বিমান সংহার

Published : 18 April 2019, 01:05 PM
Updated : 18 April 2019, 01:05 PM

আমরা কোনও সংকটে পড়লেই উদাহারণ হিসেবে নিয়ে আসি বিশ্বের অন্য দেশকে। তা হতে পারে সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ইত্যাদি। এই ধরুন আমরা হামেশাই বলে থাকি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সব সময় লোকসান দিয়ে চলছে। এর প্রধান কারণ নানাবিধ আর্থিক অনিয়ম।

কিন্তু দেখুন তাহলে পাশের দেশ ভারতের এয়ারলাইন্স ইজি জেটের অবস্থা! এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণে জর্জরিত এয়ারলাইন্সটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে গত কয়েকদিন ধরে। চেষ্টা চালাচ্ছে আর্থিক জোগান বাড়ানোর। ভারতের অভ্যন্তরে প্রায় ছয় শটি রুটে এবং ৩৮০টি আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করে জেট এয়ার। তারপরও লোকসান। বাংলাদেশ বিমান আর কয়টা রুটেই বা চলে। এতে লোকসানের পাল্লা নিয়মিত হওয়াটা দোষের নয়। এভাবেই আমাদের মন্ত্রী-আমলারা ব্যাখ্যা দিতে বেশ সক্ষম।  জেট এয়ার কিন্তু সরকারী নয়, ব্যক্তি মালিকানাধীন। তারপরও এ সংকটকালে ভারত সরকার জেট এয়ারকে সহায়তা দেওয়ার জন্য জরুরি সভাও করেছে। বাংলাদেশ বিমানতো সরকারী সম্পদ। বিমানের সংকটে সরকার কতটুকু নজরদারী কিংবা সহায়তা করে তা নিয়ে প্রশ্ন করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বিভিন্ন সময় বিমানের নানান অনিয়মে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মুখ খোলেন। সংকট উত্তরণে নানান ফিরিস্তি দিয়ে থাকেন। ওই পর্যন্তই শেষ। তার কোনও বাস্তবায়ন তেমন দেখা যায় না। ওই অন্য দেশের উদাহরণ টেনে 'সংকট হতেই পারে' ধরনের মানসিকতা বহতা স্রোতের মতো চলতে থাকে।

সম্প্রতি বিমানের লন্ডন-সিলেট সেবা নিয়ে যাত্রী টিকেট বিক্রি এবং কার্গো পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। পত্র-পত্রিকায় এ নিয়ে বিস্তর সংবাদ প্রকাশ হয়েছে এবং হচ্ছে। অনিয়ম তদন্তে গঠিত কমিটি কার্গো পরিবহন খাতে ৪১২ কোটি টাকার অনিয়ম পেয়েছে। আর এই অনিয়মের বড় একটি অংশ হয়েছে লন্ডন রুটে। জেএমজি নামক একটি কার্গো প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই সহযোগিতা দিয়েছেন বিমানের লন্ডন ও আয়ারল্যান্ড শাখার সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম। এমন তথ্য দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি বিনামূল্যে টিকেট বিক্রি করে ১৬ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন।

বিজ্ঞাপনের জন্য লন্ডন-ঢাকা রুটে দুই হাজার ৪২৭টি টিকেট বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন বলে নিজের জবানিতে বলেছেন শফিকুল ইসলাম। এই ঘটনায় তিনি সহ মার্কেটিং ও সেলসের আরেক কর্মকর্তা আশরাফুল আলমকে ওএসডি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও তদন্তে খুব শিগগিরই একটি দল ঢাকা থেকে লন্ডনে আসছে। এ নিয়ে বিমানের লন্ডন অফিসে বেশ তোড়জোর দেখা গেলো। আমি এ বিষয়গুলো জানতে দু'বার গিয়েছি সেখানে। দেখলাম বিমানের কর্মরতরা বিভিন্ন হিসাব-কিতাব গোছানো নিয়ে শশব্যস্ত হয়ে কাজ করছেন। ব্যস্ত এলাকা অক্সফোর্ড সার্কাসে বাংলাদেশ বিমান কার্যালয়ে প্রবেশ করলে মনে হয় বাংলাদেশেই আছি। দেশের সেই অফিসের আমেজ। মেজাজে, সাজ-অসাজে জীর্ণ একটি অফিস। যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের চেহারাই তুলে ধরে বলে মনে করি। ডিজিটাল একটি দেশে এখনো বিমান ম্যানুয়ালি কাজ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। দেখা গেলো বড় বড় লেজার টেবিলে ফেলে হিসাব মেলানোর চেষ্টায় ব্যস্ত সবাই। সাংবাদিক দেখে চোখে-মুখে ভীতির ছাপও দেখা গেল। একজন কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ করলাম না)-র সাথে কথা হলো উত্থাপিত অভিযোগগুলো নিয়ে। তিনি এক কথায় বললেন, এসব অভিযোগ সঠিক নয় এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তার ভাষ্যমতে, শফিকুল ইসলাম বিমান লন্ডন ও আয়ার‌্যান্ডের ম্যানেজার পদে দায়িত্ব নিয়ে আসার পর ফাইনান্স ম্যানেজার প্রিয়রঞ্জন মহাজনের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘ দায়িত্ব পালনে তাদের দু'জনের সম্পর্ক ভালো ছিল না। সম্প্রতি মেয়াদ শেষে শফিকুল ইসলাম ফিরে যান ঢাকায়, অন্যদিকে পদোন্নতি নিয়ে ঢাকায় ফিরে যান প্রিয়রঞ্জন মহাজন। ফিরে গিয়েই প্রিয়রঞ্জন, শফিকুলের অনিয়ম সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। বিমানের এই কর্মকর্তা বললেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও সঠিক নয়। মানে তিনি বলতে চান এই প্রতিবেদনও উদ্দেশ্যমূলক। এ বিষয়টি তদন্তে যে প্রতিনিধি দল ঢাকা থেকে লন্ডন আসছে তারা কোনও কিছুই পাবে না বলে মনে করেন তিনি। বলেন, সরকারী খরচে আসবে, ঘুরবে, হোটেল থাকবে কিন্তু অভিযোগের কোন সত্যতা খুঁজে পাবে না। অবশ্য একই কথা বলেছেন, লন্ডনের স্বনামধন্য ট্রাভেল এজেন্সি হিলসাইট ট্রাভেলের স্বত্বাধিকারী হেলাল খান। তিনিও মনে করেন প্রিয়রঞ্জন মহাজন এই লংকাকাণ্ডের সুচনা করেছেন। এতোগুলো ফ্রি টিকেট দেয়া কোনও মতেই সম্ভব নয় বলে মনে করেন তারা। তাহলে প্রশ্ন হলো শফিকুল ইসলাম কেন তদন্ত কমিটির কাছে ফ্রি টিকেট দিয়েছেন বলে সাক্ষ্য দিলেন? নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই কি একজন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা যায়? আর জেএমজি নামক একটি কার্গো প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার যে অভিযোগ পত্র-পত্রিকায় এবং তদন্ত কমিটির বরাতে উঠে এসেছে সে বিষয়ে জোর আলোচনা লন্ডনের বাঙালি কমিউনিটিতে সব সময় বাতাসে উড়তে শুনেছি। শফিকুল ইসলাম বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার ছিলেন, কিন্তু এর  বাইরে একটি কার্গো প্রতিষ্ঠানের সাথে তার বিশেষ সখ্যতা কমিউনিটির কারো চোখ এড়ায় নি। শফিকুল একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হয়ে সেই পদের মর্যাদা রক্ষায় ব্যর্থ ছিলেন। তিনি ওই কার্গো প্রতিষ্ঠানের সাথে এতো বেশি সখ্যতা গড়ে তুলেছিলেন যে যা তার চাকরি বিধিমালা পরিপন্থি। লন্ডনে প্রায় চৌদ্দটি কার্গো প্রতিষ্ঠান রয়েছে, অথচ অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানের সাথে তার নুন্যতম সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, এমন দেখা যায় নি। ফলে সব কার্গো প্রতিষ্ঠানই শফিকুলের বিরুদ্ধে ওই কার্গো প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষ সুবিধা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ করেছে। কিন্তু এতো অভিযোগের পরও উত্থাপতি অনিয়মের কোনও সত্যতা পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন বিমান লন্ডন অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা। এর কারণ কী? কারণ হলো চোর চুরি করলেও তার তো চিহ্ন রাখে না। এমন মন্তব্যও এসেছে বিমানের ওই কর্মকর্তার মুখ থেকে। ফলে পুরো বিষয়টি এখন ধোঁয়াশা। সত্যিই কি তদন্ত টিম লন্ডনে এসে কোনও কিছু খুঁজে পাবে না? তাহলে সরকারের টাকা খরচ করে লন্ডনে আয়েস করার জন্য আসার প্রয়োজন কী? অন্য প্রশ্ন হলো, বিমানের লন্ডন শাখার সাবেক ফাইনান্স ম্যানেজার প্রিয়রঞ্জন মহাজন এতোই প্রভাবশালী যে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রভাবিত করেছেন? আরেকটি জিজ্ঞাসা হলো, প্রিয়রঞ্জন যদি উত্থাপতি অনিয়ম সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে থাকেন তিনি তখন কেন এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান নি? তিনি পদোন্নতি নিয়ে ঢাকা ফিরে যাওয়ার পরই কেন এ অভিযোগগুলো দপ্তরে ঢেলে দিলেন?

অন্যদিকে তদন্ত দলের ওপর ভরসা রাখাও দায়, এমন কথাও এসেছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি তদন্ত দলকে হাতে নেয়ার চেষ্টা করছে বলেও গুঞ্জন শুনেছি। এ গুঞ্জন সত্য না হলেই মঙ্গল। তা না হলে তদন্ত দল লন্ডনে এসে কিছুই পাবে না বলে বিমানের ওই কর্মকর্তা যে মন্তব্য করেছেন, তা সত্য হয়ে দাঁড়াবে। সেই সাথে কার্গো পরিবহন এবং টিকেট বিক্রিতে অনিয়ম অব্যাহত থাকবে। আমারও মনে হয় তদন্ত দল পুরোপুরি সফল হবে না। কারণ যে অভিযোগগুলো উঠেছে, এতো অনিয়ম একজনের পক্ষে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এর পেছনে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটই নানান সুবিধা দিয়ে নিজেরা বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করে। তদন্ত দল তাতে আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না।

এবার অন্য প্রসঙ্গে এসে দেখি কিভাবে ডিজিটাল দেশে থেকে বিমানের মতো একটি প্রতিষ্ঠান ম্যানুয়ালি কাজ করে। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এয়ারপোর্ট হিথরোতে একমাত্র এয়ারলাইন্স বিমান নগদ অর্থ লেনদেন করে। এ নিয়ম নতুন নয়, পুরনো। বছরের পর বছর এ লেনদেন চলছে। আমি স্বচক্ষে এ লেনদেন দেখি ২০১৬ সালে। যাত্রীদের অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনে এ লেনদেন হয়। বিমানের যাত্রীদের পণ্য পরিবহনের দায়িত্ব পালন করে দুবাইভিত্তিক কোম্পানি 'ডানাটা' নামক একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানই যাত্রীদের পণ্য গ্রহণ করে। তবে কোনও যাত্রী যদি নির্ধারিত ওজনের চেয়ে বেশি পণ্য পরিবহন করে তাহলে তাকে কেজি প্রতি আট পাউন্ড করে পরিশোধ করতে হয়। আর এই অর্থ ডানাটা নয় গ্রহণ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যাত্রীদের কাছ থেকে নগদে এই অর্থ গ্রহণ করা হয়। আমি নিজেই ২০১৬ সালে যখন অতিরিক্ত পণ্যের জন্য নগদ অর্থ পরিশোধ করেছি, তার জন্য পেয়েছিলাম হাতে লেখা একটি রশিদ। যার কোন ডেটা সংরক্ষণ ভিত্তি নেই। ওই অর্থ বিমানের কোষাগারে গেল কি গেল না, তা নির্ণয়ের কোনও সুযোগ নেই। কয়েকদিন আগে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বললাম সদ্য যোগ দেওয়া বিমানের লন্ডন এবং আয়ারল্যান্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার এম হারুন খানের সাথে। তিনি বললেন, ক্যাশ লেনদেন ছাড়া কোনও উপায় নেই। বিমানের অ্যাকাউন্ট রয়েছে বার্কলেস ব্যাংকে। সে ব্যাংক নাকি বিমানকে কার্ড মেশিন দিচ্ছে না। উপরন্তু ব্যাংকটি বিমানের অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দেবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হারুন খান বললেন, বিদেশি কোম্পানি বলে এর অ্যাকাউন্ট রাখা,  না রাখা বার্কলেস ব্যাংকের মর্জির ওপর নির্ভর করে।

বহুজাতিক কোম্পানি ও মানুষের বসবাস ব্রিটেনে। এই দেশে এমন কথা মানানসই নয়। আর লেনদেনের জন্য বিমানের মতো একটি কোম্পানিকে কার্ড মেশিন দেবে না বার্কলেস ব্যাংক, এ বক্তব্য টেকসই নয়। আর যদি তা সত্য হয়েই থাকে, তাহলে বিমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য প্রস্তুত নয়। ছোট একটি দোকানও চাওয়া মাত্র তাদের কার্ড মেশিন সরবরাহ করে বার্কলেস ব্যাংক। বার্কলেস ব্যাংক নিজেদের কার্ড মেশিনের মার্কেটিং করার জন্য আলাদা ডিপার্টমেন্ট পরিচালনা করে। সেখানে কার্ড মেশিন না দেয়ার বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য নয়। হিথ্রো এয়ারপোর্ট প্রায় নব্বইটি এয়ারলাইন্স কোম্পানি ব্যবহার করে থাকে। বাকি ৮৯টি কোম্পানির কেউই যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ গ্রহণ করে না।

আমি অনেক এয়ারলাইন্সের সাথে কথা বলেছি, কেউ এনালগপন্থায় নেই। প্রতিদিন হিথরো এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে তেরো শ এয়ার। বিমানের যাত্রী ছাড়া অন্য কোনও এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনের জন্য ক্যাশ অর্থ দেয় না। হিথরো এয়াপোর্টের মতো একটি বন্দরে ক্যাশ লেনদেন হয়, এ কথাটিই কেমন যেন বেমানান ঠেকে। বিমান কেন এ পন্থা বহাল রেখেছে? এর পেছনেও কি শক্তিশালী সিন্ডিকেট? কোথায় যায় এই নগদ অর্থ? যদিও নতুন ম্যানেজার জানিয়েছে ক্যাশ অর্থ গ্রহণ করা হলেও এখন আর হাতে লেখা নয় কম্পিউটারে হিসেব রাখা হয়। কিন্তু কথা হলো, সেই কম্পিউটারের হিসেব কি নির্দিষ্ট কোনও সফটওয়ারে করা হয়? না। এক্সেলে হিসেব রাখা আর হাতে লিখে রশিদ দেয়ার মধ্যে তেমন কোনও পার্থক্য নেই। এ কাজটি বছরের পর বছর চলে আসছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না কেন? বার্কলেস ব্যাংক যদি কার্ড মেশিন না দিয়েই থাকে তাহলে কেন দেয়া হচ্ছে না সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে কি? আমার জানা মতে চাওয়া হয় নি। চাইলে বার্কলেস ব্যাংক অবশ্যই লিখিত জানাবে কেন কার্ড মেশিন দেওয়া সম্ভব নয়।

হামেশা বিমানের নানান অনিয়মের অভিযোগ শোনা যায়। কারণ অনিয়মের নানান ফুটো তৈরি করে একটি সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেটের সদস্য নিম্ন থেকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাহলে কিভাবে বন্ধ হবে এসব ফুটো? কে বন্ধ করবে? তদন্ত কমিটি করেও কিছু হয় না। তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া স্বাধীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠান এভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে?

লেখক: কবি, সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক