বিএনপির আরেকটি অনিবার্য পরাজয়!

চিররঞ্জন সরকারচিররঞ্জন সরকার
Published : 31 Dec 2018, 10:15 AM
Updated : 31 Dec 2018, 10:15 AM

অন্তত ২১ জনের মৃত্যু, অনিয়মের অভিযোগ, নির্বাচনী এজেন্টকে বের করে দেওয়া, অনেক প্রার্থীর ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে। ব্যর্থ হয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের 'ভোট বিপ্লবের' স্বপ্ন!

আওয়ামী লীগ বলছে, জনগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব, তা প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে, নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছে রাজনৈতিক জোটটি।

অন্য নির্বাচনগুলোর তুলনায় এবার দেশে সংঘাত, হানাহানি কম হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভোটারদের লম্বা লাইনও দেখা গেছে। নির্বাচনের ভোট গ্রহণ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভারত, নেপাল, সার্ক ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নির্বাচনী পর্যবেক্ষকেরা। তাঁদের মতে, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোট শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সারা দেশে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

একথা ঠিক যে এবারের নির্বাচনে বিরোধী দলের উপর সীমাহীন জুলুম, তাদের পোলিং এজেন্টদের গণগ্রেপ্তার আর নির্বাচনের দিন কেন্দ্র থেকে বিতারণের ঘটনা ব্যাপক মাত্রায় ঘটেছে। কিন্তু বিরোধী দলও এসবের বিপরীতে নিজেদের শক্তি এবং সমর্থন প্রকাশে শোচনীয় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ফলাফল-মাত্র পাঁচটি আসনে জয়! এর মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে একচেটিয়া আধিপত্য কায়েমের সুযোগ অর্জন করল। যা ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের জন্য বিষফল বয়ে আনতে পারে। কেননা গণতন্ত্রের বিশিষ্টতা ভারসাম্যে (ব্যালান্স)। যখনই এই ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয় তখনই গণতন্ত্রের অস্তিত্বের সামনে একটা প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেয়। এবারের নির্বাচনে সেই ভারসাম্য অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ল।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরই আসলে বিএনপি একাদশ জাতীয় নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়ে। এরপর শর্তসাপেক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ, ঐক্যফ্রন্ট গঠন, জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত ইত্যাদি কোনও কিছুই বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে পারেনি। মনোনয়ন জমা, বাছাই, প্রার্থী ঘোষণা, সব ক্ষেত্রেই বিএনপি ছিল পিছিয়ে। যখন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হলো, মার্কা ঠিক হলো তারপরও বিএনপির নির্বাচনী পালে বাতাস লাগতে দেখা গেল না। তারা নির্বাচনে শুধু নামেই থাকল। সব কিছু দখল করে নিল আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা। নির্বাচনের ময়দানে বিএনপি শুধু অভিযোগ আর নালিশ করেছে। 'জনগণ মেনে নেবে না' বলে হুমকি দিয়েছে। কিন্তু কোথাও কোনও সোচ্চার প্রতিবাদ বা গণজোয়ার সৃষ্টির ক্ষেত্রে শোচনীয় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

এবারের নির্বাচনে বিএনপি সবচেয়ে সরব ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এটা ঘরে বসেই করা যায় বলেই হয়তো। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক ভালো ভালো ভিডিও ক্লিপিংস আপলোড করেছে। সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা ও দু:শাসনের খতিয়ান তুলে ধরেছে। ভিডিওতে লাইক দিয়েছে, মন্তব্য করেছে, শেয়ার দিয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে তারা সরাসরি খুব কমই গিয়েছে। ফলে তাদের সব বায়বীয় আবেদন-নিবেদন ছায়া হয়ে মিলিয়ে গেছে।

অন্তত ৭০টি আসনে বিএনপি যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারেনি। মনোয়নবঞ্চিত হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, সাবেক মন্ত্রী এম মোরশেদ খান, অধ্যাপক রেজাউল করিম, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, সাবেক এমপি ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন নিজান, ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, কলিম উদ্দিন মিলন, এবাদুর রহমান চৌধুরী, তৈমূর আলম খন্দকার, জিয়াউর রহমান খান, আহমেদ আজম খান, দলের প্রয়াত মহাসচিব এবং বিএনপির পরীক্ষিত নেতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। এসব নিয়ে অনেক ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছিল অনড়।

নতুন ও টাকাওয়ালা প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে গিয়ে অনেক স্থানে একেবারেই ভুঁইফোঁড় ব্যক্তিদের মনোনয়ন দিয়েছে। যাদের সঙ্গে এলাকার ভোটার-নেতাকর্মী কারোরই তেমন কোনও সংযোগ ছিল না। আবার শুরু থেকেই এক ধরনের অনিশ্চয়তা থাকায় অনেক প্রার্থী শেষ পর্যন্ত টাকা ব্যয় করতে রাজি হয়নি। এ ছাড়া শরিকদের জন্য ছেড়ে দেয়া ৫০টির অধিক আসনে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা-মামলা উপেক্ষা করে তেমনভাবে মাঠে নামেনি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, মাত্র ১১৭টি আসনে সক্রিয় ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটভুক্ত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা। তারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়িয়েছেন দিন-রাত। অন্যদিকে একই প্রতীকের বাকি প্রার্থীরা নিজের বা স্থানীয় সাংগঠনিক দুর্বল অবস্থানের কারণে অন্যদের মতো হামলা-বাধা উপেক্ষা করে মাঠে থাকতে পারেননি।

যেসব আসনে ধানের শীষের প্রার্থীরা বেশি নিষ্ক্রিয় ছিল, সেখানে আগে থেকেই  ওই প্রার্থীদের সঙ্গে বিএনপির বা জোটভুক্ত অন্য দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের যোগাযোগে ঘাটতি, দলীয় কোন্দল, প্রার্থিতা নিয়ে অসন্তোষসহ আরো কিছু বিষয়ে নাজুক অবস্থা ছিল। ফলে ভোটের সময় তারা কর্মীদের মনে সাহস জোগাতে পারেননি। এ ছাড়া কর্মীদের মাঠে নামানোর জন্য আর্থিক সহায়তাও দিতে পারেননি কেউ কেউ। পাশাপাশি কোথাও কোথাও শুধুই ভোটের দিন নীরব ভোট বিপ্লবের আশায় ঘরে বা আড়ালে বসে ছিলেন অনেক প্রার্থী। কেউ কেউ আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে বিএনপি এবার নির্বাচনের আগেই হেরে বসে ছিলেন।

এ বিষয়ে এখন আর কোনেও সংশয় নেই যে, আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিএনপি চূড়ান্ত রকম একটা অসফল দল। আর বাস্তবসম্মত নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও দলটির ব্যর্থতা চরমে। যে দলের নেতারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত, যে দল নির্বাচন করার যোগ্যতা হারিয়েছে, সেই জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করেছে, নর্তন-কুর্দন করেছে। যা তাদের পতনকে ত্বরান্বিত করেছে।

একদলীয় নির্বাচন ও শাসন অবশ্যই খারাপ। কিন্তু দেশের মানুষ কীভাবে ভুলে যাবে যে, ২০১৪ সালে 'গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা'র আন্দোলনের নামে জামায়াত-বিএনপি যা করছে, সেই দু:সহ ভয়াল অভিজ্ঞতার কথা? ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গত দশ বছরে যা করেছে, তার অনেক কিছুই মেনে নেওয়ার মতো নয়। কিন্তু বিএনপি তার চেয়ে কোথায় ভালো? কেবল ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজে, জামায়াতের ওপর নির্ভর করে এদেশে ক্ষমতায় যাবার বাস্তবতা আদৌ আছে কি?

অনেকেই বলেন, বিএনপিকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হয়নি। হামলা-মামলা দিয়ে জর্জরিত করে ফেলা হয়েছে। নিশ্চয়ই এটা সত্যি। কিন্তু এটাই একমাত্র প্রতিবন্ধকতা নয়। ৭০-এর নির্বাচনেও কিন্তু প্রশাসন-পুলিশ-পরিবেশ কোনও কিছুই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের অনুকূলে ছিল না। তারপরও নির্বাচনে মুসলিম লীগের কবর রচিত হয়েছিল।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনের কথা এ প্রসঙ্গে মনে পড়ছে। তখন কি নেতাদের জামাই-আদরে রাখা হয়েছিল? বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলন দমন করতে অস্ত্র হাতে দিয়ে সন্ত্রাসীদের পুলিশ প্রটেকশনে পাঠানো হয়েছিল। তারপরও কি আন্দোলন স্তিমিত করা গেছে? নব্বইয়ের গণআন্দোলনের একজন কর্মী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে মনে পড়ছে ৩ ডিসেম্বরের কথা। সেদিন ছিল রাজধানীজুড়ে কারফিউ। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সেনাসদস্য, বিডিআরের সদস্যরা। দেখামাত্র গুলি হবে– এমন একটা ভয়াল পরিস্থিতি।

এমন পরিস্থিতিতেও কারফিউ ও বন্দুকের নল অগ্রাহ্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল বের হয়। তখন মোবাইল ফোন ছিল না। বিটিভি ছাড়া অন্য কোনো টিভি চ্যানেল ছিল না। এমনকি সেদিন সংবাদপত্রও বন্ধ ছিল। তারপরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বের হওয়া ছাত্রদের মিছিলের খবর মুখে মুখেই রাষ্ট্র হয়ে যায়। দুপুর ১২টা নাগাদ ঢাকা শহর পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। বন্দুকের নল, কারফিউ অকার্যকর হয়ে যায় জনতার তীব্র লড়াকু অভিব্যক্তির কাছে।

আরেকটি কথা, কোনও রাজনৈতিক দল রাজপথে নেমেছে, আর সরকারপক্ষ তাদের ফুল-চন্দন দিয়ে বরণ করেছে, এমন পরিস্থিতি আমাদের দেশে কবে কে দেখেছে? আন্দোলনের শক্তি যদি দুর্বল হয়, তাহলে নিপীড়ন করে তা থামিয়ে দেওয়া হয়– এটাই ইতিহাস। কাজেই সরকার শক্তি প্রয়োগ করছে, বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করছে, এই অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। এগুলো সব সরকারের আমলে বিরোধী দলের প্রতি করা হয়। বিএনপির গত শাসনামলে বিরোধী দলের অনেক নেতাকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতারাও তখন আন্দোলন করেছেন দলীয় অফিসে না গিয়েই।

তুলনায় বর্তমান সময়ে বিএনপি নেতারা ভালোই ছিলেন বলা যায়। অন্তত মঞ্জুরুল ইমাম, কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারদের মতো জান হারানোর ভয়ে ভীত ছিলেন না! আসলে বিএনপি নেতাদের কারাগারভীতি এবং জনবিচ্ছিন্নতা সর্ববিদিত। বিরোধী দলের এই দুর্বলতা জানে বলেই সরকার এমন বেপরোয়া। শুধু সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, বিরোধী দলের গণআন্দোলন করার ক্ষমতা নেই, এটা কবুল করাই ভালো!

আদালতের রায়ের কারণে জামায়াতে ইসলামী এখন একটি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল। সেই দলের অনেক বড় বড় নেতা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। আদালতের রায়ে দলটির নিবন্ধনও বাতিল হয়েছে। অথচ এই দলটিকে নিয়েই বিএনপির যত স্বপ্ন এবং পরিকল্পনা। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হবে, আবার জামায়াতকেও ধানের শীষ দিয়ে বরণ করা হবে, সাধারণ মানুষ তারপরও তাদের পক্ষে থাকবে-এমনটা মনে করা বোকামি। আসলে দলটি জামায়াতের তোষামোদ করতে করতে নিজেরাই জনবিচ্ছিন্ন একটি দলে পরিণত হয়েছে।

বিএনপির নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে না নেমে, নিরাপদ দূরত্বে থেকে চেয়েছে টিভিসি বা ভিডিওচিত্র বানিয়ে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে 'ভোট-বিপ্লব' করতে। কিন্তু ভোটের মাঠে এই 'বিপ্লব' ঠেকিয়ে নৌকার পক্ষে 'বিপ্লব' করার জন্য আওয়ামী লীগ ছিল অতি-সোচ্চার। ফলে তাদের 'ভোট-বিপ্লবের' স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে।

মানুষের কি এমন দায় যে, বিএনপির হয়ে তারা 'বিপ্লব' করে ফেলবে? আর 'বিপ্লব' হলে বিএনপিওয়ালারা কেবল ফসলে ভাগ বসাবে? বিএনপি নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের পার্থক্য স্পষ্ট করতে পারেনি। বিএনপির পতাকাতলে মানুষ কেন সমবেত হবে? তাদের আহ্বানে কেন সাড়া দেবে? কেবল আওয়ামী লীগ খারাপ বলে? বিএনপি কোথায়, কীভাবে ভালো? 'দেশ বাঁচানো', 'গণতন্ত্র বাঁচানো', 'ভোটের অধিকার বাঁচানো'– এ জাতীয় বায়বীয় কথা না বলে, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কী করবে তা কখনও পরিষ্কার করে বলা হয়নি। রাজাকারদের কী হবে, দেশের উন্নয়নে বিএনপির ভূমিকা কী হবে তাও স্পষ্ট করতে পারেনি।

বিএনপি নামক দলটির যেন রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে। এখান থেকে উদ্ধার পাওয়ার আপাতত কোনও পথ আছে বলে মনে হয় না। খালেদা-তারেককে বাদ দিয়ে বিএনপির নেতৃত্ব নির্বাচন, অতীতের সমস্ত অপকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখা এবং স্বাধীনতা-বিরোধী জামায়াত-শিবিরকে ত্যাগ করার ঘোষণা, ক্ষমতাসীনদের যাবতীয় অপকর্মের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ও গঠনমূলক সমালোচনা, যোগ্যতা ও অবদানকে বিবেচনায় নিয়ে তৃণমূপর্যায় থেকে দলকে ঢেলে সাজানো-এসব উদ্যোগই পারে কেবল বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকিয়ে রাখতে। তা না হলে বিএনপিকে মুসলিম লীগের পরিণতি বরণ করতে হবে।