ইন্ডিয়া ও আমেরিকা কেন বিএনপির পাশে নেই

স্বদেশ রায়
Published : 6 Dec 2018, 07:04 AM
Updated : 6 Dec 2018, 07:04 AM

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের বিষয়ে আমেরিকার যে ভূমিকা নেয়া উচিত ছিল তা তারা নিচ্ছে না। অন্যদিকে নমিনেশন পেপার জমা দেবার পরে বিএনপির কয়েক ব্যবসায়ী নেতা ভারতে গিয়েছিলেন, তাদের বন্ধু ও থিঙ্কট্যাঙ্ক এক সম্পাদকও দিল্লী সফর করে এসেছেন। তাতেও তারা কোনও সুবিধা করতে পারেননি। তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে কথাও বলতে পারেননি। এ কারণে বিএনপির কথাবার্তার ভেতর দিয়ে স্পষ্ট হচ্ছে যে, ইন্ডিয়া ও আমেরিকা এ নির্বাচনে বিএনপির পাশে নেই।

অন্যদিকে আমেরিকা পাশে না থাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নও আমেরিকার পথ ধরেছে। পাশাপাশি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বর্তমান সরকার ও সরকার প্রধানের সম্পর্ক অনেক ভাল। বিএনপির পক্ষ থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়া সম্ভব হয়নি। চীনের সঙ্গে বিএনপির আগে যে সম্পর্ক ছিল বর্তমানে সেটাও নেই। বরং বর্তমান সরকারী জোট ও সরকার প্রধানের সঙ্গেই তাদের সম্পর্ক অনেক ভাল। চীন শেখ হাসিনার আমলেই বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করেছে। সর্বোপরি বর্তমানে সৌদি আরবের সঙ্গে অনেক বেশি গভীর সম্পর্ক বর্তমান সরকারের। সৌদি বাদশাহ শেখ হাসিনাকে বলেছেন, তিনি যেন সৌদি আরবকে তার নিজ দেশ মনে করেন। বিএনপির সঙ্গে সৌদি আরবের আগের সেই সম্পর্ক নেই।

কেন এভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বন্ধুহীন হয়ে পড়ল বিএনপি আর কেনইবা শেখ হাসিনা সরকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ করে প্রতিবেশা ইন্ডিয়া, চায়না এবং বর্তমান বিশ্বের একক শক্তি আমেরিকা ও শক্ত ক্ষমতাধর রাষ্ট্রনায়ক পুতিনের সঙ্গে এত গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে সমর্থ হলো?

কারও আশীর্বাদে শেখ হাসিনা এই সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন এ যদি ভাবা হয় তাহলে ভুল হবে। সৌদি আরব তাদের দেশকে শেখ হাসিনাকে তখনই বলেছে এটা আপনার নিজের দেশ- যখন দেখা গেছে শেখ হাসিনাই একমাত্র নেতা যিনি জোর গলায় বলছেন, মুসলিম মানেই সন্ত্রাসী নয়।

পশ্চিমা মিডিয়াসহ এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী পৃথিবীর নানান প্রান্তে মুসলিম মানেই সন্ত্রাসী এমন একটা ধারণা দিতে সচেষ্ট এ মুহূর্তে। এই সময়ে বিশ্ব ফোরামে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনা বার বার যুক্তি দিয়ে বলেছেন, মুসলিম মানেই সন্ত্রাসী নয়, ইসলামের নামে কিছু লোক সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। সারা বিশ্বের মুসলিমকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত না করার জন্য তিনি দাবি জানান প্রতিটি ফোরামে। সৌদি আরবসহ গোটা আরব বিশ্ব উপলব্ধি করেছে, তাদের কোন নেতার থেকে শেখ হাসিনার কথা বিশ্ব ফোরামে গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি। তাই স্বাভাবিকই তারা শেখ হাসিনাকে উচ্চ আসনে বসিয়েছে।

ভারতে শেখ হাসিনাকে কোন মাপের নেতা মানা হয় সেটা নিজ চোখে দেখা ও কানে শোনার সুযোগ হয়েছে। আগেও অনেক লেখায় লিখেছি। শেখ হাসিনাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সামনে তাদের দেশের সব থেকে প্রবীণ নেতা এল কে আদভানী তার ভাষণে বলেন, শেখ হাসিনাই বর্তমান সাউথ এশিয়ার মূল নেতা। তিনি কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সাউথ এশিয়ার মূল নেতা বললেন না। শুধু এখানেই শেষ নয়, আদভানী আরও বলেন, বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে পারেন একমাত্র শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা এমনি করে একের পর এক তার কাজের ভেতর দিয়ে পৃথিবীর বড় বড় শক্তিধর দেশের সঙ্গে ও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছেন।

এর বিপরীতে গত দশ বছর বিরোধীদলীয় রাজনীতিতে থেকে বিএনপি এমন কোনও কর্মসূচি সামনে আনতে পারেনি যাতে তারা প্রতিবেশীসহ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। বরং তাদের নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়, বিএনপিকে নিয়ে ভীত হয় এমন কাজই তারা করছে। যেমন ইন্ডিয়া ও আমেরিকা বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেক্ষেত্রে গত দশ বছরে বিএনপি বার বার প্রমাণ করেছে, তারা বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের মূল দল জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বাঁচিয়ে রেখেছে। বিএনপি যদি দেশের তরুণদের দাবি মেনে নিয়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচারকে সমর্থন করত তাহলে আজ বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর যে অস্তিত্ব আছে সেই অস্তিত্ব থাকত না। যুদ্ধাপরাধীর বিচারে যখন গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে উঠেছিল বিএনপি যদি এর বিরোধিতা না করে সমর্থন দিত তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি ভিন্ন হতো, বিএনপির রাজনীতিও ভিন্ন হতো। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ চিরতরে দূর হতো। প্রতিবেশী দেশ ইন্ডিয়া আর বিএনপিকে নিয়ে কোন শঙ্কায় থাকত না। এখন বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই প্রতিবেশী দেশ ইন্ডিয়া শঙ্কিত হয়ে ওঠে। তাদের ভেতর শঙ্কা জাগে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে আবার জামায়াতে ইসলামী ও তাদের জঙ্গি সংগঠনগুলো অবাধে কাজ করবে বাংলাদেশে। তখন দেখা যাবে, বাংলাদেশে জঙ্গি ঘাঁটি তৈরি করে সেখানে ট্রেনিং নিয়ে জঙ্গিরা আজ ইন্ডিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে হামলা করছে তো কাল কলকাতায় আমেরিকান ডেপুটি মিশনে হামলা করছে আর পরশু বোম্বের কোন হোটেলে হামলা করছে। এই ভয়েই ভীত হয়ে পড়ে ইন্ডিয়া। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জঙ্গীরা অবাধে কাজ করার অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পাকিস্তানে পরিণত হওয়া। ভারত সব সময়ই সর্বাত্মক চেষ্টা করবে, তাদের আরেক পাশে যেন আরেকটি পাকিস্তান না থাকে। এ কারণে বাংলাদেশে জঙ্গিবিরোধী যে কোন শক্তি তা আওয়ামী লীগ বা তার জোট হোক আর সিপিবি বা তার জোট হোক এমন একটি শক্তিকে ক্ষমতায় দেখতে চাইবে ভারত।

অন্যদিকে আমেরিকারও জঙ্গি সম্পর্কিত নীতি পাল্টে গেছে। আগে তাদের জঙ্গি দমনের নীতি বা পররাষ্ট্রনীতি ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে- বিশেষ করে মুসলিম প্রধান দেশে জঙ্গি বা জঙ্গির অপবাদ দিয়ে সেখানে আমেরিকান সৈন্য পাঠানো। বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ নিয়ে আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতিতে এমন একটি সুপ্ত ধারণা ছিল। পাশাপাশি তারা বাংলাদেশের সামুদ্রিক বন্দর নিয়ে ভারত ও চীনের মাঝখানে অবস্থান নিতে চাইত। এখন তাদের আর সেটা প্রয়োজন নেই। কারণ, ইন্ডিয়াই সামরিক মিত্রতা গড়ে তুলেছে আমেরিকার সঙ্গে। আমেরিকার এশিয়া প্যাসিফিক নেভাল ফোর্স এখন ইন্ডিয়া এশিয়া প্যাসিফিক নেভাল ফোর্স হয়েছে। এক সময়ে আমেরিকার সঙ্গে ইন্ডিয়ার মূল স্নায়ুযুদ্ধ ছিল ইন্ডিয়ান ওসানে যেন আমেরিকান নেভী না আসে তা নিয়ে। তারা দিয়াগো গার্সিয়াতে আমেরিকার উপস্থিতি নিয়ে সারাক্ষণ প্রতিবাদ করতো। এখন ভারত মহাসাগর বা ইন্ডিয়ান ওসানে আমেরিকা তাদের বন্ধু হিসেবে সহাবস্থান করছে। তাই বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর আর আমেরিকার প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি তারা কোন মুসলিম অধ্যুষিত দেশকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে সৈন্য পাঠানোর নীতি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। বরং এই খরচ কমিয়ে তারা আমেরিকাকে গ্রেট করার দিকে মন দিয়েছে।

এমতাবস্থায় তারা চায় মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে উদারপন্থী মুসলিমরাই ক্ষমতায় থাকুক। গত দশ বছরে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিরোধিতা করতে গিয়ে বিএনপি নিজেদের উদারপন্থী হিসেবে প্রমাণ করতে পারেনি। বরং আগের থেকে আরও বেশি কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত হয়েছে তারা। তাই আমেরিকা বা ইন্ডিয়া কোন সুযোগ পাইনি বিএনপিকে উদার হিসেবে দেখার।

সর্বশেষ, ভারত ও আমেরিকার কাছে সর্বোচ্চ খারাপ সিগন্যাল গেছে স্কাইপে, হোয়াটস অ্যাপ বা ভাইবার অ্যাপসের মাধ্যমে তারেক রহমানের বিএনপি নেতাদের নির্বাচনে মনোনয়নের সাক্ষাতকার নেয়া। সরকার প্রথমে এর প্রতিক্রিয়া বুঝতে না পেরে বিরোধিতা করেছিল এবং বাধাও দিয়েছিল। কিন্তু দ্রুতই তারা সে বাধা দেয়া বন্ধ করে দেয়। কারণ, তারাও বুঝতে পারে এর মাধ্যমে আমেরিকা, ইন্ডিয়াসহ গোটা গণতান্ত্রিক বিশ্ব জানতে পারছে যে, বিএনপির নেতা বাস্তবে তারেক রহমানের মতো একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী। ড. কামালরা কিছুই নন, তারা তারেকের অনুগত মাত্র।

তাদের নমিনেশন পাওয়াও নির্ভর করছে তারেকের ওপর। তারেক রহমানই পছন্দ করছে কে তার দল ও জোট থেকে আগামীতে পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করবে। তারেক রহমান তার দলের কিছু বা অধিকাংশ কর্মীর কাছে জনপ্রিয় হতে পারে তবে ইন্ডিয়া ও আমেরিকার কাছে সে একজন বড় মাপের জঙ্গি, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের নেতা ও অস্ত্র চোরাচালানি হিসেবে চিহ্নিত। তাদের দেশের গোয়েন্দা রিপোর্ট বা অনান্য রিপোর্ট যা প্রকাশ হয়েছে তাতে সেটাই বলা হয়েছে। তাই আগামী সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে যখন ইন্ডিয়া ও আমেরিকা দেখতে পাচ্ছে, পার্লামেন্ট নির্বাচন কে করবে তারেক রহমানই সেটা ঠিক করছে, তখন তাদের যা সিদ্ধান্ত নেবার তারা সেটাই নিচ্ছে। তাদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, তারেক রহমান তার পছন্দমতো এক সেট জঙ্গি বাহিনী তৈরি করার চেষ্টা করছে। কারণ, তাদের নিজস্ব রিপোর্ট অনুযায়ী তারেক রহমানকে গণতন্ত্রী মনে করার কোনও কারণ নেই।

বরং তারা নির্বাচনের আগেই একটি ফার্স্ট হ্যান্ড সিগন্যাল পেল যে, নির্বাচনের ভেতর দিয়ে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে সেটা হবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একদল জঙ্গির ক্ষমতায় আসা। এবং সে মনোনয়নে তারা দেখতেও পেল পাঁচজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীসহ ২৫ জন জামায়াত নেতা ধানের শীষে মনোনয়ন পেয়েছে। পাশাপাশি আরও বিশজনকে স্বতন্ত্র রাখা হয়েছে যেখানে বিএনপি প্রার্থী দুর্বল রাখা হবে। এর পরে আমেরিকা ও ইন্ডিয়ার মনে হয় বুঝতে কোনও অসুবিধা হবার কথা নয় যে, বিএনপির নামে কারা ক্ষমতায় আসবে!

অবশ্য মির্জা ফখরুল ইসলামরা মনে করেছিলেন, ড. কামাল, কাদের সিদ্দিকী, রব ও মান্নাদের নিয়ে তারা একটা পর্দা তৈরি করবে যাতে তারেকের আসল রূপটি আমেরিকা বা ইন্ডিয়ার চোখে না পড়ে। এখানে একটা বাস্তব সত্য হলো রব-মান্নাদের ভাত কোথাও নেই। কাদের সিদ্দিকীকে ইন্ডিয়া এখন গোণায় নেয় না। ড. কামাল হোসেন সব সময়ই পাকিস্তানের প্রতি বিশ্বস্ত। তবে বিএনপি মনে করেছিল তার মাধ্যমে আমেরিকাকে ভিন্ন সিগন্যাল দিতে পারবে। আমেরিকাকে সিগন্যাল দেবার ক্ষমতা ড. কামালের নেই। কামাল এবং বিএনপি যার ওপর ভর করেছিল তিনি বর্তমান আমেরিকান প্রশাসনের চোখে আসামি। কারণ, তিনি আমেরিকার গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অবৈধভাবে হিলারিকে অর্থ সাহায্য করেছিলেন। তার এই অর্থের উৎস ও সাহায্য করার প্রক্রিয়াটি এখন আমেরিকান প্রশাসনের তদন্তাধীন। তাই ওই এনজিও ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে এখন আর আমেরিকান প্রশাসনে কোনও সিগন্যাল দিতে গেলে সেটা ভুল পথ হবে। সেটা সম্ভবও নয়। মির্জা ফখরুলও বুঝতে পেরেছেন বলেই হয়তো প্রকাশ্যে আমেরিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বাস্তবে মির্জা ফখরুলের দল যতক্ষণ না জঙ্গি অবস্থান থেকে সরে আসছে, যতক্ষণ না তারেক এবং জামায়াতে ইসলামীকে ত্যাগ করছে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা ইন্ডিয়া ও আমেরিকাসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনও ভাল বন্ধু পাবে বলে মনে হয় না। তাদের একমাত্র বন্ধু পাকিস্তানকে নিয়েই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আর বর্তমানের এই গ্লোবাল ভিলেজে আন্তর্জাতিকভাবে বন্ধুশূন্য হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে টিকে থাকা বা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া যায় কি-না, এ নিয়ে মনে হয় কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না। সকলেই এর উত্তর জানেন।