নারীর পিরিয়ড, গোটা সমাজের দর্পণ

মরিয়ম সুলতানা
Published : 1 June 2020, 09:36 AM
Updated : 1 June 2020, 09:36 AM

পিরিয়ড বা মাসিক বা ঋতুস্রাব যে নামেই বলি না কেন, এ নিয়ে অহেতুক লজ্জা আর সংকোচের শেষ নেই এই ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটারের ছোট্ট ভূখণ্ডটিতে। অবশ্য শুধু আমাদের দেশে বললে ভুল হবে, এ নিয়ে লুকোছাপা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে এবং তা গোটা পৃথিবী জুড়েই। কিন্তু আমার আলোচ্য বিষয় গোটা পৃথিবী নয়, আমার বাংলাদেশ।

পরিচ্ছন্ন পিরিয়ড কি কেবল ধনীক শ্রেণির জন্য?

গত ২৮ মে ছিল বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস। এই করোনাকালেও পুরো দিনব্যাপী এ নিয়ে নানান প্ল্যাটফর্মে ছিল নানান আয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্র বিবেচনা করে বারবার কেবল এটাই মনে হয়েছে যে এই পরিচ্ছন্ন পিরিয়ড নিয়ে যত আয়োজন, তা কেবল এবং কেবলমাত্র ধনীক শ্রেণির জন্য।

যদি আমরা তথ্য উপাত্ত'র দিকে তাকাই, তবে ২০১৮ সালের ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ কিশোরী এবং ৬৪.৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নারী পিরিয়ডের সময় পুরাতন কাপড় ব্যবহার করেন। এদিকে ২০১৪ সালের ন্যাশনাল হাইজিন বেসলাইন সার্ভে অনুযায়ী, বাংলাদেশের শতকরা ৮৬ ভাগ নারী পিরিয়ডের সময় পুরাতন কাপড় ব্যবহার করতেন এবং তখন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতেন মাত্র ১৪ শতাংশ নারী। তবে ২০১৮ সালের ঐ সার্ভে অনুযায়ী, বর্তমানে শতকরা ৪৩ শতাংশ কিশোরী এবং ২৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন।

জরিপ অনুযায়ী, স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা আগের থেকে অনেকাংশে বাড়লেও তা কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। এই আধুনিকায়নের যুগেও কেন দেশের অমন বৃহৎ সংখ্যক নারী কাপড় কিংবা তুলার মতো অস্বাস্থ্যকর জিনিস ব্যবহার করবে, এ প্রশ্নটা কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে এর কারণটা আমরা সবাই জানি, এর প্রধান কারণ স্যনিটারি ন্যাপকিনের তুলনামূলক উচ্চমূল্য এবং পুরো দেশব্যাপী এগুলির দুষ্প্রাপ্যতা। অথচ এই স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনা আমাদের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে থাকা নাপা নামক ট্যাবলেটের থেকেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা স্বাস্থ্যপণ্য। তবে আমাদের দেশের নারীরা ধীরে ধীরে স্যানিটারি ন্যাপকিনের পাশাপাশি মেন্সট্রুয়াল কাপও ব্যবহার করতে শুরু করেছে কিন্তু তা এখনো স্যানিটারি ন্যাপকিনের মতো জনপ্রিয়তা পায়নি বলে আমার ধারণা। তাই আপাতত মেন্সট্রুয়াল কাপকে আমি আমার আলোচনার বাইরে রাখছি।

আমাদের দেশে যে স্যানিটারি ন্যাপকিনগুলি অহরহ পাওয়া যায়, তার মাঝে সবথেকে সুলভমূল্যে পাওয়া যায় বোধহয় জয়া, যার মূল্য ৬০ টাকা। তারপর একে একে আসবে সেনোরা, ফ্রিডম এবং হুইসপার যার দাম যথাক্রমে ৯০ টাকা, ১২০ টাকা এবং ১৮০ টাকা। এগুলোতে সাধারণত গড়ে ৮-১০ টি করে স্যানিটারি ন্যাপকিন থাকে। এছাড়া আছে মোনালিসা, স্যাভলন, স্টেফ্রিসহ আরও নানান ব্র্যান্ড। কিন্তু গণমাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এগুলির মাঝে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় সেনোরা যা মোট স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারকারীর ৬৫ শতাংশ।

এদিকে আমরা জানি যে ৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিধান করে থাকা উচিৎ না। কারণ এতে মারাত্মক পরিমাণে স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে যায়। তাহলে দেখা যায় যে ঝুঁকি এড়াতে মাথাপিছু দৈনিক ৪টা করে স্যানিটারি ন্যাপকিন লাগে এবং পিরিয়ড যদি অন্তত ৪ দিন স্থায়ী হয়, তবে প্রতি মাসে একজন নারীর ২ প্যাকেট স্যানিটারি ন্যাপকিন লাগে। সেক্ষেত্রে যদি তিনি সেনোরা ব্যবহারকারী হন তবে এর জন্য তাকে, মাসে মাসে গুণতে হবে কমপক্ষে ১৮০ টাকা এবং হুইসপার ব্যবহারকারী হলে ৩৬০ টাকা। অর্থাৎ বছরে মোট ২১৬০ কিংবা ৪৩২০ টাকা। আর যদি পরিবারে একাধিক নারী সদস্য থেকে থাকে, তবে তো কথাই নেই। একেবারে ষোলকলা পূর্ণ।

এখন আমি সহজলভ্যতার কথা বাদ দিয়ে যদি শুধু এর এই দামের হিসেব করি, তাহলে আমাদের দেশের 'নুন আনতে পান্তা ফুরায়' মতন পরিবারগুলোর জন্য প্রতি মাসে এত চড়া দাম দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনা কি আদৌ সম্ভব? মোটেই না, বরং মাসে মাসে এই বাড়তি টাকাটুকু খরচ করা তাদের জন্য বাস্তবিকার্থেই চরম বিলাসিতার শামিল।

মাতৃত্ব মহান আর পিরিয়ড অচ্ছুৎ?

বছর তিনেক আগের কথা, ডিসেম্বরের এক শীতে কাঁপতে কাঁপতে বন্ধুরা মিলে চলে গেলাম অদ্ভুত সুন্দর চায়ের শহর শ্রীমঙ্গল এবং তারপর সিলেট। সিলেট গিয়ে সারাদিনব্যাপী ব্যাপক হৈ হৈ রৈ রৈ করার পর সবশেষে পা রাখলাম হযরত শাহজালাল (রা) এর মাজারে। তবে মাজারের প্রতি কোনোপ্রকার ভক্তি-ভালোবাসা থেকে না। আমি সিনেমা ছাড়া আর কোথাও মাজারের ভেতরের চিত্র দেখিনি, তাই ভাবলাম এবার মাজারের ভেতরে যাব। কিন্তু না, আমি ভেতরে যেতে উদ্যত হলে বাঁধ সাধলো প্রচলিত সমাজ এবং তার অদ্ভুত সব রীতিনীতি। আমায় কে যেন জানালো যে মেয়েরা মাজারের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু কেন? কারণটা হলো নারীর পিরিয়ড। আমার স্পষ্ট মনে আছে, ঐ মুহূর্তটায় আমার ঠিক কতটা হতাশ লেগেছিল।

তো, যে কারণে উপরের ঘটনাটা বলা। আমি এর আগে বিভিন্ন সময়ে শুনেছি যে পিরিয়ড চলাকালীন রাতের বেলায় নারীদেরকে ঘরের বাইরে যেতে দেয়া হয় না, কোনো কোনো সমাজে পিরিয়ডের সময় নারীকে এক ঘরে করে রাখা হয়, কোথাও কোথাও তাকে বিছানায় শুতে দেয়া হয় না, এমনকি তার সাথে এক বিছানায় শোয়া পর্যন্ত হয় না; মাসের ঐ নির্দিষ্ট ক'দিনের জন্য অনেক নারী তার রান্নাঘর থেকে শুরু করে প্রার্থনার ঘর, সর্বত্র প্রবেশের অধিকার হারায়; পিরিয়ডকে মনে করা হয় তার জীবনের এক অন্ধকার অধ্যায়। কিন্তু তবুও, পিরিয়ডের রক্ত যে এই সমাজের কাছে এতটা অস্পৃশ্য এবং অচ্ছুৎ, তা সেবার মাজারের ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে ওভাবে বাঁধা না পেলে এত গভীরভাবে আমি কোনোদিন বুঝতেই পারতাম না।

এদিকে আমাদের দেশে একটা মেয়ে যে মুহূর্ত থেকে নারী হতে শুরু করে, সেই মুহূর্ত থেকে দশ দিক থেকে তার মগজে ছলে বলে কৌশলে রোপণ করে দেয়া হয়, জীবনে যদি মা-ই না হতে পারো তবে তোমার নারীত্ব বৃথা কিংবা মাতৃত্বই হলো নারী জীবনের সার সত্য। অথচ অত্যন্ত দুঃখজনক যেই পিরিয়ডের কারণে একজন নারী একদিন মা হয়ে ওঠেন, আমরা কিনা আজও সেই পিরিয়ডকে পদে পদে অশুচি বলে জ্ঞান করি, প্রবলভাবে অস্বীকার করতে চাই; চেতনে কিংবা অবচেতনে জল এবং সার সহযোগে ঐ সংস্কার নামক কুসংস্কারগুলি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আমৃত্যু বাঁচিয়ে রাখি। দিনশেষে আমাদের কাছে মাতৃত্ব হলো মহান এবং পূজনীয়, আর ঐ পিরিয়ড অচ্ছুৎ। সত্যিই, ভণ্ডামোর আর শেষ নেই।

পিরিয়ড নিয়ে কথা বলা কেন এত জরুরি?

প্রথমত, আমি সবসময় বলি যে এক ঢাকা শহর দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশকে বিচার করতে নেই। কারণ আমি জানি যে বাংলাদেশের সিংহভাগ নারীর বসবাস গ্রামে এবং সেখানে পিরিয়ড হলো এক কান লাল হয়ে যাওয়ার মতো লজ্জার বিষয়। আমাদের দেশের ঐ প্রান্তিক নারীরা শহুরে নারীদের মতো অত আধুনিক নন, অন্তত এ বেলায় তারা আজও আপাদমস্তকে বইয়ের ঐ সলজ্জ রমণীই রয়ে গেছেন। পিরিয়ড নিয়ে কথা বলতে তারা যে কি পরিমাণ সংকোচবোধ করেন, তা তাদের সাথে সরাসরি না মিশলে ঠিকঠাকভাবে ব্যাখ্যা করে বোঝানো কঠিন। যেমন, ইসলাম ধর্মে পিরিয়ড চলাকালীন রোজা রাখা নিষিদ্ধ। তবুও এই গত হয়ে যাওয়া রমজানে কত নারী যে তার পিরিয়ডের কথা পরিবারের কাউকে বলতে না পেরে সারাদিন উপোস কাটিয়েছেন! সেই গল্পগুলির খবর কেউ কি রাখে? আবার, আমি স্বচক্ষে এও দেখেছি যে আমাদের দেশে যখন টেলিভিশনে স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপন চলে; আমার দেশের প্রান্তিক মা মেয়েরা তখন তা নীরবে এড়িয়ে যায়, ক্ষেত্রবিশেষে শহুরেরাও। অথবা মাধ্যমিকের বইয়ের পাতায় যখন জেনারেশন ব্রেক থ্রু'র পাঠ সামনে আসে, আমাদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের চোখ তখন অবনত হয়ে যায়, তারা এক মহাবিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে। পিরিয়ডের যন্ত্রণায় কাতর হলে এখানকার নারীরা এখনো সোজা চোখে সরাসরি বলতে পারে না, "পিরিয়ড হয়েছে, তাই শরীর খারাপ লাগছে"। বরং অন্য কোনো অজুহাত দিয়ে বিষয়টা তারা বেমালুম এড়িয়ে যায়। কিন্তু এরকম অভ্যাসগুলি সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করা উচিত এবং নারীরা যাতে সাবলীলভাবে পিরিয়ড বিষয়ে কথা বলতে পারে, তেমন পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া উচিত।

দ্বিতীয়ত, যেহেতু স্যানিটারি প্যাডের সহজলভ্যতা শহরাঞ্চলে বেশি, সেহেতু সেই শহরাঞ্চলেও এই বস্তু কিনতে গেলে আরেক কিসিমের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় মেয়েদের। দেখা যাচ্ছে যে "প্যাড দিন" শব্দদ্বয় শোনার পর দোকানদার কিংবা দোকানে উপস্থিত লোকজন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মেয়েটির দিকে তাকাচ্ছে। অপরদিকে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, আমাদের দেশের ৯৯.৯৯% দোকানি ঐ স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্যাকেটটি অত্যন্ত সন্তর্পণে এমনভাবে একটা কাগজে মুড়ে দেন যেন ওটা কোনো স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্যাকেট নয়, বরং এক আস্ত গুপ্তধন যা লোকের দেখা মানা! একটা ঔষধ দেয়ার সময় তারা যে সহজতা এবং স্বাভাবিকতার সাথে প্যাকেট করে, কেন যেন ঐ স্যানিটারি ন্যাপকিনের বেলায় তারা সেটা পারেন না বা চান না। কিন্তু এই অসুস্থ সংস্কৃতিটা থেকে বেরিয়ে আসা ভীষণ জরুরি, ভীষণ।

তৃতীয়ত, সাম্প্রতিক সময়ে মুড সুইং শব্দটার ব্যবহার খুব শোনা যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বাধিক। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো একটা প্রজন্মের অনেকেই এই মুড সুইং শব্দের মাঝে তীব্র অজুহাতের গন্ধ খুঁজে পান এবং নিজেদের অজান্তেই হাসি ঠাট্টার ছলে এটাকে বিদ্রুপাত্মক বানিয়ে ফেলেন যা এক নতুন সমস্যার জন্ম দেয়। সমস্যাটা হলো, তারা তাদের নিজেদের অজান্তেই তাদের চারপাশের মানুষদেরকেও ভাবতে উৎসাহিত করে যে মুড সুইং কোনো ধর্তব্যের বিষয় না, এটাকে নিয়ে চাইলেই ঠাট্টা তামাশা করা যায়। অথচ এটা কোনো খেলো করার বিষয় নয়। পিরিয়ডের সময় যে অমানুষিক শারীরিক এবং মানসিক কষ্ট, উথাল-পাতাল পরিস্থিতি নারীকে সহ্য করতে হয়, তা ঐ তথাকথিত শিক্ষিত বিদ্রুপকারীদের ভাবনারও বাইরে। আর একটা বিষয় যেটা না বললেই নয়, একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আমাদের দেশের নারীরা পিরিয়ডকালীন যাবতীয় অসুস্থতাকে উপেক্ষা করে সমানতালে তার পরিবার থেকে শুরু করে কর্মস্থলের সকল দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করে যান কিন্তু আমদের দেশের অধিকাংশ পুরুষ নারীর এই অসুস্থতাকে অতটা তীব্রভাবে উপলব্ধি করেন বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে আমাদের বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের মা-বাবারা যদি তাদের কন্যাসন্তানদের পাশাপাশি পুত্রসন্তানদেরকেও পিরিয়ড বিষয়ে সঠিক শিক্ষা প্রদান করেন, তাহলে তার সন্তান কখনো এমন কুৎসিত রসিকতায় লিপ্ত হবে বলে আমার মনে হয় না। বরং নারীর প্রতি নিজে সংবেদনশীল আচরণ করবে, অন্যকেও সংবেদনশীল আচরণ করতে উৎসাহিত করবে।

সর্বোপরি, পিরিয়ড কোনো নিষিদ্ধ বিষয় না বরং খুবই স্বাভাবিক ও সার্বজনীন একটা প্রক্রিয়া। এই পিরিয়ডের কারণেই আপনার, আমার এবং আমাদের জন্ম। সুতরাং এটাকে ট্যাবু হিসেবে না রেখে রাষ্ট্রের উচিত, পিরিয়ডের পণ্যগুলিকে পিংক ট্যাক্সের বেড়াজাল থেকে অবমুক্ত করে সকলের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। সবধরণের প্রতিষ্ঠানের উচিত নারীর জন্য পিরিয়ডকালীন ছুটির বন্দোবস্ত করা। আর আমাদের উচিত পিরিয়ডের যন্ত্রণায় নীল হয়ে যাওয়া মা, বোন, স্ত্রী, প্রেমিকা কিংবা অন্য যেকোনো নারীর পানে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া, পিরিয়ড সংক্রান্ত যাবতীয় কুসংস্কারকে সমূলে উপড়ে ফেলার জন্য নিরন্তর পিরিয়ড নিয়ে কথা বলা এবং স্ব স্ব পরিবারকে নারীর পিরিয়ডবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা। কারণ, আমার মনে হয় নারীর পিরিয়ড হলো একটা সমাজকে চেনার জন্য মোক্ষম দর্পণ।