মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার জন্যই ‘আমরা পারি’

শামস্ রহমানশামস্ রহমান
Published : 17 July 2018, 12:19 PM
Updated : 17 July 2018, 12:19 PM

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার কাছে লেখা এ চিঠি হতে পারতো শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের একটি আবেদন পত্র। দেশে এবং বিশেষ করে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি বিগত আটাশ বছরে। তবে এ চিঠি সে ধরনের কোনও আবেদনপত্র নয়।

এ চিঠি হতে পারতো বাংলাদেশে কোনও প্রযুক্তি কিংবা কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক পদের জন্য আবেদনপত্র। সে অভিজ্ঞতাও আছে বলে আমার বিশ্বাস। তবে, এ চিঠি তাও নয়। গত নয়-দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ সেবাকালীন আপনি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষকে কী দিয়েছেন সেটাই তুলে ধরা এ চিঠির মূল বিষয়। সেই সাথে আমরা যারা প্রবাসী তারা আপনার কাজের সাথে কীভাবে সম্পৃক্ত হতে পারি তারই একটা সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ আছে এ চিঠিতে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজ আর কারও সন্দেহ নেই যে, আপনার দৃঢ়চেতা ও সাহসী নেতৃত্বে গত নয় বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে। বিশেষ করে রাষ্ট্রসেবা প্রদানের গত পাঁচ বছরকে বর্ণনা করা যায় উন্নয়ন, অগ্রগতি, অর্জন আর সাফল্যের ধারাবাহিকতার সময় হিসেবে।

এ সময়ে দেশ অবকাঠামোসহ আর্থ-সামাজিক প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে, আশাতীত সাফল্য অর্জন করেছে। গত নয় বছরে মাথাপিছু আয়, রিজার্ভ, রেমিটেন্সসহ বিভিন্ন সূচকে উন্নতি হয়েছে। এই সময়ে মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় এক হাজার ছয় শ মার্কিন ডলারে, যা কি না পাকিস্তানের মাথাপিছু আয়ের চেয়ে বেশি।

২০০৯ সালে রিজার্ভ ছিল মাত্র ৫০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি যা আজ উঠে এসেছে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। এর মানে, পূর্বে যেখানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে দেশ হিমশিম খেত, আজ প্রায় আট মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত। মাত্র কয়েক  বছর আগেও বাংলাদেশের জিডিপি'র আকার ছিল একশ বিলিয়ন ডলারের নিচে, আজ তা ছাড়িয়ে গেছে আড়াই শ বিলিয়ন ডলার। আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫৭ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশে (সূত্র: দ্য ইকোনোমিস্ট, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭)। এক সময়ের 'তলাহীন ঝুড়ি'র অপবাদ পাওয়া বাংলাদেশ, আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এ সবই সম্ভব হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার বিচক্ষণ, বলিষ্ঠ আর সাহসী নেতৃত্বের কারণে। এই সাফল্যের সঙ্গে জাতির জন্য এসেছে বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও প্রশংসা।

তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এ উন্নয়ন কী শুধুই 'ফিজিক্যাল' অর্থে? প্রকৃতপক্ষে, ফিজিক্যাল অর্থের পাশাপাশি উন্নয়নের একটি মনস্তত্ত্বিক দিক থাকে, যার মাধ্যমে একটি জাতির মাঝে জন্ম নেয় আত্নবিশ্বাস। যার সহজ মানে- 'হ্যাঁ, আমরা পারি'। ধীরে ধীরে পদ্মার ওপর দাঁড়িয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ সেতু- এটা ফিজিক্যাল, যা দৃশ্যমান বা স্পর্শনীয়। পাশাপাশি অন্যদিকটি মনস্তাত্ত্বিক ও অর্স্পশনীয়, যা আমরা দেখি না, যা জাতির কাছে ধরা দেয় শুধুই অনুভবে। তাই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মানের অপর  নাম- আত্নবিশ্বাস। 'হ্যাঁ, আমরা পারি'।

ইতোমধ্যে দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতির জন্য প্রয়োজনীয় তিনটি শর্ত যথা, আয়, মানবসম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচক পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে যা অর্জনে প্রয়োজন ছিল রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার। তাই স্বল্প সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার অপর নাম আত্নবিশ্বাস- আমরা পারি। উন্নত বিশ্ব যেখানে কয়েক হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে কিংবা রাজনৈতিক ছল-চাতুরির আশ্রয় নেয়, সেখানে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সরকার লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে আশ্রয় নিয়েছে, মানবিক দৃষ্টিকোণের বিচারে যা এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত।

তাই বাস্তচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য শুধু 'মাদার অফ হিউম্যানিটি' কিংবা 'নিউ স্টার অফ দি ইস্ট' উপাধি পাওয়াই নয়, এর অপর নাম আত্নবিশ্বাস- 'আমরা পারি'। জাতির জনকের হত্যার বিচার এবং অপরাধীদের শাস্তি প্রদান করার অপর নাম আত্নবিশ্বাস- হ্যাঁ, আমরা পারি।

১৯৭৫ এর পর স্বাধীনতা বিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধী চক্র যেভাবে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর বিষয়টি ছিল অকল্পনীয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। তাই স্বাধীনতা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অপর নাম আত্নবিশ্বাস- 'হাঁ, আমরা পারি'। দীর্ঘদিন জাতি আত্নবিশ্বাসহীনতায় ভুগেছে। আপনার আপসহীন ও সাহসী নেতৃত্বে 'হ্যাঁ, আমরা পারি'- এই আত্নবিশ্বাসে আপনি বিশ্বাসী করে তুলেছেন বাংলাদেশের জনগণকে। বাঙালি জাতির জন্য এটাই আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

অতীতে আরও একবার 'আত্নবিশ্বাসে' জেগে উঠেছিল বাংলার মানুষ। সেটা ছিল ১৯৭০-৭১ সালে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 'জয় বাংলা'য় জনগণের মাঝে জাগিয়েছিল আত্নবিশ্বাস। যে আত্নবিশ্বাসে জন্মেছিল আত্ননিয়ন্ত্রণের শক্তি। যার মাঝে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা। আপনার জাগানো আত্নবিশ্বাস- 'আমরা পারি'তে ধাপে ধাপে আমরা অর্জন করে চলেছি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। দেশ গড়ার এই আত্নবিশ্বাসের সাথে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও চাই সম্পৃক্ত হতে।

আজ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অভিবাসী বা প্রবাসী হয়ে বসবাস করছে প্রায় ১০ মিলিয়ন বাংলাদেশি। সে তুলনায় আমরা যারা অস্ট্রেলিয়ায়, তাদের সংখ্যা অত্যন্ত নগন্য – মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ হাজার। তবে আমরা দক্ষ। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনবিদ, অর্থনীতিবিদ, কৃষিবিদ, শিক্ষক,  বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, ব্যবস্থাপনা এবং আইটি বিশেষজ্ঞ, সেবা প্রদানকারী এবং সফল ব্যবসায়ী।  

মাত্র ১৮ বছর বয়সে যখন প্রথম বিদেশে যাই, সেই সত্তরের দশকে, তখন 'ব্রেইন-ড্রেইন' ধারণার সাথে পরিচিত হই। আমি নিজেও তখন ভেবেছি – পড়ালেখা শেষে দেশের ছেলে ফিরে যাবে দেশে। তা না হলে দেশের ক্ষতি, সম্পদের অপচয়। তারপর এক সাগর জল বয়ে গেছে পদ্মা-যমুনায়- আমি নিজেও একদিন পাড়ি জমিয়েছি অস্ট্রেলিয়ায় এবং আমার মতো আরও ৬০ – ৬৫ হাজার বাংলাদেশি। নিঃসন্দেহে এটা 'ব্রেইন-ড্রেইন'। তবে, আজকে আমাদের প্রশ্ন – কীভাবে এই  'ব্রেইন-ড্রেইন'কে 'ব্রেইন-গেইনে'  রূপান্তরিত করা যায়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সমসাময়িক বিশ্বের প্রেক্ষাপটে 'ব্রেইন-ড্রেইন' ও 'ব্রেইন গেইন'কে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আমদানি-রপ্তানি'র পর্যায়ে বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন বলে আমার বিশ্বাস। দুটো ধারণাকেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা অত্যাবশ্যক।

'ব্রেইন-ড্রেইন'কে ভাবা যায় রপ্তানির ধারণায়। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলদেশের মানব সম্পদ রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশ হয় আধাদক্ষ কিংবা অদক্ষ শ্রেণিভূক্ত (এডিবি-২০১৬)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কারিগরি ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে লাগসই দক্ষ এবং প্রফেশনাল কারিগর ও সেবাদানকারী তৈরি করে আমাদের চলমান মানব সম্পদ রপ্তানি প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করা সম্ভব।

এর মাঝে একদিকে মানব সম্পদ রপ্তানি যেমন বাড়ানো সম্ভব, তেমনি সম্ভব কার্যক্ষেত্রে 'হাই-ভ্যালু-অ্যাড' করা। ফলে, রেমিটেন্সের বর্তমান পরিমাণ ১৪ বিলিয়ন থেকে অদূর ভবিষ্যতে দ্বিগুণ বাড়ানো মোটেই অসম্ভব নয়।

একই ভাবে 'ব্রেইন-ড্রেইন'কে আমদানির ধারণার বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশি প্রবাসী যারা বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কার্যরত, তাদের খণ্ডকালীন কিংবা দীর্ঘ সময়ের জন্য দেশে এনে বা আসার সুযোগ সৃষ্টি করে কাজে লাগানোই 'ব্রেইন-গেইন' বলছি। নব্বই দশকের গোড়ার দিকে রাজীব গান্ধী ভারতের অর্থনীতির দরজা খুলে দেন। ভারত উন্মুক্ত বাজারের অংশ হয়। ক্রমে আমেরিকায় কাজ করছেন এমন অনেক ভারতীয় আবার দেশে ফিরে আসেন পাকাপক্ত হয়ে।

ম্যাঙ্গালোরের সিলিকন ভ্যালিতে যারা আজ জড়িত, তাদের বেশির ভাগই একসময় প্রবাসে বহুজাতিক কম্পানিতে কাজ করতেন বিভিন্ন পদে। এটাই 'ব্রেইন-গেইন'। ব্যাঙ্গালোরের  সিলিকন ভ্যালি একটি উদাহরণ মাত্র। এ প্রক্রিয়া ঘটেছে ভারতে আরও বহু শিল্পে। একই ব্যাপার ঘটেছে চীনের ক্ষেত্রেও। আশির দশকে শুরু থেকে যে 'ব্রেইন-ড্রেইন' হয়েছে, তা কমানো এবং সেটি 'ব্রেইন গেইনে' রূপান্তরের মাধ্যমে চীন পেয়েছে বড় সাফল্য।

আমরা প্রবাসীরা প্রতিবছরই দেশে বেড়াতে গিয়ে, অনেকেই নিজের মতো করে নিজ নিজ ক্ষেত্রে কিছু অবদানের প্রয়াস চালাই। তবে তা নিতান্তই পিস্‌-মেল (সামান্য বা খণ্ড) প্রকৃতির। দেশের জন্য 'ব্রেইন গেইন' এর প্রচেষ্টায় এটা একটি বড় অন্তরায় বা চ্যালেঞ্জ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সংগঠিতভাবে আপনার সরকার ভাবতে পারে কী এ ব্যাপারে? কোনও স্ট্রাটেজিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে কী 'ব্রেইন-গেইন' এর ধারণাকে আওতায় নিয়ে? এ ধারণার সঠিক বাস্তবায়নে স্বল্প ব্যয়ে জাতি পেতে পারে দক্ষ বিশেষজ্ঞদের সেবা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এ বিষয়ে আপনার ইতিবাচক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি আমরা প্রবাসীরা।

আমার জানা মতে, বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফেরার পথে লন্ডনে পৌঁছান, তখন তিনি বিলাতে অবস্থিত বাঙালি চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, দেশে ফিরে দেশ গড়ার কাজে অংশ নিতে। আজকের 'ব্রেইন-গেইন' ধারণা সেদিনের সেই ধারাবাহিকতারই অংশ। শিগগিরই আমরা আপনার 'ভিশন টুয়েন্টি ওয়ান' এর মাঝে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দাঁড়াবো। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজন আভ্যন্তরীণ এবং বহি:স্থ উভয় সম্পদের সমন্বয়। 'ব্রেইন-গেইন' সামগ্রিক বহি:স্থ সম্পদের এক 'আন-ট্যাপড' (কাজে লাগানো হয়নি এমন)  সম্পদ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এ লক্ষ্যে আমি প্রস্তাব করছি, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বে অবস্থানরত বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, কৃষিসহ বিভিন্ন বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি গ্লোবাল নেটওর্য়াক অব বাংলাদেশি এক্সপার্টস (সংক্ষেপে জিএনওবিইক্স) গঠন করার। বিশেষজ্ঞদের ডেটা-বেস এবং বিশেষজ্ঞ-টিম তৈরিতে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশন সমন্বয়কারীর ভুমিকা নিতে পারে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং মেগা প্রজেক্টের সাথে এই বিশেষজ্ঞরা টিম-বেসিসে অংশ নিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের দ্বারা গঠিত এ জাতীয় টিম উন্নত দেশের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সব ধরনের স্কিল দিয়ে খুব দ্রুতই আমাদের অর্থনীতি বিকীর্ণ করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের দেশের প্রতি মমত্ববোধের কারণে তাদের প্রচেষ্টায় 'মাল্টিপ্লায়ার এফেক্ট' পরিলক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি । 'ব্রেইন-গেইন' এর প্রচেষ্টায় ভারত এবং চীন লাভবান হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস- 'আমরাও পারবো'।

গত ২৮ এপ্রিল ২০১৮ সোফিটেল সিডনি ওয়েন্টওয়ার্থ হোটেলে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্র শেখ হাসিনাকে দেওয়া 'গণসংবর্ধনা'য় লেখকের দেওয়া বক্তৃতার অংশ