আবাহনী মাঠে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের বিলম্বিত সফল আবাহন

শিশির ভট্টাচার্য্যশিশির ভট্টাচার্য্য
Published : 31 Dec 2017, 03:49 PM
Updated : 31 Dec 2017, 03:49 PM

মৌর্য থেকে মোগল হয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পূর্বতম প্রান্তে যেখানে ইন্ডিক ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর এলাকা শেষ এবং ভোটচীনীয় ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর এলাকা শুরু, সেখানে অবস্থিত আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশ ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক, স্মরণাতীত কাল থেকে কমবেশি অবহেলিতই ছিল।

পরিবারে অবহেলিত সন্তানটি যেমন কমবেশি অপুষ্টিতে ভোগে, তেমনি ক্ষমতার অবহেলার ফলশ্রুতি হিসাবে গড় বাঙালিও সম্ভবত ভাবতে শুরু করেছিল যে তাকে দিয়ে কিসসু হবে না। ভাগ্য, স্বভাব, চেষ্টা- এই তিনটি বিষয়কে যদি আমরা ব্যক্তি বা জাতির উন্নতির অন্যতম তিন নিয়ামক ভাবি, তবে বলতেই হবে স্বভাব ও চেষ্টার দৈন্য সত্ত্বেও (জ্যোতিষ শাস্ত্রের ভাষায়) বৃহস্পতি তুঙ্গে থাকার কারণে একাধিক বার খণ্ডিত হয়েও ১৯৭১ সালে বাঙালি একটি নিজস্ব স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকারী হয়েছে, যে সৌভাগ্য ভারতবর্ষের আরও কোনো জাতির এখন পর্যন্ত হয়নি।

ভাষাগত, নৃ-গত ও সংস্কৃতিগত সমতা থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতার পর দীর্ঘ পাঁচ দশকে বাংলাদেশের আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। এর একটি কারণ অবশ্যই ব্যবস্থাপনগত সক্ষমতার অভাব। কোনো একটি কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করার মতো ক্ষমতা কি বাঙালির আছে? নেই যে তার একাধিক প্রমাণ হাতের কাছেই আছে। ধরা যাক, যানজট নিরসনের জন্যে উড়ালপুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। বহু গণভোগান্তির পর উড়ালপুল নির্মাণ সমাপ্ত হবার পর দেখা গেল, যানজটতো কমেইনি বরং বেড়েছে, কারণ পুল যেখানে বা যেভাবে নির্মিত হবার কথা ছিল, সেখানে বা সেভাবে হয়নি।

প্রাথমিক থেকে উচ্চতর স্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে চলেছে। অথচ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ তাদের এই ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করেই চলেছে, যেন অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ থাকে। ঢাকা এবং চট্টগ্রাম – এই দুটি শহর গত পাঁচ দশকে আক্ষরিক অর্থে নোংরা, বিশ্রি এবং বাস-অযোগ্য হয়ে উঠেছে, যদিও নাগরিকেরা বিভিন্ন সময়ে জীবিত, প্রয়াত ও পলাতক নগরপিতাদের তিল পরিমাণ উদ্যোগকে তাল পরিমাণ বিবেচনা করার উদারতা দেখিয়েছে। যে কেউ স্বীকার করবেন যে অনুরূপ উদাহরণের তালিকা দীর্ঘতর করাটা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। উচ্চতম কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব যে নেই তাতে আমরা সন্দেহ করি না, কিন্তু সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ সাধারণ জনগণের স্বভাবে যদি ব্যবস্থাপনাগত সক্ষমতা একেবারেই না থাকে, তবে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকরী জননেত্রী বা নেতার সদিচ্ছা হবে ভস্মে ঘি ঢালার নামান্তর।

হাজারো হতাশার কালো মেঘ ছাপিয়ে কখনও সখনও একটি যমুনা বা পদ্মাসেতু, একটি গ্রামীণ ব্যাংক যখন বাঙালির ব্যবস্থাপনাগত সক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে জ্বলজ্বল করে তখন আমরা উৎসাহিত হই বৈকি। বাঙালির অর্জনের টুপিতে যে একটি উজ্জ্বল পালক গত ছয় বছর ধরে যোগ হয়ে চলেছে সেটি হচ্ছে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব। গত পাঁচ বছর ধরে উৎসবটি আয়োজিত হয়ে আসছিল আর্মি স্টেডিয়ামে, নভেম্বরের শেষে। এ বছর কোনো অজ্ঞাত কারণে ভেন্যুটি অলভ্য হওয়াতে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, বাঙালির অন্য অনেক উদ্যোগের মতো উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবটিও সম্ভবত 'মরুপথে হারালো ধারা'। বাঙালিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বে-সাহারা করার চেষ্টা একাধিক বার হয়েছে এবং সব চেষ্টা যে বিফলে গেছে সেটাও বলা যাবে না। যার বাপকে কুমিয়ে খেয়েছে ঢেঁকি দেখলে ভয় সে পেতেই পারে।

না ঢেঁকি কুমির হয়ে উঠতে পারেনি। বেঙ্গল আবারও তার সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে: উৎসব এক মাস দেরিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু হয়েছে! শাপে বরং বর হয়েছে। উৎসব চলে এসেছে একেবারে আমাদের ঘরের কাছে, ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ধানমণ্ডিতে। অজ্ঞাত কারণে স্থগিত হওয়া উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসবটি শেখ কামালের নিজের হাতে গড়া আবাহনীর মাঠে অনুষ্ঠিত হতে পারার প্রতিকী তাৎপর্য বিশাল। এই সাফল্যে সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সদিচ্ছা যে ছিল সে কথা আমরা জেনেছি প্রথম সন্ধ্যায় বেক্সিমকোর কর্ণধার, বিশিষ্ট শিল্পপতি জনাব সালমান এফ রহমানের উদ্বোধনী বক্তৃতায়। এই উৎসবে স্কয়ার, ব্র্যাক ব্যাংকসহ অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সহৃদয় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল এবং আছে। বিশেষ করে আবাহনীর মাঠটি পাওয়া গেছে অনেকটাই শেখ কামালের সুহৃদ সালমান এফ রহমানের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায়- উদ্বোধনী বক্তৃতায় জানিয়েছেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি জনাব আবুল খায়ের লিটু।

কাজটা সহজ ছিল না মোটেই। আর্মি স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা হাজার পঞ্চাশ, আবাহনী মাঠে সাকুল্যে হয়তো হাজার পনেরো দর্শক ধরবে। ধানমন্ডী একটি আবাসিক এলাকা। এ এলাকার সব অধিবাসীই যে উচ্চাঙ্গসঙ্গীত প্রেমিক হবেন, এমনটা আশা করা যায় না। পাঁচরাত ধরে উচ্চগ্রামে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শুনতে তাদের বাধ্য করা যায় না। দেশে শব্দনিয়ন্ত্রণের আইন রয়েছে। হাসপাতাল, মরণাপন্ন রোগী, কোনো কিছুর তোয়াক্কা না ধর্মাশ্রয়ীরা দিনে একাধিকবার সেই আইন ভাঙতে পারেন, কিন্তু সঙ্গীতাশ্রয়ী বেঙ্গলের কোনো ওজরইতো গ্রাহ্য হবে না। সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে নিরাপত্তা, আর্মি স্টেডিয়ামে যেটা ষোল আনার উপর আঠারো আনা নিশ্চিত করা যেতো, কারণ পুলিশ ছুঁলেই এদেশে আঠারো ঘায়ের সৃষ্টি হয়। ধানম-ীর মতো আবাসিক এলাকায় হাজার পনেরো দর্শক-শ্রোতার নিরাপত্তা বিধান করা কি সোজা কথা?

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শব্দ নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তার দুটি প্রতিবন্ধ চমৎকার, অতি চমৎকারভাবে সমাধান করেছেন বেঙ্গল কর্তৃপক্ষ। উৎসব-প্যান্ডেলে ঢোকার আগে, এমনকি মঞ্চের নিকটবর্তী হবার আগেও বোঝাই যায় না সেখানে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠান হচ্ছে। সালমান এফ রহমান যেমনটি বলেছেন, আশেপাশের ধানমণ্ডিবাসীদের মধ্যে যারা ভেবেছিলেন, বিনাপয়সার টিকেটটাও না করে নিজেদের ব্যালকনিতে বসে ফোকটে সঙ্গীতসুধা উপভোগ করবেন, তাদের সে গুড়ে বালি। আমি যতটা দেখেছি, অত্যন্ত ভদ্রভাবে এবং চৌকসভাবে দর্শকদের নিরাপত্তা তল্লাসি করা হচ্ছে। কোথাও গুরুতর কোনো সমস্যা সম্ভবত হয়নি। অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা ব্যবহার-বান্ধব, অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন, যা আমার কমবেশি কুড়ি বছরের প্রবস জীবনে বিদেশেও খুব কম দেখেছি। প্রমাণ হয়েছে, পৃথিবীর অন্যান্য সভ্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শতভাগ নাগরিক উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা অসম্ভব নয়।

গত পাঁচ বছর বৈদ্যুতিক ডাকে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসবে শ্রবণার্থীর নাম লেখানোর আহ্বান এসেছিল। এবার কোনো আহ্বান আসেনি, দর্শকসংখ্যা সীমিত রাখার প্রয়োজনেই হয়তো আসেনি। সঙ্গীতবোদ্ধা আলীম খানের সৌজন্যে একটি আমন্ত্রণপত্র পেয়েছিলাম বলে কাছ থেকে অনেক কিছু লক্ষ্য করতে সক্ষম হয়েছি। শিল্প-সমালোচক জিয়াউল করিমের সৌজন্যে লাউঞ্জে সন্তোষজনক খাবার ব্যবস্থা দেখারও সুযোগ হয়েছে। শিল্পীদের গ্রিনরুমটি শুধু দেখা হয়নি, কিন্তু সেখানেও নিশ্চয়ই সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে। সাধারণ দর্শকদের খাদ্যব্যবস্থাপনা ছিল চমৎকার। পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার দায়িত্বে যারা ছিলেন খাবার টেবিলগুলোকে পরিষ্কার রাখতে তারা সদাতৎপর ছিলেন। দর্শক-শ্রোতাদের নিজে থেকেই সারিবদ্ধ হয়ে খাদ্য ও পানীয় সংগ্রহ করতে দেখেছি।

রাগ-রসুই-পাগড়ি – এই তিনটি জিনিষ সব সময় ঠিকঠাকমতো হয় না, শিল্পী প্রাণান্ত চেষ্টা করলেও নয়। কথাটা আলীম খানের মুখে গত ত্রিশ বছর ধরে শুনে শুনে প্রায় মুখস্ত হয়ে গেছে। উৎসবে সব দিন উপস্থিত থাকা সম্ভব হয়নি, সবার পরিবেশনাও শোনা হয়নি। কিন্তু যা দেখেছি তার মধ্যে রশিদ খান এবং সুপ্রিয়া দাশের গাওয়া খেয়াল, রনু মজুমদার আর রাকেশ চৌরাশিয়ার বাঁশি, তেজেন্দ্রনারায়ণের সরোদ, বিশ্বমোহন ভাটের মোহনবীণাবাদনের স্মৃতি মনে রাখার মতো। বলা বাহুল্য, উত্তর বা দক্ষিণ ভারত থেকে নিছক শাস্ত্রীয় সঙ্গীত আমদানির দায়িত্ব নয়, দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বাঞ্চলের একমাত্র রাষ্ট্র বাংলাদেশের যুবসমাজকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতচর্চায় সক্ষম করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বেঙ্গল। এই উদ্যোগ ফলপ্রসু হলে অচিরেই সঙ্গীতের ক্ষেত্রে উত্তর ভারতের অন্যতম প্রতিযোগী হিসেবে বাংলাদেশের বাঙালিরা নিজেদের উপস্থাপন করতে পারবে (ক্রিকেটের ক্ষেত্রে যা কমবেশি করা সম্ভব হয়েছে)। বেঙ্গল যে ইতিমধ্যে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছে বেঙ্গল পরম্পরার খেয়ালিয়া সুপ্রিয়া দাশ এবং তরুণ সরোদ শিল্পিদের চমৎকার উপস্থাপনা তার অন্যতম প্রমাণ।

সঙ্গীত-উৎসবের শব্দ ও ভিডিও ব্যবস্থাপনা ছিল চমৎকার, তবে একে চমৎকারতর করে তোলার ক্ষেত্রে দুটি অযাচিত পরামর্শ না দিয়ে পারছি না। কোন শিল্পী যখন রাগসঙ্গীত উপস্থাপন করবেন তখন রাগের নাম, রাগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ, আরোহন-অবরোহন নোট, সেই বিশেষ রাগাশ্রয়ী পরিচিত বাংলা বা হিন্দি গানের বাণীগুলো পর্দায় দেখানো গেলে আমার মতো অতি সাধারণ দর্শকের রাগপরিচয় গভীরতর হতো। ভিডিও দৃশ্যধারণের ক্ষেত্রে আলোকচিত্রীরা নৃত্যের ক্ষেত্রে পা, হাত ও চোখের কারুকাজের ক্লোজশট আরও বেশি করে দিলে দর্শকেরা অধিকতর আনন্দ পাবেন বলে মনে হয়। এছাড়া বেঙ্গলের আমন্ত্রণপত্রে বাংলাভাষার সীমিত উপস্থিতি যে কোনো বাংলাপ্রেমীর চোখকে পীড়া না দিয়ে পারে না, বিশেষ করে যে সর্বজনশ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে ২০১৭ সালের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে, তিনি যেহেতু বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক।

অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। সংস্কৃতিচর্চাকে সমাজের অপরিহার্য অঙ্গ করে তুলতে পারলে ব্যক্তি ও সমাজ-মানস তার অলসতা এবং এর ফলশ্রুতিতে শয়তানী থেকে অনেকটাই মুক্ত হতে পারার কথা। সংস্কৃতিমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর জনমানসকে জঙ্গীবাদ থেকে মুক্ত করতে সংস্কৃতিচর্চার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। সঙ্গীতচর্চা ও উপভোগের মাধ্যমে আলোকিত নাগরিক গড়ে তোলার আশা করেছেন লিটু। অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল মুহিতের বক্তব্যে আগামী বছরগুলোতে ঢাকায় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসব আয়োজনের জন্যে একটি আলাদা ভেন্যুর আশ্বাস পাওয়া গেছে। তবে এই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত-উৎসব রাজধানী ঢাকায় সীমাবদ্ধ না রেখে আগামী বছরগুলোতে অন্ততপক্ষে জেলাশহরগুলোতে ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করলে ভালো হয়। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বেঙ্গল এ বছর থেকে এই কাজটি করারও উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন লিটু তাঁর সমাপনী বক্তৃতায়।

পরিশেষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি জনাব আবুল খায়েরকে তাঁর ব্যবস্থাপনাগত পারঙ্গমতার জন্যে ধন্যবাদ না দিলেই নয়। অতি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্টেজ ও প্যান্ডেল নির্মাণ থেকে শুরু করে সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্যে যে দারুণ একটি টিম তিনি গড়ে তুলতে পেরেছেন সেটি যে কোনো বাঙালি উদ্যোক্তার জন্যে অনুকরণীয়। এতে জনাব লিটুর নিজেরও স্বার্থ আছে- এই সুযুক্তি দিয়ে যারা স্বস্তি পেতে চাইছেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমি জীবনানন্দের জবানিতে বলবো: 'তুমিই লিখ না কেন একটি কবিতা!' নিজের স্বার্থ বজায় রেখেও যদি দেশের, সমাজের উপকার করা যায়, তবে তাতে দোষটা কোথায়? বাংলাদেশের মূল সমস্যা সম্ভবত একটাই: জরুরী ভিত্তিতে এদেশে একাধিক আবুল খায়ের লিটুর প্রয়োজন। আর সংস্কৃতি-বান্ধব একটি সরকারও যে অপরিহার্য সে কথাটাও ভুলে গেলে চলবে কেন?