পদ্মা সেতু : জাতির মনোবলের প্রতীক, ড্রিমস অব গ্লোবাল কানেকশানস

সাইফ তারিক
Published : 30 June 2022, 04:49 AM
Updated : 30 June 2022, 04:49 AM

অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে- হ্যাঁ, উপমাগতভাবে বললে সেরকমই বলতে হয়- নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু। পঁচিশে জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর উদ্বোধন করেন; ২৬ জুন থেকে জনসাধারণের জন্য এবং সবধরণের সড়কযানের জন্য সেতু উন্মোচন করে দেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনের দিন সেতু সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে সারাদিনই উৎসবের আমেজ ছিল। মানুষজন ফেস্টিভ মুডে ছিল। শুধু সেতু-সংলগ্ন এলাকাতেই নয় সারাদেশেই মানুষ চোখ রেখেছে টেলিভিশনের পর্দায়। উৎসবের আমেজ সারাদেশেই ছিল। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই। 

পক্ষে-বিপক্ষে সবাই সেতুর বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েছে। কারণ যা চর্মচোখে মালুম হয় তাকে অস্বীকার করে কী লাভ? তাতে কারই বা মহিমা বাড়ে?  পদ্মা সেতু এখন বাস্তবতা। বিস্ময় উদ্রেককারী বাস্তবতা। এ সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ হলো। যমুনা সেতুর মাধ্যমে দেশের উত্তরাংশে পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ হয়েছিল। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাংশে পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ হলো। এখন বাংলাদেশ সুগ্রন্থিত- নাউ বাংলাদেশ ইজ ওয়েল কানেকক্টেড। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেল-সংযোগটা হয়ে গেলে আর যমুনা সেতুর পাশে রেল সেতু হয়ে গেলেই স্বপ্নের সুতোয় বোনা হয়ে যাবে বাংলাদেশ- যেন একটি নকশিকাঁথা। অ্যালিগরিক্যালি এ কথাই বলা যায়। আর তখন এশিয়ার প্রায় সত্তুর ভাগের সাথে এবং ইউরোপের সাথে (দুয়েকটা দ্বীপরাষ্ট্র বা অঞ্চল বাদ রেখে) সড়কপথে ও রেলপথে সংযুক্ত হয়ে যাবে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতুর যুগান্তকারী ভূমিকা এখানেই। পদ্মা ব্রিজ ইজ আ কানেকশান অব ড্রিমস। অনেক সুযোগের (অপশানস) সংযোগ- মাল্টিলুপস অপশানস অ্যান্ড কানেকশানস। 

পদ্মা সেতু সত্যিই স্বপ্নের সেতু। সেতুটি বর্তমান সরকারপ্রধান না বানিয়ে অন্য কোনো সরকারপ্রধান গুণমান বজায় রেখে বানালেও এর গুরুত্ব একই থাকত। রাজনীতি দিয়ে উন্নয়নের বিচার করা উচিত নয়। কিন্তু আমাদের কপাল মন্দ। তাই উন্নয়নে রাজনীতি ঢুকে যায়। যাই হোক, বর্তমান সরকারপ্রধানের হাত ধরে কাজ সম্পন্ন হয়েছে তাই ধন্যবাদ তাকে দিতেই হয়, দিতে হবে। অনেক বড় বড় সেতু বিশ্বে নির্মিত হয়েছে। চীনে রয়েছে ১৬৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু। চিয়াংসু প্রদেশের 'দানিয়াং কুনশান গ্র্যান্ড ব্রিজ' নামের সেতুটি বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু। পদ্মা সেতু সে তুলনায় ছোট এক সেতু; দৈর্ঘ্য মাত্র ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার (শুধু নদীর ওপর), সবমিলিয়ে দৈর্ঘ্য ৯ কিলোমিটারের সামান্য বেশি। তবে এর গুরুত্ব বাংলাদেশের নিরিখে ভিন্ন। কারণ এ সেতু আমাদের কাছে হাজার বছরের সবচেয়ে বড় অবকাঠামোগত উন্নয়ন হিসেবে গণ্য হচ্ছে। কোটি মানুষের স্বপ্ন আর আশা পদ্মা সেতুকে করেছে আরো দৃঢ় এবং মহীয়ান। বাংলাদেশ, চীন ও ইউরোপের প্রায় এক হাজার ২০০ প্রকৌশলী এবং ২০ হাজার শ্রমিকের অক্লান্ত শ্রমে এবং ধ্যানে নির্মিত হয়েছে এ সেতু। নির্মাণ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখে। শেষ হলো ২০২২ সালের জুন মাসে। এখনো সেতুর সাথে রেলসংযোজন বাকী; প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী বছরের এ সময়ে সেটাও হয়ে যাবে আশা করা যায়। 

শুরুর পর কাজ একদিনের জন্যও থামেনি। ঈদসহ সব ছুটির দিনেও কাজ চালু ছিল। অনেক সন্দেহ-সংশয়, অবিশ্বাস, বৈরি সমালোচনা পেরিয়ে তৈরি হয়েছে এ সেতু। অনেক বিষয়ে এ সেতুর প্রকৌশলত অনন্যতা আছে। প্রকৌশলীরা সেসবের ব্যাখ্যা-বয়ান দিয়েছেন। আগামী দিনের প্রকৌশলী, স্থাপত্যবিদদের জন্য তা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ সেতু বাংলাদেশের জন্য আরেকটি জাতিগড়ার প্রকল্প বটে, যদি আমরা সত্যিকার অর্থে তা মনে করি। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষকে ঢাকাসহ দেশের অন্য অ লের সাথেও সড়ক ও রেলপথে যুক্ত করবে এ সেতু। দেশের অর্থনীতির আদলও ক্রমশ বদলে যেতে থাকবে। নিজের অর্থে সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো অনেক কাজ আমরা নিজেরাই করতে পারব, জাতির মননে এ বার্তা পৌঁছে দিয়েছে পদ্মা সেতু। এরকম দৃঢ় মানস এ জাতির জন্য খুব জরুরি। জাতির এ গৌরবের অংশীদার দলমত নির্বিশেষে দেশের সব মানুষ। 

আর কিছু লোক তো থাকবেই যাদের ভাল কাজ ভাল লাগে না; দেশের উন্নয়ন, মর্যাদায় যারা খুশি হতে পারে না। এসব মানুষ সর্বদা ছিদ্রান্বেষণ করে, ত্রুটি বের করায় ব্যস্ত থাকে। ছিদ্র যদি পাওয়া না যায়, তবে মনগড়া কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। আরেক শ্রেণির মানুষ আছে যারা পাগলামিতে ব্যস্ত। জাতি হিসেবে হুজুগে মেতে ওঠাও আমাদের অনন্য এক স্বভাব। পদ্মাসেতু নিয়েও মানুষ হুজুগে মেতেছে, সেতুর ওপর তারা টিকটকে তামাশা করায় ব্যস্ত। নানা ধরনের হুল্লোড়ে তারা ব্যস্ত। সেতুর নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। এ জাতি ক্রমশ মাথাহীন জড়বস্তুতে পরিণত হয়ে গেছে। অনেকে বলছে, পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ বেশি হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে। এ কথা আমরা আগেও শুনেছি। সেতু নির্মাণে অনেক বাধাও তৈরি করা হয়েছে। সব বাধা পেরিয়েই আমরা এগিয়েছি। আমার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মত যা-ই হোক আমি বলবো, অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহালেও, চাপে অথবা প্রভাবে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে হলেও শেখ হাসিনার সরকার অবশেষে তার দায়িত্ব পালনে সফল হয়েছে।  

অ্যাকাডেমিক্যালি অনুজপ্রতীম, বন্ধু ও লেখক-কলামনিস্ট চিররঞ্জন সরকার লিখেছেন, "সরকারের যৌক্তিক সমালোচনা করা বিরোধী দলের দায়িত্ব এবং সেটা করাই উচিত। কিন্তু মুশকিল হলো আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকাকালে একরকম আর বিরোধী দলে থাকাকালে আরেকরকম আচরণ করে। বিরোধী দলে থাকলে (তারা) সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার পরিবর্তে মিথ্যাচার ও কুৎসার আশ্রয় নিয়ে থাকে। প্রকল্পযাত্রা থেকে বাস্তবায়ন, পুরো সময়টাই পদ্মা সেতু নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। কখনো বিরোধিতা, কখনো দুর্নীতির অভিযোগ, কখনো বা সেতুর পেছনে নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করা হয়েছে। নানা সময়ে এমন নানা অবস্থান নিয়ে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দলটি। এমনকি বিশ্বব্যাংক সরে দাঁড়ানোর পর কেউ কেউ দাবি করেন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগও। আর বিএনপি চেয়ারপারসন তো প্রকাশ্য সমাবেশেই নেতাকর্মীদের বারণ করেন সেতুতে উঠতে।" 

আমি তার মতের সাথে একমত হই অথবা না হই, আমাদের রাজনৈতিক কালচার কিন্তু এরকমই। সরকারবিরোধিতার নামে এ ধরনের বিরোধিতা না করাই উচিত। যেকোনো সময় যেকোনো দল বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকতে পারে। দেশের যাতে উন্নয়ন হয় তাতে সব দলের সায় থাকা উচিত। তবেই তাকে বলা যাবে গণতান্ত্রিক ঐকমত্য, সহমর্মিতা; জাতির বিকাশে যা খুব জরুরি। 

চিররঞ্জন লিখেছেন, বিরোধী দলের দেউলিয়া রাজনীতির, হিংসার রাজনীতির, বুদ্ধিহীনতার রাজনীতির; সব মিথ্যাচার, কুৎসা আর কোনো না কোনো অর্থে ষড়যন্ত্রের রাজনীতির জবাব পদ্মা সেতু। এটা শুধূ ইট-পাথর-লোহা-সিমেন্টের সেতু নয়। এটা দেশের মানুষের বিশেষত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন-আবেগের প্রতীক, এপিটোম। এর সাথে গুটি কয়েক রাজনীতি-প্রভাবিত মানুষ ছাড়া দেশের সাধারণ মানুষের  ভালোবাসা মিশে আছে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের আপামর জনতার মানসিক দৃঢ়তার প্রতীক। সেতুর ওপর কিছু মগজহীন অত্যুৎসাহী এলেবেলে লোকের নর্তন-কুর্দন আমাদের হতভম্ব করেছে, বিস্মিত করেছে, সেতু কিন্ত নাচা-গানার মহড়াস্থল নয়; টিকটকের মজারু-ক্যাঙ্গারু সাজার জায়গা নয়। এসব করতে গেলে সেতু-কর্তৃপক্ষের বিশেষ পূর্বানুমতি লাগবে। 

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা আসুক। দেশের ও স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থেই তা আসা উচিত। জয়তু পদ্মা সেতু। জয় হোক মানুষের। কল্যাণ হোক সরকারের। জয় জয় জয় হে! 

শেষ করছি সাপ্তাহিক একতার সাম্প্রতিক সংখ্যায় প্রকাশিত মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম- এর প্রবন্ধ থেকে নেওয়া মন্তব্য দিয়ে- "অবশেষে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। জাতির আরেকটি অনন্য স্বপ্নকন্যা বাস্তব রূপ লাভ করেছে। নিঃসন্দেহে এটি দেশের জন্য একটি গৌরবজনক অর্জন।" 

"পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে অনেক নাটক ও ষড়যন্ত্র হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক এই সেতু নির্মাণের মূল অর্থায়ন করবে এবং সেই সুবাদে নির্মাণ কাজের সামগ্রিক তত্ত্বাবধান করবে- সরকার সেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েই কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু তখন থেকেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা উচিত বলে আরেকটি বলিষ্ঠ মত ছিল।" মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের অভিমত: সে মতের সাথে সব সময় সিপিবি ছিল। 

"বিশ্ব ব্যাংকের সাথে চুক্তি করে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। …  মাঝপথে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংক তার প্রতিশ্রুত অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। ফলে পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে সংকট ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো অবস্থা দাঁড়িয়েছিল। এমতাবস্থায় দেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মতটি তখন আবার গুরুত্বের সাথে সামনে এসেছিল। … কিছুদিন পর বিশ্ব ব্যাংক তার সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে জানিয়েছিল যে পদ্মা সেতুর জন্য সে শর্ত সাপেক্ষে অর্থায়নে রাজি আছে। … বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নের পক্ষের লোকজন এতে উল্লাসিত হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব ব্যাংকের কূটচালের সমাপ্তি সেখানেই হয়নি। … সে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়নের চুক্তিটি শেষমেশ চূড়ান্তভাবে বাতিল করে দিয়েছিল। এতোসব নাটকীয়তার পর দশ ঘাট ঘুরে এসে অবশেষে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজটি দেশের নিজস্ব অর্থায়নেই করা হবে।" 

"গোটা ব্যাপারটি শুধু একটি নাটকীয়তার ব্যাপার ছিল না। দেশের রাষ্ট্রীয় মৌলিক দর্শন ও নীতিমালা কি হওয়া উচিৎ, সে মুখ্য বিষয়টি এর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত ছিল। সেই মুখ্য বিষয়টি ছিল, জাতীয় উন্নয়ন প্রয়াসে আমরা কোন বিষয়কে প্রাধান্য দেব- আত্মশক্তি নির্ভর স্ট্র্যাটেজিকে, নাকি বিদেশি ঋণ-সহায়তা পাওয়ার সক্ষমতাকে।"  

"বিশ্ব ব্যাংকের চুক্তি বাতিল করার আসল কারণ 'দুর্নীতি' নয়, অন্য কিছু। … এদেশে এর আগে বিশ্ব ব্যাংকের ছোট-বড় যতো প্রজেক্ট হয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে কি বড় আকারের দুর্নীতি, এমনকি প্রকাশ্যে বড় বড় পুকুর চুরির ঘটনা ঘটেনি? বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থের ৩০ শতাংশ যে দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট হয়ে যায়, সেকথা তো বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টেই বলা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক কি সে কারণে ফ্লাড অ্যাকশন প্রোগ্রাম (ফ্যাপ), কাবিখা, ঢাকা শহর সৌন্দর্যকরণ প্রকল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকার অর্থায়ন চুক্তি বাতিল করেছিল? … সরকার শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের পথে অগ্রগ্রসর হয়েছিল। এটি ভাল কথা।" 

শেষ পর্যন্ত তারই রূপায়ন আমরা দেখেছি।  

"পদ্মা সেতু একটি 'বিশাল নির্মাণ'। কিন্তু শুধু একারণে তা নিয়ে বাড়াবাড়ি রকম বড়াই করা যুক্তিযুক্ত নয়। পিরামিড, তাজমহল ইত্যাদি আরও বড় বড় নির্মাণ আজও মানুষকে চমৎকৃত করে। কিন্তু তা আম-জনতার জন্য কি বা কতোটা প্রত্যক্ষ সুফল বয়ে এনেছে, সেটি অন্য এবং এক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার বিষয়।"