শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়া মানে দেশের পক্ষে ভোট দেওয়া

স্বদেশ রায়
Published : 29 Nov 2018, 02:01 PM
Updated : 29 Nov 2018, 02:01 PM

সাউথ এশিয়াতে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থান। দেশের অর্থনীতি যে গতিতে চলছে এই গতি ধরে রাখতে পারলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ অনেক দিক থেকে ভারতের থেকে এগিয়ে যাবে। এ মুহূর্তে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অনেক সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে। আগামী পাঁচ বছরে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে দারিদ্র তো থাকবেই না, তেমনি নারী শিক্ষাসহ বেশ কিছু সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে অনেক ক্ষেত্রে পৌঁছে যাবে অনেক উন্নত দেশের কাতারে।

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী অমর্ত্য সেন তার বিভিন্ন লেখায় যেমন বাংলাদেশের এই উন্নয়নের সূচককে প্রশংসা করেছেন তেমনি তিনি উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের নেতৃত্বের। তার মতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বই বাংলাদেশের অর্থনীতির এই পরিবর্তনের মূল কারণ। গত দশ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির এই পরিবর্তনে যিনি শেখ হাসিনার হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অনেকেই জানেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অমর্ত্য সেন ও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং। অমর্ত্য সেন ও আবদুল মুহিতের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনার সময়ে উপস্থিত থাকার সুযোগ পেয়েছি। সেখানেও শুনেছি অমর্ত্য সেন কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাংলাদেশের নেতার অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশংসা করেন। শুধু তাই নয়, ওই আলোচনায় তিনি বলেন, তার মতে এ মুহূর্তে সাউথ এশিয়াতে সব থেকে ভাল করছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন দৃশ্যমান বিষয়। দেশে ও বিদেশে কোথাও বলার প্রয়োজন পড়ে না, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বের অন্য মধ্য আয়ের ও উন্নয়নশীল দেশের রোল মডেল। তাই এখন বাংলাদেশের জন্যে সব থেকে বড় প্রশ্ন অর্থনীতির এই গতি ধরে রাখতে হলে কী করতে হবে? সামনে নির্বাচন। একটি নির্বাচন সামনে এলেই প্রশ্ন দেখা দেয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পরিবর্তন হতে পারে। যদি পরিবর্তন হয় তাহলে কি এই অর্থনৈতিক অবস্থা ধরে রাখা সম্ভব হবে?

কোনও অর্থনৈতিক অবস্থা যে নেতার হাত দিয়ে গড়ে ওঠে তার পরিবর্তনে নতুন কোনও নেতার হাতে গেলে স্বাভাবিক কিছু প্রশ্ন সামনে আসবে। প্রথম প্রশ্ন আসে- সেটা কতটা টিকে থাকবে সে বিষয়ে। কারণ ওই অর্থনীতি কতটা টেকসই হয়েছে বা অর্থনীতির সক্ষমতা কতটা হয়েছে। কারণ, এমন একটা সক্ষমতা দরকার যে তা আর নষ্ট করা সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান এই অবস্থানটি বুঝতে গত সপ্তাহে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতির অবস্থান নিয়ে কথা বলি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে। তার সঙ্গে কথোপকথনের (সাক্ষাৎকার) বিবরণও ছেপেছি ইতোমধ্যে জনকণ্ঠে। তার সঙ্গে কথা বলে এটা পরিষ্কার হই যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি ভবিষ্যতে কেউ সহজে নষ্ট করতে পারবে না এমন অবস্থানে নিয়ে যেতে হলে আরও পাঁচ বছর দরকার।

বর্তমান যে গতি ও নেতৃত্বে এই অর্থনীতি পরিচালিত হচ্ছে এই গতি ও নেতৃত্বে আরও পাঁচ বছর বাংলাদেশ পরিচালিত হলে তখনই অর্থনীতি এমন শক্তিশালী অবস্থানে যাবে যে তা আর নষ্ট করা যাবে না। অর্থাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী পাঁচ বছরে এই অর্থনীতির ভিত্তিটি এমনভাবে জমাট বাঁধানো দরকার যাতে ভবিষ্যতে কোনদিন কেউ এটা নষ্ট করতে না পারে।

অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও আবুল মাল আবদুল মুহিতের কথা থেকে যেমন জেনেছি, তেমনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানও এ কথা বলে যে- কোনও রাষ্ট্রের অর্থনীতি বির্নিমাণ নির্ভর করে ওই দেশের নেতার ওপর বা রাষ্ট্রনায়কের ওপর। সে হিসেবে বাংলাদেশের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আগামী পাঁচ বছর দেশটির নেতৃত্ব কে দেবেন? আগামী পাঁচ বছরে নেতৃত্ব কে দেবেন এ প্রশ্নটি স্বাভাবিকভাবে সামনে এসেছে যেহেতু ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন। মানুষ ওই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জন্য আগামী পাঁচ বছরের নেতা নির্বাচন করবেন।

মানুষ সাধারণত নেতা নির্বাচনে বা ভোট দিতে ভুল করে না। তারপরেও আমাদের এই বাংলাদেশে ভুল ভোট দেবার উদাহরণ আছে। এই পূর্ববাংলার মানুষই ১৯৪৬ সালে পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। যে ভুল সংশোধন করতে ১৯৭১ সালে ত্রিশ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়, সাড়ে ছয় লাখ মা-বোনকে ইজ্জত দিতে হয়। এ কারণে যে কোনও নির্বাচন এলে তার আগে সতর্ক হওয়া উচিত।

কোনওমতেই কমিউনিস্ট নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিকের ওই সস্তা স্লোগানে মেতে, 'আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব' এভাবে ভোট দেওয়া উচিত নয়। কারণ, একটা ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি ভুল ভোট দেওয়া হয় তাহলে অনেক বিপর্যয় নেমে আসে। বাংলাদেশের গত দশ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, দেশের মোট ৪৭ বছরের বাদ বাকি ৩৭ বছরে সে উন্নয়ন হয়নি। সত্যি অর্থে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বাদ বাংলাদেশের মানুষ কেবল পেতে শুরু করেছে।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু তার মুক্তির সংগ্রাম কথার ভেতর যে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা ছিল তা তিনি দিয়ে যাবার সুযোগ পাননি। অর্থনৈতিক মুক্তির কর্মসূচী তিনি যখনই হাতে নিয়েছিলেন তখনই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যা করে। তার পরে দীর্ঘ পথপরিক্রমায়, গত দশ বছরে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এই প্রথম অর্থনৈতিক মুক্তির স্বাদ পেতে শুরু করেছে। আর দেশের মানুষ কেবলই অর্থনৈতিক মুক্তির স্বাদ পেতে শুরু করেছে। অর্থনীতি বর্তমানে এমন একটি অবস্থানে দাঁড়ানো যে আর পাঁচ বছর এই গতিতে চললে, একটি শক্ত কাঠামোর ওপর দাঁড়াবে। তখন এই অর্থনীতি আর নষ্ট করা যাবে না।

এমন সময়েই দেশের সামনে সাধারণ নির্বাচন। তাই এই সাধারণ নির্বাচনে দেশের কোনও মানুষেরই ভোট দিতে ভুল করার কোনও সুযোগ নেই। ভোট দিতে, নেতা নির্বাচন করতে ভুল করলেই দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশের মানুষকে অত্যন্ত শান্ত মাথায় বুঝে শুনে ভোট দিতে হবে। এখানে কোন ফালতু আবেগ, অনুভূতির জায়গা নেই। এখানে দেশের স্বার্থ, দেশের ষোলো কোটি মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করেই ভোট দিতে হবে প্রতিটি মানুষকে। সেভাবেই তাদের দেশের নেতা নির্বাচন করতে হবে।

বাংলাদেশের মতো একটি সামরিক শাসক-লাঞ্ছিত দেশে নির্বাচন সামনে এলেই সমাজে ও রাজনীতিতে নানান মেরুকরণ হয়, অনেক রাজনৈতিক শক্তি, অপশক্তির উত্থান তখন দেখা যায়। তারা গণতন্ত্রের উদারতার সুযোগ নেয়। এবারও তার ব্যক্তিক্রম হয়নি। এবার নানান মেরুকরণ ও অপশক্তির উত্থানের ভেতর দিয়ে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিপরীতে আরও তিনজন নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এর ভেতর দু'জন আগে থেকেই ছিলেন, একজন সময়ের সুযোগ নিয়ে সামনে এসেছেন। শেখ হাসিনার বিপরীতের এই তিনজন হলেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও ড. কামাল হোসেন। তিনজনই একই প্ল্যাটফর্মে।

তাদের ভেতর কে নেতা তা তারা এখন প্রকাশ করছেন না। এখানে তারা একটা ধোঁয়াশা রেখে যাচ্ছেন সব সময়ই। তারা কিন্তু না বুঝে এই ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছেন না। তারা বুঝেই করছেন। কারণ, কোনও একজনকে নেতা ঘোষণা করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে মানুষ তুলনা করবে শেখ হাসিনার সঙ্গে। মানুষ তখন বিচার করে দেখবে শেখ হাসিনার বিপরীতে তাকে দাঁড় করানো যায় কিনা? ড. কামাল ও তার সঙ্গী তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া এবং তাদের সহযোগী ফখরুলরা ভাল করে জানেন, মানুষ যদি সরাসরি তারেক, কামাল ও খালেদা এই তিন জনের কাউকে হাসিনার সঙ্গে তুলনা করে সেখানে শতকরা শতভাগ মার্কই পাবেন শেখ হাসিনা।

তাই নেতৃত্ব বিচারে তারা হেরে যাবেন প্রথম রাউন্ডেই। এ কারণে তারা দলকে ও প্রতীককে সামনে আনছে। এভাবেই তারা মানুষকে ধোঁকা দেবার চেষ্টা করছেন। যেমন তারা যদি তারেক রহমানকে সামনে আনেন, তাহলে বিষয় কী দাঁড়ায়? তারেক রহমান আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে প্রতিবেশি দেশের কাছেও একজন আন্তর্জাতিক মাপের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত। আমেরিকান স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাকে আমেরিকায় ঢুকতে দিলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমেরিকার অর্থনীতি ধ্বংস করার মতো কাজ করবে। প্রতিবেশি দেশের কাছে তারেক রহমান পরিচিত, জঙ্গি সন্ত্রাসী নেতা হিসেবে ও অস্ত্র চোরাচালানি হিসেবে। তাছাড়া খালেদা জিয়ার আমলের মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী জনকণ্ঠে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলে গেছেন, তারেক রহমানের ঘুষের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বিএনপি আমলে নতুন কোনও বিদ্যুতকেন্দ্র গড়া সম্ভব হয়নি।

শুধু এ নয়, মিডিয়ায় দেওয়া বি ডি রহমতউল্লাহর তথ্য মতে, কুইক রেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্র গড়ার সিদ্ধান্তও বিএনপি আমলে নেওয়া হয়েছিল। খোঁজ নিলে সকলে জানতে পারবেন, কেবলমাত্র তারেক রহমানের ঘুষের চাহিদা মেটাতে গিয়ে সে সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তাই এ ধরনের আন্তর্জাতিক মাপের সন্ত্রাসী নেতা ও দুর্নীতিপরায়ণকে আর যাই হোক কোনও দেশের নেতা হিসেবে কোন মানুষ গ্রহণ করতে পারে না। তাতে মঙ্গলের বদলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত শুধু নয়, ধ্বংস হয়ে যাবে।

এর বিপরীতে খালেদা জিয়ার দশ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি যেখানে চলে গেছে, আর যে গতিতে চলছে সেখানে খালেদা জিয়ার কিছুই করার নেই। কারণ, বর্তমানের অর্থনীতি বির্নিমাণে শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসেবে, তার পরিকল্পনা যিনি বাস্তবায়নে কাজ করেছেন, সেই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব দুর্বল ও অশিক্ষিত। তারপরে তিনি দুর্নীতেপরায়ণ। তাই বর্তমানের মধ্য আয়ের বাংলাদেশের নেতৃত্ব কোনওমতে একজন অশিক্ষিত, দুর্নীতিপরায়ণ ও দুর্বল নেতার হাতে তুলে দেওয়া যায় না। তুলে দিলেই তিনি দেশকে ধ্বংস করে ফেলবেন। তাছাড়া খালেদার বকলমে নেতা হবে তারেক রহমান। তাই এ দু'জনের পরে থাকেন এই প্ল্যাটফর্মের নতুন নেতা ড. কামাল হোসেন। ড. কামাল হোসেন রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে, আন্তর্জাতিক খ্যাতিতে ও যোগ্যতায় কোনও মাপেই শেখ হাসিনার ধারে কাছে আসেন না। ড. কামালের রাষ্ট্রক্ষমতা সম্পর্কে জ্ঞান মাত্র আড়াই বছরের মন্ত্রিত্ব। এর বিপরীতে শেখ হাসিনার পনেরো বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতা ও তেরো বছরের বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা। আর আন্তর্জাতিক খ্যাতিতে এখন বিশ্বের তিন/চারজন রাষ্ট্র নায়কের পরেই শেখ হাসিনার অবস্থান। সাউথ এশিয়ায় তিনিই মূল নেতা। অন্যদিকে ড. কামাল বিদেশে কিছু মামলা করেন। এই তার আন্তর্জাতিক খ্যাতি। সেটা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নয়, একজন আইনজীবী হিসেবে। এ রকম আইনজীবী আমাদের এখন অনেক আছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা একজন। তাছাড়া সম্প্রতি ড. এমাজউদ্দিন ও খন্দকার মোশাররফের ফাঁস হয়ে যাওয়া ফোনালাপে এমাজউদ্দিন বলেছেন, ড. কামালের বয়স হয়ে গেছে। বাস্তবেই তার বয়স হয়ে গেছে। তার বয়স তাকে এই পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, তিনি সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে প্রকাশ্যে অ্যাটর্নি জেনারেলকে 'বাস্টার্ড' বলে গালি দিয়েছেন। এর থেকে বোঝা যায় বয়স তাকে এখন সুস্থির অবস্থান থেকে বিকৃত অবস্থানে নিয়ে গেছে। তাছাড়া এও সত্য কামাল হোসেন জীবনে নিজে কখনও নেতা নন, তিনি বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করেছেন। এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে কাজ করছেন।

তারেক রহমানের নেতৃত্ব মেনে নেবার ভেতর দিয়ে ড. কামাল প্রমাণ করেছেন, তিনি একজন নীতিহীন মানুষ। মুখে তিনি যা বলেন বাস্তবে তা নয়। তাছাড়া তারেক যা করে সবই পাকিস্তানের আইএসআই-এর নির্দেশে। ড. কামালের এই তারেকের কাছে আত্মসমর্পণ কি একই স্থানের নির্দেশে নয়!

তাই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে হলে- বাংলাদেশে শেখ হাসিনার এক শ মাইলের ভেতর বর্তমানে কেউ নেই। কেউ তার মতো যোগ্য ও নীতিবান নেতা নন। এ কারণেই ৩০ তারিখ দেশের মানুষকেও এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যেন শেখ হাসিনার এক শ মাইলের সার্কেলের কাছাকাছি ওই সব দুর্নীতিপরায়ন ও নীতিহীন নেতারা কেউ না আসতে পারে। কোনও মানুষ যেন নিজ চিন্তায় তাদেরকে স্থান না দেন। এটা শেখ হাসিনার স্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থে। বাংলাদেশে এখন শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়া মানে কোনও দলকে ভোট দেওয়া নয়, দেশের পক্ষে, উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেওয়া।

শেখ হাসিনার পক্ষে যদি কেউ ভোট দিতে বলেন, তাকে দলীয় ব্যক্তি বলারও কোন সুযোগ নেই। বরং বুঝতে হবে, তিনি দেশের পক্ষে বলছেন।