নির্লজ্জদের কোনও কিছুতেই রাখঢাক নেই!

সাব্বির খানসাব্বির খান
Published : 26 Dec 2018, 11:19 AM
Updated : 26 Dec 2018, 11:19 AM

৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশের সর্বস্তরে একটা চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা বাতাসে কান পাতলেই শোনা যায়। উন্নয়নের রাজনীতির ধারাবাহিকতা ধরে নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অবস্থান অনেক আগে থেকেই যথেষ্ঠ ভাল বলে অনেকে মনে করেছিলেন।  কিন্তু নির্বাচনের ঠিক মাস তিনেক আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের আবির্ভাব হওয়া ছাড়াও অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে এর মেরুকরণ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, ঘুরেফিরে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দি হিসেবে সনাতনী সেই একাত্তরের পক্ষ-বিপক্ষকেই আবার দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সেই সাথে এ মেরুকরণের গডফাদার হিসেবে ড. কামাল হোসেনের নামও স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে রইবে।  কারণ ঐক্যফ্রন্ট গঠনপ্রক্রিয়া যখন চলছিল, তখনই একাত্তরের 'পক্ষ-বিপক্ষ' প্রশ্নে ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা সুস্পষ্ট শর্ত জুড়ে দিয়ে বলেছিলো যে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের (বিএনপি-জামায়াত) সাথে নিলে তার দল সেই জোটে থাকবে না।  প্রত্যুত্তরে ড. কামাল হোসেন ও তার বর্ণচোর সহচররাও এর সুস্পষ্ট জবাব দিয়েছিলেন বিকল্পধারাকে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বাদ দেওয়ার মাধ্যমে।  অর্থাৎ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সাথে জোট বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়ে ড. কামাল হোসেন গংরা বদরুদ্দোজা চৌধুরীর স্পষ্ট প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব দিয়েছিলেন।

সুতরাং ঐক্যফ্রন্টের কামাল হোসেন গংরা ভবিষ্যতে কখনোই অস্বীকার করতে পারবেন না যে, তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে নন।  সেই থেকে ভোটের ময়দান একাত্তরের পক্ষ-বিপক্ষ, এই দুইভাগে বিভক্ত হলো।  এতে ভোটযুদ্ধের খেলা অনেকটা সহজ হয়ে গেলেও ধীরে ধীরে তা পেতে শুরু করলো ভিন্ন রূপ, যা জনমনে তৈরি করছে ভীতি ও চাপা উত্তেজনা।  উন্নয়নের রাজনীতির বিপরীতে পশ্চাদপদ পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতির উপস্থিতি নির্বাচনের ময়দানে ক্রমেই ছড়িয়ে দিচ্ছে একধরণের অস্বস্তিকর পরিবেশ।

নির্বাচন এমন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, যা শাসক নির্বাচনে একটা দেশের জনগণের মনের ইচ্ছার বহির্প্রকাশ একমাত্র উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়।  আধুনিক বিশ্বে বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠানকালে ভিন্ন বা তৃতীয় কোনও দেশের সরাসরি অথবা পরোক্ষ হস্তক্ষেপের প্রবণতা অত্যন্ত দৃষ্টিকটূভাবে পরিলক্ষিত হয়।  সোভিয়েত রাশিয়ায় কমুনিজম ভেঙ্গে যাওয়ার পূর্বে এই প্রবণতা যে দেখা যেতো না তা নয়।   তবে তখন তা এতো খোলামেলা বা ন্যাক্কারজনকভাবে হতে দেখা যায়নি।  পশ্চিমা পুঁজিবাদ এবং সোভিয়েত রাশিয়ার সমাজতন্ত্রের মধ্যে আদর্শগত দ্বন্দ্বে দুই পক্ষই ভিন্ন দেশগুলোর নির্বাচন প্রাক্কালে জনগণের মনস্তাত্বিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সপক্ষে ভোট আদায়ের চেষ্টা করতো; যদিও আখেরে জনগণের ইচ্ছাকেই সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য বলে মেনে নেওয়া হতো।

অর্থাৎ সরাসরি নির্বাচনের সময়ে ব্যালট বাক্সকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা না করে, ভোটের পূর্বে খোদ ভোটারদের আদর্শিক অবস্থানকে পরিবর্তণের মাধ্যমে 'মনস্তাত্বিক ম্যানিপুলেশন' প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনের ফলাফলের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হতো।  তাতে দেশটির শাসনব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটা ছাড়াও একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে দেশটি চালিত হতো।  কিন্তু আধুনিক বিশ্বের নির্বাচনে তৃতীয় পক্ষের দ্বারা যেভাবে ম্যানিপুলেশন হয়, তাতে দেশের জনগণের সংযুক্ততা তো থাকেই না, বরং তা জন্ম দেয় কোনও এক শক্তির আজ্ঞাবহ একনায়কতন্ত্রের, যা দেশটিকে শুধু পশ্চাদপদই করে না, সেই সাথে পিছিয়ে যায় বিশ্বসভ্যতাও!

বিএনপি সেনাছাউনি থেকে সৃষ্টি হলেও, তা বাংলাদেশের মাটিতেই জন্ম নেওয়া একটি রাজনৈতিক দল।  দলটি একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায়ও ছিল এবং আদর্শিকভাবে পাকিস্তানপন্থি।  শুধু 'পাকিস্তানপন্থি' হওয়ার কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই দলটি পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অত্যন্ত বন্ধুপ্রতীম এবং জোটবদ্ধ।  একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী ছিল পাক-হানাদার বাহিনীর এদেশিয় সহচর।  একারণে স্বাধীনতাপরবর্তী জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান সরকার এবং সে দেশের গোয়েন্দাবাহিনী আইএসআই এর অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন হিসেবে চক্রান্তের রাজনীতি করে আসছে বাংলাদেশের মাটিতে।  পাকিস্তানপন্থি বিএনপি জামায়াত ছাড়া অস্তিত্বহীন, তেমনি জামায়াতও বিএনপি ছাড়া অস্তিত্বহীন।

তবে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সরাসরি আশির্বাদ ছাড়া বিএনপি এবং জামায়াত, দু'টি দলই যে অস্তিত্বহীন, তার নজির পাওয়া গেল ২০১৮ সালের আসন্ন নির্বাচনে যখন আইএসআই তাদের পছন্দের লোকদের ৩০০ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য বিএনপি ও জামায়াতের কাছে একটি তালিকা তৈরি করে পাঠালো।  ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লন্ডনে বসবাসকারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে এ তালিকা পৌঁছানো হয়েছিল যা বিভিন্ন অনুসন্ধানে এবং একাধিক সূত্র দাবি করা হয়েছে।

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার ১৩ জন নাগরিক হস্তক্ষেপ করেছিল বলে জানিয়েছিল মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা, এফবিআই।  নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য ওই ১৩ জনকে তখন অভিযুক্ত করা ছাড়াও এ ঘটনায় তিনটি রুশ প্রতিষ্ঠানকেও অভিযুক্ত করে তদন্ত করেছিল।  এফবিআইয়ের তদন্তে রাশান সরকারের উচ্চ পর্যায়ের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হলে রাশিয়া সরাসরি তা অস্বীকার করে বিবৃতি দেওয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য  দিয়েছিল তখন।

অথচ আইএসআইয়ের পছন্দের লোকদের ৩০০ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটা জাতীয় পত্রিকা এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করা হলেও অদ্যাবধি পাকিস্তান সরকার বা আইএসআই এব্যাপারে কোনও বক্তব্য না দিয়ে পক্ষান্তরে তারা এবং তাদের বাংলাদেশী 'অনুগতরা' স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তারা বাংলাদেশের নির্বাচনে অযাচিত হস্তক্ষেপই শুধু করছেন না, সেই সাথে নির্বাচনকে ভণ্ডুল এবং প্রশ্নবিদ্ধ করতে নিরলস চক্রান্তমূলক কাজ করে যাচ্ছেন, যা আন্তর্জাতিক আইনে গর্হিত অপরাধ! আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. কামালের ঐক্যফ্রন্টও

এব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্বিকার থেকে জানিয়ে দিলেন যে, আইএসআই এর সাথে তাদের যোগসাজশ অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং নৈমত্তিক ব্যাপার।  অর্থাৎ ঐক্যফ্রন্ট থেকে ডা. বদরুদ্দোজার বিকল্পধারার বিদায় এবং ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি-জামায়াতের প্রবেশ, এসবই আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশনেই যে হয়েছে, তা বোঝার জন্য খুব বেশি বুদ্ধি খরচ করার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ছাড়াও এর জোটবদ্ধ দলগুলো নির্বাচন বয়কট করেছিল এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেছিল।  বিএনপি নির্বাচন বয়কট করে ভেবেছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের বিরোধীদলবিহীন এ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না এবং খুব অচিরেই মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হাসিনা-সরকারকে বাধ্য করা হবে।  কিন্তু সাংবিধানিক পথে সঠিক থেকে শেখ হাসিনার মহাজোট সরকার বিএনপির সে গুড়ে বালি ঢেলে দিয়ে পাঁচ বছর দেশ শাসন করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সুসম্পর্ক রেখেই।

সুতরাং সরাসরি নির্বাচন বয়কট যে সাংবিধানিকভাবে সমাধান নয়, তা বিএনপি গত পাঁচ ধরে বছর হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে।  সেকারণে নতুন কোনও পন্থা খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে আইএসআই।  ড. কামালের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা এবং নেটওয়ার্ককে কাজে লাগাবার জন্য ঐক্যফ্রন্ট তৈরি করা হলেও, তা যে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে নির্বাচনী যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়, তা জেনেও কেন আইএসআই ৩০০ আসনের জন্য এমন লোকদের নির্বাচিত করলো যারা নির্বাচনে জয়ী হওয়া তো দুরের কথা ভোটের মাঠেই তাদের কোন নামগন্ধ নেই।

এমনকি ভোটারদের কাছেও তারা একেবারে অপরিচিত! কাগজে-কলমে ধানের শীষের প্রার্থীরা থাকলেও নির্বাচনী মাঠে তাদের অনুপস্থিতি সৃষ্টির যে অভিনব 'উদ্ভট' কৌশল, তা অনেককে ভাবিয়ে তুলেছে বৈকি! অনেকে অনেক জল্পনা-কল্পনাও করেছেন, কিন্তু সঠিক উত্তরটি কেউই খুঁজে পাচ্ছেন না।  তবে আমার ভাবনায়, নৌকার শক্তিশালী প্রার্থীদের বিপরীতে অত্যন্ত দুর্বল প্রার্থী দেয়াটাও একধরণের 'নির্বাচন বয়কট' করারই নামান্তর মাত্র! আমার এই ধারণা আরো জোরালো হয় যখন দেখি, বাংলাদেশের প্রায় বেশিরভাগ অঞ্চলেই ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপির কোনও প্রার্থী জোরালোভাবে কোন প্রচারণা চালাচ্ছেন না।  এমনকি অনেক অঞ্চলে ধানের শীষের প্রার্থীর নামও নাকি আগে কেউ শোনেননি। এধরনের নির্বাচন সম্ভবত শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বেও নজিরবিহীন।

নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সমস্ত জায়জোগাড় সম্পন্ন করলেও, বাংলার ঐতিহ্যগত নির্বাচনী যে সংস্কৃতি, সে সংস্কৃতির ধারায় না হেঁটে বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট মূলত আইএসআইয়ের পরিকল্পনামাফিক পথে হেটে নির্বাচনকে অসহযোগিতা করছে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে হেন কাজ নাই যা করছে না।  ধানের শীষ তথা কামালের ঐক্যফ্রন্ট যা করছেন এবং বলছেন, তা নির্বাচনের স্বাভাবিক আবহাওয়াকে অস্বাভাবিক করে তোলার সামিল বললে অত্যুক্তি করা হবে না।

আইএসআই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা। তারা যখন চক্রান্তমূলক কোনও প্রকল্প নিয়ে মাঠে নামে, তখন সে প্রকল্পের থাকে একাধিক স্তর।   ঠিক কোন জায়গায় এবং কোনও সময়ে গিয়ে সে প্রকল্প শেষ হবে তা শুধু জানে হাতে গণা কিছু লোক।  সুতরাং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যা হচ্ছে, ধরে নেওয়া যেতে পারে, তা চক্রান্তের সবেমাত্র শুরু এবং চক্রান্তমূলক প্রকল্পের ভয়াবহতা হতে পারে নি:সন্দেহে ইতিপূর্বে ঘটে যাওয়া অন্য যে কোনও ঘটনার চেয়ে মারাত্মক।

বিজ্ঞজনেরা যে যেভাবেই ভাবুন না কেন, আইএসআইয়ের হিংস্রতাকে আমি সব সময়ই সর্বোচ্চ আমলে নিয়ে সতর্ক থাকার কথা বলি এবং এখনো বলছি।  নির্বাচনে ধানের শীষ জয়লাভ করতে পারবে না, তা বোঝা যায়।  আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশন নিয়ে মাঠে নামা ঐক্যফ্রন্ট-জামায়াত-বিএনপিও তা জানেন। তারপরেও তাদের নামকাওয়াস্তে নির্বাচনে যোগ দেয়ার কারণ হচ্ছে নির্বাচনপরবর্তী আন্দোলনের ইস্যু তৈরি ছাড়াও আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ানোর সব ধরনের রসদ তৈরি করা।  গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়া 'ঐক্যফ্রন্ট-জামায়াত-বিএনপি', কারোরই নাই।  সে কারণে আন্দলোনের ডামাডোলে কিছু একটা করার চেষ্টা তারা করবেই।

আইএসআইয়ের দেয়া তালিকানুসারে জামায়াত-বিএনপির চতুর্থ স্তরের নেতারা নমিনেশন পেয়েছেন, যাদের নির্বাচনে পাস করার কোনও সম্ভাবনা বা ইচ্ছা, কোনওটাই নেই।  অথচ তাদের দিয়ে নির্বাচন করানোর নাটক সাজানোর অন্তরালে যে কি হচ্ছে, তাও বোধগম্য নয়।  ধানের শীষের যে কাতারের নেতাই হোন না কেন, মনে রাখতে হবে, তারা প্রত্যেকেই জাতীয় সংসদের এক একজন এমপি প্রার্থী! নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পূর্বেই দুষ্টচক্র আইএসআই যদি এমন কিছু এমপি ক্যান্ডিডেটের কোনও অঘটন ঘটাতে পারে, তাহলে বিশ্ব-মিডিয়ার শিরোনাম কী হতে পারে, তা বুঝতে বোধ করি খুব বেশি জ্ঞানী হতে হবে না।  আর সে অঘটনের দায় কাদের উপর বর্তাবে, তা বুঝতেও কাউকে পিএইচডি করতে হবে না।  ভুলে গেলে চলবে না যে, বাংলাদেশে পরিচিত যে জঙ্গি সংগঠনগুলো রয়েছে, সেগুলো পাকিস্তানের আইএসআইয়ের হাতেই তৈরি।  আইএসআইয়ের মিশন সাকসেস করতে নির্বাচনের ডামাডোলে জঙ্গিদের আবার সক্রিয় করা হলে আমি অবাক হবো না।  নির্বাচনপরবর্তী আন্দোলনের জন্য এবং সম্ভব্য আওয়ামী সরকারকে ছয় মাসের মধ্যে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন আদায়ে জন্য এরচেয়ে ভাল রসদ আর কি হতে পারে! সবই সম্ভবনার কথা বলছি।  কোন কিছুই নিশ্চিত নয়।  তবুও বার বার বলছি, 'সাবধানতার বিকল্প নেই'।