দোষারোপের সংস্কৃতি ও করোনাভাইরাস বিস্তারে এর প্রভাব

ওমর ফারুক
Published : 8 April 2020, 10:34 AM
Updated : 8 April 2020, 10:34 AM

সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বে যত প্রাণঘাতী মহামারী এসেছে সেটা অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে কেপ কলোনীতে শুরু হওয়া 'স্মলপক্স', ঊনিশ শতকের শুরুর দিকে 'গ্লোবাল ইনফ্লুয়েঞ্জা', নিকট অতীতে পশ্চিম আফ্রিকায় শুরু হওয়া 'ইবোলা' কিংবা চলমান নিরব মহামারী এইচআইভি/এইডস, যাই হোক না কেন, তার অনুজীবসমূহ সমাজে কথিত উঁচু-নিচু, সাদা-কালো কিংবা বর্ণ-শ্রেণির সম্পর্ককে বৈষম্য না করেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। মহামারীর এ ইতিহাসগুলোর একটি শিক্ষা হলো এর অনুজীবগুলো কিভাবে, কতদ্রুত ছড়াচ্ছে, এর পেছনের কার্যকারণ কী, তার চাইতেও বিপদজনক হচ্ছে মানুষজন তার ব্যক্তিগত ও তার সামাজিক অবস্থান থেকে মহামারী পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে, কীরকম আচরণ করে এবং কীভাবে সে নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা ভাবা শুরু করে ইত্যাদি। মানুষের প্রতিক্রিয়া ও আচরণগুলি প্রায়শই আতঙ্ক, ভয়, উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা ও ক্রোধ দ্বারা পরিচালিত হয়। একদিকে যেমন লোকেরা তাদের আতঙ্ক ও ভয়কে বাড়ানোর চেষ্টা করে, অন্যদিকে প্রত্যেকে ব্যক্তিগত এবং যৌথভাবে নিজেকে এ পরিস্থিতিতে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টায় নিয়োজিত হয়। এ চেষ্টা ব্যক্তি থেকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে। ফলে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, প্রথমেই যে কথাটি দিয়ে তার প্রতিক্রিয়া শুরু করে তা হলো- এটা 'আমাদের' সমস্যা নয়, 'আমরা' নিরাপদেই আছি, এটার জন্য দায়ী 'অন্যরা'।

এই পুরো প্রক্রিয়াটির মধ্যে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে পড়ে মহামারীর জন্য ঝুকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, সম্প্রদায় কিংবা যেখান থেকে এর উৎপত্তি সে অঞ্চলের মানুষগুলো। ২০১৪ সালের ইবোলা মহামারীকে 'কালো'দের, 'আফ্রিকান'দের, 'বিদেশী'দের রোগ বলে ট্যাগিং করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে এমনিভাবে সোয়াইন ফ্লু (এইচ ১ এন ১) মহামারী চলাকালীন মেক্সিকান এবং লাতিন আমেরিকান মানুষেরা বিশ্বব্যাপী বর্ণবাদী আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে আর আশির দশকে শুরু হওয়া আইচআইভি এইডসকে বলাই হতো এটা পুরুষ সমকামীদের রোগ। মজার বিষয় হচ্ছে, মহামারীর বিভিন্ন পর্যায়ে এ লক্ষ্যবস্তু স্থান-কাল-পাত্রভেদে পরিবর্তিতও হয়।

করোনাভাইরাসের মহামারীও এর ব্যতিক্রম নয়। ডিসেম্বর ২০১৯ এর শেষের দিকে চীনের উহান প্রদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু হবার পর থেকে বিশ্বের ২০৯টি দেশে এখন পর্যন্ত করোনার বিস্তার ঘটেছে। এপর্যন্ত নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯২৭ জন আর মৃত্যুবরণ করেছেন ৮৩ হাজার ৮৭ জন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন করোনায় আক্রান্ত মানুষের প্রকৃত সংখ্যাটি আরো অনেক বেশি কারণ অনেক দেশই সম্ভাব্য আক্রান্ত অনেক ব্যক্তিকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার আওতায় আনতে পারেনি। করোনাভাইরাস মহামারীটি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে প্রতিদিনই বিশ্বের নতুন নতুন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি একটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সঙ্কট সৃষ্টি করছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব নিয়ে সকলেই চিন্তিত। কিন্তু একই সাথে অন্যান্য মহামারীর মতো এর কারণে যে গভীর সামাজিক সঙ্কটের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে তা প্রায়শই আলোচনায় উপেক্ষিত থেকে যায়। মহামারীটির সামাজিক সংকট ও এর পরিণতিগুলি স্বাস্থ্য সঙ্কট থেকে পৃথক করা যায় না।

সমকালীন রাজনীতিতে দোষারোপের সংস্কৃতি প্রায় সার্বজনীন। রাজনৈতিক ব্যক্তি-ব্যক্তিতে দোষারোপ, এক দলের অন্যদলের প্রতি দোষারোপ, এমনকি এক রাষ্ট্রের অন্য রাষ্ট্রের প্রতি দোষারোপের চর্চার উদাহরণ অজস্র। এর মধ্যে যখন কোনো মহামারী ধেয়ে আসে তখন এই দোষারোপের চর্চাকে অনেক তত্ত্ব ও তথ্যের মাধ্যমে জোরালো করা হয় এবং মহামারীর রাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিজ্ঞানভিত্তিক কথাবার্তার আড়ালে কথিত ষড়যন্ত্র তত্ত্বের 'তথ্য-মহামারী' ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে।

শুরু থেকেই এ মহামারীর জন্য একে অন্যকে দায়ী করে যাচ্ছে। চীন প্রথমে কোভিড-১৯ কে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও ২০ জানুয়ারী ২০২০ থেকে তাদের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এর জন্য দায়ী করে। তারা প্রচার করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ভাইরাসটি তৈরি করে চীনকে ধবংস করার জন্য তা চীনে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হয় চীন যদি প্রথম দিকে ধামাচাপা না দিয়ে এবং মহামারীর রাজনীতিকরণ না করে শুরু থেকেই এর নিয়ন্ত্রণে ঝাঁপিয়ে পড়ত তাহলে হয়তো এর প্রকোপ আরো কম হতো। এরপর মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডনাল্ড ট্রাম্প কোভিড-১৯ কে "চীনা ভাইরাস" হিসাবে অভিহিত করেছেন। তার এ বর্ণবাদী মন্তব্যের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এশিয়ান নাগরিকদের রাস্তা-ঘাটে, পথে প্রান্তরে ও কর্মস্থলে হেনস্তার শিকার হতে হয়। এমনকি এশিয়ান শিশুরা স্কুলে অন্যান্য সহপাঠীদের দ্বারা দৈহিক নিপীড়নের শিকার হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়ানোর ক্ষেত্রে সরাসরি ইরানকে দায়ী করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও বলেন "উহান ভাইরাস হলো খুনি, আর ইরানি শাসনকর্তারা তার সহযোগী।

অথচ বাস্তবতা হলো কোভিড-১৯ এমন একটি ভাইরাস যা বৈষম্য করে না। রাস্তা থেকে রাজপ্রাসাদ সবখানেই তার সমান গতিতে আনাগোনা। রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্মীয় আচার, মানুষে-মানুষে আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ, এমনকি মানুষের নিজস্ব আচরণকে সে তছনছ করে দিচ্ছে। নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ থেকে উচ্চবিত্ত, মহা-উচ্চবিত্ত কেউ বাদ যায়নি এর আক্রমণ থেকে।

বাংলাদেশে শুরু থেকেই করোনাভাইরাস নিয়ে বিদেশ ফেরত লোকজনকে দায়ী করা হচ্ছে। ব্যাপারটি এমন যে, বাংলাদেশে তারা এসেই করোনার মহা বিস্তার ঘটিয়ে ফেলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপচে পড়া ক্ষোভ আর নিন্দা বিদেশ ফেরত মানুষদের সম্পর্কে ভীতিকর ধারণা তৈরি করেছে। একদিকে যেসব দেশে করোনা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে তাদের সরকার প্রবাসীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য নির্দেশ দিচ্ছে, অন্যদিকে নিজদেশে ফিরে এসে তারা শিকার হচ্ছে সামাজিক নিন্দা, প্রতিহিংসা ও অপমানজনক পরিস্থিতির। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের মধ্যে যদি কেউ করোনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও তা প্রকাশ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। অথচ ব্যাপারটি সম্পূর্ণ উল্টো হতে পারতো। বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, নৌবন্দরগুলোতে প্রথম থেকেই বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য ও মানবাধিকার সমন্বিত রেখে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে খুব সহজেই বিদেশ ফেরত লোকজনদের দু'তিন সপ্তাহ সরকারী ব্যবস্থাপনায় আলাদা করে রাখা যেত। তাদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে টেলি কাউন্সেলিং করা যেত, তাদের নিজেদের দু'তিন সপ্তাহ আলাদা থাকার ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রত্যেককে পুরস্কৃত করা যেত। সে যাই হোক, বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে 'করোনা'র সামাজিক  প্রতিমূর্তি যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে তা মহামারীর চেয়েও ভয়াবহ। মানুষ ভুলেই যাচ্ছে যে করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই মৃত্যু নয়। এমনকি ৬০-৭০% ক্ষেত্রে করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির হাসপাতালে ভর্তি হবারও প্রয়োজন নেই। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) যে বলিহারি হচ্ছে, যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাম-শ্যাম-যদু-মধু পিপিই পরে ছবি দেয়ার বন্যা বইয়ে দিচ্ছে, এতে যিনি নিদেনপক্ষে একসেট পিপিই সংগ্রহ করতে পারছে না তিনি নিজেকে অসহায় ও অনিরাপদ ভাবাটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মতে, সরাসরি কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সেবায় যারা যুক্ত থাকেন, তাদের বাইরে কারোই পিপিই ব্যবহারের যৌক্তিকতা নেই। সামাজিক দুরত্ব রক্ষা করা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে কুড়ি সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া, যথাসম্ভব নিজের চোখ ও নাক স্পর্শ থেকে বিরত থাকা ইত্যাদিই যথেষ্ট। আর যাদের সর্দি-কাশি হচ্ছে, তারা সার্জিক্যাল মাস্ক পরলেই হবে। আর সার্জিক্যাল মাস্ক না পাওয়া গেলে কাপড়ের মাস্ক আধাঘন্টা সাবান-পানিতে ভিজিয়ে রেখে বার বার ব্যবহার করা সম্ভব। এমনকি গণহারে ব্যবহৃত এন ৯৫, পি ৯৫, এন ৯৯, কিংবা এন ১০০ মাস্ক করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কোন সাহায্যতো করেই না বরং এগুলোর ব্যবহার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

ভীতি আর যুক্তি একসাথে যায় না, আর একসাথে যায় না বলেই ঢাকা থেকে রংপুরে নিজবাড়ির উদ্দেশ্যে পণ্যবাহী ট্রাকে রওনা দেয়া একজন শ্রমজীবি মানুষের পথে শ্বাসকষ্ট ও কাশি শুরু হলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে মাঝপথে ট্রাক থেকে ফেলে যাওয়া হয়, একই কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ থেকে তার নিজ বাড়ি নওগাঁ যাবার পর সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গ্রামের লোকেরা গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং অবশেষে পাঁচ-পাঁচটি হাসপাতাল ঘুরে তার মৃত্যু হয়। একইভাবে ট্রলারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির লাশ আছে, মসজিদের মাইকে এমন গুজব ছড়িয়ে দিলে এলাকাবাসীর হামলায় পাঁচ জন অহত হয়। শুধু তাই নয়, কবরস্থানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কবর না দেয়ার ব্যাপারে নোটিশ টাঙিয়ে রাখে।

এ ঘটনাগুলোতে পরাজিত হয় মানবতা, কিন্তু জয়ী হয়ে যায় মহামারী। ভয়ে, আতঙ্কে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ পরীক্ষা করাতে চায় না, চিকিৎসা-ব্যবস্থাপনায় আসতে চায় না, আর করোনাভাইরাসও বিনা বাধায় এক থেকে অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

অপবাদ ও বৈষম্য দূর করার ভ্যাক্সিন হলো বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য প্রত্যেকের কাছে পৌঁছানো ও ঝুকিপূর্ণ মানুষজনকে প্রতিরোধ-প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করানো। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন মহামারী মোকাবেলায় এ মডেল বেশ কার্যকরী বলে প্রমাণিত। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সংগে সহানুভূতিশীল আচরণ তাদেরকে আত্মবিশ্বাসী করবে ও তারা উদ্যমের সঙ্গে নিজেরাই প্রতিরোধ কার্যক্রমে যুক্ত হবে।

অস্কার বিজয়ী অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস এবং তার স্ত্রী, অভিনেত্রী রিটা উইলসন, ব্রিটিশ অভিনেতা ইদ্রিস এলবা, স্প্যানিশ অপেরা গায়ক প্লাসিডো ডোমিংগো, বিখ্যাত রক-ব্যান্ড বন জোভি'র কীবোর্ডিষ্ট ডেভিড ব্রায়ান, ফ্রোজেন-২ মুভির অভিনেত্রী রাচেল ম্যাথিউস, বিখ্যাত ফরাসী অভিনেত্রী ও মডেল ওলগা কুরেলেনকো, 'গেমস অফ থ্রোনস' তারকা ক্রিস্টোফার হিভজু, আমেরিকান গায়ক-গীতিকার এবং সংগীতশিল্পী জ্যাকসন ব্রাউন কিংবা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী সোফি গ্রাগোয়ার ট্রুডো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটর ও কংগ্রেসের তৃতীয় সদস্য রেন্ড পল, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, মোনাকোর রাজপরিবারের দ্বিতীয় যুবরাজ অ্যালবার্ট, ওয়েলসের রাজকুমার চার্লস যখন করোনায় আক্রান্ত হবার খবর নিজেরাই সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে তখন এগুলো সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক অর্থবহ হয়।

এখন সময় মানবিকতার, এখন সময় সম্মিলিত সংহতির। দেশ-জাতি-শ্রেণি পার্থক্য ভুলে এগিয়ে যাবার শিক্ষা গ্রহণের সময় এখন। সময় এখন সঠিক তথ্য জানানো ও নিজে মেনে চলার। অপবাদ-বৈষম্য মহামারীকে পৌনঃপুনিকভাবে বিস্তৃত করতেই সহায়তা করবে। নিজেকে এখন প্রশ্ন করতে হবে, আমি কি এ সংকটে 'অন্য'কে দোষারোপ করব, নাকি নিজের ঝুঁকি অনুধাবন করে নিজেকে ও অন্যকে রক্ষায় এগিয়ে আসব। আমরাও চাই আমাদের দেশের মানুষ আক্রান্ত হলে কিংবা আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে থাকলে উপযাচিত হয়ে নিজে এগিয়ে এসে প্রকাশ করবেন, পাবেন অনুকূল পরিবেশ ও হেরে যাবে বৈষম্যের রক্তচক্ষু।