তারেকের অপরাধের দায় বিএনপি কেন নেবে?

কবির য়াহমদ
Published : 12 Oct 2018, 01:49 PM
Updated : 12 Oct 2018, 01:49 PM

২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডসহ অন্য ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।

দীর্ঘ ১৪ বছরের অনিশ্চয়তা শেষে ১০ অক্টোবরের এই রায় বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসের অনন্য অর্জন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, জেল হত্যার বিচার, বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচার, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের পর এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড ও হত্যাচেষ্টার বিচার আমাদের কলঙ্কমুক্তির একটা ধাপ, নিঃসন্দেহে।

১৪ বছরের অপেক্ষার প্রাথমিক পাঠ শেষে বিচারক তার রায়ে জানিয়েছেন 'রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় ওই হামলা ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা'। সত্যি তাই, এমনটা বলা হচ্ছিল গত এক যুগের বেশি সময় ধরে, কিন্তু আদালত কর্তৃক সেটা প্রত্যায়ন না হওয়ায় এটা নিয়ে নানামুখী বক্তব্যকেও আমলে নেওয়া হচ্ছিল। রায়ে এই বিষয়টি উপস্থাপিত হওয়ায় এনিয়ে দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে এনিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নাই।

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্দেশে সেদিন ১৩টি আর্জেস গ্রেনেডের বিস্ফোরণ করা হয়। গ্রেনেড বিস্ফোরণের পর শেখ হাসিনার মৃত্যু নিশ্চিত করতে উপর্যুপরি গুলিও চালানো হয়। রায়ে হামলায় যুদ্ধে ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড ব্যবহারের প্রসঙ্গে বিচারক বলছেন- 'কেন এই মারণাস্ত্রের ব্যবহার? রাজনীতি মানেই কি বিরোধী দলের উপর পৈশাচিক আক্রমণ?' বিচারকের এই বক্তব্য সেই হামলার ভয়াবহতাকে আদালত কর্তৃক স্বীকৃতি দেওয়াও হলো।

এই রায়ে তারেক রহমান-হারিছ চৌধুরী-লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ৭ জন রাজনৈতিক নেতা, পুলিশের সাবেক ৩ জন মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) ৮ জন পুলিশ বাহিনীর সদস্য, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালকসহ ৫ জন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা এবং দেশি–বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের ২৯ জন দণ্ড পেয়েছেন। অর্থাৎ রাজনৈতিক দল, রাষ্ট্র-প্রশাসন সহ জঙ্গিরা এই হামলা সংঘটনে জড়িত ছিল, এবং সেটা আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।

জঙ্গিরা বাংলাদেশ ও ভারতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় অন্যতম বাধা হিসেবে শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছিল। এরশাদের পতনের পর আগের তিনবারের ধারাবাহিকতায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সরকার পরিবর্তন হচ্ছিল বলে জঙ্গিরা শেখ হাসিনাকেই টার্গেট করে। তাদের ধারণা মতে, বিএনপি ক্ষমতায় না আসতে পারলে আওয়ামী লীগই আসবে, তখন তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।

তারা তাদের জঙ্গিবাদী কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পথের মূল কাটাকে দূর করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল এবং সেখানে তারা কুমিল্লার সাংসদ শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের মাধ্যমে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু শরণাপন্ন হয়ে একপর্যায়ে তারেক রহমান পর্যন্ত পৌঁছায়। জঙ্গিদের উদ্দেশ্য জানতে পেরে তারেক রহমানও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়ে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে যুদ্ধাপরাধের মামলায় দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদও ছিলেন, কিন্তু অন্য মামলায় ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাকে বিচারিক একটা পর্যায়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে রায়ে মুজাহিদের উপস্থিতি আছে, এবং সেটা অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে।

একানব্বইয়ের পর দ্বিতীয় দফায় বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তারেক রহমানের 'হাওয়া ভবন' সকল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যায়। এই হাওয়া ভবনে হামলার ষড়যন্ত্র চলে। এবং শেষ পর্যন্ত সেখান থেকেই সরকার-প্রশাসন ও দলকে ব্যবহার করে নারকীয় সেই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। ভাগ্য ভালো, যে নেতাকর্মীদের মানববর্ম সেদিন শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিল; তা না হলে তারেক-বাবর-মুফতি হান্নানদের সেদিনের সেই পৈশাচিকতা সফল পরিণতি পেত।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শৈবাল সাহা পার্থ ও জজ মিয়া নাটকের পর এই হামলার মামলার রহস্য উন্মোচন হলে তারেক রহমান অভিযুক্ত হন অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড হওয়া জঙ্গি মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল হান্নানের জবানবন্দিতে। সেই জবানবন্দির পর বিএনপি দাবি করে আসছে- তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের এই অভিযোগ ধোপে টেকে না কারণ বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরপরই বিএনপির সর্বময় ক্ষমতাধিপতি হয়েছেন তারেক রহমান।

আওয়ামী লীগ সরকার যদি প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে দমনের হাতিয়ার হিসেবে একে ব্যবহার করত তবে মামলায় খালেদা জিয়াকেও টার্গেট করত। যে মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হন সেই মামলায় একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অন্তর্ভুক্তি অবাক হওয়ার মত কিছু ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সেটা করেনি, এক্ষেত্রে সরকারের প্রশাসনিক সততা উল্লেখ করার মতই। অথচ এই মামলার প্রাথমিক পর্যায়ে বিএনপি সরকার প্রশাসনিক অসততার আশ্রয় নিয়েছিল। সরকার ও প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহারের মাধ্যমে হামলার পর এই হামলাকেই ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টাও করেছিল।

২১ অগাস্টের হামলার মামলার তদন্ত ও বিচারিক পর্যায়ে তারেক রহমানের এই যোগ বিএনপি যতই অস্বীকার করুক না কেন, সত্য আজ দিবালোকের মতই পরিষ্কার ও প্রকাশিত। তাই তাদের সকল অভিযোগ অসাড় ও মূল্যহীন। রায়ে তারেক রহমানের দণ্ড অপরাধীর অপরাধের যথাযথ প্রকাশ। একই সঙ্গে রাজনীতিবিদদের প্রতি বার্তাও। এই বার্তা ক্ষমতার মোহে অন্ধ ও প্রবল প্রতিপত্তির প্রকাশের একদিন শেষ হওয়ারও।

প্রবল ক্ষমতাবান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, কিংবা সে সময়কার বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হাওয়া ভবনের মালিক তারেক রহমানের সেই ক্ষমতার দিন শেষপ্রায়। তাদের একজন মৃত্যুদণ্ড ও অন্যজন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। এই দণ্ডে রাজনীতির যোগ নেই ঠিক, কিন্তু রাজনীতিকে কলুষিত করার সেই সে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বোবা হয়ে থাকা আইন ও মানবিকতার প্রবল প্রতিবিধান। এটা কেবল তারেক কিংবা বাবর নামের জন্যেই নয়, বর্তমান এবং আগামির সকল অপরাধীর জন্যেও প্রযোজ্য।

তারেক রহমানের যাবজ্জীবন দণ্ডের পর বিএনপি প্রবল প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তারা একদিকে যেমন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা বলছে, ঠিক অন্যদিকে রায় প্রত্যাখ্যান করে রাজনৈতিক কর্মসূচিও দিয়েছে। তাদের সেই কর্মসূচিগুলো রাজনৈতিক দীনতার প্রকাশ, তবে আপিলের ঘোষণাটা আইন ও বিচারিক ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা আর আস্থার কথাই জানাচ্ছে। এই দ্বিমুখী নীতি পরিহার করা উচিত ছিল তাদের, অন্তত দল হিসেবে বিএনপিকে কলঙ্কমুক্ত করার অভিপ্রায়ে। তবে তারেক রহমান আপিলের যোগ্য কিনা এনিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, কারণ তাকে পলাতক দেখিয়ে এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

সেই ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে গ্রেপ্তারের পর ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্যে লন্ডনে পাড়ি জমান তারেক। এরপর দেশে আর ফেরেননি। তার অবর্তমানে মুদ্রাপাচার মামলা সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৩ সালে বিচারিক আদালত থেকে ওই মামলায় খালাস পেলেও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলে উচ্চ আদালত তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। এরপর এবছরের ফেব্রুয়ারিতে 'জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়' ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার রায়ে তার দণ্ড হয় যাবজ্জীবন।

রায়ের অব্যবহিত পরপরই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'বিএনপি মনে করে, এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার নগ্ন প্রকাশ। আমরা এই ফরমায়েশি রায় প্রত্যাখ্যান করছি।'

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, 'মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানোর কারণে মামলায় রায়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে।' এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ বিএনপি পুরো রায়কেই প্রত্যাখ্যান করেছে কোনওধরনের রাখঢাক ছাড়াই। এখানে লক্ষণীয় যে, এই রায়ে কেবল বিএনপির কয়জন রাজনীতিবিদই নন, সাবেক পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাসহ একাধিক জঙ্গির বিরুদ্ধেও দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি যদি রায়কে 'ফরমায়েশি' আখ্যা দিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে কর্মসূচি অব্যাহত রাখে তবে তারা কেবল নিজেদের দলের নেতাদের অপরাধের পক্ষেই অবস্থান নেয়নি, এরমাধ্যমে একই সঙ্গে জঙ্গিদের পক্ষাবলম্বন করাও হয়ে যায়। আর কেবল তারেক রহমানের পক্ষে তারা উচ্চকণ্ঠ হলে লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, আব্দুস সালাম পিন্টুসহ দলের বাকি নেতা ও তৎকালীন সরকারের সম্পৃক্ততার বিষয়টিও স্বীকার করা হয় তাদের।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বিএনপির এই প্রতিবাদ তারেক রহমানের নামে উচ্চারিত হলেও অপর সকল অপরাধীসহ তারা জঙ্গিদেরও পক্ষ নিয়ে এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করছে। এতে দল হিসেবে কেবল তারেক রহমান-বাবর-হারিছ চৌধুরীদের অপরাধের দায় নেওয়াই হচ্ছে না তাদের, একই সঙ্গে তারা দায় নিচ্ছে মাওলানা তাজউদ্দিনসহ অপরাপর জঙ্গিদের অপরাধেরও। এটা তাদের রাজনৈতিক পরাজয়, নৈতিক পরাজয়ও। তারেক-বাবরেরা না হয় বিএনপির অংশ, কিন্তু জঙ্গিরা কেমন অংশ তাদের?

তারেক রহমান বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দলে তার এই অবস্থান, এবং রায়ের প্রতিবাদে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে ব্যক্তির অপরাধকে দলের ওপর টেনে নেওয়া হচ্ছে। পুরো রায়কে প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে বাবর-হারিছ চৌধুরীসহ জঙ্গিদেরও অপরাধের দায়কেও দলের ওপর টেনে নিচ্ছে বিএনপি। এটা প্রয়োজন ছিল না তাদের। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এই অপরাধের দায় না নিয়ে বিকল্প পথে হেঁটে রাজনীতির মাঠে তাদের শক্ত অবস্থান নেওয়ার দরকার ছিল যখন তখন তারা ভুল রাজনীতির মাধ্যমে পথচ্যুত হচ্ছে।

দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকলেও বিএনপি এখনও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। সরকারের দমননীতির কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি তারা নির্বিঘ্নে পালন করতে না পারলেও তৃণমূল পর্যায়ে দলটির জনসমর্থন এখনও রয়েছে। সাবেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি জাতীয় সংসদের বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালন করলেও বিএনপির কাছাকাছিও জনসমর্থন নাই তাদের, সে সুযোগও নাই। এমন অবস্থায় বিএনপির দরকার তারেক রহমানসহ দলের নেতা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সদস্যের সেই অপরাধকে নিজেদের ওপর টেনে না নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে পথে এগোনোর লক্ষণ নাই তাদের। এই রাজনীতি বিএনপির সঙ্কটকে আরও গভীর করবে।

তারেক রহমানসহ অপরাপর নেতারা বাংলাদেশের ইতিহাসের কলঙ্কজনক এক অধ্যায়ের কুশীলব। এই কলঙ্ক দল হিসেবে নিজেদের ওপর টেনে নিতে বিএনপিই যেখানে প্রবল আগ্রহী সেখানে দলটির ভবিষ্যতের সামনে বিশাল এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এই কলঙ্ক ও সঙ্কট থেকে উত্তরণে বিএনপির দেশে থাকা নেতাদের যেমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার তেমনিভাবে দলের স্বার্থে তারেক রহমানকে তার পদ আর দলের দায়িত্ব ছাড়াও উচিত। 'ব্যক্তির চেয়ে দল বড়'- এই আপ্তবাক্যটির সত্যতা প্রমাণের সুযোগ এখন বিএনপি ও তারেক রহমানের। এতে হয়ত দল হিসেবে বিএনপির টিকে থাকার একটা সম্ভাবনার পথ খুলবে, অন্যথায় নয়!