ওবামার এশিয়া সফর এবং বাংলাদেশের কূটনীতি

Published : 15 June 2015, 05:37 PM
Updated : 13 Nov 2012, 04:28 PM

প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর বারাক ওবামা যে তাঁর প্রথম বিদেশ সফরে এশিয়ায়, বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যাচ্ছেন তা কোনো কাকতালীয় ব্যাপার নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির দিকে যারা ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখেন তাঁরা এ রকম অনুমান আগে থেকেই করছিলেন। তাছাড়া যদিও তাঁর এ সফর হচ্ছে নির্বাচনের এক মাস না গড়াতেই- তাঁর অর্থ কিন্তু এ নয় যে নির্বাচনের ফলাফল দেখে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওয়াশিংটনের প্রশাসনের কাছেধারের লোকজনের ভাষ্য অনুযায়ী এবং প্রেসিডেন্টের বছরব্যাপী পরিকল্পনার কথা যারা জানেন তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী- প্রেসিডেন্ট বিজয়ী না হলেও তাঁর এই সফর অনুষ্ঠিত হত। কেননা পূর্ব-এশিয়া সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের সফরসূচি আগেই ঠিক করা ছিল। তবে প্রেসিডেন্টের সফরের, বিশেষত অন্য দেশগুলোর অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারেই ঘোষণার জন্য তাঁরা নির্বাচনের ফলাফলের অপেক্ষা করেছেন। কেননা তাঁরা এ থেকে ওবামা-প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদের পররাষ্ট্রনীতিতে কোন অঞ্চল অগ্রগণ্য বলে বিবেচিত হবে তার একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

এ সফরে ওবামা থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং মিয়ানমারে যাবেন, কিন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সব ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তাতে বোঝা যায় যে, মিয়ানমারের ওপরই সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এর কারণ বুঝতে অসুবিধা হয় না। কম্বোডিয়া সফরের কারণ হল পূর্ব-এশিয়া সম্মেলনে যোগ দেওয়া। থাইল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ। ফলে অতীতে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সে সব দেশে গেছেন। কিন্ত মিয়ানমারে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এটাই হবে প্রথম সফর। এ সফর সামনে রেখে অনেকেই এ হিসাব করতে ভুলছেন না যে, তাঁর প্রথম মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রেসিডেন্ট আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর অর্ধেক দেশই সফর করলেন।

এ সফরে ভিয়েতনামকে ইচ্ছাকৃতভাবেই বাদ রাখা হয়েছে, যদিও ভিয়েতনামের একটা আমন্ত্রণ হোয়াইট হাউসের কাছে আছে। এ দফায় ভিয়েতনাম সফর করলে এমন ধারণা হতে পারে যে যুক্তরাষ্ট্র চীনের চারদিকের দেশগুলোকে ঘিরে এক প্রভাব-বলয় তৈরি করে চীনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কাজে এগিয়ে যাচ্ছে। কূটনীতিবিদরা বলছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত ধারণাকে আরও জোরদার করতে পারে তেমন কাজ থেকে বিরত থাকাকেই দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক বলে বিবেচনা করছে।

সফরে মিয়ানমারের গুরুত্ব নিঃসন্দেহে অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি, কিন্ত অন্য দেশগুলো সফর যে একবারে তাৎপর্যহীন তা মনে করা ঠিক নয়। থাইল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো মিত্র হলেও গত বছরগুলোতে সম্পর্কের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। ২০০৩ সাল থেকে আলোচনা সত্বেও থাইল্যান্ড বহুজাতিক 'প্রলিফিরেশন সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভে' যোগ দিতে রাজি ছিল না। এ উদযোগের লক্ষ্য হচ্ছে ব্যাপক-বিধ্বংসী অস্ত্র বা 'ওয়েপেনস অব মাস ডেসট্রাকশন' যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার একটি কাঠামো তৈরি করা।

এবার ওবামার সফরের সময় এ বিষয়ে থাইল্যান্ডের যোগদানের ঘোষণা আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ উদযোগে ১০১টি দেশ ইতোমধ্যে সামিল হয়েছে। ফলে থাইল্যান্ডের যোগদান এক অর্থে একটু দেরিতে নেয়া সিদ্ধান্ত। কিন্ত চীন এবং ইরানের সঙ্গে থাইল্যান্ডের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেরিতে হলেওে এ সিদ্ধান্তের গুরুত্ব কম নয়। তাছাড়া ওবামার সফরের সময় তিনি থাইল্যান্ডের বিমান ঘাঁটিগুলো ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ জানাবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

আসিয়ান-চীন সম্পর্কের সমন্বয়কারী দেশ (২০১২-১৫) হিসেবে থাইল্যান্ড যে এখন চীনের কাছাকাছি এসেছে তার প্রেক্ষাপটে, এবং দক্ষিণ চীন উপসাগরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্কে যতটা দূরত্ব আছে- যুক্তরাষ্ট্র চায় তার অবসান ঘটাতে। চীনের সঙ্গে থাই সম্পর্কের উন্নতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে আরও অন্য মিত্রের অনুসন্ধান করেছে। সে চেষ্টারই ফসল হল মিয়ানমারের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের উৎসাহ এবং ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা।

প্রেসিডেন্ট ওবামার আসন্ন সফর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্কের সূচনা নয় এ কথা আমরা সবাই জানি। মিয়ানমারের সেনা-শাসকরা যখন থেকে তাদের সংস্কার-কর্মসূচির কাজে হাত দেন তখনই এ যোগাযোগের সূচনা। কোনো কোনো সূত্রের মতে, মিয়ানমারের সেনা-শাসকরা আন্তর্জাতিক সমাজে গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আশ্বাস পাওয়ার পরই সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছেন। কারান্তরীণ নেতা অং সান সুচির এই উদযোগে সামিল করানোর কাজে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে বলে কারও কারও মত।

২০১১ সালের নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার নেতাদের শীর্ষ বৈঠকে এ বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র চায় মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে। তিনি বলেছিলেন যে, মিয়ানমারে অগ্রগতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এর আগে অং সান সুচি মুক্তিলাভ করেন এবং তাঁকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতেও সম্মত হন শাসকরা। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন মিয়ানমার সফর করেন। সুচি সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে এলে তাঁকে ব্যাপকভাবে সম্মানিত করা হয়।

গত এক বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ, যার মধ্যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরে তার নৌ-উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা এবং মিয়ানমারের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্কের উন্নতি থেকে এটা বুঝতে কারও-ই অসুবিধা হয় না যে, এশিয়ায় এবং ভারত মহাসাগরে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি রোধ এখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির একটি অগ্রগণ্য দিক। ২০০৯ সাল থেকেই ওবামা-প্রশাসন তাঁদের মনযোগ এশিয়া অঞ্চলে সরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

মিয়ানমারের সরকার সাম্প্রতিক এই অবস্থার সবটুকু সুবিধা নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বললে অত্যুক্তি হবে না। তাই গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে গড়ে ওঠা সম্পর্কে চিড় ধরিয়ে মিয়ানমার কাচিনে মিয়াতসান বাঁধের কাজের ব্যাপারে চীনকে যে 'না' বলেছে- এ থেকেই দেশটির অবস্থান বোঝা যায়। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আগামী বছর কোবরা গোল্ড গেম নামের সামরিক অনুশীলনে পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিতে। কোবরা গোল্ড হল এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সামরিক অনুশীলন। গত কয়েক বছর ধরে এ অনুশীলনের ফোকাস হচ্ছে মানবিক সাহায্য এবং দুর্যোগ মোকাবেলা।

আগামী বছর তাতে চীনও পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবে। কিন্ত মিয়ানমারকে এ অনুশীলনে যুক্ত করার উদ্দেশ্য হল চীনের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা হ্রাসের পাশাপাশি সামরিক নির্ভরতা কমানোর জন্য মিয়ানমারকে অনুপ্রাণিত করা। এ ধরনের আঞ্চলিক সামরিক অনুশীলনের মাধ্যমে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক বন্ধুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে।

মিয়ানমারের পাশের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য এ সব ঘটনা দূরের বিষয় নয়; এ সব থেকে কোনোভাবেইে আমরা চোখ সরিয়ে রাখতে পারব না। মিয়ানমারের বিষয়টি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেখানে চলমান সংঘাতের কারণে। রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংঘাতের ইতিহাস দীর্ঘদিনের, কিন্ত গত মাসগুলোতে বারবার সেখানে আগুন জ্বলে উঠছে। মিয়ানমার রাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপই যে এ সংঘাত জিইয়ে রেখেছে তা কম-বেশি সবারই জানা। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের অধিকার হরণের সরকারি আইন-কানুনের আশ্রয়েই এ ক্রমবর্ধমান সংঘাত। সেখানকার পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে দফায়-দফায় রোহিঙ্গারা দেশত্যাগ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে।

ওবামা-প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিয়ানমারে মানবাধিকার-লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনোরকম বক্তব্য না থাকার কারণে মানবাধিকার সংগঠনগুলো তাদের ক্ষোভ প্রকাশে কুণ্ঠিত হয়নি। তারা মনে করে যে ওবামার সফর মিয়ানমারের শাসকদের আবারও মানবাধিকার-লঙ্ঘনে উৎসাহ যোগাবে। শুধু তাই নয়, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ধারণা- ওবামার সফরের সময়ও এ ধরনের সংঘাত আবার শুরু হতে পারে।

এ সব আপত্তি সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের জাতীয় এবং নিরাপত্তা স্বার্থের বিবেচনায় মিয়ামারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা নিশ্চিত করেই বলতে পারি। ওবামা তাঁর সফরের সময় রাখাইন প্রদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবেন কিনা তা আমাদের জানা নেই, তবে সে রকম কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উন্নতির শুরু থেকেই বাংলাদেশের করণীয় ছিল যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় কেন বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরা।

এ বছরের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্কের উন্নয়ন যখন গতি লাভ করে তখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেওয়ার চেষ্টা করে লিখেছিলাম,
'বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশের এ সব পরিবর্তনের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে কি না, সেটা বাংলাদেশের নীতিনির্ধারক, বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদেরা নিশ্চয়ই বিবেচনা করছেন। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনায়ও তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মিয়ানমার সফর এই বিষয়ে খানিকটা আশার সঞ্চার করে। কিন্তু এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ কতটা খোলামেলা, সেটা স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার শর্ত হিসেবে কারেনদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির কথা বলেছে কিন্তু রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গ তোলেনি। এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশ পর্দার অন্তরালে মিয়ানমার-যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগে সম্ভবত অংশ নেয়নি। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমার পরিস্থিতির যেহেতু প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে, বাংলাদেশের উচিত হবে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জোর দিয়ে উপস্থাপন করা। …। মিয়ানমার-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ঘটবে বলে অনুমান করা যায়। বাংলাদেশ তার থেকে লাভবান হবে, না ক্ষতির সম্মুখীন হবে, সেটা অপেক্ষা করে দেখার বিষয় নয়, প্রয়োজন এই ঘটনাবলিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা।' (মিয়ানমার-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ও বাংলাদেশের ভাবনা, প্রথম আলো, ১৬ জানুয়ারি ২০১২)।

এরপর অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অনুরোধ বাংলাদেশ প্রত্যাখান করেছে এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। অবস্থা দেখে অনুমান করতে পারি যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ নিয়ে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ঘাটতি ছিল।

আশার বিষয় যে ওবামার সফরই যুক্তরাষ্ট্র-মিয়ানমার সম্পর্কের শেষ ধাপ নয়। এ সম্পর্কের আরও অনেক অধ্যায় আছে। আগামীতে সে সব অধ্যায়ে বাংলাদেশ কোনো ভূমিকা রাখতে পারে কিনা সে জন্য এখন থেকেই সক্রিয় হওয়া উচিত। এ সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারলে বাংলাদেশের লাভই হবে, ক্ষতির কোনো আশঙ্কা আমি অন্তত দেখতে পাই না।

ইলিনয়, ১৩ নভেম্বর ২০১২

আলী রীয়াজ : যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক।