আবদুল গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে শেষ আলাপন

অপূর্ব শর্মা
Published : 19 May 2022, 02:26 PM
Updated : 19 May 2022, 02:26 PM

অনেকদিন ধরেই একুশে গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরীর জীবনী লেখার জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম। ব্যক্তিগত জীবনে তাকে আমি 'দাদু' বলে ডাকতাম। তিনিও আদর করে আমাকে 'দাদু' বলতেন। কি মায়ামায় ছিল সে ডাক তা বলে বোঝাতে পারবো না। তার প্রয়াণের আগেরদিনও ফোনে আদরমাখা 'দাদু' ডাক শুনেছি। প্রায় দুইঘণ্টা ফোনে কথা বলেছেন। দীর্ঘদিন ধরে যে আত্মজীবনী লেখা শুরু করবেন বলে শুধু সময় নিচ্ছিলেন, তার অবসান করেন মৃত্যুর ঠিক আগের দিন তিনি নিজেই।

ফোন করে বললেন, "আজ থেকেই আমি আত্মজীবনী লেখা শুরু করবো। তুমি কি আজ সময় দিতে পারবে আমাকে?" আমি সঙ্গে সঙ্গে বলি, "অবশ্যই।" আমি অফিস থেকে বের হয়ে তখন বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি মাত্র। তাকে সেটা বুঝতে না দিয়ে বললাম, "লাইনেই থাকুন মিনিট দুয়েক পরই আমরা শুরু করবো লেখা।" ঠিক আছে- বললেন তিনি। প্রশ্ন করলেন, "হাতে লিখবে না সরাসরি কম্পিউটারে?" আমি বললাম, আপনি বলুন। তার উত্তর- "কম্পিউটারেই ভালো। আমি বলবো তুমি সঙ্গে সঙ্গে টাইপ করে ফেলবে। লেখা শেষে আমাকে আমার মেইলে পাঠিয়ে দেবে, আর তুমি এক সেট ফাইল করে রাখবে। তবে, আজকের লেখা তুমি আমাকে পাঠিওনা। বাসায় যাবার পর পাঠিও।" জানালেন, শুক্রবার তিনি বাসায় ফিরবেন। যদিও এর দুই দিন আগে আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, যেহেতু শুক্রবার বাসায় যাবো তাই শনিবার থেকেই শুরু করবো ভাবছি। আমি বলি, যা আপনার ইচ্ছে। এর একদিন পর মঙ্গলবার ফোন দিয়ে বললেন, আজ থেকে শুরু করি। আমি বললাম, ঠিক আছে। কিছুক্ষণ পর বললেন, না থাক। শনিবার থেকেই লিখবো। বুধবার যখন বললেন, শুরু করবেন সে কারণে আমি আর সময় ক্ষেপন করলাম না। শুরু হলো লেখা। প্রায় দেড় হাজার শব্দ লেখার পর বললেন, "আরও লিখবে, নাকি আজ এ পর্যন্তই?" আমি বললাম, "আপনি যতক্ষণ লিখতে চাইবেন আমি ঠিক ততক্ষণ সময় দেবো আপনাকে।" এই সময় একজন ডাক্তার তাকে দেখতে আসেন। তিনি বলেন, "তাহলে আজ এ পর্যন্তই; কাল একই সময়ে আবার শুরু করবো।" বলে ফোন রেখে দিলেন। আমি অফিস থেকে বাসায় ফিরে আসি। আবার তার ফোন। বললেন, "যেভাবে লিখতে শুরু করেছি, ঠিক আছেতো?" আমি বললাম, "অবশ্যই ঠিক আছে।" তিনি বললেন, "সবাই আত্মজীবনী শুরু করে জীবনের শুরু থেকে আমি শেষ থেকে শুরু করলাম। জীবনের কিছুই গোপন রাখবো না।" ব্যক্তিগত বেশকিছু প্রসঙ্গ এর আগেই আমার সাথে আলাপ করেছেন। বলেছেন, "এগুলো প্রকাশ করলে মানুষ আমাকে খারাপ ভাববে নাতো?" আমি তাকে আশ্বস্ত করে বলেছি, "অবশ্যই না।" আমি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের উদাহরণ দিয়েছি। তিনি বললেন, "তোমার কথায় সাহস পাই। তুমি আমাকে সাহস দিও।" খবর নিয়েছেন আমার অসুস্থ স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার। জানতে চেয়েছিলেন ওম কেমন আছে। তাদের আশীর্বাদও করেছিলেন প্রাণ ভরে।

কাল লেখা শুরুর পর তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন, "আমি হয়তো লেখাটা শেষ করে যেতে পারবো না। বড্ড বেশি দেরি করে ফেলেছি। এটা ঠিক হয়নি। আমার প্রয়াত মেয়ে বিনু বার বার তাগাদা দিয়েছে। বলেছে, এটাতো শুধু আমার আত্মকথা নয়, বাংলাদেশের সংগ্রামমুখর ইতিহাসের অংশ। আমার স্ত্রীও বলেছে। আর তুমিও তো বার বার তাগাদা দিয়েছোই। আজ বিনুর কথা বেশি করে মনে পড়ছে।" বলেই কাঁদতে শুরু করেন গাফফার ভাই। মৃত্যুর দুইদিন পূর্বে তার সাথে আমার শেষ কথা হয়। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, মা তুমি কবে বাসায় ফিরবে? সে আমাকে বলেছিলো যে বাসায় তুমি নেই সে বাসায় আমি একা কি করে যাই আব্বা? আজতো বিনু নাই, আমি কি করে তাকে ছাড়া একা একা সেই বাসায় থাকবো অপূর্ব বলতে পারো?"

এরপর বলতে থাকেন, "সে ছিল (বিনু) আমার সবচেয়ে প্রিয় সন্তান। ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর যখন আমার স্ত্রীকে হারিয়ে আমি যখন দিশেহারা, কাঁদতে কাঁদতে বলছিলাম, আমারতো আর কেউ রইলনা। বিনু আমাকে আশ্বস্ত করেছিল, সে আমার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলো- আমার পাশে থাকবে সব সময়। সর্বশেষ যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলাম, ডাক্তাররা তাদের আশঙ্কার কথা জানালো। আমি আর মাত্র সাত মাস পৃথিবীতে আছি। সে আমাকে বলল, ডাক্তারের কথা বাদ দাও। তুমি মরবে না। বেঁচে থাকবে। তার কথাই সত্যি হলো। আমি বেঁচে আছি। অথচ সে নাই আজ। জানো অপূর্ব, আমি মৃত্যু ভয়ে ভীত ছিলাম। বিনুর মৃত্যু [১১ এপ্রিল ২০২২] আমার সেই ভয় দূর করেছে। তার শেষ ইচ্ছে ছিলো তাকে ছোটোবেলায় যে নামে ডাকতাম আমরা সেই 'ভানুমতি' নামে তাকে নিয়ে যেন আমি একটি গল্প লিখি। বাসায় ফিরেই গল্পটি লিখবো। তুমি আমাকে সময় দিও।"

লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালের জুলিয়ান ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর বেডে শুয়ে শুয়ে যখন আত্মজীবনী লিখতে শুরু করেছিলেন গাফফার ভাই, জীবনের নানা কথা বলে চোখের জল বুক ভাসাচ্ছিলেন তখন একটিবারের জন্যও মনে হয়নি মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি আমাদেরকে ছেড়ে পাড়ি জমাবেন না ফেরার দেশে। 'হায় জীবন, জীবন এতো ছোটো কেনে?'

এবারের আগে যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, ফেরার পর একদিন আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, "অপূর্ব তুমি কি আমার কলম হবে?" তার এমন কথা শুনে আমি চমকে উঠি। গাফফার ভাই একি বলছেন? নিজের কানকেই বিশ্বাস হচ্ছিলো না। তিনি বললেন, "আমি তোমাকে ডিকটেশন দেবো। আর তুমি লিখবে। আজ থেকে তুমিই আমার কলম।" আমার প্রতি তার এই আস্থা দেখে বিমোহিত হয়েছিলাম। এটা যে আমার জন্য কত বড় পাওয়া, সেটাও তাকে বলেছিলাম। হেসেছিলেন তিনি। বলেন, "প্রিয়জন বলেই তোমার ওপর এ আস্থা। আশা করি তুমি আমাকে হতাশ করবে না।"

তার সঙ্গে কাজ করাতো যে কারোর জন্যই স্বপ্নের ব্যাপার। আর তিনি কিনা বলছেন আমি যেন তাকে হতাশ না করি। তার এমন কথা শুনে লজ্জা পেয়েছিলাম। বলেছিলাম, "অন্যথা হবেনা।" বেশ কিছুদিন তিনি যে পত্রিকাগুলোতে লিখতেন, সেগুলোতে লিখে লেখা পাঠিয়েছেন। তাকে এভাবে সময় দেওয়ার খুব খুশি ছিলেন তিনি। একারণে তার সাথে প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা হতো। সর্বশেষ অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকলেও প্রায় নিয়মিতই ফোন করে কথা বলতেন তিনি। মহাগুরুত্বপূর্ণ কতো কতো কথা। তার শেষ ইচ্ছের কথা, স্বপ্নের কথা, অপূর্ণতার কথা যা স্বল্প পরিসরে লিখে শেষ করা যাবে না।

গাফফার ভাইয়ের সাথে পরিচয় দীর্ঘদিনের। তার আপত্য স্নেহের পরশে সিক্ত হয়েছি। অসম্ভব ভালোবাসতেন তিনি আমাকে। আপন নাতির মতোই দেখতেন। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে লন্ডনে গিয়ে তাকে ফোন না দেওয়ায় তিনি নিজে থেকে ফোন দিয়ে অনুযোগ করে বলেছিলেন, "সবাই এসে আমাকে ফোন করে। দেখা করে, অথচ তুমি ফোন দিলেনা। এটা কি ঠিক হলো?" আমি বলেছিলাম, "কি যে বলেন আপনার সাথে দেখা না করে কি আমি দেশে ফিরবো ভাবলেন কী করে?" হাসলেন তিনি।

বাচিক শিল্পী বোন বন্ধু মুনিরা পারভীনকে নিয়ে তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। দীর্ঘক্ষণ আড্ডা দিলাম। একটা সাক্ষাৎকারও নিলাম তার। সেদিনই তার কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিলাম আত্মজীবনীর ব্যাপারে। তিনি কথা দিয়েছিলেন লিখবেন। লেখা শুরুও করেছিলেন। অথচ নিয়তির কি নির্মম পরিহাস শেষটা করতে পারলেন না। বাংলাদেশের সংগ্রাম মুখর ইতিহাসের অনেক কথাই অপ্রকাশিত থেকে গেল।

কোভিড-১৯ মহামারিতে যখন সবাই গৃহবন্দি তখন মানুষের মনে আশা জাগানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে 'জাগো মানুষ' শিরোনামে আমি একটি কবিতা লিখেছিলাম। যেটি পরবর্তীতে গান হয়। কবিতা এবং গান শুনে জনকণ্ঠ এবং ইত্তেফাকে লেখা দুটি কলামে এর প্রশংসা করেন তিনি। জনকণ্ঠে লেখা কলামে গাফফার ভাইয়ের ভাষ্যের কিছুটা অংশ এখানে তুলে ধরছি। 'কাব্যে ও গানে করোনার প্রতিরোধ' শীর্ষক প্রবন্ধে তিনি লিখেছিলেন,  ''অপূর্বকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তিনি দীর্ঘকাল ধরে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী 'দৈনিক যুগভেরী' পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক। তিনি অনুসন্ধানী রিপোর্টারও। তবে আসল পরিচয় অসাধারণ প্রতিভাশালী সাহিত্যিক। এদিক থেকে তার অপূর্ব নামটি সার্থক হয়েছে। অনুসন্ধানী রিপোর্ট, কবিতা, গল্প কোন কিছু লেখাতেই তার জুড়ি নেই। বেশ ক'টি জনপ্রিয় গানও আছে তার। তার লেখা অসংখ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে বীরাঙ্গনাদের কথা, মুক্তিযুদ্ধে সিলেটের নারী, ওরা ফিরে আসেনি, চা বাগানে গণহত্যা ইত্যাদি।

বাংলাদেশে করোনা যুগের সাহিত্যের অগ্রনায়ক হিসেবেও তার নাম বেঁচে থাকবে। তিনি সাহিত্যিক, সাংবাদিক হিসেবে বহু পুরস্কার পেয়েছেন। আমার আশা তিনি অচিরেই সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাবেন।

প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি আমি অপূর্বর 'দেখা হবে মিলন মোহনায়' কবিতাটির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে 'মহাজীবনের গান' কবিতাটি লিখি। উদ্দেশ্য, করোনার আতঙ্ক মানুষের মন থেকে দূর করা। অপূর্ব শর্মার কবিতাটি হৃদয়স্পর্শী এবং প্রতিভাবান তরুণ আবৃত্তি শিল্পীদের কণ্ঠে তা জীবন্ত হয়ে মানুষের মনে আশা ও বিশ্বাস জোগাচ্ছে।

করোনা একদিন যাবে। সম্পূর্ণভাবে না গেলেও যাবে। কিন্তু মানব সভ্যতায় সে যে পরিবর্তন ঘটাবে তা হবে অচিন্তনীয়। এই পরিবর্তনের ছাপ পড়বে আমাদের শিল্প-সাহিত্যেও। এই পরিবর্তনের পদধ্বনি ইতোমধ্যেই কবিতায় ও গানে শোনা যাচ্ছে। ব্রিটেনের কবি লিলিবেথের কবিতায় তা প্রথম শোনা গেছে। তার প্রতিধ্বনি জেগেছে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের তরুণ কবিদের কাব্যে ও গানে। বাংলাদেশে অপূর্ব শর্মাও করোনা যুগের সাহিত্যের প্রথম অনুভূতি তার কাব্যে জাগিয়েছেন। চল্লিশের দশকের সুকান্তর 'ঘুম নেই' কবিতা যেমন ত্রিশের কবিদের আত্মকেন্দ্রিকতা ও ব্যক্তি সর্বস্বতা ভাঙার কাজে লেগেছিল, বর্তমান দশকে তেমনি করোনা নিয়ে অপূর্ব শর্মার কবিতা ও গান এ যুগের তরুণ কবিদের আত্মমোহ ও আত্মকেন্দ্রিকতা ভাঙাতে পারলে খুশি হবো।''

যুগভেরীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন আমাকে। এই যে অনুপ্রেরণা, তা সমকালে বিরল। তারমতো একজন মহীরূহের এমন আশির্বাণী আমার জন্য শুধু আত্মাশ্লাঘারই নয়, অনুপ্রেরণারও। যা জীবন চলার ক্ষেত্রে পাথেয় হয়ে থাকবে।

আমার লেখা 'দেখা হবে মিলন মোহনা' কবিতাটি আবৃত্তির সূচনা করেছিলেন তিনি। তাকে আবৃত্তির প্রস্তাব দিলে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, "শেষ পর্যন্ত আমাকে দিয়ে আবৃত্তি করাবে তুমি। নিশ্চিত থেকো মানুষ হাসবে।" মানুষ হাসেনি। খুব ভালো আবৃত্তি করেছিলেন তিনি। প্রশংসিত হয়েছে তার আবৃত্তি। এরপর নিজে 'মহাজীবনের গান' শীর্ষক কবিতা লিখে সেটি নির্মানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। দুইটি কবিতাই চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হয়েছিলো।

গাফফার ভাইয়ের সাথে যোগসূত্রতার মূলে ছিল যুগভেরী পত্রিকা, দেশের সবচেয়ে প্রাচীন এই পত্রিকাটিতেই তার লেখালেখির হাতেখড়ি। আবারো যুগভেরীতে লেখার ইচ্ছে ছিল তার। বলেছিলেন, মাসে অন্তত একটি লেখা লিখবেন শুধু যুগভেরীর জন্য। এজন্য তাকে কোনো সম্মানী দিতে হবেনা। সেই ইচ্ছেটাও অপূর্ণ রইলো তার। ঠিক যেভাবে শেষ করতে পারলেন না আত্মজীবনী। আত্মকথা লেখার জন্য তাকে ঠিক কতোবার তাগাদা দিয়েছি, তা বলে শেষ করতে পারবো না। অথচ বুধবার তাগাদা না দেওয়া সত্বেও শুরু করেছিলেন। অথচ শেষ করতে পারলেন না। একুশের গানের বরপুত্রের প্রয়াণ ঘটলো উনিশে। যে একুশ আর উনিশ অভিন্ন। বিষয়টিকে তাই কাকতালীয় বলবো না। পূর্ব নির্ধারিতই বলবো।

একুশের গানের জন্যই তার খ্যাতি ছড়িয়েছে পৃথিবীময়। আর কোনো কিছু না থাকলেও তিনি এই একটি গানের জন্যই অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন। অমর সেই গানটিতে তিনি যেভাবে লিখেছেন 'আমি কি ভুলিতে পারি।' ঠিক তেমনই বাঙালিও তাকে কোনোদিন ভুলতে পারবে না।

ওপারে ভালো থাকুন গাফফার ভাই। অন্তিম অভিবাদন আপনাকে।