বিশ্ববিদ্যালয়ে অসঙ্গতি এবং উপাচার্য নিয়োগ

মো. শফিকুল ইসলাম
Published : 28 Sept 2020, 04:39 PM
Updated : 28 Sept 2020, 04:39 PM

ছোটবেলা থেকেই পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আমরা শুনে আসছি পিতা-মাতার পরেই শিক্ষকের স্থান। মর্যাদা, সম্মান ও শ্রদ্ধা সবমিলিয়ে শিক্ষকতা মহান পেশা। শিক্ষকদের দেখলে বিনয়ের সঙ্গে সালাম দেওয়া, এমনকি অনেক দূরে দেখতে পাচ্ছি শিক্ষক হেঁটে যাচ্ছেন, গিয়ে সামনে দাঁড়াতাম এবং সম্মান জানাতাম এটাই ছিল আমাদের তখনকার সময়ের বৈশিষ্ট। কিন্তু বর্তমানে কি তার বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে সমাজ? এই প্রশ্নটি দেখা দিয়েছে এজন্য, লক্ষ্য করা যাচ্ছে শিক্ষক পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে বাজে আচরণ করাসহ শারীরিক নির্যাতনের মতো বহুল সমালোচিত ঘটনাও ঘটাচ্ছে। গণমাধ্যমে জানতে পারি, শিক্ষার্থীরা কলেজের অধ্যক্ষকে পুকুরে পর্যন্ত ফেলে দিয়েছে এবং কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা শিক্ষককে মারার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। কারণ শিক্ষকরা তার অনৈতিক কাজে সমর্থন করছে না। ইদানিং দেখা যাচ্ছে শিক্ষকরা এক ধরনের অনিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। কখন শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের ওপর আক্রমণ করে এবং তার অফিস কক্ষ ভাংচুর করে।

একথা সত্য, মুষ্টিমেয় কিছু শিক্ষার্থীর জন্য 'শিক্ষার্থী' সত্তাটি সমালোচনার মুখে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে নকল করা, অন্যজনের অ্যাসাইনমেন্ট কপি করা, নিয়োগ বাণিজ্য এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার কাজের সাথে জড়িত থাকা, ভর্তি বাণিজ্য ও ক্যাম্পাসে উন্নয়নমূলক কাজ থেকে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে। অতীতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ চালায় কিছু শিক্ষার্থী। এছাড়াও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকদের লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে কিন্তু এসব অভিযোগের মূলে রয়েছে মোট শিক্ষার্থীর ১% বা তার চেয়েও কম। বাকি ৯৯% শিক্ষার্থীই এসব অপচেষ্টা ও ঘৃণিত কর্মকাণ্ড থেকে দূরে আছে।

শিক্ষকদের যত অপকর্ম- নিয়োগ বাণিজ্য, অবৈধ নিয়োগ, অবৈধ প্রমোশন ও নোংরা শিক্ষক রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সেইসঙ্গে আছে নিজ প্রয়োজনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা। বিভাগে নিজ প্রভাব ও ক্ষমতা জাহির ও ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের দিয়ে আরেক শিক্ষককে অপমানিত করানো, ক্লাস বর্জন করানোর মত ঘৃণ্য দৃষ্টান্তও রয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক। এসকল কাজে হাতে গোনা মুষ্টিমেয় কিছু শিক্ষক জড়িত। এমনকি পরীক্ষা না নিয়ে নম্বর প্রদান এবং শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন প্রশাসন বা ভিসিবিরোধী আন্দোলনের মতো কাজ করিয়ে থাকেন এমন অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসন বা উপাচার্য যদি দুর্নীতি বা অবৈধ কাজ করেন, শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করবেন এটাই স্বাভাবিক। প্রশাসন কোনো শিক্ষকের অনৈতিক কথা বা সুপারিশ না রাখলে, উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের দিয়ে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে একশ্রেণির শিক্ষকগণ। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, সকল উপাচার্যগণ সৎ বা নির্দোষ। দেখুন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিন-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান করেছে। তার বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য, কেনাকাটার দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, উপাচার্যের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক পদে অবস্থান করে ওনার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ রয়েছে।

আমার কর্মস্থল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যায়ের সাবেক উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সময়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা ছিল। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এক ব্যতিক্রমী' উপাচার্য। কারণ তাকে নিয়েও সমালোচনা রয়েছে। এসব আমাদের জন্য লজ্জাকর। তারা সবাই সুশিক্ষিত এবং সমাজের জন্য গ্রহণযোগ্য লোক। উপাচার্য থাকাকালে কোনো শিক্ষকমহলের চাপে পড়েও যদি অন্যায়-অনিয়ম করতে বাধ্য হন, তাও যুক্তিসঙ্গত নয়। কারণ তাদের জ্ঞানের যে প্রজ্ঞা ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের জায়গা থেকে যুক্তি-বুদ্ধি বিবেচনা থেকে সিদ্ধান্তগ্রহণের যে সক্ষমতা সেই মাহাত্ম্যকে খর্ব করে এ ধরনের দৃষ্টান্ত। অন্যায় যে করে আর অন্যায়ের সঙ্গে যে আপোস করে দুইয়ে পার্থক্য খুব অল্প। তা সত্যেও এটা জাতির জন্য বিভ্রান্তিকর।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার মেয়ে জামাইকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য শর্ত শিথিল করার অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি একটি নিয়োগ বোর্ডে পি.এইচ.ডি ধারী যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অন্যদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল, যদিও সিন্ডিকেট এটা অনুমোদন করেনি। একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও যোগ্যতা শিথিল করে ১ম স্থান অধিকারীকে বাদ দিয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন আবেদনকারীকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত আইনের মারপ্যাঁচ দিয়ে লবিং এর কারণে এমন কিছু শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পায় যা বিশ্ববিদ্যালয় তথা জাতির জন্য চরম ক্ষতিকর। কারণ ঐ সব শিক্ষকগণ ৪০-৪৫ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবেন। আমি যদিও কয়েকজন উপাচার্যের অপকর্মের কথা তুলে ধরেছি যা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়, কিন্তু অনেক উপাচার্য রয়েছেন যারা সুনামের সাথে তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করছেন।

'বাই চান্সে' যারা শিক্ষকতা পেশায় আসছেন তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদেরকে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্যে তদবির এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার মতো জঘন্যতম কাজ করে থাকেন। এই শিক্ষকদের ভাষাগত ব্যবহার এমন যে, তা কল্পনাতীত এবং শিক্ষকসুলভ আচরণের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষক অন্য সহকর্মীকে মারার জন্য উদ্যত হয়। এছাড়াও অনেকে রাস্তাঘাটে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করে সেটার জন্য মাঝে মাঝে মনে হয় চাকরি ছেড়ে দিই। ওইসব শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়কে বা শিক্ষক সমাজকে করোনাভাইরাসের মত ক্ষতি করে যাচ্ছে।

কিছু শিক্ষক আছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অতিরিক্ত দায়িত্বের জন্য ছাত্রনেতাদেরকে ব্যবহার করে থাকেন। এটা আরো বেশি হাস্যকর, কিছু শিক্ষক আছে ধান্দা না করতে পেরে রাজনৈতিক আদর্শগত সনদপত্র বিক্রি করে থাকেন। এরা সাধারণত কম যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন। সকল গুণাবলী ও শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রশাসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তবে এটা ঠিক সময়ের চাহিদার কারণে কিছু নতুন বিভাগ সৃষ্টি হয়, যা ইতোপূর্বে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ানো হতো না। সেক্ষেত্রে যোগ্যতা কিছুটা শিথিল করা যেতে পারে। কারণ, ওই বিভাগে নিয়োগ দিতে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকেই দিতে হবে। যেমন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্র বিভাগে পাঠদানের জন্য নাট্যবিদ্যা থেকে শিক্ষক নেওয়া হয়। কিন্তু যখন চলচ্চিত্রে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে এবং ডিগ্রিধারী হবে তখন আবার এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। এমন আরো কয়েকটি বিভাগ আছে যেগুলোতে যোগ্যতা শিথিল না করলে প্রার্থীই পাওয়া যাবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এর ক্ষেত্রে মেধাক্রমে ১-৫% পর্যন্ত হতে হবে, এমন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত। যেমন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য ১-৭% মেধাক্রমের মধ্যে থাকতে হবে। ছাত্র-শিক্ষক হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল চালিকাশক্তি। অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সাপোর্টিং স্টাফ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারাও বিশ্ববিদ্যালয় চলমান রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় একটি পরিবার। সবাই সবার স্থান থেকে, যার যার সম্মান অনুসারে মর্যাদাপ্রাপ্ত হবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, শিক্ষককে কিছু কর্মকর্তারা সমান্তরাল ভাবতে চাচ্ছে বেতন স্কেল দিয়ে। কিন্তু তারা ভুলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো শিক্ষার্থীরাই তার বিভাগে অথবা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পায়। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবাইকে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সম্মান করা উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল হওয়ার পেছনে আরো কিছু কারণ- শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং, নোংরা রাজনীতি, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার এবং যোগ্যতাসম্পন্ন উপাচার্য নিয়োগ প্রদান না করা। সঠিক নেতৃত্ব ও দক্ষ প্রশাসকের অভাব, নিয়োগ, টেন্ডার বাণিজ্যের চেষ্টা ইত্যাদি। বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক হবেন যোগ্যতাসম্পন্ন, রুচিশীল ভাষার ও আচরণের মানুষ, তিনি হবেন শিক্ষার্থীদের জন্য রোল মডেল। সমাজের সকল মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্য, নীতি-নৈতিকতাসম্পন্ন ব্যক্তি। অধিকার ও নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার কারিগর। সমাজে দিন দিন অবক্ষয় বেড়ে চলছে, এজন্য ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষকদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাভক্তি কমে যাচ্ছে। তবুও শিক্ষকরা আত্মসমালোচনা করে, কিন্তু কিছু পেশায় চাকুরিরত কর্মকর্তা/কর্মচারী পাহাড় পরিমাণ অন্যায়, দুর্নীতি করে যাচ্ছে। শিক্ষকদেরকে তাদের সাথে তুলনা করবেন না। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিশেষ অনুরোধ, যাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেল বাস্তবায়িত হয়।

বিশ্ববিদ্যালের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে প্রায় বিলম্ব হয়। সাধারণত বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ায় পর নতুন বা তাকে পুনরায় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরও উপাচার্যের পদ খালি ছিল। এখনও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের পদ খালি রয়েছে। এটা হওয়া উচিত নয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। সম্প্রতি এক বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন কর্মকর্তাকে উপাচার্যের দায়িত্ব (রুটিন) দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে এবং অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এই ঘটনার প্রতিবাদ করে বিবৃতি দিয়েছে। কারণ এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ঘটনা। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি, আর সেখানে এরকম দুই-একটা সিদ্ধান্ত শিক্ষক সমাজকে আহত করে। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পুনরায় বিবেচনার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। উপাচার্য হলেন একাডেমিক এবং প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু যাকে উপাচার্য নিয়োগ (রুটিন) দেওয়া হয়েছে, তিনি তো প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি একাডেমিক বিষয়গুলো কী করে বুঝবেন, সিদ্ধান্তই বা কোন বিবেচনা থেকে দেবেন! তাই এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসন ও মর্যাদার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে একজন একাডেমিক, গবেষণায় এবং প্রশাসনিক ভাবে দক্ষ, সৎ, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এমন একজন অধ্যাপককে উপাচার্য হিসেবে শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়া উচিত।