আপন মহিমায় ভাস্বর একাত্তর উত্তীর্ণ আওয়ামী লীগ

মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু
Published : 3 July 2020, 06:34 AM
Updated : 3 July 2020, 06:34 AM

বিশ্বখ্যাত সাংবাদিক ডেভিট ফ্রস্ট একবার বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলেন, 'মি. মুজিব আপনার যোগ্যতা কী?' বঙ্গবন্ধু তাৎক্ষণিক উত্তর ছিল- 'আমি আমার জনগণকে ভালোবাসি।' তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, 'আপনার অযোগ্যতা কী?' বঙ্গবন্ধুর সাবলীল উত্তর, 'আমি আমার জনগণকে বেশি ভালোবাসি'।

বাঙালির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ছিল এমনই বে-হিসেবি। ভিন্ন নয় কন্য শেখ হাসিনাও। চার দশক পর সেই সেই ডেভিড ফ্রস্টই যখন ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিলেন, তখন বিষয়টি তিনিও অবলোকন করলেন। বাংলাদেশে তখন ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দিন ও মঈনউদ্দিন সরকারের শাসন। সে সময় শেখ হাসিনাকে ডেভিট ফ্রস্ট প্রশ্ন করেছিলেন- 'আপনি কি আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান?' শেখ হাসিনার উত্তর ছিল- 'এটা জনগণের ওপর নির্ভর করবে। জনগণ যদি চায়, তবেই হতে পারি। আমি কীভাবে বলতে পারি?'

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্পূরক জনগণের দল, জনগণের ওপর নির্ভরশীল দল। সাত দশক পেরিয়ে ৭১ বছর পূর্ণ করা আওয়ামী লীগ সম্পর্কে এ বিষয়টিই সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে এই বছর। বাস্তবিক অর্থেই প্রতিষ্ঠাপরবর্তী প্রতিটি সময়ে সরকারে থাকুক কিংবা না থাকুক, দল আওয়ামী লীগ সব সময় এদেশের জনগণের পাশে থেকেছে। আর এ কারণেই নানামুখি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এ দেশের জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে, মাথায় তুলে রেখেছে।

সত্যি বলতে কি 'বঙ্গবন্ধু-জনগণ-আওয়ামী লীগ-বাংলাদেশ' বাঙালির অভিধানে এই চারটি শব্দই সমার্থক। সবচেয়ে বড় কথাÑ অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও মানব কল্যাণকামী মহীরূহ এ রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাকালীন মূলমন্ত্র হলো 'জনগণের মুক্তি'। মানুষকে শোষণের হাত থেকে মুক্ত করে দেশকে স্বাধীন করা যে একটা দলের উদ্দেশ্য হতে পারে, আওয়ামী লীগ সেটা করে দেখিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর যেমন বিশাল রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে, তেমনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রয়েছে ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ইতিহাস। তবে এ কথা ঠিক বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সত্তা। কাউকে বাদ দিয়ে ইতিহাস লেখা যেমন অসম্ভব, তেমনই আর কোনদিন লেখাও যাবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অনেকেই এসেছেন। কিন্তু দলকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে অনেকেই ব্যর্থ হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন দলের নেতৃত্বে আসেন, দল ফিরে পায় অফুরন্ত শক্তি ও গতি।

গোটা বিশ্ব আজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আতঙ্কে কাটছে পৃথিবীর সাড়ে সাত শ কোটি মানুষের প্রতিটি দিন। বৈশ্বিক এমন পরিস্থিতিতে স্বভাবতই চিন্তা আসে, করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের অন্য দেশগুলো কী করছে, যেটা আমার বাংলাদেশ করছে না। অথবা কোভিড-১৯ থেকে পার্শ্ববর্তী কিংবা উন্নত বিশ্বের মানুষগুলো কতটা নিরাপদ, আর আমরা কতটা?

বলার অপেক্ষা রাখে না, করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহামারী রূপে ধারণ করলেও এখনও অনেক ক্ষেত্রে ভালো আছে বাংলাদেশ। কয়েকদিন আগেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিখ্যাত বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস। পত্রিকাটির সফল নেত্রীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পত্রিকাটিতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, 'কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা-সহ বিশ্বের আট নেত্রীর অবদান বিশ^জুড়ে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। শেখ হাসিনা তার দেশের করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে ক্ষমতা দেখিয়েছেন তা প্রশংসনীয়।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেওয়া ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের দেশ বাংলাদেশ বিভিন্ন সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে এক পরিচিত নাম বলেও নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়। সেখানে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে বাংলাদেশ যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা এখনও কার্যকর করতে পারেনি ব্রিটেন। এর আগে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নারী নেতৃত্বে সফলতা বেশি আসছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় ফোর্বস ম্যাগাজিন। তখনও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশে সেভাবে দেখা যায়নি। সেসময় ৬ জন নেত্রীর কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এই প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্বে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে নতুন করে ৮ নেত্রীর নাম ঘোষণা করা হয় যেখানে রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও। এইতো সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পাবলিক সার্ভিস-২০২০ নামীয় সম্মানসূচক অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। ভূমি সংস্কারে নামজারি কর্মসূচির ডিজিটালাইজেশনের জন্য এই সম্মানজনক পুরস্কার তাকে দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দূরদর্শীসম্পন্ন নেত্রী।

শুধু করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নয়, করোনা-কালে দেশের অর্থনীতিকে ভালো রাখতেও শেখ হাসিনার পদক্ষেপ এখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়াচ্ছে। দ্য ইকোনোমিস্ট বলছে, করোনাভাইরাসের ভয়াবহতাও ভারত-চীন কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশের চেয়েও নিরাপদ বাংলাদেশের অর্থনীতি। অনেক পেছনে রয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বখ্যাত এ পত্রিকাটি করোনাভাইরাসের মহামারী পরিস্থিতিতে ৬৬টি উদীয়মান সবল অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে ৯ম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এত দুযোর্গ ও মহামারীর মধ্যেও ২০২০২-২১ সনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার করোনা-কালে যেভাবে সব শ্রেণি-পেশাজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেটা পৃথিবীর আর কয়টি দেশ করতে পেরেছে- সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সরকারি চাকরিজীবী থেকে কওমী মাদ্রাসা শিক্ষক, গার্মেন্টস কারখানা থেকে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র কুঠির শিল্প, জাহাজ শ্রমিক থেকে অসহায় দিনমজুর- দান-প্রণোদনা থেকে কেউই বিরত থাকেনি। এর অংশ হিসেবে দুই কোটি মানুষকে (৫০ লাখ পরিবার; পরিবার প্রতি চারজন) সরাসরি নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রতি পরিবার পেয়েছেন নগদ ২ হাজার ৪০০ টাকা। টাকা বণ্টনের পুরো এই বিষয়টি কোনও মন্ত্রণালয় বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া হয়নি; বরং খোদ তদারকি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ও তার কার্যালয়। সবশেষ ৩২৮ কোটি টাকা উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছে ২০ লাখ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর মাঝে। এর আগে প্রাথমিকের ১ কোটি ৪০ লাখ ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের বকেয়া উপবৃত্তি দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবের মত দেশ যখন বেসরকারি খাতের কর্মীদের যথাক্রমে ৮০ এবং ৬০ শতাংশ বেতন দেওয়ার কথা জানিয়েছে; বাংলাদেশ তখন আপৎকালীন ৫ হাজার কোটি বরাদ্দের মাধ্যমে সব গার্মেন্টস শ্রমিকের বেতন ১০০ ভাগ দেওয়া হয়েছে। এরপর আরো বেশ কয়েকটি প্যাকেজে মোট ১ লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। দু'দিন আগেও এমপিওভুক্ত নয়, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতেও সদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। ভয়াবহ সংকট মোকাবিলায় তড়িৎ গতিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৪ জন নার্স। যাদের দেশের বিভিন্ন কোভিট-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে পদায়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এছাড়াও ৩৯তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে দুই হাজার চিকিৎসককে সহকারী সার্জন হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা-কালে মানুষের জীবনযাত্রা ঠিক রাখতে প্রধানমন্ত্রীর তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী করণীয় সংক্রান্ত পরিকল্পনা বাংলাদেশে তো বটেই, তৃতীয় বিশে^র জন্যও বড় উদাহরণ হয়েছে।

তবে একটা বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি, চিকিৎসার অভাবে জনগণ সাধারণ চিকিৎসা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেকেই কোভিড-১৯ ব্যতিত অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি হাসাপাতালগুলোতে গেলে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এ ধরনের অনেক রোগী চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন।

হাসপাতালের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নন-কোভিড সনদ নেওয়ার এক পূর্ব শর্ত জুড়ে দেয়ায় রোগীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলো খেয়াল-খুশি মতো চিকিৎসা বিল আদায় করছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সত্যই যদি এমন ঘটে থাকে, তাহলে এটা শুধু অমানবিকই নয়, বরং বিষয়টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ দায় কার? এজন্য এই মুহুর্তে উচিত, নামী-দামি প্রত্যেকটি বেসরকারি হাসপাতালে যারা কোভিড-১৯ ও যারা কোভিড-১৯ নন; তাদের জন্য পৃথক পৃথকভাবে নিশ্চিত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

হাসপাতালে হাসপালে ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর অনেক ঘটনাও ঘটেছে। এই মুহুর্তে করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ বিষয়ক জটিলতা নিরসন করা সঙ্গত। তা না হলে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি সাধারণ মানুষের চরম অবিশ্বাস জন্মাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক চিকিৎসা খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা স্বত্ত্বেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকা-ের জন্য তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে, সেটি হতে পারে না।

দেশপ্রেমের মহান ব্রত নিয়ে কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলা করতে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার এই পরিশ্রমের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে দলের নেতা-কর্মীদের আজ দায়িত্ব নিতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত বিশাল কর্মীবাহিনী আর জনগণই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, 'এই সংগঠন সঠিক নেতৃত্ব ও ত্যাগী কর্মীবাহিনী এবং জনসমর্থন পেয়েছে বলেই গৌরবের সাথে শত ষড়যন্ত্র, বাধা অতিক্রম করে বিজয় অর্জন করেছে, স্বাধীনতা এনেছে, পৃথিবীর বিপ্লবের ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।'

বলতেই হবে, ৭১ বছরের সংগ্রামী অভিযাত্রায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে, রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী আওয়ামী লীগ অতীতে কখনই ইতিহাস নির্ধারিত ভূমিকা পালনে পিছপা হয়নি। করোনা মোকাবিলা করে আগামীতেও বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দল গৌরবের পতাকা বহন করে দেশকে নিয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের স্বপ্নযাত্রায়।

আওয়ামী লীগ মানেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলধারা। ভাষা আন্দোলন, গণআন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ- স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ইতিহাসের পাতার পরতে পরতে রয়েছে এই নাম। সব পর্যায়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামী লীগের হার না মানা নেতৃত্ব। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা, সামরিক স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণ- প্রতিটি অর্জনের সংগ্রাম-লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ একটি, আর তা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি- আওয়ামী লীগের জন্মলাভের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ রোপিত হয়েছে। সেই বাংলাদেশ অতীতে যা হয়েছে, বর্তমানে যা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে যা হবে; তার সবকিছুতেই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের অবদান ছিল, আছে, থাকবে। বাংলাদেশ আজ যেখানে দাঁড়িয়ে এবং আগামী দিন যেখানে যাবে- পুরো পরিকল্পনার রূপকার থাকবেন বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ। আর এ কারণেই জনগণের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠে সুর মিলিয়ে বলতে চাই- 'আওয়ামী লীগই পারে, আওয়ামী লীগই পারবে।'