রাজনীতিতে কি সহসা গরম হাওয়া বইবে?

বিভুরঞ্জন সরকারবিভুরঞ্জন সরকার
Published : 22 Jan 2021, 07:53 AM
Updated : 22 Jan 2021, 07:53 AM

দেশে এখন পৌরসভা নির্বাচন চলছে। ২৮ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ২৪টি এবং ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ৬০টি পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচন তেমন সংঘাত-সংঘর্ষ না হলেও দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়নি। একজন নবনির্বাচিত কাউন্সিলারসহ তিন জনের প্রাণহানি হয়েছে। পরের নির্বাচনগুলো কতটুকু শান্তিপূর্ণ হবে, এখন দেখার বিষয় সেটাই। পৌর নির্বাচনে একচেটিয়া জয় পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তবে বিএনপির প্রার্থীরাও জয়লাভ করছেন। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এবং জাসদের একজন করে মেয়র পদে জিতেছেন। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির 'বিদ্রোহী' প্রার্থীরাও জিতেছেন। নির্বাচন সব জায়গায় সুষ্ঠু এবং অভিযোগমুক্ত হচ্ছে না। নানা ধরনের অনিয়ম, কারচুপি, জোরজুলুমের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। তবে ভোটের ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ কমে যাওয়ার যে অভিযোগ সাম্প্রতিক সময়ে সামনে আসছিল, পৌরসভা নির্বাচনে তা কমছে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে বিপুল সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।

পৌরসভা নির্বাচন একটি স্থানীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে জয়-পরাজয় সরকার বদলে ভূমিকা রাখবে না। তবে যেহেতু দলীয় মনোনয়নে দলীয় প্রতীকে এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো হচ্ছে বলে এখন এইসব নির্বাচনও একেবারে রাজনৈতিক গুরুত্বহীন নয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট কমার তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিএনপির ভোট কিছু বাড়তির দিকে হলেও তা বিপদজনক নয়। যদিও বিএনপি এবং অন্য বিরোধী দলগুলো বলে আসছে যে, ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে না বলেই আওয়ামী লীগ বেশি জিতছে। এই ভোট জনমতের প্রতিফলন নয়। যেসব পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হচ্ছেন, সেসব পৌরসভায়ও কি সুষ্ঠু ভোট হয়নি? নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সবাই জিততে চান। হেরে গেলে অভিযোগ করা একটি পুরনো অভ্যাস। নির্বাচনে জেতার জন্য কতকগুলো শর্ত পূরণ জরুরি। এখন আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনে জেতার শর্ত পূরণ যেভাবে সম্ভব, অন্যদের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। টাকাওয়ালা এবং প্রভাবশালীদের সংখ্যা এখন আওয়ামী লীগে বেশি। এটা নিয়ে তর্ক করা যেতে পারে কিন্তু তাতে পরিস্থিতি খুব বদলাবে না।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে। বিএনপি এবং তার মিত্ররা সুযোগ খুঁজছে। আওয়ামী লীগের কেউ তাদের হাতে কোনো হাতিয়ার তুলে দেবে না, তা জোর দিয়ে বলার অবস্থা আছে কি? শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত রাজনীতির বাজার তুলনামূলক ভাবে গরম থাকে। আমাদের দেশে বড় সব আন্দোলন-সংগ্রাম শীতের আগেপরেই হয়েছে। এবছর সারা দেশে শীতের প্রকোপ বেশি। শীতে মানুষ জুবুথুবু হয়ে আছে। তবে রাজনীতিতে এখন পর্যন্ত সে রকম গরম হাওয়া নেই। রাজনীতির মাঠে নাড়া জোগাড়ের চেষ্টা আছে। আগুন জ্বালানোর অবস্থা নেই। প্রবল উত্তাপ ছড়ানোর রাজনীতির দিন আসবে কিনা, তা এখনই এককথায় বলে দেওয়া যাবে না। এটা ঠিক যে, দেশের মানুষ এখন অনেক সতর্ক। তারা রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন দেখতে যায়। রাজনীতির কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা যেন ব্যাহত না হয়, আয়-উপার্জনে ব্যাঘাত না ঘটে – মানুষ সেটাই চায়। তাই এখন রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার আগে নেতানেত্রীদের মানুষের মনোভাবের কথাটা বিবেচনায় নিতে হবে। রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে হরতাল-ধর্মঘট ইতোমধ্যে কার্যকারিতা হারিয়েছে। জাতীয় ভাবে দৃশ্যত রাজনীতির ময়দানে কোনো খেলা নেই। মাঠের বিরোধী দল বিএনপিকে সরকার কোণঠাসা করে রেখেছে। সভা-সমাবেশের অনুমতি খুব একটা দেওয়া হয় না। তাই বিএনপি সীমিত পরিসরেই রাজনীতি করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে প্রতিদিনই কোনো না কোনো উপলক্ষে বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ কথা বলছেন। গণমাধ্যমে তাদের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশ হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের রাজনীতিও এখন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা কিংবা দিবস পালনের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে।

নিয়মিত রাজনৈতিক কার্যক্রম বলতে এখন শুধু পাল্টাপাল্টি বক্তৃতা-বিবৃতি দেওয়াকেই বোঝায়। জাতীয় রাজনীতি যখন গতিহীন তখন তৃণমূলের রাজনীতি যে স্থবির অবস্থায় থাকবে – সেটা নিশ্চয়ই কোনো অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমাদের দেশের রাজনীতি প্রায় সবসময়ই ওপর থেকে নিচে যায়। নিচ থেকে ওপরে ওঠে না। মাঠ পর্যায়ে এখন আর রাজনীতি নেই বললেই চলে। কেউ স্বীকার করতে না চাইলেও বাস্তবতা এটাই যে, মাঠের বা তৃণমূলের রাজনীতি এখন চৈত্র মাসের শুকনো ডোবার মতো। সবাই যেন কিসের অপেক্ষায়, কোনো বাঁশির সুর বেজে ওঠে কি না সে জন্য কান পেতে আছে। কেন্দ্রের নির্দেশ ছাড়া কেউ কিছু করে না। আবার কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দিলেও অনেক সময় তা কার্যকর হয় না। আওয়ামী লীগ জানে, যতদিন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন ততদিন তাদের কোনো ভাবনা নেই। তাই আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় দল ঢুকে গেছে সরকারে। আওয়ামী লীগের সরকার না হয়ে সরকারের আওয়ামী লীগ হয়েছে। ফলে দলটিকে আর আলাদা করে খুঁজে পাওয়া যায় না।

ছোট বড় অনেক নেতাই এখন তদবির বা অন্য কোনো ধান্দায় ব্যস্ত। গত কয় বছরে তৃণমূলের কেউ কেউ বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। কে কীভাবে টাকা কামিয়েছেন, কান পাতলেই তা শোনা যায়। এ সব শুধুই কি রটনা? অনেকেই মনে করেন, যা রটে তার কিছু না কিছু বটে! তার মানে তৃণমূলে আওয়ামী লীগের এখনকার রাজনীতি হলো আখের গোছানোর। পাওয়া এবং খাওয়ার রাজনীতি। কিন্তু সবাই তো আর খেতে পরতে পারছেন না। তাই তৈরি হচ্ছে দ্বন্দ্ব। পাওয়া গ্রুপ এবং না-পাওয়া গ্রুপের দ্বন্দ্ব এতটাই প্রকট যে কেন্দ্র থেকে হুকুম দিয়েও এটা দূর করা সম্ভব হচ্ছে না। আওয়ামী লীগই যে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে সেটা পৌরনির্বাচনেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় চতুর্থবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল কাদের মির্জা। তিনি নির্বাচনের আগে সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে যেভাবে তোপ দেগে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, তা একটি গভীর পর্যালোচনার বিষয় হওয়ার মতো। কাদের মির্জা যদি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই না হতেন তাহলে কি তার এতসব সত্যভাষণ আওয়ামী লীগ হজম করত?

তৃণমূলে বিএনপির অবস্থা কি সংহত? না। বিএনপির সমর্থকদেরও যেহেতু ভরসার জায়গা খালেদা জিয়া খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান সেহেতু তাদের মধ্যে কিছুটা অস্থিরতা আছে। আছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। বেগম জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়ে দুই বছর জেলে কাটিয়ে এখন সরকারি অনুকম্পায় বাইরে থাকলেও রাজনীতিতে পুরো নিষ্ক্রিয় আছেন। তারেক রহমান লন্ডনে বসে স্কাইপিতে দল চালান। তারপরও ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে ভুলছে না বিএনপি। কেন্দ্রের মতো স্থানীয় পর্যায়ের নেতারাও এতটাই মশগুল হয়ে আছেন যে তারা সংগঠনকে মজবুত করার জন্য মানুষের কাছে নিজেদের রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরার চেয়ে বেশি পছন্দ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের তোয়াজ করতে। কে কাকে ল্যাং মেরে সামনে যেতে পারবে সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতা বিএনপিতেও চরম। সুতরাং বলার কথা এটাই যে, এলাকা এলাকায় দলের কার্যক্রমের নামে আছে চরম দলাদলি। কেউ বলতে পারেন, এটাই তো রাজনীতি। দল এবং দলাদলি থাকলেই বুঝতে হবে রাজনীতি আছে। হ্যা, এই অর্থে তৃণমূলে রাজনীতি আছে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি আছে সব জায়গায়। জাতীয় পার্টি আর জামায়াতও আছে অনেক জায়গায়। বসুরহাট পৌরসভায় বিএনপি এবং জামায়াত প্রায় সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছে। এটা ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য কোনো সংকেত বহন করে কিনা ভাববার বিষয় সেটিও।

বাম দলগুলোর অবস্থান তৃণমূলে একেবারেই দুর্বল। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি শুধু যে দেশের সব জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে আছে তা নয়, বাড়ি বাড়িতেও আছে। এটাও কোথাও কোথাও লক্ষ করা যায় যে, এক পরিবারে চার রাজনৈতিক দলের সদস্যও আছেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত এবং জাসদ। জাতীয় ভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে খুব সদ্ভাব না থাকলেও তৃণমূলের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। তৃণমূলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রেষারেষি নেই সেটা বলা যাবে না, তবে এক ধরনের গোপন সমঝোতাও আছে। আওয়ামী লীগের এই রকম সমঝোতা আছে কোথাও কোথাও জামায়াতের সঙ্গেও। এই মিলমিশের পেছনে আবার লেনদেনের সম্পর্ক আছে বলেও শোনা যায়। সরকারি দলের লোকেরা দুপয়সা আয়রোজগার করছেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের সহযোগিতা করছে। এমনও শোনা যায় যে, এই মর্মে গোপন সমঝোতা হচ্ছে, এখন বিএনপি-জামায়াতকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে পরে দরকার হলে আওয়ামী লীগও যেন সেটা পায়। অর্থাৎ তৃণমূলের রাজনীতিও আর নীতি-আদর্শের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। নীতির রাজনীতি অবশ্য জাতীয় পর্যায়েও নেই। একটা সময় ছিল যখন রাজনীতির গতিমুখ ছিল তৃণমূলে। মানুষের মধ্যে থেকে, মানুষের জন্য কাজ করে তৃণমূলে যারা জনগণের বিশ্বস্ত নেতা হয়ে উঠতেন তারাই ধাপে ধাপে জাতীয় রাজনীতিতে ঠাঁই পেতেন। এখন ধারা বদলে গেছে। এখন নেতা হওয়ার জন্য জনগণের সমর্থনের প্রয়োজন হয় না। এখনকার বেশিরভাগই হাইব্রিড নেতা। উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া। রাজনীতি এখন বিত্তবান হওয়ার উপায়। রাজনীতি পরিণত হয়েছে ব্যবসায়। কম বিনিয়োগে বেশি মুনাফা রাজনীতি ছাড়া অন্য ব্যবসায় হয় না। জাতীয় রাজনীতির এই ধাক্কা তৃণমূলেও আঘাত হেনেছে। তাই তৃণমূলেও চলছে টাকার খেলা। স্থানীয় পর্যায়ের যেকোনো নির্বাচনেও এখন যে পরিমাণ টাকা ব্যয় করা হয় তা এক কথায় অকল্পনীয়।

তৃণমূলের রাজনীতিতে সবার অলক্ষ্যে একটি পরিবর্তন ঘটছে বলে আমার ব্যক্তিগত ধারণা। গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোর নিষ্ক্রিয়তা এবং উদাসীনতার সুযোগে ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষত জামায়াতে ইসলামী তৃণমূলে প্রভাব বিস্তার করছে। জামায়াত বাংলাদেশের সবচেয়ে কৌশলী ও সুচতুর রাজনৈতিক দল। তাদের বেড়ে ওটার ভয়াবহ বিপদ আজ যারা দেখছেন না, তারা খুব শিগগিরই পস্তাবেন। জামায়েতের সঙ্গে আজ যারা কৌশলের খেলা খেলছেন তারা যখন নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন, তখন হয়তো আর সংশোধনের সুযোগ পাওয়া যাবে না। তবে তৃণমূলের রাজনীতির ক্ষয়রোগ নিরাময় করতে হলে জাতীয় রাজনীতিতেই আগে পরিবর্তন আনতে হবে।

বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোর মধ্যে 'কিছু একটা' করার মরিয়াভাব দেখা যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে সরকারকে ধাক্কা দেওয়ার কথা কারো কারো মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে। কিছু কিছু উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে। ৫০ জন সাবেক সেনাকর্মকর্তার উপস্থিতিতে ২০-দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির 'দোয়া মাহফিল' নিয়ে রাজনৈতিক মহলে মুখরোচক গসিপ আছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ সম্প্রতি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার কারণে কিছু ব্যক্তির মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা, সংঘাতে জড়ানো এবং দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা আছে।

এই প্রবণতা এখনই রোধ করা না গেলে দেশের রাজনীতির হাওয়া গরমে বিরোধী দলের চেয়ে আওয়ামী লীগের কারো কারো ভূমিকা রাখার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাবে কি? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন, কিন্তু ভোটের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠা হয়নি কিংবা নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগের কেউ কেউ 'পালানোর পথ খুঁজে পাবে না' বলে আব্দুল কাদের মির্জার বক্তব্য বিরোধীদের নৈতিক সাহস জুগিয়েছে।