করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এনজিওর ভূমিকা ও কিছু বাস্তবতা

Published : 5 April 2020, 03:07 PM
Updated : 5 April 2020, 03:07 PM

বাংলাদেশে এনজিওর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এনজিওগুলো কাজ করে থাকে। বাংলাদেশের অনেক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ঈর্ষণীয় সাফল্যের সাথে এনজিওর ভূমিকা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে দেশকে পুনর্ঘটনেও এনজিওর কাজ সারা বিশ্বে প্রশংসা পেয়েছে।  তাছাড়া বাংলাদেশের যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগেও সাফল্যের সাথে ভূমিকা রেখেছে। এনজিওর প্রতিষ্ঠাতাদের অনেকেই দেশ বিদেশ থেকে তাদের কাজের জন্য অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন। তারা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করে তুলেছেন। যাই হোক, যেকোনও ধরনের মানবিক বিপর্যয়ে এনজিওরা এগিয়ে আসবে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু এবারের অদৃশ্য শত্রু 'করোনাভাইরাস' এর সাথে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে এনজিওগুলোর প্রস্তুতি নিয়ে একটা প্রশ্ন রাখা যেতে পারে। তবে অনেকেই বলছেন, যেহেতু করোনাভাইরাসের গতি প্রকৃতি নিয়ে কোন ধারণা কারো ছিল না তাই প্রস্তুতিও সেভাবে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই কথাটির সাথে আমি একমত হতে পারছি না। কারণ, যখন চীনে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিল তখনই এটা বোঝা যাচ্ছিল যে একটা মানবিক বিপর্যয় আসতে পারে। আমাদের দেশে এনজিওগুলো বিভিন্ন উন্নয়নমূলক অনেক শক্তিশালী গবেষণা করে থাকে, সেক্ষেত্রে এই করোনাভাইরাস এর প্রভাব বাংলাদেশে কিভাবে পড়তে পারে সেটা নিয়ে হয়তো আগে থেকেই একটা ধারণা নিয়ে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করা যেত। বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এনজিওর প্রস্তুতিতে অনেক দুর্বলতা আছে। তাছাড়া কয়েকটি এনজিও ছাড়া বেশিরভাগ এনজিওর ভূমিকা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে অনেক এনজিও আছে যারা প্রচার কম করে তাই হয়তো মানুষের চোখে পড়ছে না তারা কী করছে! আবার অনেকেই কাজের পাশাপাশি ব্যাপক প্রচার করছে যাতে করে মানুষ জানে যে তারা কিভাবে অবদান রাখছে। তাছাড়া আরেকটা বিষয় স্পষ্ট যে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট সমন্বয় নাই বললেই চলে। যেমন একজন উন্নয়নকর্মী  বলেছেন

"বেশির ভাগ এনজিও নিজেরাই জানে না কি করা উচিত। … তাছাড়া এনজিওদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট।"

আবার দেখা যাচ্ছে করোনাভাইরাস একটা স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ এনজিওর স্বাস্থ্য খাতে কাজ করার কোন অভিজ্ঞতা নেই। তবে দেশের কিছু এনজিও বিদেশে বিশেষকরে আফ্রিকাতে কাজ করেছে, তাদের হয়তো 'ইবোলা' মোকাবেলার কিছু অভিজ্ঞতা থাকতে পারে। যাই হোক, যে কয়েকটা এনজিও স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে তাদের আবার সারা দেশে কাজ করার সামর্থ্য বা প্রয়োজনীয় সম্পদ নেই। তবে কিছু এনজিও আছে যারা কিভাবে সাবান দিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে হাত ধুতে হয় সেটা গ্রামেগঞ্জে মানুষকে শিখিয়েছে। এখন এই দুর্দিনে ওই শিক্ষাটা অনেক কাজে লাগবে। একজন সমাজকর্মী এনজিওদের বর্তমান কাজের ক্ষেত্রে সচেতনতার কাজের ব্যাপারে বেশ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে বলেন-

"এনজিও প্রথমে যে কাজটি ভালভাবে করতে পারে সেটি হলো জনগনকে সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে সচেতন করে তোলা। কারন এনজিওদের বিশাল কর্মী বাহিনী একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেন।"

একজন সরকারি কর্মকর্তা এনজিওদেরকে দরিদ্র মানুষ কিভাবে সহজে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে সেকথা কথা বলেন- "প্রাথমিক চিকিৎসা পেতে কোথায় যেতে হবে এবং বিভিন্ন স্থানে রোগ টেস্ট করার ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারে"।

তাই এই দুর্যোগের দিনে এনজিওগুলোর কাজের গুরুত্ব কোনদিকে বেশি সেটা একটা ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় এনজিও যেগুলো আছে সেগুলার বেশিরভাগের মূল মনোযোগের বিষয় হচ্ছে ক্ষুদ্রঋণ। বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে উদ্বৃত্ত করার পরেও স্বাস্থ্য খাতের মত জায়গায় কেন এনজিও এগিয়ে আসছে না সেটাও একটা দেখার বিষয়। এই ভাইরাস মনে হয় এনজিওগুলোর কর্মক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এনজিওর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে। ক্ষুদঋণ প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রতি আক্ষেপ করে একজন গবেষক এবং সরকারি এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন,

"কিছু এনজিও অস্থায়ী হাসপাতাল বানিয়ে দিতে পারতো। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রাহক বিশেষ করে যারা গরীব তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে পারতো।"

আরেকজন যিনি স্থানীয় সরকারের কাজের সাথে যুক্ত তিনি ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী এনজিওগুলোর কাজের সমালোচনা করে বলেন, "এটাই তো সমস্যা, বড় বড় এনজিওগুলো টাকা রোজগারে ব্যস্ত। জনসেবার নামে অর্থ আয় করা নিয়েই ব্যস্ত তারা। তাইতো এখন দুর্দিনে মানুষের প্রয়োজনে তেমনভাবে তাদের কাজ চোখে পড়ছে না।"

যে কয়টা বড় এনজিও আছে তাদের মধ্যে গুটিকয়েক এগিয়ে এসেছেন বিশেষ করে জনগণকে সচেতন করতে। এই মুহূর্তে সচেতনতার কোন বিকল্প যেমন নেই, তেমনি গরিব খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা আর খাদ্য সরবরাহ করার কথা ভুললেও চলবে না। একটি এনজিওর মাঠপর্যায়ের একজন বড় কর্মকর্তা বলেন যে, "শুধু সচেতনতার কাজ করে দায়িত্ব শেষ করলে হবে না, বরং এনজিওদের সরাসরি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।"

তিনি সমালোচনা করে বলেন, "এনজিওগুলোর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাবার/চিকিৎসার ক্ষেত্রে খরচ না করার বিষয়টা বেশ দুঃখজনক।"

অন্যদিকে ছোট ছোট মানবিক এনজিও অনেক বড় রকমের প্রভাব ফেলছে। যেমন অনেকেই স্বল্পমূল্যে গরীবদেরকে খাবার দিচ্ছে।  মানুষজনও এগিয়ে আসছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। এইসব ছোট এনজিও কিন্তু সারা দেশে তাদের সরবরাহ চ্যানেল ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। একটা লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে ছোট ছোট এসব এনজিও কিন্তু এখনো বড় বড় এনজিওর বিশাল নেটওয়ার্ক বা চ্যানেল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সমন্বয়ের সাথে কাজ করছে না। যাই হোক, তারপরেও সমাজের দাতাগোষ্ঠী দুহাত উজাড় করে দিচ্ছে এসব ছোট এনজিওকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কি বড় এনজিওদের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে? মানুষ কি তাদের কাজ নিয়ে বিশ্বাস রাখতে পারছে না? সারা দেশে বড় এনজিওগুলোর ব্যাপক উপস্থিতি থাকতেও কেন তারা খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের দোঁড়গোড়ায় খাদ্য, স্বাস্থ্য সাহায্য নিয়ে যেতে পারছে না?

অন্যদিকে সরকারের সাথে এনজিওদের কাজের সমন্বয় থাকলে হয়তো আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচপদস্থ কর্মকর্তা সরকারের পাশাপাশি এনজিওদের কাজ করার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, "আমাদের মতো দেশে সবাই সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে, সরকারের একার পক্ষে এটা কোনোভাবেই মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। সরকার যা পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে আমি ভুল খুব একটা দেখি না, শুধু এয়ারপোর্ট মার্চের প্রথম দিকে বন্ধ করতে পারলে ভালো হতো। এমনকি লকডাউনও ঠিক সময়ে হয়েছে, কারণ আমাদের মতো দেশে ৬০ দিন বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। তার উপর গার্মেন্টস মালিকদের একটা চাপ সব সময়ই আছে। এখন পর্যন্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আছে, আরেক সপ্তাহ পর হলে মানুষ কিনতে পারবে না। তখন সহায়তা বেশি দরকার হবে। এক্ষেত্রে এনজিওগুলো ভূমিকা রাখতে পারে। এগিয়ে আসতে পারে সরকারের পাশে। "

আমাদের দেশে দরিদ্রতা কমতে শুরু করেছে কথাটা ঠিক। আবার এই ধরনের বিপর্যয়ে দারিদ্রের ব্যাপ্তিটাও এখন চোখে পড়ার মত। এনজিওগুলো দরিদ্রতা মুক্তির উপায় হিসেবে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলছে, অনেকেই শিক্ষা স্বাস্থ্য এসব নিশ্চিতের কথা বলছে। কিন্তু দারিদ্র সংজ্ঞা যে কত ব্যাপক সেটা হয়তো এখন সহজে বোঝা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য সমস্যার পাশাপাশি আর্থিক সমস্যা, তার সাথে রয়েছে খাবারের সমস্যা, যোগাযোগের সমস্যা, এসব মিলিয়ে দারিদ্র নিয়ে আবার নতুন করে ভাবতে হতে পারে। এই ধরনের মহামারীর আগে, মধ্যবর্তী আর পরবর্তী অবস্থায় হয়তো দারিদ্রতাকে আরো ব্যাপকভাবে উপলব্ধি করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সব কিছু ছাপিয়ে বহুমাত্রিক জটিল বঞ্চনাই এখন দারিদ্রের আসল রূপ। এনজিওগুলোকে এসব নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এনজিওগুলোর যেমন ভূমিকা আছে আবার এনজিওদেরকেও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এনজিওগুলোর বেশিরভাগ কর্মী ক্ষুদ্রঋণের সাথে যুক্ত, যাদেরকে হয়তো এই সময়ে অন্য কাজে ব্যবহার করা ছাড়া বিকল্প থাকবে না। বিশাল এই দক্ষ কর্মীবাহিনীকে দীর্ঘদিন কাজের বাইরে রাখতে হলেও এনজিওগুলোকে একটা আর্থিক চাপের মধ্যে থাকতে হতে পারে। এখনকার বাস্তবতায় অনেকটাই অসহায় হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।

করোনাভাইরাস পরবর্তী প্রভাব মোকাবেলায় এনজিওদের একটা বড় ভূমিকা থাকবে বিশেষ করে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে। যে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার দিকে আমরা যাচ্ছি সেটা মোকাবেলার জন্য আত্মকর্মসংস্থানের কোন বিকল্প থাকবে না। এনজিওর মূল কর্ম পরিকল্পনাতেও হয়তো এবার অনেক পরিবর্তন আনা লাগতে পারে।  বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক সক্ষমতা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই নিজেদের ভিতরকার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে কতটা মানসম্মত সেবা দিতে পারবে সেটাও ভবিষ্যতে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিবে।

এনজিওগুলো করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলার পাশাপাশি দরিদ্র মানুষের ক্ষুধা নিবারণে অনেক কাজ করতে পারে। তবে কিছু বিষয়ে এখনই মনোযোগ দেয়ার সময়। যেমন- এনজিওগুলোতে কয়েকজন 'ফোকাল পারসন' থাকতে পারে যারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সঠিক তথ্য সাধারণ মানুষকে দিতে পারবে। তাহলে হয়তো গুজব কমবে। এনজিওদের উচিত হবে সব ধরনের প্রতিনিধিত্বমূলক একটা জাতীয় কমিটি করা, যেটা হয়তো সবার দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এনজিওদের সমাজের ধর্মীয় প্রতিনিধিদের আরো অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। এনজিওর স্বাস্থ্যকর্মীদের  নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, পাশাপাশি চিকিৎসকদেরও নিজেদের মতো করে এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে হবে । স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরো শিক্ষার বিস্তার কিভাবে করানো যাই সেটা নিয়েও এনজিও কাজ করতে পারে।

বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের নিয়েও এনজিও কাজ করতে পারে। বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের বিমানবন্দর থেকেই সচেতন করার কাজ হাতে নিতে পারে। যারা ইতিমধ্যে বিদেশ থেকে এসেছেন কিন্তু নিজের মতো করে আছেন, সবার সাথে মিশছেন তাদেরকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সচেতন করতে পারে। যেহেতু এনজিও নেটওয়ার্ক প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত, সেহেতু তারা সহজেই এক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। এনজিওগুলো সারা দেশে তরুণদের নিয়ে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবীদের দল তৈরি করতে পারে। অনেকেই অত্যুৎসাহে ভালো কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে কোনোরকম সতর্কতা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া ছোট ছোট বাচ্চাদের ব্যবহার করছে পরিষ্কার পরিছন্ন করার কাজে, এক্ষেত্রে সেটা থেকেও বিরত থাকার জন্য এনজিওগুলো সচেতন করতে পারে। প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ, অসহায় নারী, শিশু যাদের কথা কেউ হয়তো আলাদা করে ভাবছে না, তাদের দিকে একটু বেশি নজর দিতে হবে। একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত একজন ব্যাংকার তার মতামত জানালেন করোনাভাইরাস পরবর্তীতে এনজিওদের কি কাজে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সেটা নিয়ে, "এনজিওদের এখন থেকেই কাজ করতে হবে করোনা পরবতী অবস্থা নিয়ে। আসন্ন আর্থ-সামাজিক জটিলতা কিভাবে মোকাবেলা করা যাই সেটা নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।"

তবে বাংলাদেশের মানুষ জীবনযুদ্ধে কখনো হারেনি, আবারও হারবে না এটাই আমার বিশ্বাস। সবাই ভালো থাকুক। মানবতার জয় হোক।