কোনো দল বা রাজনৈতিক মতবাদে বিশ্বাস করার জন্যে অনুমোদন বা লাইসেন্স দরকার হয় না। মানুষের জন্মগত অধিকারের একটি তার চিন্তার স্বাধীনতা। দেশ বা সমাজ মূলত ধারণা। সে ধারণা ধারণ করে রাজনীতি। রাজনীতি চালায় রাজনৈতিক দল। স্বাভাবিকভাবে যে কোনো দেশে একাধিক রাজনৈতিক দল থাকে এবং মানুষ বা সেদেশের নাগরিকেরা তাদের পছন্দমতো যে কোনো একটি এমনকি একাধিক দলও সমর্থন করতে পারে।
যেসব দেশে একাধিক দল থাকে না তাদের দিকে তাকানো কঠিন। উত্তর কোরিয়ার কথা ভাবলেই বোঝা যাবে কতটা কঠিন ও নির্মম হতে পারে একনায়কতন্ত্রের বাস্তবতা। আমাদের অতীতে যখন আমরা পাকিস্তানে ছিলাম সেনা শাসনের কারনে মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ পায়নি । আরো অনেক কারণের সাথে এই অনিবার্য কারনটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা।
যখন দেশ স্বাধীন হল তখনও বৈশ্বিক বাস্তবতা আর দুনিয়ার রাজনীতির দোলাচলে গণতন্ত্রে বসবাসের ইচ্ছে থাকলেও আমরা তা পারিনি। অতঃপর বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতার হত্যাকাণ্ডের পর মূলত প্রকাশ্য ও ছদ্মবেশী সামরিক শাসনেই চলছিল আমাদের দেশ। এরশাদের পতনের পর গণতন্ত্রের শুভ সূচনা ঘটে রাজনীতিতে। আজ আমরা এ কথা বলতেই পারি যে, দেশে যেভাবে হোক যে আকারে বা যত সীমিত হোক, গণতন্ত্রের ধারা চলছে। আওয়ামী লীগের দেশ-শাসন মানেই প্রত্যাশা– আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। এ দুই সত্যের বিকল্প নাই। কিন্তু আজ দেশের চেহারার দিকে তাকালে আমরা কিছুতেই মেলাতে পারি না এই দল সেদিন অকুতোভয় নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের মুক্তবুদ্ধি ও আধুনিকতার পথে ধাবিত করেছিল কি না।
দুবারের শাসনামল প্রায় সমাপ্তির পথে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি কোথায় যেন আদর্শিক দুর্বলতার শিকারে পরিণত হতে ভালোবাসছে। সবাই জানেন বাংলাদেশের সমাজ আর আগের জায়গায় নেই। আমরা কথায় কথায় দুনিয়ার উদাহরণ– আমেরিকা-ভারত বা অন্য দেশকে দোষারোপ করে শান্তি পাই– বাস্তবে খোলা দুনিয়ার অন্ধকারও আমরা গোগ্রাসে গিলছি। খুলে যাওয়া ইন্টারনেট বা মিডিয়ার হাত ধরে মধ্যপ্রাচ্য, তার পোশাক, খাবার, এমনকি তার উগ্রতাও ঢুকেছে সমাজে। আমজনতাকে কেউ বলছে না এর নাম ধর্ম হতে পারে না। বরং আমজনতা যতটা গা বাঁচিয়ে চলছে সুশীল নামের কিছু মানুষ তত এই ধারণা ও আচরণগুলো সমাজে ঢোকার জায়গা করে দিচ্ছে।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী দেশ ভারতও আগের অবস্থানে নেই। গান্ধী নেহেরু কিংবা কমিউনিস্ট ভারতের বিশাল অংশে এখন গেরুয়ার জয়জয়কার। বিজেপি আছে দিল্লীর মসনদে। কিন্তু তারা আসার পর বাংলাদেশে ভারত-বিরোধিতা বাড়লেও পারস্পরিক নির্ভরতা কি কমেছে? আপনি দেশের বাজার-হাট সংস্কৃতি-বিনোদন জীবন-নাটক যেদিকে চোখ রাখবেন দেখবেন ফিফটি-ফিফটি। ভারত দখল করে আছে ফিফটি বা তার বেশি জায়গা। অথচ সমাজ ও রাজনীতিতে আপনার পপুলারিটি নির্ধারণ করছে আপনি কতটা ভারতবিরোধী তার ওপর।
এই খেলা বিএনপি ও জামায়াত একসঙ্গে অনেক বছর তাদের দখলে রাখলেও এখন সে পরিবেশ নেই। আওয়ামী লীগের সামনে জামায়াত না তার চেয়ে বড় ফ্যাক্টর হেফাজত। এই হেফাজতী বিস্তার, সঙ্গে হিন্দুবিরোধী সস্তা রাজনীতি লীগকে টানছে বেপথে। জনপ্রিয়তার কিছু দায় থাকে। সে দায় মেটাতে গিয়ে রাজনীতি থেকে বহুকাল এমনকি চিরকালের জন্য বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া দলের সংখ্যাও কম নয়। উপমহাদেশে তার অজস্র প্রমাণ অজস্র উদাহরণ থাকার পরও গদির মোহে সেটা চোখে পড়ে না।
কথাগুলো বলতে হল সম্প্রতি লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রদত্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে। তিনি ইদানিং সব বিষয়ে কথা বলেন। দলের বিষয়ে তিনি অবশ্যই কথা বলবেন। বাকি অনেক বিষয়ে নিশ্চয়ই মানুষের কমতি নেই। তবু এই বলাটা আমাদের দেশের রাজনীতির স্বভাব। ওবায়দুল কাদের মোটামুটি বলার বিষয়ে রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন। অতি অল্পসময়ে তাঁর এই বলার রেকর্ড দলের জন্য কতটা উপকারী সেটা বলবে সময়। তবে আপাতত নানা বিতর্কে তাঁর দল নিয়ে গড়ে উঠছে বিতর্কিত মতামত-বলয়।
এবার তিনি বলেছেন রাজাকারের সন্তানেরাও চাইলে আওয়ামী লীগ করতে পারবে। গোড়াতেই বলি, কেন পারবে না? আমি যখন কম্বোডিয়ায় গিয়েছিলাম সে দেশের যাদুঘরে গিয়ে দেখি পলপট সমর্থকদের লেখা বিশাল বিশাল চিঠিও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সবাই জানেন, বিভীষিকায় তাদের দেশের নৃশংসতা আমাদের চাইতে কম কিছু ছিল না। সেদেশে এমনও ঘটনার ইতিহাস দেখেছি, পলপট যৌবনে হস্তমৈথুনকেও পাপ মনে করতেন। সে দেশের রাজাকারদের সেই চিঠিগুলো ছিল মাফ চাওয়ার আকুতি দলিল। তারা অকপটে স্বীকার করেছে তাদের কৃতকর্ম। তারা নির্দ্বিধায় বলেছে তাদের পাপের কথা। তারা মাফ চেয়ে সমাজে ফেরার জন্য আবেদন জানিয়েছে সেসব চিঠিতে। যারা ক্ষমা পেয়েছিল তারা আর কোনো দিনও পলপটের নীতিতে ফেরেনি। বরং তারা নতুন প্রজন্মের কাছে নিজেদের শেষজীবন কাটিয়েছিল মার্জনার কোমল আলোয়।
এ কাহিনি বাস্তব। এরা নিশ্চয়ই দেশের বিজয়ী ধারার সঙ্গে মিলতে পেরেছিলেন।

আমাদের অতীত কী বলে? স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যাদের মাফ করে দিয়েছিলেন তারা কি তাঁকে বাঁচতে দিয়েছিল? বিগত চল্লিশ বছর ধরে দেশের রাজনীতিতে বেড়ে ওঠা জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি-বলয়ের কেউ কোনো দিন মাফ চাওয়া দূরে থাকুক মুক্তিযুদ্ধের দিকে এক কণাও ঝুঁকেছে কোনো দিন? কী ছিল তাদের এজেন্ডা? তারা বিএনপিতে ঢুকে মুক্তিযোদ্ধার নামে এদেশকে পাকিস্তানের ছায়া-রাষ্ট্র বানাতে হেন কাজ নেই যা করেনি। সেই অপকর্মে স্বাধীনতাবিরোধীরা এমনও ধরে নিয়েছিল এদেশে ককটেল রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই চলবে না।
বলাবাহুল্য আওয়ামী লীগই ছিল তার শিকার। এখন আমরা কি ধরে নেব যে, আওয়ামী লীগে আসার জন্য রাজাকারের ছানাপোনারা সব তাদের বাপ-দাদার আদর্শ ছেড়ে দিয়েছে? যদি দিয়ে থাকে তো তার ঘোষণা আছে কোথাও? কীভাবে জাতি নিশ্চিত হবে? সে কথা কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেননি।
ইতিহাসে আমরা হুমায়ূন আহমেদের মতো মানুষেরও বৈকল্য দেখেছি। তাঁর পিতা এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিহত একজন পুলিশ অফিসার। তাদের পুরো পরিবার মুক্তিযুদ্ধের ও চেতনার সঙ্গে। তারপরও হুমায়ূন আহমেদ ঠিক থাকতে পারেননি। আর যারা সাধারণ রাজাকার বা সুযোগসন্ধানী মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তাদের পরিবারের ছেলেমেয়েরা কী কারণে হঠাৎ আওয়ামী লীগের দিকে ঘুরে দাঁড়াবে এর একটা ব্যাখ্যা থাকা প্রয়োজন। সে ব্যাখ্যা সাধারণ সম্পাদক দিতে পারেননি।
আগেই বলেছি যে কারও অধিকার আছে একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য হবার, সমর্থন করার। সেটা আওয়ামী লীগের বেলায় হতেই পারে। কিন্তু বিএনপি খাল-কাটার রাজনীতি করবে আর সেই খালে আওয়ামী লীগ কুমির টেনে আনবে এটাও মানতে হবে?
দলে লোক ভিড়ানো সরকারি দলের জন্য কষ্টের কিছু নয়। তারা চাইলেই তা করতে পারেন। তবে এমনসব লোক যদি দলে ঢুকে পড়ে যারা আওয়ামী লীগের তরী ডোবানোর জন্য কাজ করবে, যাদের বুকে-মনে-চিন্তায়-স্বপনে কোথাও বঙ্গবন্ধু বা তাঁর আদর্শ নেই তাদের জন্য ভরাডুবি হলে তার দায় নেবে কে?
এমনিতেই সরকারি দল অজনপ্রিয় হয়ে থাকে। তাদের মাথার ওপর আছে চাপের বোঝা। আছে ভারতপ্রীতি, হিন্দু-তোষণসহ নানা ধরনের অভিযোগ। তারা যদি মনে করেন, এই বিষ নামানোর উপায় হল দলে যে কোনো আদর্শের মানুষকে ঠাঁই দেওয়া তাহলে মানতে হবে, চোরাপানিতে নৌকা পথ হারাবেই।
শেখ হাসিনা জনপ্রিয়তার দিক থেকে খুব ভালো জায়গায় থাকলেও দল কি আসলে সে জায়গায় আছে? আদর্শহীন জগাখিচুড়ি ও বারোভূতের আওয়ামী লীগ কারও কাম্য হতে পারেনা। না ইতিহাসে, না ভবিষ্যতের।
আমিরুল আলম খান
“খুলে যাওয়া ইন্টারনেট বা মিডিয়ার হাত ধরে মধ্যপ্রাচ্য, তার পোশাক, খাবার, এমনকি তার উগ্রতাও ঢুকেছে সমাজে।”
এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা অজয় বাবুরাই লিখতে পারে।
গৌরাঙ্গ দেশী
ধান ভানতে……হুমায়ুন আহমেদ কি ভাবে এলেন? এটা বুঝিয়ে না বলা হলে অবান্তর ও অযৌক্তিক হয়ে থাকবে।
Rasha
Strange 90% people against India MNA Mahadi ???? from where you have got this data! those went as refugee 1971 and stayed there 9 months,who are they! with India we have strategical relationship an neighbor not enmity Mr. MNA Mahadi! I think Mr. MNA MAHDI you are pro Pakistani,this is the country all the way enemy of Bangladesh!
M Taiul Islam
ব্ড্ড একপেশে লেখা হয়ে গেলনা? বরং আকাশ ও মুক্ত সংস্ক্রতির যুগে মধ্য-প্রাচ্যের পোশাক-পরিচ্ছদ পরিহার করে এখন ওয়েস্টার্ন ও ইন্ডিয়ান সংস্কৃতি ফলো করা হচ্ছে। আপনি কি জানেন পারিবারিক ভায়োলেন্স ও কূটচালে ভরা ইন্ডিয়ান সিরিয়ালগুলো বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির উপর কি প্রভাব ফেলছে? এর প্রমান বাংলাদেশের এফডিসি ও সংস্কৃতি কর্মীদের দৈন্যদশা ও প্রতিবাদ। রঙ্গিন চশমায় সাদা আলোর সন্ধান করলে কি সাদা দেখা যায় ? আর ধর্মীয় রাজনীতির কথা বলছেন? ভারত আর বাংলাদেশের অবস্থা তুলনা করুন উত্তর পেয়ে যাবেন! পৃথিবীর কোন দেশে নেই ধর্মীয় বিরাগভাজন হয়ে গ্লোবালি স্বীকৃত ফেভারিট বিফ কে আদালত দ্বারা নিষিদ্ধ করে..। শুধু নিষিদ্ধই নয় এই নিয়ে অকারনে কতজনকে প্রান পযন্র্ত দিতে হয়েছে, এখনও হচ্ছে ? বাস্তবতা হলো বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় উগ্রবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী বিশ্বকে আরও বেশি অস্থিতিশীল করে তুলবে।
E A Bari
আপনার সাথে একমত। ৭০ বছর পূর্বের বৃটিশদের ড্রেস-কোড এখনো আদালতপাড়ার একেবারে সর্বোচ্চ থেকে নিম্ন পর্যায়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। অথচ ঐ বৃশিটরা তাতে পরিবর্তন এনেছে অনেক আগেই। তাহলে কী আমরা এখনও পরাধীন- অন্তন্ত মনস্তাত্ত্বিকভাবে? এ ক্ষেত্রে বাঙ্গালিয়ানা কোথায় গেলো? মুসলমানদের লম্বা কোর্তা, টুপি, পাগড়ি দেখলেই কারো কারো গাঁ জ্বলে- কিন্তু কেনো এরূপ হবে? যার প্রাণের ধর্ম যেটা, সে তো সেটাই ধারণ করার কথা। সে তার তাহজিব তামাদ্দুন কোন্ দুঃখে পরিহার করবে? না, দাদাবাবু ইসলাম ও মুসলমানিত্ব সম্পর্কে খুব গভীর জ্ঞান রাখেন কি না সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এদেশের ৯০% মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী- এ কথা কারো ভুলে যাওয়া ঠিক নয়। দেশের রাজনীতিতে এই বিরাট অংশের ধর্মীয় অনুভূতিতে বড় ধরনের আঘাত হানা কোনো দলের জন্যই কল্যাণকর হবে না। আমওমীলীগ দেরিতে হলেও এ সত্যকে এখন দেখছে- আর তা কখনও তাদের জন্য ক্ষতিকর হবে না। যদিও ভ্রান্ত জামাতিদেরকে পরিহার করা জরুরী- কারণ এরা দলকে এবং গণতন্ত্রকে, এমনকি ইসলামের সঠিক ঈমান-আক্বিদাকেও নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। সুতরাং কোন্ ইসলামী পার্টিকে কাছে টেনে নেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে শতর্ক থাকা দরকার।
Mohammad rashed alam
AWAMI base this govt. turning the whole nation into the deep sea.
Fazlul Haq
যে কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেয়ার স্বাধীনতা যে কোন ব্যক্তির আছে। কিন্তু প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কিছু মৌলিক আদর্শ থাকতে হবে। স্বাধীনতা, ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ যা বাস্তবে আওয়ামিলীগের আদর্শ থাকতে হবে। এটাই ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের দাবী। কলেমা পড়ে শপথ নিয়ে যেমন কাফের মুসলমান হতে পারে; তেমনি রাজাকারের বংশধরকে আওয়ামিলীগে যোগ দিতে হলে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি আনুগত্যেরে শপথ নিতে হবে।
হাসান
এতো দিন কিন্তু তুফানের মতো তুফান কর্মীরাই আওয়ামী লীগকে চাঙ্গা রেখেছিল, তুফানের মতো তুফান কর্মীদের আওয়ামী লীগেই ভিতরে ভিতরে বড় প্রয়োজন।
হাসান
তাহলে তাহেরপুত্রের ব্যাপারেও নিশ্চয়ই আপনি একই মত পোষন করেন?
হাসান
এই তুফান কর্মীর সংখ্যাই আপনাদের বেশী। এবং এই তুফান কর্মীরাই আপনাদের এখনো টিকিয়ে রেখেছে।
হাসান
এক তুফান কান্ড ঘটায়ছে, কিন্তু তুফানের মত ২০/৩০ লক্ষ তুফান বাংলাদেশে আছে। এই সত্য যে অস্বীকার করে সে বোকার স্বর্গে বাস করে। তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই হাইব্রিড তুফান। সরকার এদের বিরুদ্ধে কি করবে।
হাসান
বাংলায় কতগুলো প্রবাদ আছে –
১. লোম বাছতে কম্বল উজাড়।
২. ঠগ বাছতে গাঁও উজাড়।
হাসান
তুফান গুন্ডারা হলো আওয়ামী লীগের অকটেন। এই অকটেন ছাড়া আওয়ামী লীগের ইঞ্জিন চলে না।
হাসান
বর্তমান সময়ে তুফানের মতো কর্মীর কত প্রয়োজন আপনে বুঝতে পারছেন না। সামনে নির্বাচন, তুফানের মতো তুফান কর্মী খুব দরকার
Firoz Uddin
Thanks to Ajoy Da for an eye opening article for Awami League. Mr. Kader to think and to take decision from the article. Blood never betray what the collaborators proved in different times in different ways.
Salekin
সাম্প্রদায়িক বা ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতির চর্চা জারি রেখে রাষ্ট্র ও প্রশাসনে সাম্প্রদায়িক উপাদান জিইয়ে রেখে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার আশা বাস্তবসম্মত নয়। কতিপয়ের মানসভূমিতে যদি সাম্প্রদায়িকতার বীজ না-ই থাকত তবে বাংলাদেশের সমাজভূমিতে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ দেখতে হত না।
shahriaf
” খুলে যাওয়া ইন্টারনেট বা মিডিয়ার হাত ধরে মধ্যপ্রাচ্য, তার পোশাক, খাবার, এমনকি তার উগ্রতাও ঢুকেছে সমাজে। ” মধ্য প্রাচ্যের পোশাকে এত অসুবিধা কোথায় আপনার? আপনার পিকচারেও তো দেখলাম পেন্ট আর টিশার্ট। কই এগুলা তো বাঙ্গালী পোশাক না। সাধু সাজতে যখন চাইছেন তখন লুঙ্গি আর পাঞ্জাবী পড়তেন। যদি বোকরা – পাঞ্জাবীতে চুলকানি থাকে তাহলে এদেশ থেকে দূরে থাকাই ভালো। আর মধ্য প্রাচ্যের পোশাকের বিকাশ মিডিয়া আর ইন্টারনেট থেকে ছড়ায় না। এগুলা ছড়াচ্ছে ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকে। আমি যেমন চাই দেশ তেমন না থাকলে সেটা আমার ব্যাক্তিগত সমস্যা। সবকিছুতে ধর্ম একটু লাগায়া না রাখলে আপনাদের মন ভরে না? ” পলপট যৌবনে হস্তমৈথুনকেও পাপ মনে করতেন। ” কিছু ধর্মে নিষেধ নাও হতে পারে। তাই বলে বিষয়টাকে এমন ভাবে প্রকাশ করলেন যেন পল পত খুব ভালো একটা কাজকে পাপ মনে করতেন। সবাই রাজনীতি পাগল, কেউ রাজনীতি করে, কেউ দলকে সমর্থন করে আর কেউ রাজনীতি নিয়ে কথা বলে।
Sumon
লেখকের ইসলাম ধর্ম নিয়ে একটু বেশি সমস্যা আছে। তাঁর বিভিন্ন লেখার তার ইংগিত পাওয়া যায়, সরাসরি কিছু বলতে না পারলেও কারনে অকারনে মধ্যপ্রাচ্য টেনে নিয়ে আসে।
শাহিন
আমরা পাঠকরা আসলেই জিম্মি। আজকের লেখায় কেউ লিখে দিচ্ছে খুলে যাওয়া ইন্টারনেট এর হাত ধরে মধ্যপ্রাচ্য হতে ধর্মীয় উগ্রতা আমদানী হচ্ছে! আর আমরা সেটাই পড়ছি! আবার আমাদের রিপ্লাই ও মডারেশন করে প্রকাশ হচ্ছে। লেখক যা খুশী তাই লিখবেন সেটা তার নাকি অধিকার, আর পাঠক যা খুশী প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারবেনা, সেটা করলে মুক্তচিন্তায় বাধা!
সৈয়দ আলি
একদম ঠিক বলেছেন। কিছু কিছু লেখক শেষ কথা বলার ভঙিতে যা বলবেন তাইই আমাদের গিলতে হবে। বিডিনিউজ২৪.কম এর নীতিমালায় আছে কোন ব্যক্তিগত আক্রমন করা যাবেনা। কিন্তু সে নীতিমালার ধারা কিছু লেখকদের জন্য প্রযোজ্য নয়, তবে দলদাস পাঠকদের ছাড়া অন্য পাঠকদের জন্য অবশ্যই প্রযোজ্য।
সরকার জাবেদ ইকবাল
গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ আর বর্তমান আওয়ামী লীগের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত ঘটে গেছে। তাও ভাল, বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগের এই অধ:পতন দেখে যেতে হয়নি।
কান্টি টুটুল
কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত হুমায়ূন আহমেদের মতো একজন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকের মাঝে কোথায় “বৈকল্য” খুঁজে পেয়েছেন তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই, অন্যথায় এই লেখা সরিয়ে নেয়া হোক।
সৈয়দ আলি
‘ তারপরও হুমায়ূন আহমেদ ঠিক থাকতে পারেননি।’- আমরা এর ব্যাখ্যা চাই। যে কেউ যা খুশি লিখে যাবে আর আমাদের তা’ গিলতে হবে, এত বড় পন্ডিত কেউ নয়, আমরাও গো-মূর্খ নই।
শাহিন
আপনি আমি ব্যাখ্যা চাইতে পারব না। কিছু লোক এদেশে মুক্তিযুদ্ধকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে।
shahriaf
ha ha ha vai ekdom thik bolchen koi ekjon reporter ar koi Humayun sir . Ajoy babu vaben uni highest knowledge er manush . uni ja vaben tai thik ar baki sov vul .
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণে রাষ্ট্র, সমাজ, রাজনীতি, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন বিষয়ে যেসব মন্তব্য করা হয়েছে, তা সরকারের জন্য হজম করা কঠিন। এতে সংসদ এবং সাংসদদের মোটামুটি অযোগ্য হিসেবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। সরকার পরিচালনার ধরন ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ, কিন্তু কিছু বলতে পারছে না।
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
সব সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হ’ল- ক্ষমতাসীনদের মধ্যে উদ্ধত আচরণ ও শিষ্টাচার না মানার প্রবণতা। অন্যগুলো যেকোনভাবে হজম করতে পারলেও সাধারণ মানুষ এটা একেবারেই হজম করতে পারে না, যার কারণে মানুষ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীতমূখী হয়ে আছে।
MNA MAHDI
হরিচন্দ্র বাবু, অসংখ্য ধন্যবাদ সত্যবলার জন্য।আওয়ামী লীগ বিবেক দিয়ে নয় সব কিছু ফ্যাঁসী শক্তি দিয়ে নিয়নতরন করতে চায়।
মোঃ শামীম মিয়া
নতুন কিছুই নেই। আগের মতোই জামায়াত বিরোধিতা ।
SUpto
right
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
সরকার অস্বস্তিতে পড়েছে, কারণ সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে যা বলা হয়েছে তা নির্দয় সত্য, এটাই দেশের চিত্র।
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
সরকার এখন যে বেকায়দায় পড়েছে, তা এক দিনে হয়নি। শাসনব্যবস্থার গলদ আছে। গণতন্ত্র চর্চায় সমস্যা আছে। সুশাসনের অভাব প্রকট। উন্নয়ন বনাম গণতন্ত্রের যে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, সেটা কাজ করছে না। এটা সরকারকে মেনে নেওয়ার সময় এসেছে। ক্ষমতাসীনদের মধ্যে উদ্ধত আচরণ ও শিষ্টাচার না মানার যে প্রবণতা আছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেই সমস্যার সমাধান আসবে।
Dhuasha
জনাব হরিচরন । খেপছীন কেনো ভাই , ৩ বারে ও আপনার মনের কথা শেষ করতে পারেন নি।
communal politics বা jamaat, middle east নিয়ে আপনারা কথা বলতে দেন না , রেগে একাকার হন । আর নামটা তো হরিচারন না আসল নামে পোসট দিন problem কি।
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে – To cast pearls before swine. অর্থাত কি না উলুবনে মুক্তা ছড়ানো। আমাদের দেশটি কার্যতঃ এখন উলুবনে পরিণত হয়েছে। এখানে যারা ক্ষমতার ঘি-পোলাও-এ হাবুডুবু খাচ্ছেন তারা নিবন্ধকারের কথা কানে যে তুলবেন না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না কারন ‘Power corrupts and absolute power corrupts absolutely.
শাহিন
দারুন মুক্তো ছড়াচ্ছেন দাদা। একটা জুয়েলারি দোকান দেব ভাবছি।
MNA MAHDI
এদেশের ৯০ ভাগ মানুষ ভারত বিরোধী। কারন ভারত কোনদিন বাংলাদেশের বন্ধু ছিলনা এখনও নেই। কাজেই ভারত কে যারা অন্তরের বন্ধু মনে করেন তারা আসলে বাংলাদেশের শত্রু চিনতে ভূলকরছেন।
MNA MAHDI
বংগবনধু যতদিন ভারতের ছদ্মবেশী বন্ধুততের আড়ালে শত্রুতাকে বুঝতে পারেনি ততদিন তিনি তাদের বন্ধু ছিলেন আর যখনই বুঝতে পেরে নিজ শক্তিতে স্বাধীন ভাবে চলতে শুরু করলেন(১৯৭৫ সালে) তখনই তাঁকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। ৭৫ এর নির্মম ঘটানায় ভারতের তৎকালিন ক্ষমতাশীন ইন্দিরা গান্ধীর নিরবতা এবং মৌন সমর্থন এবং মোস্তাক সরকারের সাথে তাদের ঘনিষ্টতা তারই জলন্ত প্রমান। ভারতের পালিত এক শ্রেনীর এদেশীয় দালাল এই সত্য গুলো মানতে না রাজ। পার্শ্ববর্তী এত বড় বন্ধু (?) দেশের সমর্থন ছাড়া কেবল ডালিম,রশীদ,ফারুক মোসতাকারা এটি দেশের জনক কে এভাবে বিনা চ্যালেনজ -এ হত্যা করতে পারে?
নাজমুল আহসান
যেমনটি আপনি MNA MAHDI ভুল লিখতে ভুল করেছেন…!!!
ashadul amin
লেখক অনেক কষ্ট পেয়েছেন। এর কারণও বিস্তারিত বলেছেন। একটা বিষয় বোধকরি বিবেচনায় নিলে ভাল হোত । আমাদের সমাজ, সমাজের মানুষের মধ্যে বিশাল এক cultural shift ঘটে গেছে, স্বাধীনতর অব্যবহিত পর থেকে যার শুরু। ডান পন্থী রূপান্তর। ফলে ক্ষমতায় যাওয়া এবং থাকার জন্য আওয়ামী লীগ এর মূল দর্শন থেকে সরে যাচ্ছে। স্রোতের বিপরীতে চলার শক্তিও হয়ত নিঃশস্বেষ। স্রোতের অনুকুলে থাকাটাই শ্রেয় মনে করছে। সংবিধানে বিএনপি/ এরশাদের আনা সংশোধনী বহাল রাখা সহ হালে তথাকথিত ধর্মাশ্রয়ী নানাবিধ পদক্ষেপ এর সাক্ষ্য দেয়। এখন মানুষ বাহাত্তরের সংবিধান বলতে বোঝে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অসদাচরনের কারণে সংসদকেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সংবিধানে আর সব পাকিস্তানী হলেও ক্ষতি নেই,সামরিক ফরমানে হলেও দোষ নেই। সুতরাং কারা আওয়ামী লীগ করতে পারবে আর কারা পারবেনা তা নিজগুণেই বুঝে নিতে হবে। কোন নেতার কথার জন্য অপেক্ষা কেন আর কটাক্ষই বা কেন?
নাজমুল আহসান
আসলে ক্ষমতার লোভে এদেশের বড় বড় পণ্ডিত গণেরাও তাদের সেই পূর্বসূরি বিশ্বাসঘাতকদের মতই চরম রাজাকারী ও বিশ্বাসঘাতকের ভূমিকায়ই দল বেঁধেছেন।
আরে ভাই সাহেব, এটা হোল সব স্বার্থের খেলা, যেখানে শিক্ষা- নৈতিকতা এসবের বালাই তারা আর নিজেদের চরিত্রে ধারনতো নয়ই বরং তাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের কেও সেই শিক্ষাই দিয়ে যাচ্ছেন, পড়ালেখা কর সার্টিফিকেট টা অরজন কর আর ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা প্রয়োজন সেটা করে ক্ষমতায় যাও এবং পরিশেষে তোমার যেমন খুশি তেমন খেলো, দেখাও ভেতো বাঙ্গালীকে খেলা কাকে বলে আর জাহির কর নিজ পাণ্ডিত্য…!!!