সংলাপে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী

কবির য়াহমদ
Published : 2 Nov 2018, 12:29 PM
Updated : 2 Nov 2018, 12:29 PM

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে এখন সংলাপের হাওয়া বইছে। এই সংলাপ পর্যায় রাজনীতিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেই কেন্দ্রীভুত করেছে। অথচ সপ্তাহ দিন আগেও এই নিয়ন্ত্রণ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর কাছেই রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার যে আভাষ মিলছিল সেটা পুরোপুরি উলটে গেছে। এখন সকল চোখ গণভবনে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার ওপরই।

যে বিএনপি এতদিন ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারকে 'অবৈধ' বলে আখ্যা দিচ্ছিল তারাও কথিত সেই অবৈধ সরকারের কাছে নতি স্বীকার করেছে। দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্যে শেখ হাসিনার কাছেই দাবি জানাচ্ছে। গত দশ বছর ধরে আন্দোলনের হুমকি দেওয়া বিএনপিকে আন্দোলনের পত্রপাঠ অনেকটাই চুকিয়ে দ্বারস্থ হতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সম্প্রতি ফের যখন আন্দোলনের একের পর এক হুমকি দিচ্ছিলেন, বিএনপির নেতারা তারাও দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর শরণ নিয়েছেন। এটা বিএনপির রাজনৈতিক পরাজয় না হলেও সরকারের যে বিজয় সেটা বলাই যায়।

কেবল বিএনপিই নয় নবগঠিত সরকারবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা শুরু থেকেই সরকারের তুমুল সমালোচনায় মুখর। তারা রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের উত্থাপিত ৭ দফা দাবি আদায় করেই ছাড়বেন বলে যে হুঙ্কার দিয়েছিলেন সেটাও রাজপথ থেকে টেবিলে এসে ঠেকেছে। তারাও প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন। তাদেরও মনে হচ্ছে রাজপথের আন্দোলনের ফল আদতে শূন্য। কারণ সরকার পতনের জন্যে আন্দোলনে যে কর্মী-সমর্থকের দরকার সেটা তাদের নিজেদের একেবারে নেই, এমনকি ফ্রন্টভুক্ত প্রধান শরিক বিএনপিরও নেই। বিএনপি রাজপথের আন্দোলনে গত দশ বছর ধরে ব্যর্থতার প্রমাণ রেখেছে সেটা পরিষ্কার। তার ওপর গত পাঁচ বছর ধরে বিএনপির ওপর চলা সরকারের নানা দমননীতির কারণে তারা মাঠেই দাঁড়াতে পারছে না। এমন অবস্থায় রাজপথের চাইতে সংলাপেই যে সমাধান সেটা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারাও বুঝতে পারছেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপির সাংগঠনিক দূরাবস্থা থাকলেও জনসমর্থনের দিক থেকে দলটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। প্রকাশ্য রাজনীতিতে সরকারি তরফে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হলেও দলটি জনসমর্থন হারিয়েছে সেটা বলা যাবে না। বরং বলা যায় প্রান্তিক পর্যায়ে তারা জনসমর্থন ধরে রেখেছে। এমনকি 'সহানুভূতির' কিছু সমর্থনও তাদের ভাগে এসে জুটেছে। সহানুভূতির এই পর্যায় আদতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস। দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হলেও, এখনও অনেকেই এটাকে রাজনৈতিক মামলা বলে ভুল করে। যদিও 'জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি'র মামলা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় বসার পর করেনি। এই মামলা করেছে ওয়ান-ইলেভেনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হওয়া সেনাসমর্থিত তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। মজার বিষয় হচ্ছে, সেই সরকারের একজন উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা হলেও বিএনপিও যেমন এনিয়ে ভাবিত নয়, তেমনিভাবে এটা সাধারণ নাগরিকের মাঝেও প্রভাব ফেলেনি।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলার বিচারকার্য ও রায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়ার কারণে এই মামলা দায়েরে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সেই সরকারের উপদেষ্টা বর্তমান জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠছে না। এর কারণ মূলত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি হওয়ায় এটাকে রাজনীতিকরণের প্রচারণায় বিএনপি নেতাদের সাফল্য, এবং একই সঙ্গে প্রকৃত তথ্য জনসাধারণের কাছে পৌঁছাতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ব্যর্থতা; এরসঙ্গে আছে খালেদা জিয়ার এই দণ্ড নিয়ে কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী-সমর্থকের তৃপ্তির ঢেঁকুরও।

ফলে আইন-আদালত ও বিচারের শাস্তির  দায় আওয়ামী লীগকেই নিতে হচ্ছে। অথচ এই পরিস্থিতির জন্ম হতো না যদি আওয়ামী লীগ এই মামলা নিয়ে সঠিক প্রচারণা চালাতে পারত। কেবল টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর বক্তৃতা-বিবৃতির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আওয়ামী লীগের প্রান্তিক পর্যায়ের কর্মীসমর্থকেরাও যদি খালেদা জিয়ার মামলা, বিচার ও দণ্ড নিয়ে সাধারণ নাগরিককে প্রকৃত তথ্য দিতে পারত, তাহলে সহানুভূতির যে পাল্লা খালেদা জিয়ার দিকে ঝুঁকছে ক্রমশ সেটা এতখানি হতো না।

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি রাজনৈতিক আত্মহত্যার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার ফল ভোগ করছে এখন। সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হলেও দলটিকে এভাবে রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু হতে হতো না। সংসদে দলটির প্রতিনিধিত্ব থাকলে সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে এভাবে প্রশাসনিক হয়রানি হতো না। সেই নির্বাচন বর্জনের আগেপরে দেশব্যাপী ব্যাপক নাশকতা, পেট্রলবোমা সন্ত্রাস, বাসে অগ্নিসংযোগের দায় এখন দলটিকে নিতে হচ্ছে; এবং এটা চলতেই থাকবে। তার ওপর বিএনপির অতিমাত্রায় জামায়াত নির্ভরতা দলটিকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছে। জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা চলার কারণে তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচারণ করতেই হতো, এমন অবস্থায় তারা বিএনপিকেও সঙ্গে পেয়েছে। জামায়াতের এই কৌশলে মার খেয়েছে বিএনপি।

নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতার অভাব দলটিকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে যেখানে সরকারবিরোধী নবগঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল হতে হয় বিএনপিকে এবং এটা এমন একটা জোট যেখানকার শীর্ষনেতাদের অধিকাংশের দলই সাইনবোর্ড কিংবা প্যাডসর্বস্ব। এবং তাদের জনপ্রতিনিধি হওয়ার মত জনসমর্থন কতখানি এনিয়ে আতশি কাচ দিয়ে অনুসন্ধানের দাবিও রাখে। তবু বিএনপিকে এই ফ্রন্ট নিয়ে এগুতে হচ্ছে, কারণে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অবর্তমানে নেতৃত্ব দেওয়ার মত দেশে তাদের আর কোন নেতা নাই।

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বিশিষ্ট আইনজীবী। বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন তিনি, হয়েছিলেন মন্ত্রীও। তিনিসহ তার দল গণফোরামের শীর্ষনেতাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাওয়া নেতা। জাতীয় সংসদে গণফোরামের প্রতিনিধিত্ব করার মত কেউ নাই, এককভাবে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করলে সে সম্ভাবনাও কম বলে ধারণা। তবু দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বিএনপি এই ছোট দলের বড় নেতার অধীনে জোটের শরিক। সরকারবিরোধী এই জোটের বড় শরিক হিসেবে যেকোনও সিদ্ধান্তে প্রভাব রাখার মত অবস্থায় থাকলেও জোটের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নাই বিএনপির। এর প্রমাণ মিলেছে একাধিকবার। বিএনপি যেখানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির প্রথম দফা অর্থাৎ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিকে প্রধান করে দেখছে সেখানে ড. কামাল হোসেন একাধিকবার বলছেন 'ব্যক্তির চেয়ে দল বড়'। দেশের স্বার্থে দলীয় স্বার্থে ছাড় দেওয়ার কথাও বলছেন তিনি। এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া বক্তৃতায় একাধিকবার ড. কামাল হোসেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিকে এড়িয়ে গেছেন, বা বলতে 'ভুলে গেছেন'। এরপর অন্যরা তাকে স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি সেটা বলছেন, আবার এও বলছেন, 'এটা বলার কী আছে'!

এমন অবস্থায় বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন না উঠলেও আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এমনকি বিএনপি যদি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে নির্বাচনে যাবে না এমন সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তাহলে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। কারণ অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, কেবল খালেদা জিয়ার মুক্তিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নির্ভর করছে না। ড. কামাল হোসেন এই দাবিকে অগ্রাহ্য না করলেও কেবল এই দাবিটাকেই মুখ্য ভাবছেন না। ফলে খালেদা মুক্তিতেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নির্ভর করছে না।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন, সাত দফা দাবি উত্থাপন, এবং সিলেট ও চট্টগ্রামে একাধিক জনসভা করার পর অনেকদিন পর দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার যে শঙ্কা জেগেছিল সেটা আপাত দূরীভুত হয়েছে। এবং সেটা সম্ভব হয়েছে ড. কামাল হোসেনের সংলাপের চিঠির বিপরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্রুত প্রত্যুত্তরে। প্রধানমন্ত্রী সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে ড. কামাল হোসেনকে আমন্ত্রণ জানানোর পর পরই সকল আলো গিয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সেই সংলাপে প্রধানমন্ত্রী সকলের কথা শুনেছেন, প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন; এবং নৈশভোজের নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেও খাবার গ্রহণ করেছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বাহারি ও মুখরোচক নামের সেই সব খাবারের সচিত্র সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের পর অগুরুত্বপূর্ণ এই খবরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। 'প্রধানমন্ত্রী খাইয়েই ছেড়েছেন' এধরনের নানা মন্তব্যে এর সকল কৃতিত্ব গিয়ে পড়ছে প্রধানমন্ত্রীর ওপরও।

সংলাপ শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, 'আলোচনা ভালো হয়েছে'; তবে একই সময়ে পৃথকভাবে ফ্রন্টের শরিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন তারা 'আলোচনায় সন্তুষ্ট নন'। যদিও ড. কামাল হোসেনের বাসায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে ফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেছেন 'তারা কোনও সমাধান পাননি'। এই পরস্পরবিরোধী মন্তব্য যতটা না জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যকার প্রচ্ছন্ন বিভক্তি তারচেয়ে বেশি সংলাপ বিষয়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রভাব। আর এই প্রভাবে ড. কামাল হোসেনের মত নেতা তাৎক্ষণিকভাবে সংলাপের ফল নিয়ে ইতিবাচক কথা বলতে অনেকটাই বাধ্য হয়ে পড়েন।

সরকার 'চাপে পড়ে' জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছে এমন আলোচনা শুরুতেই ছিল। 'চাপ' শব্দটা প্রাসঙ্গিক হতো যদি এই সংলাপে তৃতীয় পক্ষের সহযোগিতা থাকত; কিন্তু সেটা ছিল না। তবে এই আলোচনা অদ্য থেমে গেছে ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজ্জা চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট, এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টি এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে। এর মাধ্যমে সরকার এটা দেখাতে পেরেছে কোনো চাপে নয় সহজাত স্বাভাবিকতায় এই সংলাপের আয়োজন, এবং কেবল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টই নয় সকল দল ও জোটের জন্যে এই সংলাপের দ্বার উন্মুক্ত। এরফলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেবল সাত দফা দাবিই যে গণদাবি বলে প্রচার চলছিল সেখানেও সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা পেল। দেশের সকল দল ও জোটের দাবিগুলো শুনে-বিশ্লেষণ ও আলোচনা করে তবেই একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পথটা সরকারের জন্যেও প্রসারিত হলো।

এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ও দলের পক্ষে রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় বহন করছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সরকারের সংলাপের সিদ্ধান্ত এবং এই সংলাপকে সকল দল আর জোটের মধ্যে সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নিজের অনুকূলে নিয়ে আসতে পেরেছেন তিনি। এখন তাই সংলাপ তার কাছে চাপ নয়, চলমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়াই; যদিও নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা আর নির্বাচন খুব বেশি দূরে নয়!