁয়াশা আর লুকিয়ে থাকা বা ছদ্মবেশী ধর্মান্ধদের প্রশ্রয়ে বিচারের নামে দীর্ঘসূত্রিতাই ছিল নিয়তি। এখন কী যুগ বদলেছে? মুক্তবুদ্ধির শিক্ষকদের জায়গাটা কি এখন কৌশলে মফস্বলের শিক্ষকদের কাঁধে চাপানো হয়েছে? আক্রান্ত শিক্ষক বিশেষ করে হিন্দু শিক্ষকদের বিচার পাওয়া কি আরও বেশি কঠিন হয়ে যায়নি? দেশটা কি মৌলবাদের চারণভূমিতে পরিণত হচ্ছে?

হয়তো কেউ কেউ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলবেন বাদশাহ আলমগীরের সেই যুগ আর নেই। নেই বাদশাহ, তার ছেলে ও শিক্ষককে নিয়ে লেখা কবিতার যুগ। 'বাদশাহ আলমগীর/কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলভী দিল্লীর'– স্কুল জীবনে পাঠ্যবইতে পড়া কবি কাজী কাদের নেওয়াজ-এর লেখা এই দীর্ঘ কবিতার সারমর্ম ছিল এমন- বাদশাহ আলমগীরের ছেলেকে যে শিক্ষক পড়াতেন তিনি ওজু করার জন্য পানি চেয়েছিলেন। পানি এনে বাদশাহর ছেলে তার শিক্ষককে ওজু করতে সাহায্য করছিলেন। পানি ঢালছেন শাহজাদা বাদশা সেটা দেখলেন। শিক্ষক যখন পা ধুচ্ছিলেন, শাহজাদা কেন নিজ হাতে শিক্ষকের পা ধুয়ে দিচ্ছেন না বাদশাহর মনে সেই প্রশ্নটাই জেগেছিল!

এখন কি আর সেই প্রশ্ন জাগে না? সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার যুগও এখন নেই। সত্যজিৎ রায়ের জনপ্রিয় ছবি হীরক রাজার দেশে- এর কথা নিশ্চয়ই অনেকের মনে আছে? একটা বা দুটো প্রজন্মকে মেধাশূন্য করার জন্য অত্যাচারী হীরক রাজার সৈন্যরা পাঠশালা বন্ধ করে দেয় আর প্রাণ বাঁচাতে শিক্ষক মশাই পালিয়ে বেড়াতে থাকেন। সময় বদলেছে, এখন আর শিক্ষকদের পালিয়ে বেড়াতে হয় না। শিক্ষকরা এখন লাশ হয়ে পড়ে থাকেন ঘরের সামনে, রাস্তাঘাটে কিংবা ক্রিকেট খেলার মাঠে।

একদা এদেশে শিক্ষকরা খুন হতেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নিয়ে বীর বাঙালির আন্দোলন তখন তুঙ্গে, ১৯৬৯-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সেনানিবাসে সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যার প্রেক্ষিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ছাত্রদের নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেছিলেন শিক্ষক মুহম্মদ শামসুজ্জোহা। রাজশাহী শহরে যাবার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাজলায় তাদের মিছিল আটকে দিয়ে গুলি চালায় পাকিস্তানি সেনারা, বুলেটবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ার পর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মুহম্মদ শামসুজ্জোহার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়! স্বাধীনতার ৫১ বছর পর এদেশে এখন শিক্ষকদের খুন করা হয় ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে!

প্রথমেই বলেছি, আগে মুক্তবুদ্ধির শিক্ষকরাই খুন হতেন বেশি। স্বাধীনতার উষালগ্নে খুন করা হয়েছিল শহীদ বুদ্ধিজীবী তথা শিক্ষকদের। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতার উষালগ্নে এদেশের বহু বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতিকে মেধাশূন্য করার এই নিকৃষ্ট পন্থা কোনো না কোনোভাবে আজও বেছে নিচ্ছে কেউ কেউ। হয়তো কেউ ধারণাও করতে পারছে না আমরা সর্বনাশের শেষ বিন্দুতে এসে দাঁড়িয়ে আছি, বসে আছি বারুদের স্তূপে। কখন বিস্ফোরণ হবে কেউ জানি না! তবে শিক্ষক হত্যার ধরন হয়তো বদলায়নি। আগে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের অধীন কোনো ধর্মান্ধের দল হয়তো এসব কাজ করত আর এখন করা হয় একটু ভিন্নভাবে। বিভেদ আর ঘৃণাকে উসকে দিয়ে খুব সহজেই খুনটা করিয়ে নেওয়া হয়। কখনো সখনো খুন জরুরি না হলে শায়েস্তা করা হয় অন্য উপায়ে। ধর্মান্ধ জঙ্গিদের নির্ভরতা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তারা অপপ্রচারের মাধ্যমে ঘৃণাই ছড়িয়ে দেয়।

পুরোনো এবং নতুন কয়েকটা কয়েকটা উদাহরণ দেওয়া যাক।

বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ূন আজাদ বাংলা একাডেমির বইমেলা থেকে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল ছুরি আর দা হাতে কয়েকজন। মৃত্যু পথযাত্রী হুমায়ূন আজাদকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তিনি সবার কাছে জানতে চাচ্ছিলেন, 'তোমরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ'? তার উপন্যাসের নাম দিয়েই বলা যায়, যারা তাকে ফালি ফালি করে কাটা চাঁদের মতো কুপিয়ে জখম করেছিল, তারা আসলে বাংলাদেশটাকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়?

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ইউনুসকে হত্যা করা হয়েছিল ২০০৪ সালে। হুমায়ুন আজাদকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল, সকালে হেঁটে বাসায় ফেরার পথে অধ্যাপক ইউনুসকেও একইভাবে আক্রমণ করা হয়। ছুরি, চাকু, রাম দা দিয়ে অমানবিক ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে! মুক্তমনের মানুষ আর মুক্তবুদ্ধির প্রচারকদের এভাবেই টার্গেট করে মেরে ফেলার রেওয়াজ যেন ততদিনে চালু হয়ে গিয়েছে। এরপর ২০০৬, যে শিক্ষক খুন হলেন তার নাম অধ্যাপক আবু তাহের। স্থান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। হত্যাকাণ্ডের ধরনও এক। আধুনিক মানবিক মানুষদের মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন ও হত্যা। ফলাফল প্রতিবাদ, কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র‌্যালী ও স্মরণ সভা। মনে করা যেতে পারে শফিউল ইসলাম লিলন যিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন তার কথা। গানপাগল আর নিরামিষভোজী এই মানুষটাকেও বাসায় ফেরার পথে রাজশাহীর চৌদ্দপাই এলাকায় মধ্যযুগীয় পন্থায় নৃশংসভাবে খুন করা হয় ২০১৪ সালের নভেম্বরে।

এরপর যেন খুন বা শিক্ষক অপমানের ধরন বদলে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তবুদ্ধির শিক্ষকদের কাছ থেকে যেন এসব হেঁটে চলে আসলো স্কুল বা কলেজে। যেমন শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত। ২০১৬ সালের ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধরের পর কান ধরে উঠ-বস করানো হয় স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের সামনে। মারধর ও কান ধরে উঠাবসার এই শাস্তি দেওয়া হয়েছিল 'ধর্মীয় অনুভূতিতে' আঘাত হানার মিথ্যা অভিযোগে এবং তাকে স্কুল থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে ঘটনা ঘটেছিল বলে তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি জামিন পান কিন্তু 'যখন স্কুল ছুটি ছিল তখন শ্যামল কান্তি ঘুষ নিয়েছেন' এমন এক অভিযোগে মামলা করা হলে শ্যামল কান্তি আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন চাইলেও জামিন পাননি, জেলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একটা কমিটি গঠন করে এবং কমিটি শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে আবার স্বপদে বহাল করা হয়! খুব জানতে ইচ্ছে করে শ্যামল কান্তি ভক্ত এখন কেমন আছেন? তার সেই দুঃসহ ঘোর বা ট্রমা কি এখনও কেটেছে? নাকি এই ট্রমা এখন বাংলাদেশের?

কিংবা ধরুন শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের কথা। তিনি মুন্সীগঞ্জ সদরের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন (এখনও আছেন)। ২০২২-এর ২২ মার্চ ধর্ম ও বিজ্ঞানের তুলনামূলক আলোচনাকালে ভিডিও করে রাখে ছাত্ররা। সেই ভিডিও দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয় এবং ওই শিক্ষকের বাসায় হামলা হয়। জেলে যেতে বাধ্য হন হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল, যদিও পরে তিনি মুক্তি পেয়ে শিক্ষকতায় ফিরে যান।

এরপরের ঘটনা নড়াইলের। সেখানকার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ২০২২-এর ১৮ জুন জেলা প্রশাসক ও পুলিশের এসপির উপস্থিতে গলায় জুতার মালা পরিয়ে কলেজ থেকে বের করে আনা হয়। ঘটনার আগের দিন কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র ভারতের বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার বিতর্কিত পোস্টকে স্বাগত জানিয়ে নিজের ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর সেটা নিয়ে এলাকায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরদিন কলেজে লোকজন জড়ো হলে রটিয়ে দেওয়া হয় যে, অধ্যক্ষ ওই অভিযুক্ত ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন। ঘটনার প্রাথমিক ফলাফল, কলেজে ভাংচুর ও অধ্যক্ষ এবং দু-জন শিক্ষকের মোটরসাইকেল পোড়ানো। আর চূড়ান্ত ফলাফল অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে কলেজ থেকে বের করে আনা। এই ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও গণ্যমান্য অনেকেই ছিলেন, আপাতত থানার ওসি প্রত্যাহার এবং বিছালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওই কলেজের শিক্ষক আক্তার হোসেন টিংকুকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বপন কুমার বিশ্বাসের আগে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন এই টিংকু সাহেব! শিক্ষক শ্যামল কান্তি এবং হৃদয় মণ্ডলের অনুভূতি জানা না গেলেও স্বপন কুমার নির্দ্বিধায় বলেছেন মরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল! আত্মহত্যা করার প্রচণ্ড ইচ্ছে জাগলেও করতে পারিনি! আত্মহননের এই ইচ্ছা জাগাটাই কি এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতা? না হলে ঘটনার দশ দিন পর কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রতিক্রিয়া জানাবেন? সবাই কি এখন 'দেখি না কী হয়' নীতি নিয়ে চলছে?

আপাতত সর্বশেষ ঘটনা সাভারের। সাভারের আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে ওই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু। ঘটনা ২৫ জুন ২০২২-এর। পরে হাসপাতালে উৎপল কুমার সরকার মারা যান। ওই ছাত্র স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের নেতা, 'দাদা' হিসেবে পরিচিত। কলেজের ক্রিকেট খেলা ও ছাত্রী উত্যক্ত করার ঘটনায় শাসন করতে গেলে জিতু ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে তার শিক্ষক উৎপল কুমারকে খুন করে। ৩০ জুন ছিল উৎপল কুমারের তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী। তার স্ত্রীকে পরতে হয়েছে সাদা শাড়ি, সিঁথির সিঁদুর মুছে ফেলতে হয়েছে, শাখা খুলতে হয়েছে হাতের। বাংলাদেশটা এখন এভাবেই যেন বেঁচে আছে!

বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিবুদ্ধির শিক্ষকদের খুনের ঘটনা কি ভিন্ন চরিত্র ও ধরন নিয়ে চলে আসলো আমাদের স্কুল ও কলেজে? ভিন্নধর্মের মানুষরাই কি এর নির্মম শিকার হবেন? নারীর টিপ পরা কিংবা পোশাক পরা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা সরব তাদের ছায়ার ভেতর কি ধর্মান্ধ বা মৌলবাদীদের কেউ জড়িয়ে আছে? এইসব হত্যাকাণ্ডের পর নিকৃষ্ট স্বভাব ও মধ্যযুগীয় মানসিকতার এক শ্রেণির মানুষের উলম্ফন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এরা কোনো না কোনোভাবে খুন হয়ে যাওয়া মানুষটার দোষ খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। দোষ পাওয়া গেলে সেটা ফলাও করে প্রচার করে, যার অন্তর্হিত অর্থ হচ্ছে- হত্যাকাণ্ডটা সঠিক ছিল। আজ থেকে কয়েক শতাব্দী আগে শেক্সপিয়র বলে গিয়েছিলেন, যদি কাউকে খুন করতে চাও তাহলে তার বদনাম গাও। খুনের পরে মনে হতে পারে খুনটা অপরিহার্য ছিল!

স্বাধীন দেশের বাস্তবতায় শিক্ষাঙ্গনকে কি সব ধরনের রাজনীতিমুক্ত রাখা উচিত ছিল না? স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কি হতে পারত না নিরাপদ ও মানুষমুখী শিক্ষার বাহন? তার পরিবর্তে এখন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার আর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে কলেজে শিক্ষককে জুতার মালা পরতে হয়, শ্যামল কান্তি বা হৃদয় মণ্ডলদের যেতে হয় জেলে!

আমরা কি 'এমন বাংলাদেশ' চেয়েছিলাম অথবা 'তোমার যা বলার ছিল বলছে কি তা বাংলাদেশ'? নাকি 'সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে'-এর মতো দেশটা ধর্মান্ধ মৌলবাদের খপ্পরে পড়ে আছে? নিহত শিক্ষক উৎপলের রক্ত আর তার সদ্য বিধবা হওয়া স্ত্রীর কান্নাভেজা বাংলাদেশটা যেন পেছনের দিকে না হাঁটে, যেন দেশটা ক্রমশ মৌলবাদীদের দখলে না চলে যায়, সেই প্রার্থনা করি।