নির্বাচনোত্তর বিএনপির রাজনীতি

কবির য়াহমদ
Published : 14 Jan 2019, 10:54 AM
Updated : 14 Jan 2019, 10:54 AM

একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ফের সরকার গঠন করেছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিষয়ক মহাবিজয়ের বিপরীতে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মহাবিপর্যয় ঘটেছে। পুনঃতফসিলকৃত একটি আসন বাদে বাকি ২৯৯ আসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের ২৮৮ আসনে জয় পেয়েছে; অন্যদিকে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রাপ্তি সর্বসাকুল্যে ৮ আসন; বাকি ৩ আসনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৮ প্রার্থী এবং সদ্যপ্রয়াত আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিগত সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছাড়া বাকি সকলেই শপথ নিয়েছেন। সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুজনিত কারণে ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গঠিত হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভাও। এর বাইরে আগামী ৩০ জানুয়ারি বসছে একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন। অর্থাৎ নির্বাচনোত্তর রাজনীতি, সরকার যথানিয়মে চলছে এবং সংসদও রীতি অনুযায়ী চলার অপেক্ষায়। তবে এই সময়ে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের নির্বাচিত প্রার্থীরা শপথ নেবেন না। তারা নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন। এই শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্তও তাই সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতা।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই আলোকে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই সাংসদদের শপথগ্রহণের প্রাথমিক পর্যায় সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্রিসভাও গঠিত হয়েছে যথানিয়মে। বিএনপির ৬ এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভুক্ত শরিক দল গণফোরামের ২ সদস্য শপথ না নিলেও এখনও শপথের সময় চূড়ান্তভাবে শেষ হয়ে যায়নি। তারা শপথ নিতে পারবেন সংসদ অধিবেশনের আগে, অধিবেশন চলাকালে অথবা অধিবেশনের প্রথম কার্যদিবসের ৯০ দিনের মধ্যে। এটা বাধ্যবাধকতা। এই বাধ্যবাধকতার ব্যত্যয় হলে আপনা থেকেই ওই আসনগুলো শূন্য হয়ে যাবে। তখন নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। এটা বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যেমন জানে, তেমনি জানে সকলেই।

এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিতরা শপথ না নিলে নিয়ম অনুযায়ী উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইসি এনিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য না করলেও তারা শপথের নির্ধারিত সময়সীমা এবং আসন শূন্য হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, নিশ্চিতভাবেই। অর্থাৎ এই বিষয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের অবস্থান পরিষ্কার। শপথ না নেওয়া নির্বাচিতরা শপথ না নিলে আওয়ামী লীগ কোনও উদ্যোগ নিতে যাবে না। এটা নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নির্ভার অবস্থাই বলছে!

নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির নেপথ্যে দলটি আওয়ামী লীগ সরকারের কারচুপিকে অভিযোগ হিসেবে দাঁড় করালেও এনিয়ে কোথাও কোনও সাড়া নেই। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত নির্বাচনী আলোচনায় এই কারচুপির শক্ত প্রমাণ আসেনি। কূটনৈতিক পাড়ায় বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের দৌড়ঝাঁপ থাকলেও সেখান থেকে তাদের জন্যে ইতিবাচক কোনও বার্তার খবর আসেনি। উপরন্তু নির্বাচনের পর পরই ভারত, চীন, রাশিয়া, কানাডা, সৌদি আরব, ইরানসহ একাধিক দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানেরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে কোন নেতিবাচক বক্তব্যও আসেনি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ বিএনপির অভিযোগকে আমলে নেয়নি। এমন অবস্থায় আওয়ামী লীগের নির্ভার থাকাটাই স্বাভাবিক।

নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের আওয়ামী লীগের অবস্থা যখন এমন তখন ঠিক বিপরীত অবস্থায় বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কূটনৈতিকদের কাছে বারবার গিয়েও তারা ফিরছে ব্যর্থ হয়ে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে বিদেশিদের বারবার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও বিদেশিরা একের পর এক অভিনন্দনবার্তা পাঠাচ্ছেন। চেষ্টা-তদবির করেও কোনও ফল পাচ্ছে না বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

এরই মধ্যে বিএনপি পড়েছে আরেক ঝামেলায়; নির্বাচন নিয়ে তাদের দলের মধ্যে দুই মত প্রবল। একটা পক্ষ নির্বাচনে অংশগ্রহণই ভুল সিদ্ধান্ত ছিল সেটা প্রমাণে মরীয়া, আরেক পক্ষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ ভুল ছিল না সেটা বলতে আগ্রহী। ফলে বর্তমান পরিস্থিতির চাইতে পূর্বেকার সিদ্ধান্ত ভুল না ঠিক ছিল এনিয়েই তারা ব্যস্ত। এমন অবস্থায় দিন যত এগুচ্ছে সরকারের অবস্থান ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠেছে, এবং সেটা দেশে ও বিদেশে।

বিএনপির এই অবস্থা আদতে নেতৃত্ব বিষয়ক দ্বন্দ্বের প্রকাশ। দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনে অবস্থানের কারণে এই মুহূর্তে দলের প্রধান নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জোটসহ সকল কিছুতেই দলটির দেশের সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন তিনি। যা দলের অনেকেই মানতে পারছে না বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও বরকত উল্লাহ বুলুর ফাঁস হওয়া এক অডিওটেপের কথোপকথনের দলের মধ্যকার দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট। ওই দুই নেতা তাদের কথোপকথনে মির্জা ফখরুলকে যেভাবে দুষছিলেন তাতে করে দলটির নেতাদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের বিষয়টিই প্রকাশ্য হয়।

নির্বাচনের ফলপ্রকাশের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যেই ছিল। তারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করছিল 'নীরব ভোট বিপ্লবের'। ভোটগ্রহণের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা শেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে। এর আগ পর্যন্ত তাদের বক্তব্যে ভোট প্রত্যাখ্যানের কোনও ইঙ্গিত আসেনি। যদিও নির্বাচনের আগেই ব্যক্তিগতভাবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গিয়েছিলেন। এবং নির্বাচনের অর্ধেক দিন বাদে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা জামায়াতে ইসলামী নেতারা নির্বাচন বর্জন করেছিলেন, এবং সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে দলটির আরও কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছিলেন।

তবে মির্জা ফখরুল নির্বাচনের দিনেও গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিজয়ে আশাবাদী ছিলেন। এমনকি সদা আওয়ামী লীগবিরোধিতা করতে থাকা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীও তার প্রাত্যহিক সংবাদ সম্মেলনেও নির্বাচন নিয়ে প্রাথমিকভাবে বড় ধরনের কোনও অভিযোগ না এনে ২০ শতাংশ আসনে কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন। অর্থাৎ ২৯৯ আসনের নির্বাচনে ২০ শতাংশ বা ৬০ আসন বাদ দিলে রিজভীর অভিযোগ অনুযায়ী অন্তত ২৩৯ আসনে ভোট ভালোভাবেই চলছিল। এই সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্যই।

নির্বাচনের পর ফল প্রত্যাখ্যান করা বাংলাদেশে নজিরবিহীন কিছু নয়। সকল নির্বাচনের পরাজিত দলগুলোই বাংলাদেশে ফল প্রত্যাখ্যান করে আসছে। দেশের কোনও নির্বাচনই সকল দলের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়নি। সেটা দলীয় সরকারের অধীনে হোক, কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে সরকারের অধীনেই হোক না কেন। ফলে বিএনপির এই দাবি নতুন কিছু নয়, বরং সেটা আগেকার সকল দলের ফল প্রত্যাখ্যানের ধারাবাহিকতাই।

নির্বাচন হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর। এই মুহূর্তে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ ধরে তৃতীয় সপ্তাহের দিকে দেশ, কিন্তু ফল প্রত্যাখ্যান করেও দেশে-বিদেশে কোনও সমর্থন আদায় করতে পারেনি বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ফল প্রত্যাখ্যানের রুটিন সংবাদ সম্মেলনই সম্বল তাদের। সঙ্গে আছে কূটনৈতিক পাড়ায় কিছু দৌড়ঝাঁপ। নির্বাচনের এই ফলের পর সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদেরও মধ্যেও কোনও উত্তাপ নেই, আওয়াজ নেই, নেই কোথাও বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারাও নিশ্চুপ প্রায়। তবে তাদের একমাত্র পদক্ষেপ হিসেবে আছে দল ও জোটের নির্বাচিত ৮ সদস্য সাংসদ হিসেবে শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের ফল কতখানি, এনিয়ে আছে সন্দেহ। কারণ রীতি অনুযায়ী চূড়ান্ত সময়সীমা অতিক্রম শেষের পূর্ব পর্যন্ত সিদ্ধান্ত না পাল্টালে ন্যূনতম হলেও তারা সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব হারাতে যাচ্ছে।

জাতীয় সংসদে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তি হারালে তাদের ক্ষতি বৈ লাভের কিছু নাই। সংখ্যায় কম হলেও জাতীয় সংসদে দেওয়া তাদের বক্তব্যগুলো শুনত মানুষ, গুরুত্বও দিত; কিন্তু বাইরের বক্তব্যের গুরুত্ব ততটা দেওয়ার কথা না, দেবেও না।

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির কোনও লাভ হয়নি। পুরো পাঁচ বছরের মধ্যে নানা হুমকি-হুঁশিয়ারি দিলেও তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার মত বড় কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। উলটো আন্দোলনের নামে তাদের অনেক নেতাকর্মী পেট্রোল বোমাবাজি, আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে দেশের মানুষের শত্রু হিসেবে অনেকটাই চিহ্নিত হয়ে আছে। সেই নাশকতার সময়ের কথা ভেবে মানুষ এখনও আতঙ্কে কাঁপে। জাতীয় সংসদে তাদের কোন প্রতিনিধি না থাকার কারণে সরকারও নানা ছুতোয় তাদের ওপর দমননীতি চালিয়েছে। এর বিরুদ্ধে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার মতো কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিও নিতে পারেনি তারা। ফলে সংসদে না যাওয়ার এখনকার যে সিদ্ধান্ত সেটা তাদের আরেক ভুল হতে যাচ্ছে।

নির্বাচনে বিএনপি তাদের আশানুরূপ ফল লাভ করেনি। এটা মূলত তাদের দলের শীর্ষ দুই নেতার দুর্নীতিজনিত কারণের অনুপস্থিতি ও ভুল রাজনীতি। নির্বাচনের প্রচারে না নেমে স্রেফ মানুষ আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে তাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে ফেলবে এমন ধারণা ছিল তাদের। এটা ছিল তাদের ভুল কৌশল। সারাদেশের অর্ধেকের বেশি আসনে তাদের প্রার্থীরা প্রচারণায় নামেননি। তারা ভেবেছিলেন হয়ত কেন্দ্রের ধারাবাহিক সংবাদ সম্মেলন ও বক্তৃতা-বিবৃতিতে আকৃষ্ট হয়ে মানুষ তাদের বেছে নেবে। শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি।

এবার হেরে গিয়ে কারচুপির অভিযোগ এনে সেই একই পথে হাঁটছে বিএনপি। গত দশ বছরে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল নয়াপল্টনের সংবাদ সম্মেলন। এই সংবাদ সম্মেলন, টেলিভিশনে কথা বলা আর গণমাধ্যমের শিরোনাম হওয়া দিয়ে যদি রাজনীতি হতো তাহলে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোর সঞ্চালক আর অতিথিরাই দেশের সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব কিংবা নেতা-নেত্রী হয়ে যেতেন। এসব তাদের কে বোঝাবে?

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৮ প্রার্থী শপথ নেবেন না- এটা তাদের সিদ্ধান্ত। এর বাইরে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে 'জাতীয় সংলাপ' করার। এই জাতীয় সংলাপের ধারণাকে ইতোমধ্যে সরকারি দল আওয়ামী লীগ সমালোচনা করেছে। ফলে এখান থেকেও তাদের আশাব্যঞ্জক কিছু পাওয়ার কথা নয়।

দশম সংসদ আর একাদশ সংসদের মধ্যে পার্থক্য হলো এবারের সংসদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সকল দলের অংশগ্রহণে হয়েছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এই বিষয়টি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। দশম সংসদ নির্বাচনের পর প্রাথমিক অবস্থায় আওয়ামী লীগ যে প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল সেটা এখন আর নেই। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এবার উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোসহ অনেক দেশের সমর্থন পেয়েছে নতুন সরকার। এই অবস্থায় গৎবাঁধা বিরোধিতার রাজনীতি দিয়ে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পাওয়ার কিছু নেই। তবু তারা হাঁটছে পুরনো পথে। এই ধারা চলতে থাকলে তাদের রাজনীতি কোথায় গিয়ে পৌঁছায় সেটাই এখন দেখার!