গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: ইথিওপিয়া থেকে বাংলাদেশ

রাহাত রাফি
Published : 22 April 2019, 01:11 PM
Updated : 22 April 2019, 01:11 PM

রিপোর্টাস উইদাইট বর্ডারস নামের প্যারিসভিত্তিক গণমাধ্যম উন্নয়ন সংস্থাটি ২০১৯ সালের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ প্রতিবেদনটি বলছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে গত বছরের তুলনায় ৪ ধাপ পিছিয়ে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্য এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১৫০তম৷  বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক গত চার-পাঁচ বছরের তথ্য পর্যালোচনা করলে বিষয়টিকে নতুন মনে না হলেও, যে বিষয়টি আলোচনায় আসা উচিত তা হলো আমাদের দেশে প্রায় ত্রিশ বছর ধরে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক  পরিবেশ বিরাজমান বলে আমরা দাবি করছি৷ বলার অপেক্ষা রাখে না যে, একটি দেশের গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে ও বিকশিত করতে হলে দরকার একটি স্বাধীন গণমাধ্যম ব্যবস্থা৷ কিন্তু আমাদের দেশের বেলায় কেন তার উল্টোটি ঘটছে? পাশাপাশি, বিশ্বের আরেও কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশের তুলনায়, আমাদের দেশের গণমাধ্যম ক্রমাগত তলানির দিকে কেন যাচ্ছে সে বিষয়টিও আমাদের পর্যালোচনায় রাখা উচিত৷

সংস্থাটির ২০১৩ সালের তথ্য বলছে, সেবছর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বিশ্বব্যপী বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৪তম৷ দুই ধাপ নেমে ২০১৪ সালে তা দাঁড়ায় ১৪৬-এ৷ পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৫ সালে একই অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ৷ তবে ২০১৬ সালে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছিল৷ সেবছর বাংলাদেশের অবস্থানের কিছুটা এগিয়ে আবারো ১৪৪তম অবস্থানে এসে দাঁড়ায়৷ ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৬৷ চার ধাপ পিছিয়ে এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৫০-এ৷

সংস্থাটির এ বছরের প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় আছে৷ যেমন, বিস্ময়কর রকমের চমক দেখিয়েছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া৷ মধ্য আফ্রিকার এ দেশটি গত বছরের তুলনায় ৪০ ধাপ এগিয়ে এ বছর ১১০তম অবস্থানে এসেছে৷ এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো আরো কিছু দেশ হলো, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া যেটি গত বছরের তুলনায় ৩০ ধাপ এগিয়ে ৯২তম অবস্থানে এসে পৌঁছেছে৷ এ অঞ্চলের আরেকটি দেশ হলো যুদ্ধ বিধ্বস্ত তিউনিসিয়া যেটি গত বছরের তুলনায় ২৫ ধাপ এগিয়ে এ বছর ৭২তম অবস্থানে এসে পৌঁছেছে৷

তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায়, বাকস্বাধীনতা রক্ষায় আমরা কি ক্রমেই আফ্রিকার এ দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে যাচ্ছি৷

শুধু তথ্য দিয়ে বিশ্লেষণ না করে, সংস্খাটির গবেষণা পদ্ধতি যাচাই করলে আমরা হয়তো বাংলাদেশের এ অবনমনের কারণ কিছুটা  হলেও অনুমান করতে পারবো৷

২০০২ সাল থেকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের উপর জরিপ পরিচালনা করে থাকে সংস্থাটি৷ গণমাধ্যমের বৈচিত্রতা (মিডিয়া প্লুরালিজম), গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সেল্ফ সেন্সরশিপ, গণমাধ্যম বিষয়ক আইন, সংবাদমাধ্যমের স্বচ্ছতা ও অবকাঠামো এ ছয়টি ক্যাটাগরির প্রয়োগ করে প্রায় ৮৭টি অনুসূচকের মাধ্যমে একটি দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচি প্রকাশ করে সংস্থাটি৷ বিশ্বের আরো পাঁচটি সংগঠন বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক জরিপ করে থাকে৷ এ সংগঠনগুলোর সাথে রিপোর্টার্স উইদাইট বর্ডারস-এর একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হলো, এ সংস্থাটি উল্লেখিত ক্যাটাগরিগুলো বিবেচনায় নেয়ার পাশাপাশি গবেষণাকৃত দেশটিতে সাংবাদিকের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার বিষয়টি কঠোরভাবে বিবেচনায় নিয়ে গবেষণার চুড়ান্ত ফলাফল তৈরি করে থাকে৷

একটি দেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থা বিশ্লেষণ অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ একটি বিষয়৷ এক্ষেত্রে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এর একটি-দুটি গবেষণা ক্যাটাগরি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যমের বর্তমান অবস্থা কিছুটা বোঝার চেষ্টা করা যায়৷

প্রথমে গণমাধ্যমের বৈচিত্র্যতার বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যাক৷ নি:সন্দেহে বলা যায়, বাংলাদেশের গণমাধ্যম যথেষ্ট বৈচিত্র্যতাপূর্ণ৷ বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় চার শরও বেশি প্রকাশিত সংবাদপত্র, প্রায় ২৫টির মতো টেলিভিশন চ্যানেল, আছে বেশকিছু এফএম রেডিও ও কমিউনিটি রেডিও৷ এদিকে ইন্টারনেট নিউজপোর্টালের সংখ্যাও কম নয়৷ অর্ধেকের চেয়ে বেশি নাগরিকের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে৷ তাহলে এই ক্যাটাগরিতে নিশ্চয় বাংলাদেশ ভালো স্কোর পাবে৷ কিন্তু না৷

শহিদুলের আলমের গ্রেপ্তারের ঘটনা, কর্মক্ষেত্রে সাংবাদিকদের উপর রাজনৈতিককর্মীদের হামলার ঘটনা, ও ডিজিটাল সিকিওরিটি কথা উল্লেখ করে সংস্থাটি দাবি করছে, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা মত প্রকাশের ক্ষেত্রে ততটা স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে না৷ ফলে দেশটিতে সংবাদমাধ্যমের বৈচিত্রতা থাকলেও একটি বৈচিত্র্যতাপূর্ণ সংবাদক্ষেত্র তৈরি হয়ে উঠেনি৷ কেননা দেশটিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবাই সমানভাবে পাচ্ছেনা৷

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিশ্লেষণের জন্য সংস্থাটির আরেকটি ক্যাটাগরি হলো সেল্ফ সেন্সরশিপ৷ আর এটি হলো, একজন সংবাদকর্মী নিজেই যখন নিজের করা সংবাদের উপর সেন্সর আরোপ করে থাকেন৷ একটি সময় ছিল যখন আইন প্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকা গোষ্ঠি নিজেদের ক্ষমতার জন্য হুমকিস্বরূপ সংবাদের উপর সেন্সর আরোপ করতো৷ এ ধরনের আইন খুব আক্রমণাত্নক ও সমালোচনামূলক বলে বিশ্বের অনেক দেশের সরকারই এ ধরণের পদ্ধতি আর আরোপ করে না৷ কিন্তু বিভিন্ন দেশে সুকৌশলে যে বিষয়টি করা হচ্ছে তা হলো, সংবাদমাধ্যম জগতে নিজেদের মতাদর্শী সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠিত করা৷ আরোকটু বড় পরিসরে দেখলে বিষয়টি এ রকম দাঁড়ায়, সংবাদমাধ্যমের মালিকানা যদি নিজ দলের অনুগত ব্যত্তিবর্গকে দেয়া হয়, এসকল মালিকরা নিজেরাই অনুগত সাংবাদিকদের সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক হিসেবে নিয়োজিত করবে৷ আর এধরনের কৌশলের ফল খুব অবিসম্ভাবী এবং ভয়াবহও বটে৷ যেমন আনুগত্যধারী এসকল সাংবাদিক নিজেরাই দলীয় বিবেচনা অনুযায়ী সংবাদ যাচাই বাছাই করবে৷

ডানিয়েল হালিন এবং পাউলো মানসিনি নামে দু'জন গণমাধ্যম বিশেজ্ঞ প্রথমবারের মতো এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন৷ ইউরোপের 'গণমাধ্যম ব্যবস্থা'  যাচাই করতে গিয়ে তারা 'পলিটিক্যাল প্যারালালিজম' নামে একটি ধারণার প্রবর্তন করেন৷ বলা হয় পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশেই দুর্বল পলিটিক্যাল প্যারালালিজম বিরাজমান৷ ফলে তারা শাসক গোষ্ঠির সাথে বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাহাসে লিপ্ত হওয়ার সামর্থ্য রাখে না৷ গণমাধ্যম ব্যবস্থা বুঝতে হলে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনাটিতে  প্রবেশ করা অত্যন্ত জরুরি। কেননা এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা৷

প্রায় চার শ বছর আগে একটি রাষ্ট্রে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার ধারণাটি ছিল এ রকম, ক্ষমতাশীন গোষ্ঠি যদি ক্ষমতার অপব্যবহারে লিপ্ত হয় তাহলে দেশের জনগনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম সারকারের সাথে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তর্ক চালিয়ে যাবে৷ এ ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইল শাসকরা৷ আর কৌশল হিসেবে সংবাদমাধ্যমের মালিকানার উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা শুরু করলো তারা৷ কেননা, মালিকানা যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাহলে সরাসরি সেন্সর আরোপের দায়ভার আর ভোগ করতে হয়না৷ কেননা, সংবাদমাধ্যমের মালিকরা নিজেরাই নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী সংবাদ যাচাই বাছাই করবে৷ পাশ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান থেকে শুরু করে ইউরোপের দেশ ইতালিতে এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে৷ আমাদের দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক ঘটনাগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে গণমাধ্যমের কন্টেন্ট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ ঘটনা বাংলাদেশে খুব তীব্রভাবে ঘটছে৷ আর এ ধরনের ঘটনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য অন্য যে উপাদানগুলো সক্রিয় রাখা প্রয়োজন তার সবগুলোই অকার্যকর করে ফেল৷ যেমন, শাসকগোষ্ঠির কাছে নত হয়ে পড়া সংবাদমাধ্যম অবকাঠামোগত দিক থেকে যত শক্তিশালীই হোকনা কেন কিংবা, গণমাধ্যমব্যবস্থা যত প্লুরালিস্টিকই হোক না কেন, এখানে পরোক্ষভাবে সেন্সরশিপ ঘটবেই৷ পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে প্রবর্তন করা আইনকানুন তখন খাড়ার ঘাঁ হয়েই গণমাধ্যম ব্যবস্থার উপর এসে পড়ে৷

সুতরাং যে বিষয়টি স্পষ্ট হলো সেটি হচ্ছে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ব্যবস্থার কাঠামোগত জায়গাটি এখনো দুর্বল৷ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণমাধ্যমের যে স্পষ্ট ও স্বতন্ত্র অবস্থান থাকা উচিত ছিল, সম্ভবত সে অবস্থানটি হারিয়েছি আমরা বা আমরা কখনো সে অবস্থানটি পৌঁছুতে পারিনি৷ যেমন, অনেক সংখ্যক গণমাধ্যম থাকার পরেও, গণমাধ্যমের সংবাদে কোন বৈচিত্র্যতা নেই কেননা একধরনের কৌশল প্রয়োগের মধ্য দিয়ে ব্যবস্থাটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে৷

এ বছর বাংলাদেশ যে অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে গত বছর ঠিক এই অবস্থানটিতেই ছিল ইথিওপিয়া৷ 'রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস' বলছে, উল্লেখযোগ্য রকমের পরিবর্তন এসেছে দেশটিতে৷ দেশটির তরুণ প্রেসিডেন্ট আহমেদ আলি এক বছর আগে ক্ষমতায় এসে দেশটির গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বেশ জোড়লো কিছু পদক্ষেপ নেন৷ যেমন, দেশটিতে আটক থাকা সংবাদিকদের মুক্তি, নিষিদ্ধ করে রাখা প্রায় ২০০ মতো নিউজ পোর্টাল ও ব্লগসাইট সচল করে দেয়া, দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়াসহ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি৷ পাশাপাশি দেশটির গণমাধ্যমসংশ্লিষ্ট আইন নিয়ে একটি কমিশন গঠন করেছেন, যে কমিশন দেশটির বিদ্যমান আইনকানুন গণমাধ্যমের মত প্রকাশের জন্য  হুমকি হয়ে উঠছে কিনা- সে দিকগুলো পুনর্বিবেচনা করবে৷ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ে তার এ পদক্ষেপ ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী  সারা ফেলেছে৷ আশা করা হচ্ছে অবস্থা চলমান থাকলে, আফ্রিকার দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির এ দেশটি উদারগণতন্ত্রের মডেল হিসেবে পরিণত হবে৷

গণমাধ্যমের এ স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায়ও সর্বনিম্ন৷ এ বছরের প্রতিবেদনটি বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ভুটান— ৯৪তম, নেপাল ১০৬তম, তিন ধাপ পিছিয়ে এ বছর পাকিস্তানের অবস্থান ১৪২তম আর দুই ধাপ পিছিয়ে ভারতের অবস্থান ১৪০তম৷

আফ্রিকার বেশ কিছু দেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশগুলোতে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা এ অবস্থান আমাদেরকে বলে যে, দেশের নাগরিকদেরকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়ার ক্ষেত্রে গত পাঁচ বছরে ধরে উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন আনতে পারিনি আমরা৷ দীর্ঘমেয়াদে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাইলে একটি দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কোনও বিকল্প এখনেও আবিষ্কৃত হয়নি৷ জার্মানি, ফ্রান্সসহ পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে আমরা এ ব্যাপারটি ইতিমধ্যে দেখেছি৷ এ ক্ষেত্রে সরকার যেভাবে সহযোগিতা করতে পারে তা হল একটি অনুকূল গণমাধ্যমব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ৷ আবার সরকার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করে দিলেই যে গণমাধ্যমব্যবস্থা স্বাধীন হয়ে গেছে বলে ভাবা যাবে সে সুযোগ নেই৷ গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে আমাদেরকেও কর্মক্ষেত্রে আরো পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে, নিশ্চিত করতে হবে যে, যে উদ্দেশ্য নিয়ে সংবাদমাধ্যম আজ থেকে চার শ বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল আমাদের পেশায় যেন সে উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটাই৷