যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার পেছনে বিএনপির আসল কারণ

Published : 11 Feb 2011, 06:04 PM
Updated : 19 April 2012, 01:31 PM

এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করছে এবং সেই লক্ষ্যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নাই। কাজেই তারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলবে–এটাই স্বাভাবিক। আমি এব্যাপারে মোটেই অবাক হই না। কারণ এর আগে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো, তারা কিন্তু টুশব্দটি করেনি বরং তারা খুশি হয়েছে। কিন্তু জিয়াউর রহমানকে যখন মারা হয় তখন কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। This is the difference. যদিও জিয়াউর রহমান একজন রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। তার পরেও জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তাকে ওভাবে মারার কারণে আমরা কিন্তু প্রতিবাদ করেছি। আমি তখন সংসদে ছিলাম কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যার ব্যাপারে আজ পর্যন্তু বিএনপি বা খালেদা জিয়া কেউই কিন্তু প্রতিবাদও করে নাই, হত্যাকারীদের বিচারও চায় নাই। বরং খালেদা জিয়া অনেকটা নির্লজ্জভাবে জন্মদিন পালন করে, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু দিবসে। কাজেই আমি মোটেই অবাক হই না জামায়াত এবং অন্যান্যদের সাথে তাদের আঁতাত থাকায় এবং জামায়াতের সহযোগিতা তাদের প্রয়োজন–এই জন্য তারা জামায়াতকে সমর্থন করে এবং এইজন্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করে।

অনেকে বলতে পারেন বিএনপির যে প্রতিষ্ঠাতা উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বে্ও কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়। এই তথ্যতো অস্বীকার করা যাবে না যে জেনারেল জিয়াউর রহমান একজন রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। সমস্যাটাতো ওনাকে দিয়েই শুরু হয়েছিল। আবদুল আলীমকে তো উনিই মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।

তার মানে উনিই প্রথম বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করলেন বলা যায়।

উনিই গোলাম আজমকে দেশে এনেছেন, নাগরিকত্ব দিয়েছেন। কাজেই ওনার মধ্যেই গলদ ছিল। উনি ক্লিন লোক ছিলেন না।

এখন বিএনপি বলছে যে জামায়াতে ইসলামী মানবতাবিরোধী কিছু করেনি। আমরা খুব শিঘ্রই আসল সত্য জানতে পারবো।

এখন বিচার কাজ চলছে। বিচারাধীন ব্যাপার কোর্ট সাক্ষ্য প্রমাণের মধ্যদিয়ে এটাকে প্রমাণ করবে। আমি যদি বলি এটা মিথ্যাচর আর একজন যদি বলে না এটা সত্য– আইনের ভাষায় এটার কোন অর্থ নেই। কারণ যখন মামলাটা ট্রাইবুনালে আসবে তখন ট্রাইবুনালে আমদের প্রমাণ করতে হবে তারা দোষী কিনা।

যেহেতু বিচার কাজ দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি করতে চাচ্ছে সরকার তাই আরেকটি ট্রাইবুনাল তৈরি করেছে। আরো বেশী ট্রাইবুনাল হলে আরো ভালো। বিচার কার্য এখন আরো তাড়াতাড়ি শেষ হবে বলে মনে হয়।


কর্নেল (অবঃ) শওকত আলী
: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার।