খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ও বিএনপির ভবিষ্যৎ

চিররঞ্জন সরকারচিররঞ্জন সরকার
Published : 7 Feb 2018, 03:51 PM
Updated : 7 Feb 2018, 03:51 PM

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চরম রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। রায় নিয়ে জনমনে চলছে নানা আলোচনা। পুলিশ দেশব্যাপী বিশেষ করে রাজধানীতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। ৮ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ রায় ঘোষণার দিন থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকায় মিছিল করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বাইরের জেলা থেকে ঢাকায় প্রবেশের মূল পথগুলোতে পুলিশি চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। এক ধরনের আতঙ্ক জনমনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই রায়কে ঘিরে যে যার ইচ্ছে মতো নানা মন্তব্য ও গুজব রটাচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, এই রায়ে বেগম খালেদা জিয়া রেহাই পেয়ে যাবেন। এতে করে বিএনপির কাছে আদালতের নিরপেক্ষতা প্রমাণ হবে। এর পর অন্য মামলায় তাঁকে দণ্ড দেওয়া হবে। তখন বিএনপি আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে আর প্রশ্ন তুলতে পারবে না। আবার কেউ কেউ বলছেন, মামলার যে 'মেরিট' বা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তাতে খালেদা জিয়ার দণ্ড অবধারিত। আর সেকারণেই এই রায়ের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় সরকারের এত ব্যাপক প্রস্তুতি।

এই রায় নিয়ে গত পক্ষকাল ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে অসহিষ্ণুতা, উদ্বেগ ও উত্তেজনা। বিএনপিওয়ালারা মনে করছেন, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সাজানো। অন্য দিকে আওয়ামী লীগ বলছে, এই মামলায় তাদের কোনো হাত নেই। ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিন নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই মামলা দায়ের করেছে। আইনের স্বাভাবিক নিয়মে এই মামলার রায় ঘোষিত হবে।

উল্লেখ্য, ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিন নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অভিযোগে বলা হয়-বিএনপি-জামায়াত জোটের ২০০১-২০০৬ মেয়াদের সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন।

এই মামলার রায়কে ঘিরে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি এসেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে। যদি এই রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হয়, তাহলে ব্যাপক আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির কোনো কোনো নেতার মতে, দলের চেয়ারপারসনের মামলায় 'নেতিবাচক' কোনো রায় হলে তার পরিণতি 'ভয়াবহ' হবে। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ মাঠে থেকে বিএনপির যে কোনো নৈরাজ্যকে মোকাবিলা করার ঘোষণা দিয়েছে। রাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও বলেছেন, রায় ঘিরে কেউ 'বিশৃঙ্খলা বা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের' চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী 'প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা' নেবে।

নির্বাচনের বছরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলার রায়কে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। অনেকেরই আশঙ্কা, এ মামলায় যে রায়ই হোক না কেন, সেটা রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াবে। কারণ বিএনপি আগেই ঘোষণা দিয়েছে 'নো খালেদা জিয়া, নো ইলেকশন'।

তবে সম্ভাব্য এই রায় নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াও যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেই প্রতিভাত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে তিনি দলের নির্বাহী কমিটির সভা করেছেন। শরীক দলগুলোকে নিয়ে বসেছেন। চারদিনে দুইবার সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সর্বশেষ বুধবার সন্ধ্যায় ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ন্যায়বিচার হলে আদালতে বেকসুর খালাস পাবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তাঁর মতে, 'ন্যায়বিচার হবে, ন্যায়বিচার হলে ইনশাল্লাহ আমি বেকসুর খালাস পাবো। তবে রায় অন্যরকম হলে ইতিহাসে কলঙ্ক হয়ে থাকবে।'

মামলার রায়ে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ী খালেদা জিয়া 'শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক' আন্দোলনের নির্দেশনা দিয়েছেন। বেগম জিয়া বলেছেন, "দেশবাসীর প্রতি আমার আবেদন, আমাকে আপনাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা হলেও বিশ্বাস করবেন, আমি আপনাদের সঙ্গেই আছি। আপনারা গণতন্ত্রের জন্য, অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, জনগণের সরকার কায়েমের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।"

এসব দেখে মনে হচ্ছে, সম্ভাব্য কারাবরণের প্রস্তুতি তিনি নিয়েই রেখেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আদালতের রায়ে যদি সত্যিই বেগম জিয়াকে কারাগারে যেতে হয়, তাহলে বিএনপির কর্মীরা কী আদৌ জীবন বাজি রেখে লড়বে? প্রতিবাদ করবে? জেলে যাবে? এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি দলের নির্বাহী কমিটির সভায় বেগম জিয়ার আবেগঘন বক্তব্যের সময় কর্মীরা স্লোগান তুলেছিলেন, 'আমার নেত্রী, আমার মা, বন্দী হতে দেব না'; 'আমার নেত্রী, আমার মা, জেলে যেতে দেব না!' যদিও বাস্তবে তেমন কর্মীর সংখ্যা কতজন আছেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে!

কারণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা কার্যকর কোনো গণআন্দোলন গড়ে তুলতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা জনস্বার্থে তেমন কোনো ভূমিকাই পালন করতে পারেনি। গত চার-পাঁচ বছরে বিরোধী দলের কোন আন্দোলনটা দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে? অথচ গত কয়েক বছরে সরকারের অনেক অপকর্মের ব্যাপারে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে প্রত্যাশা করেছে, এর বিরুদ্ধে বিএনপি একটা শক্ত আন্দোলন গড়ে তুলুক। সাধারণ মানুষের পক্ষে কিছু একটা করুক।

কিন্তু বাস্তবতা হলো, সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষের স্বার্থের পক্ষের দাবিগুলো বিএনপির তালিকায় ছিল সবসময় তলানিতে। বিএনপির গত কয়েক বছরের দাবিগুলো ছিল খালেদা জিয়া ও তার সন্তানদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে; সাধারণ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও চাওয়া-পাওয়া নিয়ে দলটির কোনো আন্দোলন চোখে পড়েনি।

অনেকেই বলেন, বিএনপিকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হয় না বলেই তারা আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে না। হামলা-মামলা-জুলুম-নির্যাতনের কারণে তারা অতীতে নৈরাজ্যমুখী হয়েছে। যারা এমন কথা বলেন তাদের রাজনৈতিক আন্দোলনের কোনো অভিজ্ঞতা আছে বলে মনে হয় না। তারা কখনও আন্দোলন করেননি, হয়তো দেখেনওনি। আন্দোলন যদি সত্যিকারেই জনসমর্থনপুষ্ট হয়, তাহলে সেই আন্দোলন দমন করতে পারে– এমন সাধ্য কার আছে?

এরশাদবিরোধী আন্দোলনের কথা এ প্রসঙ্গে মনে পড়ছে। তখন কি নেতাদের জামাই-আদরে রাখা হয়েছিল? বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দমন করতে অস্ত্র হাতে দিয়ে সন্ত্রাসীদের পুলিশ প্রটেকশনে পাঠানো হয়েছিল। তারপরও কি আন্দোলন স্তিমিত করা গেছে? নব্বইয়ের গণআন্দোলনের একজন কর্মী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে মনে পড়ছে ৩ ডিসেম্বরের কথা। সেদিন ছিল রাজধানীজুড়ে কারফিউ। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সেনাসদস্য, বিডিআরের সদস্যরা। দেখামাত্র গুলি হবে– এমন একটা ভয়াল পরিস্থিতি।

এমন পরিস্থিতিতেও কারফিউ ও বন্দুকের নল অগ্রাহ্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল বের হয়। তখন মোবাইল ফোন ছিল না। বিটিভি ছাড়া অন্য কোনো টিভি চ্যানেল ছিল না। এমনকি সেদিন সংবাদপত্রও বন্ধ ছিল। তারপরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বের হওয়া ছাত্রদের মিছিলের খবর মুখে মুখেই রাষ্ট্র হয়ে যায়। দুপুর ১২টা নাগাদ ঢাকা শহর পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। বন্দুকের নল, কারফিউ অকার্যকর হয়ে যায় জনতার তীব্র লড়াকু অভিব্যক্তির কাছে।

আরেকটি কথা, কোনো রাজনৈতিক দল রাজপথে নেমেছে, আর সরকারপক্ষ তাদের ফুল-চন্দন দিয়ে বরণ করেছে, এমন পরিস্থিতি আমাদের দেশে কবে কে দেখেছে? আন্দোলনের শক্তি যদি দুর্বল হয়, তাহলে নিপীড়ন করে তা থামিয়ে দেওয়া হয়– এটাই ইতিহাস। কাজেই সরকার শক্তি প্রয়োগ করছে, বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করছে, এই অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। এগুলো সব সরকারের আমলে বিরোধী দলের প্রতি করা হয়। বিএনপির গত শাসনামলে বিরোধী দলের অনেক নেতাকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতারাও তখন আন্দোলন করেছেন দলীয় অফিসে না গিয়েই।

তুলনায় বর্তমান সময়ে বিএনপি নেতারা অন্তত 'জান হারানো'র ভয়ে ভীত নন। আসলে বিএনপি নেতাদের কারাগারভীতি এবং জনবিচ্ছিন্নতা এখন সর্ববিদিত। বিএনপির এই দুর্বলতা জানে বলেই সরকার এমন বেপরোয়া। শুধু সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, বিরোধী দলের গণআন্দোলন করার ক্ষমতা নেই, এটা কবুল করাই ভালো!

তাছাড়া বিরোধী দলের ভাবমূর্তি দেশের যুক্তিশীল মানুষজনের কাছে ততটা উজ্জ্বলও নয় যতটা তারা মনে করেন। বিরোধী দলের সবচেয়ে বড় কলঙ্ক হচ্ছে যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারের দল জামায়াতে ইসলামের প্রতি অতিমাত্রায় নমনীয়তা, সমর্থন ও নির্ভরতা। আর ২০১৩ সালে আন্দোলনের নামে বিএনপির সন্ত্রাসী-অমানবিক কর্মকাণ্ড শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ কোনো দিনই মেনে নিতে পারেনি।

নানা দিক থেকেই বিএনপি বর্তমানের রাজনৈতিক কৌশলের খেলায় পিছিয়ে আছে। দলটি কেবল ক্ষমতাসীনদের নানা অপকর্মের কথা বলছে, কিন্তু নিজেরা ক্ষমতায় গেলে কী করবে, দেশের মানুষের কী এমন কল্যাণ হবে– সেটা মোটেও স্পষ্ট করতে পারেনি। শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে মানুষকে ভোলানো কঠিন।

বর্তমান ক্ষমতাসীনরা যথাযথভাবে দেশপরিচালনায় অবশ্যই ব্যর্থ। কিন্তু একটি বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির ব্যর্থতাও কম নয়। তারা কোনো একটা জাতীয় ইস্যুতে বা গণস্বার্থে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। এই বাস্তবতায় বিএনপিকে অনেক ভেবে-চিন্তে কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। যদি মামলার রায়ে খালেদা জিয়ার দণ্ডও হয় সেক্ষেত্রে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে জনমত গঠন ও আইনি লড়াইয়ে সামিল হওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের পরিচায়ক।

আরেকটি কথা, এই মামলার শুরু থেকেই বিএনপি আইনের পথে থেকেছে। এখন রায় হলে কেন রাজনৈতিক কর্মসূচি আসবে? এটা তো হতে পারতো যে, শুরু থেকেই এই মামলায় না লড়া। তা যেহেতু হয়নি, তবে কেন এখন মাঠ গরমের চেষ্টা? বরং বিএনপির উচিত আইনি পথেই মামলার মোকাবিলা করা। যদি নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়, তবে উচ্চ আদালতে এর বিরুদ্ধে আপিল করা। অহিংস পথে প্রতিবাদ জানানো। তা না করে বিএনপি যদি সহিংস আন্দোলনের পথে যায়, তাহলে ক্ষমতাসীনরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিএনপিকে আরও বেশি কোণঠাসা করার মওকা পেয়ে যাবে।

বিরোধী পক্ষকে ঘায়েল করবার ক্ষমতাসীনদের যাবতীয় কৌশল ও উদ্যোগ অতিক্রম করে যদি বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করে, ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করে তাহলে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি ও সমর্থন এই দলের পক্ষে থাকবে বলেই আশা করা যায়।

বিএনপি যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে তাহলে তাদের পস্তাতে হবে। কেবল প্রতিশোধ ও নৈরাজ্যমুখী রাজনীতির পথ ধরলে জনগণের মন থেকে হরিয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। কারণ সাধারণ জনগণ নৈরাজ্যের রাজনীতি চায় না। তারা চায় সুস্থ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি, যা গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য। এই জনইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোটাই একটি আদর্শ রাজনৈতিক দলের কাজ।

মানুষ বর্তমান সরকারকে মেনে নিয়েছে অনন্যোপায় হয়ে! সরকারের বড় ধরনের কোনো খুঁত পেলে সব রকম আশা-হারানো মানুষ নিঃসন্দেহে ক্ষেপে উঠবে। আর তাহলে লাঠি-গুলি-টিয়ার গ্যাস তো নস্যি, মিসাইল-কামান-জাতিসংঘ বাহিনি দিয়েও সেই ক্ষোভ দমন করা যাবে না। ক্ষমতায়ও থাকা যাবে না।

বিএনপি নেতৃত্বকে এই বাস্তবতা বুঝতে হবে। তা না হলে এই বিশাল জনসমর্থনপুষ্ট দলটির অকালমৃত্যুও অসম্ভব নয়!