সরকার-বিরোধিতা ও দেশ-বিরোধিতার পার্থক্যটাও আর থাকছে না

মাসুদা ভাট্টি
Published : 6 April 2018, 05:05 PM
Updated : 6 April 2018, 05:05 PM

ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যে গণভোটটির আয়োজন করা হয়েছিল, পৃথিবীময় যা 'ব্রেক্সিট' হিসেবে পরিচিত তার প্রচারনায় ব্রিটিশ ইতিহাসের সর্বোচ্চ মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের পক্ষে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য রাতারাতি 'ইউকিপ' (ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টি) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছিল, যাদের মূল কাজ ছিল ভোটারদের মাঝে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট আদায় করা। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন ব্রেক্সিটপন্থী না হয়েও যে পরিমাণ চাপের কারণে তিনি ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বেরুনোর জন্য একটি গণভোটের আয়োজন করেছিলেন তাতে ব্রিটেনের যে কেউ অবাক হয়ে এ প্রশ্ন তুলতেই পারতেন যে, যারা গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের শিক্ষা ফেরি করে বেড়ায় বিশ্বময় তারাই কেন একটি বৃহৎ একত্ববোধ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করছে? কোন সে গুপ্ত কারণ এর পেছনে রয়েছে? ব্রিটিশ ভোটারদের কাছে এমন তথ্যও হাজির করা হয়েছে যে, প্রতিদিন/প্রতিসপ্তাহে ইউরোপিয় ইউনিয়নকে তিনশ মিলিয়ন পাউন্ড গুণতে হচ্ছে, যা ব্রিটিশ ট্যাক্স পরিশোধকারীদেরই অর্থ মূলতঃ। এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলি থেকে অভিবাসীরা এসে ব্রিটেনকে পূর্ণ করে ফেলার গালগপ্প। ব্রিটেনের নিম্ন আয়ের লোকেরাও যে চাকুরি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত ক্ষুদ্র দেশগুলি (লাতভিয়া, লিথুয়েনিয়া, এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড, রুমেনিয়া) থেকে আগত অভিবাসীরা সেসব অনায়াসে করে যাচ্ছিলো এবং এখন একথা প্রমাণ করা গেছে যে, ব্রিটেনের অর্থনীতিতে এই অভিবাসীরা নুতন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছে। গণভোটে ব্রিটেনবাসী ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বেরুনোর পক্ষে ভোট দিয়েছে, যদিও খুব কম ব্যবধান যারা ইউনিয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাদের সঙ্গে। কিন্তু প্রায় এক বছরেরও বেশি হতে চলেছে এখনও ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে এই 'ডিভোর্সের' হিসেব-নিকেশ করে ওঠা যায়নি, যাও গিয়েছে তাতে ব্রিটেনের যে ক্ষতিই হচ্ছে সেকথা এখন ব্রিটেনের পত্রপত্রিকা খুললেই জানা যায়। প্রকাশ্যেই এখন ব্রিটেনের সেইসব বুদ্ধিজীবীরা যারা ব্রেক্সিটের পক্ষে ওকালতি করেছিলেন এবং দেশময় মিথ্যা প্রচারণার ঢোল পিটিয়েছিলেন তারাও স্বীকার করছেন যে, তাদের সে সময়কার অবস্থান ভুল ছিল এবং ব্রিটেনকে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বের করে আনার সিদ্ধান্তটা আসলে চরম বোকামিই হয়েছে। এখন কেউ কেউ নতুন করে গণভোটের দাবীও জানাচ্ছেন কিন্তু যে থুতু একবার ফেলা হয়ে গিয়েছে জাত্যাভিমানী ব্রিটিশরা সেই থুতু আবার গিলবে, এরকমটি ভাববার কোনো কারণ আছে বলে বিশ্লেষকগণ মনে করেন না।

ব্রিটেনের বুদ্ধিজীবীকুলের যে অংশ ব্রেক্সিটকে সমর্থন করে মিথ্যা প্রচার-প্রপাগান্ডায় সামিল হয়েছিলেন তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি বিশাল বুুদ্ধিজীবীকুলের নিদারুণ মিল লক্ষ্য করা যায় বলেই প্রথমে ব্রেক্সিট সম্পর্কে এতো কথা বলা হলো। বাংলাদেশেও আমরা দেখতে পাই যে, একদল মানুষ ক্রমাগত একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিত্বকে খারিজ করে দেন, এই ব্যক্তি বা দলটির কৃতকর্মের বিচার না করেই। তাদের এই বিদ্বেষ এতোটাই দৃষ্টিকটু হয়ে পড়ে যে, সেটি চরম নোংরামিতে পর্যবশিত হয়। কিছু উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা যাক।

এক. বাংলাদেশের রাজনীতির একটি ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত তৈরি করেছে দেশের দু'দু'টি সামরিক শাসন, যার দু'টিরই রয়েছে রক্তাক্ত ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর, জেলের ভেতর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ভেতর দিয়ে যে ভাবে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়েছিল এদেশে সেই ধারাবাহিকতা থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি। মুক্ত হতে না পারার অন্যতম কারণ, সামরিক বাহিনীর লেগেসি নিয়ে দু'দু'টো রাজনৈতিক দল তৈরি হওয়া এবং তাদের ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি। ক্ষমতার জন্য কখনও ধর্মকে, কখনও ভোট জালিয়াতিকে, কখনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে জিম্মি করে যে রাজনীতি এদেশে সামরিক লেগেসি থেকে আসা দলগুলো করেছে এতোদিন ধরে তা থেকে বেরিয়ে দেশকে একটি সঠিক ও গণতান্ত্রিক পথে নিয়ে যাওয়া যে সহজ নয় সেটা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দলটির ক্রমাগত পিছু হঠার রাজনীতি থেকে বুঝতে পারছি। যেহেতু ভোটের রাজনীতি তাদেরকেও করতে হচ্ছে সেহেতু ভোটারদের ভেতর দশকব্যাপী অপপ্রচার, দুর্নীতির সুযোগ, ক্ষমতার দাপট, অগণতান্ত্রিক চেতনা এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো ভোট-বিক্রির জন্য কালোটাকার ব্যবহার থেকে দেশ ও রাজনীতিকে মুক্ত করাটা যে এই দলটির পক্ষে এককভাবে সম্ভবপর নয় সেটা বোঝার জন্য রাজনীতির পণ্ডিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই দীর্ঘ অপ-রাজনীতি এখন এই দলটিকেও আস্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে। মজার ব্যাপার হলো, দেশের রাজনীতির এই গোড়ার ইতিহাস আমাদের বিশেষ বুদ্ধিজীবীকুল জানেন না তা নয়, বরং তারা কখনও এর সুবিধাভোগী, কখনও এর সঙ্গী এবং কখনও তারা প্রত্যক্ষদর্শীও। কিন্তু যে মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দলটি বা তার নেতৃত্ব সামান্য সুযোগ পেয়ে দেশের রাজনীতি, সমাজ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বদলানোর একটুখানি চেষ্টা করেন তখনই এই বিশেষ বুদ্ধিজীবী সমাজ হা রে রে করে তেড়ে আসতে শুরু করেন।
কোথায় দেশের রাজনীতির এই গোড়ায় গলদকে আমলে নিয়ে সামরিক শক্তির রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের হাত থেকে দেশ ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য সকলের সহযোগিতা কাম্য ছিল, তা না করে আজকে সর্বত্রই কখনও 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড', কখনও 'গণতন্ত্র রক্ষা'র নাম করে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট রাজনৈতিক পক্ষের 'ধামাধরা'র ভূমিকায় তাদের দেখা যায়। ত্রিশের দশকের জার্মানিতে সমাজতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে হিটলারকে রক্ষা করতে একদল বুদ্ধিজীবী একাট্টা হয়েছিলেন, কিন্তু হিটলার যখন 'দৈত্য' হয়ে উঠেছিল তখন তাকে বধিবার জন্য এসব বুদ্ধিজীবীদের কেউ অবশিষ্ট ছিলেন না, কারণ ততদিনে তারা মারা পড়েছিলেন হিটলারেরই হাতে। ২০০১ সালে যখন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারীরা ক্ষমতায় বসেছিল এবং হাওয়া ভবন নামে একটি নতুন 'গেস্টাপোকক্ষ' তৈরি হয়েছিল তখন কিন্তু এই বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সেখানে গিয়ে হয় ধর্না দিয়েছিলেন নয়, তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছিলেন। দুর্নীতিতে পর পর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশকে তখন তাদের কাছে খুব একটা অসহ্য মনে হয়নি। আজকে যাদেরকে আমরা টক-শো, পত্রপত্রিকার পাতা কিংবা সভা-সমিতেতে সোচ্চারকন্ঠ হিসেবে দেখি তাদের অনেকেই সে সময় হয় নিজেদের মিশিয়ে ফেলেছিলেন হাওয়া ভবনের সঙ্গে কিংবা দূরে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন "দেখি না কী করে" জাতীয় মনোভাব নিয়ে।

দুই. আন্তর্জাতিক মুরুব্বিদের কাছে বাংলাদেশ একটি 'বাস্কেট কেইস' হিসেবেই ভালো থাকে কারণ তাতে দেশটির ওপর ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ থাকে দেদার। প্যারিস কনসোর্টিয়ামের নাম এক সময় খুউব শোনা যেতো, যেখানে বসে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভাগ্য নির্ধারিত হতো। সেই কনসোর্টিয়াম সম্পর্কে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান প্রায়ই হাস্যরসাত্মক কথা বলতেন। আন্তর্জাতিক ভাবে খ্যাতিমান বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদের অনেকেই এই কনসোর্টিয়ামের হয়ে কাজ করতেন কিন্তু তারা বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণের এই অক্ষমতা সম্পর্কে কোনোদিন কিছু বলেছেন বলে জানা যায় না। কারণ, তাদের আয়ের উৎসটাই ছিল সেটা। কিন্তু আজকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে, প্যারিস কনসোর্টিয়ামের প্রয়োজনীয়তাও ফুরিয়েছে এবং বাংলাদেশকে উঠতি অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলকে। ফলে বাংলাদেশের ভেতরকার যে পক্ষটি এতোদিন এই প্যারিস কনসোর্টিয়ামের পক্ষে কাজ করে নিজেদের ভাগ্য গড়তেন তাদের ভাগ্যে একটু টান পড়েছে বৈকি, তারা সেই আক্ষেপটি এখন ক্ষোভে পরিণত করে দেশের যতোটুকু উন্নতিই হয়েছে, তার বিরুদ্ধে বলছেন। উন্নয়ন হলেও গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র থাকলেও কথা বলার সুযোগ নেই, কথা বলার সুযোগ থাকলেও কথা বলার জায়গা নেই ।  ছেলে চাকুরি পেলেও বেতন পাবে না, বেতন পেলেও তা ঘরে আনতে পারবে না, ঘরে আনতে পারলেও সেটা দিয়ে কিছু কেনা যাবে না'র মতো পরিস্থিতি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিরাজমান।
তিন. মজার ব্যাপার হলো, এই বুদ্ধিজীবীকুলের প্রিয় কিছু গণমাধ্যম রয়েছে। সেখানে প্রকাশিত যে কোনো সংবাদই তাদের কাছে বেদবাক্যের মতো। যখন, যেভাবে এবং যে কোনো সূত্র উল্লেখ করেই সংবাদটি প্রকাশিত হোক না কেন তারা সেটিকে গ্রহণ করতে সময়ক্ষেপণ করেন না এবং তা নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। কিন্তু অন্য কোনো মাধ্যমে যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির সংবাদ/প্রতিবেদন প্রকাশিত/প্রচারিত হয় তাহলে তারা সেটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে থাকেন। আরো মজার ব্যাপার হলো, তারা কিন্তু এই একই প্রতিষ্ঠানে যখন সরকার-বিরোধী কোনো তথ্য বা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তখন সেটিকে গ্রহণ করতে দ্বিধা করেন না। বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাসনদের সঙ্গে তখন তারা এতোটাই অন্যায় করেন যে, তারা বুঝতেও পারেন না যে, অভিযোগ আর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এক ব্যাপার নয়। সব অনুসন্ধানী প্রতিবেদনেই যে আত্মপক্ষের সুযোগ দেওয়া যায় না সে কথা একাধিক ব্যক্তির বুঝিয়ে বলার পরও তারা অনড় থাকেন তাদের প্রশ্নে, "খবরের সত্যতা কি?" "আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে আরেকটি অন্যায় করলেন", "সংবাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কি?"

দীর্ঘ ও একাধিক উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে আলোচ্য বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে। কিন্তু তাতে নিবন্ধের কলেবর বাড়বে কেবল। নিবন্ধটি শুরু হয়েছিল ব্রিটেনের কথা দিয়ে, শেষও করা যাক সেটা দিয়েই। ব্রিটেনের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল লেবার দলের বর্তমান নেতা জেরেমি করবিন প্রচলিত ধারার নেতা নন, তাকে বলা হয়ে থাকে, ধনতান্ত্রিক ব্রিটেনের সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তি। তার এই পরিচয়ের কারণে তার বিরুদ্ধে ব্রিটেনের বুদ্ধিজীবীকুল বলতে গেলে একাট্টাই। তার আগে যিনি লেবার দলের নেতা হয়েছিলেন সেই মি. মিলিব্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রচারণায় তার শারীরিক ত্রুটিকে পর্যন্ত ব্রিটেনের বুদ্ধিজীবীকুল মানুষের সামনে আনতে দ্বিধা করেনি। সেটাও যে একটি ভুল ছিল সেকথা আজকে কেউ কেউ স্বীকার করেন। কিন্তু ব্রেক্সিট প্রচারণায় এইসব মিথ্যাচার যেন সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল যার ফল ব্রিটেন আজকে হাড়ে হাড়ে ভোগ করছে। বাংলাদেশেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সরকার-বিরোধিতা প্রায়শঃই হয়ে উঠছে দেশ-বিরোধিতা এবং তার ফলও বাংলাদেশকে ভোগ করতে হবে, এ থেকে আমাদের কোনো নিস্তার নেই । মজার ব্যাপার হলো, আজকে যারা এই সরকার-বিরোধিতার নামে দেশ-বিরোধিতায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদেরকে তখন খুঁজেও পাওয়া যাবে না দেশোদ্ধারে বা গণতন্ত্র উদ্ধারে, যেমনটি তাদেরকে দেখা যায়নি ১/১১-র সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক আমলে, যখন এদেশে গণতন্ত্র তো ছিলই না, ছিল না কোনো উন্নয়নও। সরকার-বিরোধিতা করতে করতে কখন যে তারা দেশ-বিরোধিতাও করে ফেলছেন, সেটাও যেন তারা লক্ষ্য করতে পারছেন না। ব্রেক্সিট-বিরোধী বুদ্ধিজীবীরা এখন বুঝতে পারছেন এবং সেটা স্বীকার করছেন, ব্রিটেনের সেই সক্ষমতা আছে ভুলের মাশুল গোনার, বাংলাদেশের আছে কি?