প্রবাসী গবেষকদের ফিরিয়ে আনা হোক নির্বাচনের ইশতেহারে যোগ

নাদিম মাহমুদনাদিম মাহমুদ
Published : 8 Dec 2018, 06:01 PM
Updated : 8 Dec 2018, 06:01 PM

এই তো এক দশক আগে পত্রিকায় নিয়মিত খবর বের হতো, যে উত্তরের মঙ্গায় খাবার পাচ্ছে না মানুষ, কিংবা কর্মহীন উত্তরের জেলাগুলো। কার্তিক মাস যেন এই অঞ্চলের মানুষদের কাছে কালো মাস। যার আদলে ধেয়ে আসা মঙ্গা শুধু অভিশাপ হিসেবে দেখা মিলতো। সেই দুঃসহ স্মৃতিকে মানুষ যে ভুলে আর্থ-সামাজিক পথে হাঁটছে তা নি:সন্দেহে বাংলাদেশের যতগুলো অর্জন চোখে পড়ছে তাদের মধ্যে অন্যতম। তাই এই কথা অকপটে স্বীকার করাই শ্রেয়, যে বাংলাদেশ গত এক দশকে যে দ্রুততম পরিবর্তনের ছোঁয়া পেয়েছে, তা স্বাধীনতার পরবর্তী ৩৮ বছরেও সম্ভব হয়নি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে, বৈশ্বিক সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র তাতে কোন সন্দেহ নেই। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটি দেশের অর্থনীতির চাকাকে কতটা শক্তিশালী করে তুলতে পারে, তা বাংলাদেশের বর্তমান অবয়ব আর একই সময়ে স্বাধীনতা পাওয়া বিশ্বের দেশগুলোর দিকে তাকালে প্রতীয়মান হয়।

গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে দেশে এখন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের কর্ম-পরিকল্পনা বা ইশতেহার তুলে ধরছে। যদিও ক্ষমতা অধিগ্রহণের পর এইসব ইশতেহার কত শতাংশ কার্যকর হয়, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকে। তবে মোদ্দা কথা, রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনকালীন অঙ্গীকারনামায় আমরা একটা প্রস্তাবনা তুলে ধরতেই পারি। এটা শুধু পরিকল্পনা-ই নয়, বলতে গেলে আগামী বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে কিংবা সুরে সুর মিলানো সময়ের দাবি মাত্র। যদিও আমাদের পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো কয়েক বছর আগেই তা শুরু করে দিয়েছে।

উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিদেশ পাড়ি জমাচ্ছে।  আর এইসব উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদেশে পাড়ি জমানোর একটি বড় অংশ হলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধার স্বাক্ষর রেখে ফ্যাকাল্টি পদ পাওয়ার কয়েক বছর কিংবা কয়েক মাস পরই বিদেশে স্নাতকোত্তর কিংবা ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য বের হন। এরপর এই শিক্ষকদের সিংহভাগই দেশের বাইরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেন। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা থাকলেও, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সংখ্যার চেয়ে সদ্য সমাপ্ত হওয়া স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তরধারীদের পাল্লা দিন দিন বাড়ছে।

কৃষক, তাঁতি, রিকশা চালকদের দেওয়া আয়কর দিয়ে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে যাওয়া এই তরুণ মেধাবীরা আর দেশে ফিরছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারাই প্রথম সারির, তারাই স্কলারশিপ বাগিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে সেখানেই স্থায়ী হয়ে যাচ্ছেন। মজার বিষয় হলো,  বিদেশে শিক্ষা ও গবেষণায় আমাদের এই মেধাবী সন্তানরা নেতৃত্ব দিয়ে সেই দেশগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে ব্যস্ত দিন পার করছেন। যারা নিজ দেশে যে কাজকে ছোট মনে করে তা করতে লজ্জা পেত তারাই ভিনদেশে এসে সেই কাজ অত্যন্ত সম্মানের সাথে করছেন।

আর এভাবে দিনে পর দিন আমরা দেশের মেধার সাম্যাবস্থা হারাতে বসছি। 'মেধা পাচারে'র খপ্পরে পড়ে বাংলাদেশ অনেকটাই মেধাশূন্যতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। যে সম্মানগুলো আমাদের রাষ্ট্রের জন্য প্রাপ্য, সেগুলোকে বাগিয়ে নিচ্ছে অন্যরা। দেশের বাইরে থাকা অন্তত কয়েক ডজন বিজ্ঞানী গবেষক নিরলসভাবে কাজ করে এতোটায় জনপ্রিয় হয়ে গেছেন, তাদের নিজেদের উদ্ভাবন শক্তি সেই দেশগুলোর অর্থনীতির চাকাকে বেগমান করে তুলছে। যেন কাকের বাসায় কোকিলের ডিম পাড়ার মতো অবস্থা।

কোনও কৃষক যদি কোনও ফসল চাষের পর মাড়াই দিতে না জানেন, তাহলে সেই কৃষকের রোদ-বৃষ্টি ভেজা শরীরের পরিশ্রমের ফসল কখনো কল্যাণকর হয়ে ওঠে না। কিন্ত কেন? কেন এইসব ছেলে-মেয়েরা দেশমুখী হচ্ছে না? আদৌ কি তাদের মধ্যে কোনও দেশপ্রেম কাজ করে না? কোনও শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করে দেশে একটা চাকরি করলে যে পরিমাণ পরিশ্রমে বেতন আসবে ঠিক তার চেয়ে কম পরিশ্রমে দশগুণ আয় করার সুযোগ পাচ্ছে বিদেশে। দেশে মৃত্যু যেখানে ছেলেখেলা, সেখানে নিজের নিরাপত্তা কিংবা পরিবারের নিরাপত্তার জন্য উন্নতদেশগুলোকে শিক্ষিত শ্রেণিরা বেছে নিচ্ছেন। কারণ, সেইসব দেশগুলোতে মৃত্যু মানে 'স্বাভাবিক শ্বাস ত্যাগ'। অকালে প্রাণ ঝড়ে পরার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। রাজনৈতিক অক্ষ যেখানে সব জায়গায়  ক্রমান্বয়ে আকার ধারণ করছে, দুর্নীতির দুষ্টপনায় বিবেক বর্জিত হচ্ছে সেখানে পেশাগত উন্নয়নে ধোঁয়াশার বাতাস অনেকটাই 'মেধাবীদের' দেশে না ফিরতে পরোক্ষভাবে স্টিমুলেট করছে।

তাহলে কি আমার দেশ এইসব মেধাবীদের ঘরে ফেরাতে পারবে না? আমার দেশ যেখানে অবকাঠামোগতভাবে উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বে ক্রমান্বয়ে স্বীয় আলোয় উদ্ভাসিত হচ্ছে, সেই রাষ্ট্রে এই মেধাবীদের হাতছাড়া করে নিজেদের বেশিদূর এগিয়ে নেওয়া কখনো সম্ভব নয়। যে দেশ এখন পর্যন্ত উন্নতির শিখরে উঠেছে, তার গোড়ায় রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় অগ্রগতি। যে দেশগুলো ক্ষমতায় নিজেদের সেরাটা প্রমাণ করছে, তার উৎসে রয়েছে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের নিরলস উদ্ভাবনের ফল।

তাই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার প্রতিরোধ করা না গেলেও দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন আমাদের মতো ছোট রাষ্ট্র হিসেবে ইর্ষান্বিত। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও গত কয়েক দশকে তুলনাতীত। এইসব মাথায় রেখে, দেশটাকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রবাসী বিজ্ঞানী-গবেষকদের দেশে ফিরে আনার অভিপ্রায় হতে পারে সর্বকালের সেরা সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি। খাদ্য, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট করার অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিটি জনপ্রতিনিধির মুখের বুলি গত কয়েক দশক ধরেই তো হচ্ছে। আসুন, না আমরা একটু ভিন্ন চিন্তায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশটাকে বিশ্ববাসীর কাছে নতুন করে মেলে ধরি।

রাষ্ট্রের জন্য কেমন ভালোবাসা তৈরি হয়, তা দেশের বাইরে এলে টের পাওয়া যায়। সব সময় আমাদের মনে হয়, আমরা যে পরিশ্রমটা, যে মেধাটা বিদেশিদের কাছে বিকিয়ে দিচ্ছি, সেটা তো আমাদের দেশের জন্য দিতে পারতাম। নিজেদের বড়ই অপরাধী লাগে। দেশে ফেরার জন্য  উন্মুখ হয়ে বসে আছে শত শত গবেষক। যেকোনও মূল্যে দেশে ফিরে দেশের উন্নয়নে নিজেকে বিলি করতে পারা মনে হয় 'মেধাবী'দের অনেকেরই চাওয়া।

একটি রাষ্ট্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন দৃশ্যমান উন্নয়নের অংশ হলেও বিজ্ঞান ও গবেষণায় উন্নতির ফসল ঘরে তুলতে প্রাথমিকভাবে কয়েক বছর থেকে কয়েকযুগ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। কিন্তু তাই বলে তো আর কেউ থেমে নেই। বিভিন্ন রাষ্ট্র তাদের মেধাবীদের ফিরিয়ে আনতে নিয়েছে নানান পদক্ষেপ। পর্তুগাল সরকার 'সিনেকা ২০০৭' প্রজক্টের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার বিদেশে ডক্টরেট ও পোস্ট-ডক্টরেট করা মেধাবীদের দেশে ফিরিয়ে এনে কাজ দিয়েছে। যার ফল পরবর্তীতে পড়েছে দেশের উন্নয়নে। দক্ষিণ কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব বেসিক সায়েন্স বা আবিএসের অধীনে 'ব্রেন রিটার্ন ৫০০' প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বিশ্ব থেকে মেধাবী কোরিয়ানদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে চাকরি ও গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে। ২০০৮ সালে চীনের সরকার 'এক হাজার মেধাবী ফিরিয়ে আনার প্রকল্প' হাতে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা চীনা শিক্ষক/গবেষক, প্রকৌশলীদের দেশে ফিরিয়ে আনছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের মেধাবীদের ঘরে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় ২০১৪ সালে 'হরিজন ২০২০' প্রকল্পের মাধ্যমে। ইউরোপ রিসার্স কাউন্সিল গ্রান্টের আওতায় গবেষণামুখি করছে তাদেরকে।

আমরা যে জামার্নিতে পড়াশোনার জন্য যাই তারাও তাদের দেশের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য জার্মান একাডেমিক ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক বা জায়ান খুলে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে পড়াশোনা করতে যাওয়াদের ঘরে তুলছে। রিভার্স ব্রেইন ড্রেইন বা আরবিডি'র অধীনে থাইল্যান্ড ১৯৯৭ সাল থেকে তাদের দেশ থেকে মেধা পাচার রোধে কাজ করছে। 'ঘরে ফেরা আন্দোলন' প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০৩ সালে আফ্রিকার দেশগুলো প্রবাসী বিজ্ঞানীদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে। এছাড়াও রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, বলিভিয়া এমনকি ভারত স্বীয় কৌশলে তাদের মেধাবীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাচ্ছে। যারা অন্যদেশের জন্য সবকিছু উজাড় করে মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগ দেখাচ্ছেন সেইসব দেশের সন্তানকে আমরা কেন ফিরিয়ে আনতে পারবো না?

এই আমরা তো সারা বিশ্বে চষে বেড়াচ্ছি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তির বিভিন্ন ধাপে নিজেদের সেরাটা দিয়ে ফেলছি, তাহলে আমরা কেন দেশের জন্য কিছু করতে পারবো না? উন্নত দেশগুলো প্রথম দিকে তাদের অর্থনৈতিক অপচয় মনে করলেও এইসব মেধাবীদের কাজে লাগিয়ে গবেষণার জন্য যৌথ ফান্ড ব্যবস্থা করে আয়কর জমা হচ্ছে সেই দেশগুলোর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে।

একটি জমির তিনটি স্তরের মধ্যে যদি আমরা পর্যায়ক্রমে উপরের স্তরটিকে হারাতে বসি, তাহলে এক সময় সেই জমিতে ফসল ফলানো দুষ্কর হয়ে পড়বে। ফসলের পরিবর্তে পাওয়া যাবে আগাছা। আর আগাছা নিধনের অর্থ না থাকলে সেই জমি এক সময় পতিত হয়ে পড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলাদেশ পেতে হলে প্রবাসে থাকা হাজারও তুখোড় মেধাবী বাঙালিদের ফিরে আনার কোন বিকল্প নেই।মেধা পাচার রোধ করা না গেলে জাতি তার স্বাভাবিকভাবে কিংবা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া তুখোর মেধাবীদের হারাবে।

সময় এসেছে তা মেধাবীদের কাজে লাগানোর। আমরা যদি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আগে 'তুখোড়-৭১' নামের কোনও প্রকল্প হাতে নিই, যার আওতায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা তুখোড় বাংলাদেশী বিজ্ঞানী-গবেষকদের বিদেশের সম মর্যাদার বেতন ও সুযোগ সুবিধাদি দিয়ে অন্তত পঞ্চাশজনকেও যদি ফিরিয়ে আনতে পারি তাহলে আমার বিশ্বাস আগামী দশ বছরে বাংলাদেশ এমন একটা রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়াবে যা সবাইকে অবাক করে দেবে।

ধরুন, ২০ হাজার কোটি  টাকার এই প্রকল্প প্রাথমিকভাবে আপনি গ্রহণ করলেন ১০ বছরের জন্য। যেখানে রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা থেকে শুরু করে গবেষকদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে। আপনি এমন কিছু গবেষণার ফল পাবেন, যা দিয়ে আপনি দেখলেন ২০০ কোটি টাকা খরচ করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট যা পাবেন, তার চেয়ে কয়েকগুণ কিছু তৈরি করে ফেলবে। কিংবা কৃষিতে এমন কিছু ফসল-প্রজাতির উদ্ভাবন করা গেল, যা থেকে আপনার কৃষিতে উন্নয়ন করে ফেলবেন।

শুধু তাই নয়, দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর বিজ্ঞান সম্মত সিদ্ধান্ত পেতে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার কাছে হয়ে উঠবে আলোকবর্তিকা। বিজ্ঞানকে পিছিয়ে রেখে যতই দৃশ্যমান উন্নয়ন হোক, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সময় থাকতে আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আর সেই জন্য দক্ষ-মেধাবীদের উপযুক্ত সম্মানে ফিরে আনা মেধাশূন্যতার কবল থেকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার থাকুক রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনকালীন অঙ্গীকার নামায়। ইশতেহারের ভাষায় যোগ হোক প্রবাসী গবেষক-বিজ্ঞানীদের ঘরে ফিরিয়ে আনা। বাংলাদেশ হয়ে উঠুক মেধা লালনের আঁতুর ঘর।