কিউবা এবং ছবির ‘ভুল’ ক্যাপশন

মীর মোশাররফ হোসেনমীর মোশাররফ হোসেন
Published : 16 July 2021, 05:21 PM
Updated : 16 July 2021, 05:21 PM

গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এএফপির একটি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুরনো একটি আলোচনা নতুন করে হাজির হয়েছে। তা হল, পশ্চিমা গণমাধ্যমের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, তার কেমন নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত, তা নিয়ে বিবিসি-সিএনএন, গার্ডিয়ান, নিউ ইয়র্ক টাইমসের ভুরি ভুরি নিবন্ধ তো আমরা হরহামেশাই পড়ছি। সেগুলো কি তারা নিজেরা বিশ্বাস করে? চর্চা করে? 

তাই যদি হবে, তাহলে হংকংয়ের বিক্ষোভ আর চিলির বিক্ষোভের আলাদা 'ট্রিটমেন্ট' দেখি কেন? কেন বলিভিয়ায় মোরালেসকে উৎখাতে তারা খুশি হবে, আর ডনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্থকদের ক্যাপিটল হিলে হানা দেওয়ার ঘটনায় তাদের বেজার দেখা যাবে। বাক স্বাধীনতা, মানুষের বলবার অধিকার, প্রত্যেকের স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান করার ব্যাপারে তারা যদি দৃঢ়ই থাকে, তাহলে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের দিকে না তাকিয়ে, তারা কেন দেশটি থেকে মার্কিন বাহিনীর চলে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হচ্ছে?

এসব প্রশ্নের রূঢ় সত্য উত্তর হচ্ছে, তারা ইচ্ছা করেই তাদের 'ট্রিটমেন্টে' দ্বিচারিতা রাখে। পাঠকদেরকে পশ্চিমা নীতির অনুসারী বানাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যায়। চ্যালেঞ্জ করলে, তারা সম্ভবত এ সংক্রান্ত তাদের 'সম্পাদকীয় নীতি'ও নিয়ে আসতে পারে। তা করুক। কিন্তু তারা যে একটা পক্ষ, এটা লুকাতে হচ্ছে কেন তাদের? তাদের কাছে কারা শত্রু, কেন শত্রু, শত্রুদের যাবতীয় সব কাজের পেছনেই যে উদ্দেশ্য খারাপ, অন্যদিকে মিত্র দেশ আর সংগঠনের যাবতীয় সব অন্যায়ই যে আসলে 'ভুল করে করা' তা পাঠককে গেলাতে তাদের নানান ছলচাতুরি গণমাধ্যমের নিয়মিত পাঠকরা এখন সহজে ধরতেও পারেন। যে কারণে, একদিকে এসব পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা কমে আসছে, অন্যদিকে তাদের 'প্রোপাগান্ডা' আর উসকানিমূলক নিউজের ধার দিন দিন কমে আসছে। 

বলছিলাম, এএফপির ওই ছবির কথা। ছবি যখন প্রথম প্রকাশ হলো, দুনিয়াবাসীকে জানানো হলো, হাভানার ম্যাক্সিমো গোমেজ মনুমেন্টে সরকারবিরোধী হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়েছে। তারা কমিউনিস্ট সরকারের উপর ক্ষুব্ধ। প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ কানেলের পদত্যাগ দাবি করছে।

কিন্তু ঘটনা পুরোপুরি উল্টো। ম্যাক্সিমো গোমেজ মনুমেন্টে ওই জমায়েত ছিল সরকার সমর্থকদের। তারা মার্কিন চক্রান্তের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছে। 

তাও ভালো, ভুল ছবির বরাতে সরকারপক্ষের একটা জমায়েত দেখা গেছে। সচরাচর মার্কিন প্রশাসনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বড় জমায়েতের ছবি তো আপনি এসব গণমাধ্যমে খুব বেশি দেখবেন না। 

গার্ডিয়ান তাদের নিউজে ছবির ক্যাপশনে থাকা ভুল স্বীকার করতে সময় নিয়েছে একদিন। অতীতে ইরাকে 'ভয়াবহ অস্ত্র' আবিষ্কারের 'ভুল' স্বীকার করতে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর দীর্ঘদিন লেগেছিল। ওই 'ভুল' মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য আর তাদের মিত্রদের অভিযানকে হাওয়া দিয়েছিল; সেই অভিযান হাজার হাজার বেসামরিকের প্রাণ নিল, মধ্যপ্রাচ্যকে ওলট-পালট করে দিল, কিন্তু 'ভয়াবহ মারণাস্ত্র' আর খুঁজে পাওয়া গেল না।

গণমাধ্যম, বিশেষ করে পশ্চিমা গণমাধ্যমের 'ভুলের' খেসারত নিয়ে আলাপ করতে গিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যে চলে গিয়েছিলাম। কি আর করা, ওয়ার ইন্ডাস্ট্রি, পশ্চিমা পুঁজিবাদ আর তাদের 'স্বাধীন গণমাধ্যমের' মেলবন্ধনের হাত তো এরচেয়েও লম্বা। 

যাই হোক, কিউবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। তা তো জানলাম। কিন্তু ক্ষোভের ভিত্তি কি, সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের যুক্তি কি, তা নিয়ে কিন্তু বিবিসি-সিএনএন-রয়টার্স আমাদেরকে খুব বেশি কিছু জানাতে পারেনি। যা জানিয়েছে, তাও ভাসা ভাসা। বলা হচ্ছে, সেখানে অর্থনীতির অবস্থা খারাপ, বেকারত্ব বাড়ছে, বিদ্যুৎ ঘাটতি- এসবকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার মানুষ কিউবার কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীদের অনেককে মার্কিন পতাকা উড়াতে দেখা গেছে। এর আগে হংকংয়েও আমরা এমনটা দেখেছি। মার্কিন পতাকা নিয়ে বিক্ষোভের এই ট্রেন্ডের যুক্তি কী, কিভাবে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের মানুষদের মুক্তি এনে দেবে, বিক্ষোভে এই পতাকার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে কি সামরিক হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানানো হয়? অবরোধ আরও দীর্ঘায়িত করার বার্তা দেয়? কে জানে।

আচ্ছা, দ্বীপদেশটির অর্থনীতি খারাপ হওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যায় অবরোধের ভূমিকা কি পশ্চিমা গণমাধ্যমের কোথাও পাওয়া যাচ্ছে? কিউবার উপর কতদিন ধরে এ অবরোধ চলছে? ৬০ বছর। কেন অবরোধ? কিউবার কাছে কি পারমাণবিক অস্ত্র আছে? কিউবা কি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্রের ভেতর শোনা যায়, এমন অসংখ্য রেডিওতে সারাদিন মার্কিন নীতির পিন্ডি চটকাচ্ছে? কোনোটাই নয়। 

একরত্তি দেশ। এক লাখ বর্গকিলোমিটারে দ্বীপরাষ্ট্র, জনসংখ্যা এক কোটি ১০ লাখের মতো। একসময় যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাতদের প্রমোদভ্রমণের জায়গা ছিল। বিখ্যাত গডফাদার সিনেমায় যেমনটা দেখা গেছে, অনেকটা তেমন করেই মার্কিন ধনীরা কিউবাকে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছিল। এরপর ফিদেল কাস্ত্রোদের বিপ্লব। তারপর একের পর এক সংস্কার; এবং তার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধকে পাশ কাটিয়েই অভাবনীয় উন্নতি। কিউবার সরকার ফেলে দিতে, ফিদেলকে হত্যা করতে মার্কিন প্রশাসন- কি ডেমোক্র্যাট, কি রিপাবলিকান সবার প্রাণান্ত চেষ্টার কথা এখন তো সিআইএ-র দলিলেই পাওয়া যাচ্ছে।

কিউবায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা বিনামূ্ল্যে। জনস্বাস্থ্যে দেশটির অসামান্য অগ্রগতির কথা গত কয়েক বছর ধরে জাতিসংঘের মুখেই শোনা যাচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে একাধিক দেশে তাদের মেডিকেল টিম গেছে, নিয়ে গেছে চিকিৎসক, ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী। 'দরিদ্র' কিউবার সাহায্য নেওয়া সেসব দেশের তালিকায় ইউরোপের 'উন্নত' কয়েকটি দেশও আছে। কিউবা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় টিকা বানাচ্ছে, তাও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যায় অবরোধের মধ্যেই। টিকা বানানোর উপকরণের জন্য অবরোধে ছাড় চেয়েছিল হাভানা, সেটাও দিতে রাজি হয়নি 'মানবিক, উন্নত চেতনার সফল রাষ্ট্র' যুক্তরাষ্ট্র। 

কিউবায় প্রতি ১৭০ জনের বিপরীতে একজন ডাক্তার। বর্ণবিদ্বেষের স্থান নেই। নারী-পুরুষ সমানাধিকার, সবক্ষেত্রে। নিরক্ষরতা নেই। মানব উন্নয়ন সূচকে ১৮৯টি দেশের মধ্যে ৭০। গড় আয়ু ৭৯ বছর। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার প্রতি এক হাজারে মাত্র ৫, আমেরিকায় এটি ৬.৫, আমাদের পাশের দেশ ভারতে ৩৫ এর কাছাকাছি। 

এগুলোর কোনোটিই কিউবার সরকারি তথ্য নয়, নয় কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির প্রচারণাও। জাতিসংঘ আর নানান আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসাব। কিন্তু তাও কি পশ্চিমা গণমাধ্যমে এসব তথ্য পাওয়া যায়, যে গণমাধ্যমগুলো কিনা এমনকী ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান পররাষ্ট্রনীতির 'প্রোপাগাণ্ডাকেও' যাচাই ছাড়া অবলীলায় ছেপে দিতে পারে? 

চোখে পড়েছে বলে মনে পড়ছে না।

কিউবায় কী ঘটেছে, তা নিয়ে এবার হাভানার চীনা দূতাবাসের ভাষ্য শুনুন। তারা বলছে, কিউবায় এবারের অস্থিরতা তৈরিতে মদত ছিল মায়ামির একটি সংস্থার, তাতে আবার অর্থ ঢেলেছে ফ্লোরিডা সরকার। টুইটারে 'এসওএস কিউবা' হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করতে ব্যবহার করা হয় অসংখ্য জাল ছবি। এর একটিতে রাউল কাস্ত্রোকে ভেনিজুয়েলার বিমানে উঠতে দেখা যাচ্ছে। লাখো, হাজারো ফেইক অ্যাকাউন্ট, সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রাজনৈতিক কর্মী, ব্যবসায়ী ও সোশাল মিডিয়া সেলিব্রেটিরাও ওই ছবি দিয়ে বলছেন- কিউবায় বিক্ষোভ দেখে ভেনিজুয়েলায় পালাচ্ছেন রাউল। অথচ ছবিটি কয়েক বছর আগের, রাউল তখন প্রেসিডেন্ট। আনুষ্ঠানিক সফরেই ভেনিজুয়েলা যাচ্ছিলেন। আচ্ছা, এইসব ভুয়া ছবি দিয়ে টুইট করা অ্যাকাউন্টগুলো, যাদের রিচ-রিটুইট মিলিয়ন, মিলিয়ন; সেগুলোতে কি টুইটার লেবেল লাগিয়েছে? 

কিউবায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ছবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে আপ্লুত করে দিল। 'কিউবার জনগণ স্বাধীনতার জোরাল বার্তা দিয়েছে', হাতে আবার মার্কিন পতাকা, এখন ওরা কিউবাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ঘোষণা করলেই 'যুদ্ধবিরোধী' বাইডেন ফ্লোরিডা থেকে ৯০ মাইল দূরে সেনা পাঠিয়ে দেবেন, এইরকম মার মার কাট কাট সিনেমাটিক উত্তেজনা আর কি।

প্রতিদ্বন্দ্বী কিংবা 'শত্রু' রাষ্ট্রগুলোর 'সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা' দেখাতে যুক্তরাষ্ট্রের কার্পণ্যের কথা সুবিদিত। ক্যাপিটলে ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান দাঙ্গা নিয়ে কথা বললে, শব্দবন্ধের কথাগুলো স্মরণ করিয়ে দিতে এতটুকু দেরি হয় না তাদের। অথচ বিভিন্ন দেশকে 'শয়তানের অক্ষশক্তির' অন্তর্ভুক্ত করে সেসব দেশের শাসনপদ্ধতি, সরকার ব্যবস্থা, সেখানকার জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে বলতে তারা দ্বিতীয়বার চিন্তাও করে না। বলিভিয়ায় মোরালেসকে উৎখাতের পর ওয়াশিংটনের উচ্ছ্বাস তো এই সেদিনের কথা। এবার সেই ঘটনায় তাদের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করুন মিয়ানমারের অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রতিক্রিয়াকে। কিংবা ভাবুন তুরস্কে সৌদি কনসুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশুগজি হত্যার ঘটনায় তাদের অবস্থান।

কিউবার বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ কোথায়? আগেই এ প্রশ্ন করা হয়েছিল। ওয়াশিংটন আসলে তার নাকের ডগায় থাকা একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্রকে নিতে পারছে না। পারছে না সেখানকার শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে, পারছে না সেখানে তুমুল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে, পারছে না অর্থনৈতিকভাবে ধসিয়ে দিতে। এবং এত চেষ্টা করেও যে এগুলো করা যাচ্ছে না, সেই বিষয়টা মেনেও নিতে পারছে না তারা। মার্কিন 'ইগো'কে এইভাবে অবজ্ঞা! অবিশ্বাস্য। তাইতো রাজনৈতিক শিষ্টাচারের প্রতিমূর্তি বাইডেনকেও সকাল-বিকাল 'কমিউনিজমকে' গালাগাল করতে হচ্ছে। 

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এই 'ব্যর্থতা'র তালিকা এখন দিনদিন লম্বা হচ্ছে। ইরাক-আফগানিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটাতে হচ্ছে। রাশিয়া, চীনতো দূর ইরানকেও কাবু করা যাচ্ছে না। ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়ায় সরকার ফেলে দিতে, মাদুরো-মোরালেসকে মেরে ফেলতে বা দেশছাড়া করতে তাদের চেষ্টাগুলোও ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো যতদিন যাচ্ছে, মার্কিনবিরোধী 'আঁতাত' ততই যেন শক্তিশালী হচ্ছে, দ্বন্দ্ব-অবিশ্বাস বাড়ছে নেটোতে। 

যা হোক, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির আশায় দাগা দিয়ে, কিউবায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মাত্রা কমে আসছে। এপি, এএফপি, গার্ডিয়ান, বিবিসি, রয়টার্সে কিউবা সংক্রান্ত খবর আর ছবিও কমে যাচ্ছে।

কিউবাকে নিয়ে মার্কিন ষড়যন্ত্র আর মিথ্যাচারের তাৎক্ষণিক অথচ দৃঢ় জবাব মিলবে সরকারবিরোধীদের পাল্টায় হাভানাসহ বিভিন্ন শহরে 'ভিভা ফিদেল', 'ভিভা কিউবা' শ্লোগান ওঠা লাখ লাখ মানুষের পাল্টা বিক্ষোভে। কিন্তু পশ্চিমের 'পশ' গণমাধ্যমগুলো সেসব বিক্ষোভের ছবি আমাদের দেখাবে না, তাদের যুক্তি আমাদের শোনাবে না।

লাতিন আর ক্যারিবীয় অসংখ্য দেশের সরকারও যে কিউবার পক্ষে তাও আমাদের জানানো হবে না। ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে কিউবা বোধহয় সবার অলক্ষ্যে একটা 'যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ভ্যাকসিন' অ্যাকটিভ করেছে। পশ্চিমা গণমাধ্যম কি 'ভুল' করেও কখনো ওই ভ্যাকসিনটির খবর দেবে আমাদের?