এমন একটি বিরোধীদল চাই…

রণেশ মৈত্র
Published : 27 March 2018, 12:30 PM
Updated : 27 March 2018, 12:30 PM

আমাদের জাতীয় সংসদে একটি বিরোধী দল আছে। যদিও সংসদে জাতীয় কার্যকলাপে, সংসদ অধিবেশনগুলির আলাপ-আলোচনায়, তর্ক-বিতর্কে, মাঠে-ময়দানের আন্দোলন সংগ্রামে, কোথাও জনগণ তাদের হদিস পান না। তাঁরা দেখেন নাম ভিন্ন হলেও সেটিও সরকারি দল, বলা চলে দুই নম্বর সরকারি দল।

এই দুই নম্বরি দলের দুই নম্বরি নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ হলেন 'সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী'। সরকারি সমর্থনেই নির্বাচিত, সরকারি ইচ্ছাতেই প্রতিষ্ঠিত 'বিরোধীদলীয় নেত্রী'। একসময় আ স ম রব-কে আমরা যেমন দেখেছি, মানের দিক থেকে ইনি সম্ভবত তাঁরও নিচে। তবুও খাতা-কলমে হলেও জাতীয় সংসদে একজন বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে আছেন।

প্রিয় পাঠক-পাঠিকারা হয়ত ইতোমধ্যে স্মৃতিতে আনতে পেরেছেন, অনুমান করতে পেরেছেন এই দুই নম্বরি দলটির নাম 'জাতীয় পার্টি', যার এক নম্বর নেতাটির নাম হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। আর দলটির দুই নম্বর নেতা তাঁরই পত্নী বেগম রওশন এরশাদ।

সরকারি দল বেগম এরশাদকে পরিচিত করে দিয়েছেন সংসদে 'বিরোধী দলীয় নেতা' হিসাবে। এক অসাধারণ বিরোধীদলীয় নেতাই বটে কারণ সাধারণত: সংসদে বিরোধীদলীয় নেতারা তাদের বক্তৃতায় সংসদ কাঁপিয়ে তোলেন আর বেগম এরশাদ? বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সংসদকে ঠাণ্ডা মাথায় ঘুম পাড়িয়ে দেন। অতীতের আ স ম রব অভিহিত হতেন- 'গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা' হিসেবে। তাঁর দলের নামও ছিল (জাসদ-রব)।

তিনি মাঝে মধ্যে দু'একটি প্রশ্নে ফোন করতেন আপোষে, সরকারকে আঘাত না করে এবং যথাসময়ে সরকারকে সমর্থন দিয়ে যেতেন বরাবর।

বেগম রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় নেত্রী। আবার দলের কয়েকজন নেতা শুরু থেকেই দিব্যি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পদেও আসীন আছেন। আবার দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদায়। তিনি দাবি করেন জাতীয় পার্টি বিরোধী দল। কখনও কখনও ফোঁস করেন, যদি তা দেখে জনগণ হাসে। অপরপক্ষে বেগম রওশন এরশাদ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে বলেছেন মানুষকে বিশ্বাস করানো যাচ্ছে না যে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল। তাই অনুগ্রহ করে তাঁর দলীয় (জাতীয় পার্টি) মন্ত্রীদের অব্যাহতি দিন।

মজার ব্যাপার হলো বিরোধীদলীয় নেত্রী কিন্তু তার ওই মন্ত্রীদের পদত্যাগ করতে বলেননি। কারণ হয়ত এই যে, তেমন কথা মন্ত্রীদেরকে বলে লাভ হবে না। কেউই পদত্যাগ করবেন না- এটা তিনি ভালভাবে জানেন।

যাইহোক, এই বিচিত্র দলটি বস্তুত ভাগ্যবান। কারণ তাদের দলের মূল নেতার বিরুদ্ধে থাকা যাবতীয় দুর্নীতির মোকদ্দমা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে ক্ষমতাসীন বিরোধী দল বানিয়ে নতুন ধরনের বিরোধী দলের বিচিত্র মর্যাদায় অভিষিক্ত করা হয়েছে। আশির দশকের তীব্র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও দেশের জনগণের ঐতিহ্যবাহী আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসকেও কার্যত ইতিহাসের পাতা থেকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর্যায়ে পৌঁছেছে।

যাহোক, শতকরা একজন মানুষও মনে করে না জাতীয় পার্টি বিরোধী দল। তবু যেহেতু তেমন একটি দাবি করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয় তাই একটু 'স্পেস' গুরুত্বহীন দলটিকে দিতে হলো।

প্রকৃতপক্ষে মানুষ বিএনপি আর জামায়াতে ইসলামকে বিরোধী দল মনে করে। আর এই বিবেচনা পরিপূর্ণরূপে স্থান পেয়েছে তাদের সাংগঠনিক শক্তি, বিভিন্ন নির্বাচনে তাদের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা- এগুলির বিবেচনায়। বস্তুত, বিবেচনার থেকে আমরা যদি এগুলোকেই প্রাধান্য দেই তবে তো মানতেই হয় যে এই দুটিই হলো আসল বিরোধী দল। যদিও এই জাতীয় বিবেচনা কদাপি আদর্শিক চেতনা প্রসূত নয়। সামাজিক-অর্থনৈতিক দেশপ্রেমিক বা জনস্বার্থকেন্দ্রিক মৌলিক কোন চিন্তা প্রসূত নয়।

ক্ষমতায় দীর্ঘকাল যাবৎ রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। এই দলটি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত। দলটি বহু আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭০ সালে সমগ্র বাঙ্গালি জাতির ঐক্যবদ্ধ এবং দ্বিধাহীন সমর্থনে অভূতপূর্ব বিজয় লাভে সমর্থ হয়। কিন্তু যে রায় অস্বীকার করার রোষ বহুগুণে বৃদ্ধি পায় পাকিস্তানি সামরিক শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এবং শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে এবং শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দেশ-বিদেশের বিপুল সমর্থনে নয় মাস যাবৎ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটিয়েছিল।

দীর্ঘকাল যাবৎ দেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামী লীগের মিত্র হিসেবে লড়াই করেছে বামপন্থী দুটি ঐতিহ্যবাহী দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এই দুটি দল ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নির্মমভাবে পরাজিত হলেও বিজয়ী আওয়ামী লীগকে তারা বিজয়ের সাথে সাথে অকৃত্রিম অভিনন্দন জানিয়েছিল এবং অবিলম্বে ঐ রায় কার্যকর করার জন্য বঙ্গবন্ধুর হাতে গোটা পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছিল।

ঐ দাবিতে আন্দোলনের বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে দলটি দিনরাত কাজ করেছিল। ১৯৭১ এর মহান সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধেও ন্যাপ ও কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা ছিল অসাধারণ এবং গভীর তাৎপর্যময়।

ঐ সময়ে অর্থাৎ পাকিস্তান আমলে ন্যাপের সাংগঠনিক শক্তি ছিল বিপুল, যদিও তা মধ্যবিত্তভিত্তিক। সর্বজন স্বীকৃত ছিল যে ন্যাপ হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম দল তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানে। নির্বাচনের ফলাফলেও তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ন্যাপের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যার বিবেচনায়। যদিও ন্যাপের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা হত অত্যন্ত কম।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ছিল তখন নিষিদ্ধ। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ন্যাপের অভ্যন্তরে কাজ করতে এবং সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমরেড অমূল্য লাহিড়ী, রবি নিয়োগী, অজয় রায় এবং আমিসহ পূর্ব বাংলার সকল জেলার বহু পরিচিত ও অপরিচিত বামপন্থী নেতা-কর্মী ন্যাপে থেকে কাজ করতেন।

সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ, একচেটিয়া পুঁজিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সমাজতান্ত্রিক সমাজ ও সম্পদশালী দেশ গড়ার দাবিতে ছিল চ্যাম্পিয়ন। বস্তুত সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা পাকিস্তানের বুকে সেই প্রতিক্রিয়াশীল আদর্শের ভিত্তিতে দেশবাসীর মধ্যে প্রগতিশীল চেতনা গড়ে তোলা এবং তা দৃঢ় ও বদ্ধমূল করার ক্ষেত্রে ন্যাপের ভূমিকা ছিল তুলনাহীন-তার অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। তেমনি সাম্রাজ্যবাদ বিশেষ করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ যে পাকিস্তানসহ গোটা বিশ্বের মাঝে শোষণ করে যাচ্ছে- তাও যথার্থভাবে তুলে ধরতে এবং যুবসমাজ ও দেশবাসীকে বিপুলভাবে সেই মতের অনুসারী করে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল তৎকালীন পাকিস্তানের এই বৃহত্তম বামপন্থী দলটি।

মহান মুক্তিযুদ্ধেও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। কিন্তু বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির বিপর্যয়, নেতৃত্বের মত দ্বৈততা, ন্যাপ থেকে কমিউনিস্টদের প্রত্যাহার করে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলা প্রকাশ্য দল হিসেবে এবং তাতেও ভাঙ্গন সৃষ্টি হওয়া- একাধিক নানা কারণে আজ এই দলগুলি অত্যন্ত ছোট ও দুর্বল দলে পরিণত হওয়ার দুটি বড় দলের বিকল্প শক্তি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়ানো তাদের পক্ষে কার্যত সম্ভব হয়ে উঠছে না। তদুপরি অস্ত্রের ব্যবহার ও রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন ঘটায় নীতিনিষ্ঠ রাজনীতিও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

এহেন পরিস্থিতিতেই বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী শক্তিশালী 'বিরোধী দল' বলে বিবেচিত হয়ে আসছে সেই আশির দশক থেকেই। কিন্তু নীতিগত অবস্থান যদি (বড় দলগুলির) ধীরস্থিরভাবে বিবেচনা করা যায়- আদর্শগত দিকগুলিকেও যদি সূক্ষ্ণ পর্যালোচনায় সামনে আনা যায়, তবে দিব্যি প্রতিভাত হয় যে বস্তুত বিএনপি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে ময়দানে বিবেচিত হলেও নীতি আদর্শের বিবেচনায় আদৌ তা নয়। শ্রেণিগত অবস্থানের ক্ষেত্রেও পার্থক্য ক্ষীয়মান।

এই আলোচনায় গভীরভাবে স্মরণ রাখতে হবে যে পাকিস্তানের ২৩ বছরের দীর্ঘ ও ধারাবাহিক গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা এবং একাত্তরের মহান সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে জীবন বাজি রাখা যুদ্ধে বাঙালি জাতি বিজয় অর্জন করেছিল তার মাধ্যমে পাকিস্তানের মৌল আদর্শ সাম্প্রদায়িকতা ও পুঁজিবাদী ব্যবস্থা হয়েছিল পরিত্যক্ত ও পরাজিত। আর বিজয় ও সাফল্য অর্জন করেছিল ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্র।

দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে ২৩ বছর আন্দোলনকালীন ও মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ও পরবর্তীতে '৭২-এর সংবিধান গ্রহণে আওয়ামীলীগের যে বলিষ্ঠ আদর্শিক চরিত্র ও অবস্থান দেশে-বিদেশে প্রতিফলিত ও সমাদৃত হয়েছিল সেই অবস্থানে আওয়ামী লীগ আর নেই।

আজকের আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শগুলিকে আর আঁকড়ে ধরে নেই বরং সংবিধানে জিয়ার 'বিসমিল্লাহ', জামায়াত ও ধর্মাশ্রয়ী দলগুলির সাংবিধানিক বৈধতা প্রদান, হেফাজতে ইসলামের সাথে সমঝোতা, এরশাদের 'রাষ্ট্রধর্ম' এর সাংবিধানিকীকরণ, ধর্মীয় ও সংখ্যালঘুদের উপর পরিচালিত নির্যাতনে অংশগ্রহণ, নেপথ্যে ভূমিকা পালন এবং অপরাধীদের বিচারামলে না আনা প্রভৃতির মাধ্যমে আজকের আওয়ামী লীগ ভয়ঙ্করভাবে নীতি-আদর্শের বিচ্যুতিতে নিপতিত এবং ঠিক একারণেই বিএনপি-র সাথে তার মৌলিক আদর্শগত গরমিল আজ প্রায় অন্তর্হিত।

ষ্পষ্টতই বলা যায় দু'দলের লড়াই আদর্শিক দ্বন্দ্ব বা মতানৈক্যের কারণে নয় তা, পুরোদস্তুর ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে পরিচালিত। বিগত দিনের কোন আদর্শের বাস্তবায়নের জন্য নয়।

ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের বিরোধী অবস্থানে থাকলেও বিএনপি আওয়ামী লীগের আদর্শের বিরোধিতা করছে না। বরং নেতিবাচক অবস্থান থেকে ক্ষমতালিপ্সায় তার প্রধান ও মুখ্য বিষয় হওয়াতে এ জাতীয় দলকে বিরোধী দল বলে প্রকৃতপক্ষে বিবেচনা করা দেশের ও জনগণের জন্যই ক্ষতিকারক।

বিএনপি কখনো 'বিসমিল্লাহ' প্রশ্নে, জামায়াতে ইসলামী ও ধর্মাশ্রয়ী অপরাপর দলকে বৈধতা প্রদানের প্রশ্নে, রাষ্ট্রধর্মের প্রশ্নে বা সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার না করার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও তার পরিচালিত সরকারের বিন্দুমাত্র সমালোচনা কি সংসদে, কি রাজপথে- কোথাও করেনি। এরশাদের জাতীয় পার্টি তো নয়ই।

এমতাবস্থায় এরা বিরোধী দল হলো কী করে? ক্ষমতাধর্মী ক্ষমতাবহির্ভূত নীতি আদর্শবিহীন দল মাত্র। আজকের প্রয়োজন – উপরোক্ত বিষয়গুলিকে তাই গভীরভাবে বিবেচনায় রেখে ভাবতে হবে।  একটা বিরোধী দল দেশ ও জনগণের স্বার্থে আজ অপরিহার্য।

একটি বিরোধী দল চাই, তাকে অবশ্যই হতে হবে সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী, পুঁজিবাদ বিরোধী, শোষণ বিরোধী, নারী-পুরুষের বৈষম্য বিরোধী। এমন একটি বিরোধী দলকে যেমন গড়ে তুলতে হবে তেমনই তাকে গণভিত্তি সম্পন্ন লড়াকু দল হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করতে হবে। যেমন দলটি রাজপথ কাঁপাবে, তেমনি তারা সংসদকেও প্রাণবন্ত করে তুলবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে গিয়ে।

এই বিরোধী দল অবশ্যই চাইবে ক্ষমতায় যেতে। কারণ যতদিন না যেতে পারবে ততদিন তো  ঐ মহান আদর্শগুলির বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। তাই জনগণের স্বার্থেই জনমত প্রবলভাবে গড়ে তুলে তাকে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টাও অব্যাহত রাখতে হবে। আদর্শ বিবর্জিত হয়ে কোনও প্রকার আপোষের ভিত্তিতে নয়।

দেশের তরুণ সমাজ, দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় এবং দেশবাসী ভুগছেন দীর্ঘকাল যাবৎ এমন একটি বিরোধী দল গড়ে না ওঠার কারণে। সকল প্রগতিশীল দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে, যুব সমাজ ও নারী সমাজ এবং বুদ্ধিজীবী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে এমন একটি বিরোধী দল গড়ে তুলবেন ততই দেশের মঙ্গল। আবার যতই বিলম্ব হবে দেশবাসী ততই … ।